সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪


যেভাবে গ্রেফতার নূর হোসেন রক্তিম দাশ, কলকাতা | প্রকাশ : ১৫ জুন, ২০১৪ ২২:৫২:০৬ | আপডেট : ১৬ জুন, ২০১৪ ১৬:০১:৪৮ নূর হোসেন পূর্ব কলকাতায় আবাসন এলাকায় বাপি সাহা পরিচয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। রক্তিম দাশ, কলকাতা কলকাতার বিধাননগর সিটি পুলিশের অ্যান্টিটেরোরিস্ট স্কোয়াডের (এটিএস) কাছে কিছু দিন ধরেই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্তা ইন্টারপোলের রেড কর্নার রিপোর্ট ছিল।যেভাবে গ্রেফতার নূর হোসেন ফাইল ছবি। রিপোর্টে বাংলাদেশি নাগরিক নূর হোসেনের শারীরিক বিবরণ ও বিভিন্ন ধরনের ছবি দেওয়া হয়। এরপর নূর হোসেনের ব্যাপারে শুরু হয় গোয়েন্দা অনুসন্ধান। প্রাথমিক তথ্য ছিল- বাগুইআটি থানা এলাকার কৈখালী সংলগ্ন ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন নূর হোসেন। তবে কোন ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন- সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত কোনো তথ্য পুলিশের কাছে ছিল না। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার আবাসন এলাকায় প্রবেশ করে পুরো এলাকা রেকি করা হয়। এ সময় নূর হোসেন যে ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন, সেটি নিশ্চিত হন তারা। এর পরই নূর হোসেনকে গ্রেফতারে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করে এটিএস। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ এটিএসের তিন সদস্যের একটি টিম ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। ওই সময় ঘরে নূর ও তার দুই সঙ্গী উপস্থিত ছিল। পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে দুপুর থেকেই নূর ও তার দুই সঙ্গীকে জেরা করা শুরু করে। এরপর দুপুর ২টা নাগাদ এটিএসের আরও একটি তিন সদস্যের টিম ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে নূররসহ তিনজনকে গৃহবন্দি করে ফেলে। শনিবার সন্ধ্যায় বিধাননগর সিটি পুলিশের একটি বড় অংশ ওই আবাসনটিকে ঘিরে ফেলে। এরপর শুরু হয় নূরকে গ্রেফতার অভিযান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নূর হোসেনসহ তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন এটিএসের এসিপি অনীশ সরকার। টানা এক ঘণ্টা জেরা করার পর অনীশ সরকারের নির্দেশে পুলিশের তিনটি ভ্যান প্রবেশ করে আবাসনের ভেতর। এরপর বের করে নিয়ে যাওয়া হয় নূর ও তার সহযোগীদের। তিনজনকে নিয়ে বাগুইআটি থানায় বসিয়ে টানা ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলে জেরাপর্ব। এর পরই রাত ১১টার দিকে ওই তিনজনকে ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সকালে তাদের তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত আদালতে। এ বিষয়ে এটিএসের এসিপি অনীশ সরকার বলেন, ওই তিনজনের কাছ থেকে কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও আমাদের কাছে নূর হোসেনের ব্যাপারে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ ছিল। তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে এখনও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন আসেনি। যদি আসে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার ও থাকার কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি নূরের কাছে। আবাসনের সিমা সিংহের ফ্ল্যাটে ভাড়া ছিল নূর হোসেনসহ ও তার দুই সহযোগী।গত রোববার রাতে স্থানীয় দালাল মারফত নূর হোসেন পূর্ব কলকাতা এসে আবাসন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, আবাসনের নিয়ম অনুযায়ী নূরের বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে পারেনি সীমা সিংহ। বাপি সাহা পরিচয়ে নূর হোসেন ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের নূর জানিয়েছিলেন, তার একজন অসুস্থ আত্মীয় কলকাতায় চিকিৎসা করতে আসবে। তাই তার আগে থেকে ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত আরো খবর নূর হোসেন ৮ দিনের রিমান্ডে 'নূর হোসেনকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে' 'নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু' নূর হোসেনের সহযোগী ফরিদপুরে গ্রেফতার মন্তব্য

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন