রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪


সুন্নিপন্থী জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে ইরাকের আরো কয়েকটি শহর 23 Jun, 2014 সুন্নি সমর্থিত আইসিআইসির জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে একের পর এক ইরাকি শহর। ইরাকে আইসিআইসিসহ সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর হাতে আরো কতগুলো শহরের পতন হয়েছে। সর্বশেষ যে শহরটি তারা দখল করেছে, সেটির নাম রুতবা। সুন্নি অধ্যুষিত প্রদেশ আনবারের এই রুতবা এবং আশপাশের কয়েকটি শহর থেকে আইসিআইসি যোদ্ধাদের ভয়ে ইরাকি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়। ওদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ সুন্নি-প্রধান দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেছেন, এরা ইরাকে জিহাদিদের মদত দিচ্ছে। ইরানি প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে সৌদি আরব এবং কাতারের দিকে প্রতি অভিযোগ জানিয়েছেন। ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান, রুহানী বলেন, ‘তারা তাদের টাকা এবং পেট্রোডলার দিয়ে সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। আমি তাদের বলতে চাই, সাবধান, এরপর আপনাদের পালা আসবে - এই জঙ্গি গ্রপগুলো আপনাদের দেশকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে।’ মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইরাকে সুন্নি জিহাদিরা দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে আছে আল কাইম এবং রুতবা শহর। বাগদাদের উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি ইরাকের সবচেয়ে বড় প্রদেশ এবং প্রায় সম্পূর্ণ সুন্নি-অধ্যুষিত আল-আনবারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। জঙ্গিদের আক্রমণের মুখে ইরাকের সরকারি সৈন্যরা তাদের অস্ত্র এবং ঘাঁটিগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এই প্রদেশটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর সাথে সীমান্ত আছে সিরিয়া, জর্ডন এবং সৌদি আরবের। আইসিআইসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুন্নি জিহাদি গ্রুপগুলোর এক মুখপাত্র বলেন, বিদ্রোহীরা এখানে আগে থেকেই রামাদি এবং ফালুজার মতো শহরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছিল, তবে এখন তারা চাইছে পুরো আল-আনবার প্রদেশটিই দখল করে নিতে। ইরাক সরকার ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে। তবে ওয়াশিংটনে ইন্সটিটিউট ফর স্টাডি অব ওয়ার-এর বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার হার্মার বলছিলেন, জঙ্গিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকনিক্যাল গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সেরা। কিন্তু এখন আমরা এমন এক শত্রুর মোকাবিলা করছি - যাদের ক্ষেত্রে এগুলো কাজে লাগছে না। আমাদের দরকার মানবিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কিন্তু ঠিক সেটাই আমাদের নেই।’ আইসিআইসি জঙ্গিদের আসল লক্ষ্য হলো বাগদাদ - এবং তারা মনে করছে আইসিআইসি জঙ্গিরা বাগদাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেলেই সরকারি সৈন্যরা পালাতে শুরু করবে - ঠিক মসুলে যেমন হয়েছিল। উৎসঃ ঢাকাটাইমস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন