রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪


ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হাতে আরো শহরের পতন সর্বশেষ আপডেট রবিবার, 22 জুন, 2014 12:53 GMT 18:53 বাংলাদেশ সময় আইসিসের জঙ্গিদের হাতে নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে একের পর এক ইরাকি শহরের ইরাকে আইসিসসহ সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর হাতে আরো কতগুলো শহরের পতন হয়েছে। সর্বশেষ যে শহরটি তারা দখল করেছে, সেটির নাম রুতবা। সম্পর্কিত বিষয় সুন্নি অধ্যুষিত প্রদেশ আনবারের এই রুতবা এবং আশপাশের কয়েকটি শহর থেকে আইসিস যোদ্ধাদের ভয়ে ইরাকি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ওদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ সুন্নি-প্রধান দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেছেন, এরা ইরাকের জিহাদিদের মদত দিচ্ছে। ইরানি প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে সৌদি আরব এবং কাতারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। মাত্র দু’ সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইরাকে সুন্নি জিহাদিরা দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে। বাগদাদের উত্তরে এখনো যুদ্ধ চলছে, আর তার পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় - ইরাকের সবচেয়ে বড় প্রদেশ এবং প্রায় সম্পূর্ণ সুন্নি-অধ্যুষিত আল-আনবারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। "তারা তাদের টাকা এবং পেট্রোডলার দিয়ে সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। আমি তাদের বলতে চাই, সাবধান, এর পর আপনাদের পালা আসবে - এই জঙ্গি গ্রপগুলো আপনাদের দেশকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে" হাসান, রুহানী, ইরানি প্রেসিডেন্ট এর মধ্যে আছে আল কাইম এবং রুতবা শহর। জঙ্গিদের আক্রমণের মুখে ইরাকের সরকারি সৈন্যরা তাদের অস্ত্র এবং ঘাঁটিগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এই প্রদেশটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ - কারণ এর সাথে সীমান্ত আছে সিরিয়া, জর্ডন এবং সৌদি আরবের। এর মধ্যে বাগদাদের নূরী আল-মালিকির সরকারের সমর্থন দানকারী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বলছেন, সৌদি আরবসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলো সুন্নি বিদ্রোহীদের অর্থ যোগাচ্ছে। তিনি বলছেন, “তারা তাদের টাকা এবং পেট্রোডলার দিয়ে সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। আমি তাদের বলতে চাই, সাবধান, এর পর আপনাদের পালা আসবে - এই জঙ্গি গ্রপগুলো আপনাদের দেশকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে।” আইসিস-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুন্নি জিহাদি গ্রুপগুলোর একজন মুখপাত্র বিবিসি-কে বলেছেন, বিদ্রোহীরা এখানে আগে থেকেই রামাদি এবং ফালুজার মতো শহরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছিল, তবে এখন তারা চাইছে পুরো আল-আনবার প্রদেশটিই দখল করে নিতে। ইরাক সরকার ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে। তবে ওয়াশিংটনে ইন্সটিটিউট ফর স্টাডি অব ওয়ার-এর বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার হার্মার বলছিলেন, জঙ্গিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা হচ্ছে। "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকনিক্যাল গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সেরা। কিন্তু এখন আমরা এমন এক শত্রুর মোকাবিলা করছি - যাদের ক্ষেত্রে এগুলো কাজে লাগছে না। আমাদের দরকার মানবিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কিন্তু ঠিক সেটাই আমাদের নেই" ক্রিস্টোফার হার্মার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকনিক্যাল গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সেরা। কিন্তু এখন আমরা এমন এক শত্রুর মোকাবিলা করছি - যাদের ক্ষেত্রে এগুলো কাজে লাগছে না। আমাদের দরকার মানবিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কিন্তু ঠিক সেটাই আমাদের নেই।” বিবিসির জন সিম্পসন জানাচ্ছেন, ইরাকের সরকারি সেনাবাহিনীর চাইতে আইসিসের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-সরঞ্জাম এবং অভিজ্ঞতা - সবকিছুই বেশি। সিরিয়ার ভেতরে এবং অন্যত্র তাদের নিরাপদ আশ্রয় আছে - যেখানে আমেরিকানদের পক্ষেও হামলা চালানো খুবই কঠিন। জিহাদিরা আত্মবিশ্বাসী যে ইউফ্রেতিস বরাবর ইরাকের অন্যান্য শহরগুলোও তেমন কোন প্রতিরোধ ছাড়াই শীঘ্রই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে তাদের আসল লক্ষ্য হলো বাগদাদ - এবং তারা মনে করছে আইসিসের যোদ্ধারা বাগদাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেলেই সরকারি সৈন্যরা পালাতে শুরু করবে - ঠিক মসুলে যেমন হয়েছিল। বিবিসি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন