বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০১৪


ডাক্তার না ধর্ষক! 19 Jun, 2014 ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির বিতর্কিত সেই চিকিৎসক ডা. মাসুদ ইকবাল এবার চটেছেন তার হাতে যৌন নির্যাতনে ভুক্তভোগীদের ওপর; যারা তার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে থানায় মামলা ও জিডি করায় এখন বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী নারীরা। ডা. ইকবালের ভাড়াটে সহযোগীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযোগকারীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তারা বলছেন, 'কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছ বুঝতে পারনি। ডাক্তার মাসুদের হাত কতটা লম্বা তা হাড়ে হাড়ে টের পাবে।' এ অবস্থায় অভিযোগকারীরা অজানা আশঙ্কায় নিজ বাসাবাড়ি ছেড়ে আত্দীয়-স্বজনদের বাড়িঘরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। একাধিক ভুক্তভোগী আক্ষেপ করে বলেন, ডাক্তারবেশে থাকা মাসুদ ইকবাল বাস্তবে বিকৃত রুচির একজন ধর্ষক মাত্র। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই আমলে নেওয়া হয় না। মামলা করলেও তিনি আদালত থেকে আগাম জামিন নেন। তারা জানান, ডা. মাসুদ ইকবালের বাবা সাবেক একজন সচিব থাকায় বিভিন্নভাবেই তিনি ক্ষমতার বেপরোয়া দাপট দেখিয়ে চলেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ডা. মাসুদ ইকবাল এখনো চাকরিতে বহাল রয়েছেন। তার পছন্দসই মিটফোর্ড হাসপাতালে বদলিও হয়েছেন তিনি। এদিকে গত ১৩ জুন বাংলাদেশ প্রতিদিনে 'তার যৌন হয়রানি থেকে সহকর্মী ডাক্তার, নার্স, রোগী, স্বজন কারও নিস্তার নেই!' শীর্ষক খবর প্রকাশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটির সদস্যরা এরই মধ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে গিয়ে অভিযোগকারীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। ইনস্টিটিউটের পরিচালক জামিনুল ইসলাম ভূইয়া এক চিঠির মাধ্যমে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু পরিচালকের সঙ্গে অভিযুক্ত ডাক্তার মাসুদ ইকবালের দহরম-মহরম সম্পর্ক থাকায় নিরপেক্ষ তদন্ত হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে সহকর্মী নারী চিকিৎসকে যৌন হয়রানিসহ হুমকি-ধমকি দেওয়া সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শাহজাহান তদন্ত শুরু করেছেন। মোহাম্মদপুরের এক নারী রোগীর আত্দীয়কে কুপ্রস্তাব দেওয়া সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরির বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির এক চিকিৎসকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্য চিকিৎসক, রোগীসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়ান। তার যৌন হয়রানি থেকেও রেহাই পাচ্ছেন না সহকর্মী চিকিৎসক, নার্স, রোগী এমনকি রোগীর স্বজনরা পর্যন্ত। হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সরকারি চাকরি করেও তিনি যখন-তখন ঘুরে বেড়ান বিশ্বময়। ঢাকায় বাসাবাড়ি, কর্মস্থল থাকলেও তিনি রাতযাপন করেন শেরাটন কিংবা সোনারগাঁও হোটেলে। আমেরিকা, কানাডায় হাজার হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে বিলাসী জীবনযাপন করে থাকেন। উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন