সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪


নিরূপণ ও শাস্তি বিধানে প্রোটোকল ঠিক করার উদ্যোগ : বিশ্ব যৌন নির্যাতন বিরোধী সম্মেলনঅপরাধ ইনকিলাব ডেস্ক : লন্ডনে ৪ দিনের বিশ্ব যৌন নির্যাতনবিরোধী সম্মেলন আজ শেষ হচ্ছে। নাইজেরিয়ায় দুই শতাধিক মেয়েকে অপহরণ এবং সাম্প্রতিক কিছু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জোরালো পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জোলি ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্ব নেতারা মঙ্গলবার একজোট হয়েছেন লন্ডনে। যৌন সহিংসতা বন্ধের জন্য প্রথম বৈশ্বিক সম্মেলন হচ্ছে এটি, যা চলবে ১৩ জুন অর্থাৎ আজ পর্যন্ত। এতে অংশ নিচ্ছেন ১৫০টি দেশের মন্ত্রী, সেনা, ধর্মীয় নেতা, বিচারক ও দাতা সংস্থার কর্মীরা। সম্মেলনে তাদের প্রধান আলোচ্য বিষয় যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের কী শাস্তি দেয়া হতে পারে। এ সম্মেলনে নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম কর্তৃক অন্তত ২০০ মেয়েকে অপহরণ, পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের নামে পাথর ছুড়ে নারী হত্যা, গণধর্ষণ এবং ভারতে দুই নারীকে ধর্ষণের পর গাছে ঝুলিয়ে দেয়া- এই ঘটনাগুলো প্রাধান্য পেয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো এ ধরনের ভয়াবহ অপরাধের পরও অপরাধীদের কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না। এই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক একটি প্রটোকল ঠিক করা হবে কিভাবে এ সব ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত করা যায়। স্কাই টেলিভিশনকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে রোববার হেগ বলেন, তথ্য-প্রমাণের অভাবে অপরাধীরা বরাবরই পার পেয়ে যায় এ ধরনের জঘন্য একটা অপরাধ করে। সম্প্রতি কয়েক দশকে এ ধরনের নির্যাতন বেড়ে গেছে, একবিংশ শতাব্দীতে যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় যদি নারীদের সম্মানের চোখে না দেখা হয়, তবে যুদ্ধ শেষে সেখানে শান্তি এলেও নারীরা সে সম্মান ফিরে পান না। যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের যৌন হয়রানি এবং পরবর্তীতে তাদের দুর্দশার চিত্র তিনি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মুভি ইন দ্য ল্যান্ড অফ ব্লাড অ্যান্ড হানিতে দেখেছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হেগ এবং জাতিসংঘের বিশেষ দূত জোলি কঙ্গো ও বসনিয়া সফর করেছেন। পশ্চিমা বিশ্ব এখন ঘরের কাজে রোবট ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। এই নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। বলা বাহুল্য, যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের সম্মানহানি নতুন কিছু নয়। দুই দশক আগে বসনিয়া যুদ্ধে ধর্ষিত হয়েছিলেন ৫০ হাজার নারী। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও। লন্ডনের এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কেরি বলেন, প্রতিটি দেশের নারীরাই যৌন হয়রানির শিকার। তাই তা বন্ধ করতে দরকার কূটনৈতিক উদ্যোগ ও একটি মানদ-, যা এই অপরাধ বন্ধে কার্যকর হবে। ‘আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে মঙ্গলবার দফায় দফায় বেঠকের পর, বুধবার যৌন নির্যাতন বন্ধে আন্তর্জাতিক প্রটোকলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়া নিয়ে ১০০টি দেশের মন্ত্রীদের হেগের নেতৃত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আজ শুক্রবারের সমাপনী অধিবেশনটি জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বক্তব্য দেয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এএফপি, রয়টার্স। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/06/13/185531.php#sthash.mtRTUzMr.dpuf

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন