সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪


নগর-মহানগর সিলেটে দুই বন্ধুর ‘পর্নো’ ফাঁদ! May 24, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in নগর-মহানগর with 0 Comments porno নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম সিলেট সিলেটের পর্নো সিডির কারিগর দুই বন্ধু হেলাল ও ময়নুল এখন স্কুল ও কলেজের মেয়ে শিক্ষার্থীর কাছে আতঙ্কের নাম। ওদের নীল জগতে ‘পা’ দিয়েই অনেক শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট হওয়ার পথে। একের পর এক ভিডিও ফুটেজ মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ায় অভিভাবকমহল হয়ে পড়েছে উদ্বিগ্ন। কোন কোন ছাত্রীর অভিভাবক হার্ট অ্যাটাক হয়ে শয্যাশায়ী হয়েছেন হাসপাতালে। এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের কামালবাজার এলাকায়। আর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গা-ঢাকা দিয়েছে পর্নো কারিগর হেলাল ও ময়নুল। অবশেষে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পর্নো সিডির শুটিং ও নির্মাণস্থল ওই ফটোস্টুডিওতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ ঘটনাটি হচ্ছে তোলপাড়। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা খুঁজে ফিরছেন হেলাল ও ময়নুলকে। সিলেট শহরতলির দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার এলাকা। ধর্মীয় অনুশাসনে সভ্যতার এক আলোকিত এলাকা। কামালবাজারে রয়েছে রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। একটু দূরে রাগিব-রাবেয়া কলেজ। দুটি প্রতিষ্ঠানে হাজারো শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল নিয়ম চালু হওয়ায় পরীক্ষা ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীকে বাইরে থেকে রেজিস্ট্রেশন, ফরম পূরণ কিংবা ভর্তির জন্য ছবি তুলে ইন্টারনেটে পাঠাতে হয়। এ কারণে কামালবাজারের কলেজ রোডের চৌধুরী কমপ্লেক্সে ফটোস্টুডিও ও ইন্টারনেটের দোকান খুলে হেলাল আহমদ মামুন নামের এক যুবক। হেলাল আহমদ মামুনের বাড়িও একই এলাকায়। সে স্থানীয় রামপুর গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে। আর হেলালের বন্ধু ময়নুল ইসলাম একই গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে। প্রায় তিন বছর আগে হেলাল চৌধুরী কমপ্লেক্সে দোকান খুলে বসায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে ছবি তোলা ও ফরম পূরণ করেন ওখান থেকে। এ দোকানের মূল মালিক হেলালের মামা আশরাফ আলী। ছাত্রীরা ছবি তুলে ফরম পূরণের পর ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার পর বাড়ি চলে যায়। কিন্তু হেলাল ও ময়নুল দুইজন ছাত্রীদের ওই ছবি কম্পিউটারের ফটোসপের মাধ্যমে নগ্ন ছবির মধ্যে জুড়ে দেয়। এরপর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রীদের ডেকে এনে এসব ছবি দেখায়। আর নিজেদের নগ্ন ছবি দেখে সহজ সরল অনেক ছাত্রী কেঁদে ফেলেন। আর মানসম্মানের ভয়ে কেউ এ বিষয়টি অভিভাবকদের জানায়নি। এসব নগ্ন ছবি দেখার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ছাত্রীদের তাদের সঙ্গে দৈহিক মিলনে বাধ্য করে হেলাল ও ময়নুল। নওরীন ফটোস্টুডিও ঘর এক কোটার হলেও পার্টিশন দিয়ে সেটিকে দুটি ঘর করা হয়। এর মধ্যে সামনের ঘরটি হচ্ছে রিসিপসন কক্ষ। আর দরোজা লাগানো পিছনের ঘর হচ্ছে স্টুডিও। পর্নো ছবির ফাঁদেপড়া ছাত্রীদের নিজেদের ছবি দেখিয়ে তাদের কথা মতো চলতে বাধ্য করে হেলাল ও ময়নুল। কয়েক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, হেলাল ও ময়নুল স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের হুমকি দেয় তাদের কথা মতো না চললে এসব ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। এসব হুমকির কারণে অনেক ছাত্রী তাদের পর্নো ফাঁদে পা দেয়। কামাল বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, হেলাল ও ময়নুল ফটোসপে তৈরি করা ছবি দেখিয়ে ছাত্রীদের তাদের কথা মতো চলতে বাধ্য করে। পরে ছাত্রীদের প্রস্তাব দেয় দৈহিক মিলনে। এভাবে বেশ কয়েকজন ছাত্রী নিজেদের ইজ্জত রক্ষার্থে হেলাল ও ময়নুলের কথা মতো স্কুল কিংবা কলেজ ফাঁকি দিয়ে স্টুডিওতে চলে আসে। আর স্টুডিওর ভেতরে দুই বন্ধু মিলে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হতো। ব্যবসায়ীরা জানান, কোন কোন ছাত্রীর সঙ্গে অবাধ মেলামেশার দৃশ্যাবলী ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে রেকর্ড করে রাখা হয়। কখনও হেলাল ছাত্রীর সঙ্গে দৈহিক কাজে লিপ্ত হলে ময়নুল সেটি রেকর্ড করতো। আবার ময়নুল দৈহিক কাজে লিপ্ত হলে হেলাল সেগুলো রেকর্ড করতো। এভাবে তারা বেশ কয়েকজন ছাত্রীর ভিডিও ফুটেজ ও ছবি রেকর্ড করে রাখে। পরে ওই ভিডিও এবং ছবি দিয়ে কোন কোন ছাত্রীর সঙ্গে দিনের পর দিন অবাধে মেলামেশা করেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, তারা প্রায়ই দেখতেন নওরিনের স্টুডিওতে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছাত্রীরা আসা যাওয়া করত। আর ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে হেলালকে জিজ্ঞেস করলে সে বলতো, ওরা কাজে এসেছে। এ কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেটি আমলে নেননি। হেলাল ও ময়নুলের বন্ধু মহলের কয়েকজন যুবক জানিয়েছেন, হেলালের বন্ধু ময়নুল রামপুর গ্রামের ইছহাক একাডেমির শিক্ষক ছিল। আর শিক্ষকতার কারণে অনেক ছাত্রীকে সে পড়ালেখা করিয়েছে। এই সুবাদে বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে ময়নুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর প্রেমে পড়া ছাত্রীদের ময়নুল নিয়ে আসতো হেলালের নওরিন স্টুডিওতে। সেখানে এনে ওই ছাত্রীদের দেখাতো তাদের নগ্ন ছবি। বলা হতো কথা মতো কাজ না করলে ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে এভাবে দেখানোর পর ওই ছাত্রীটি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরে তাদের পর্নো জগতে পা দেয়। আর ওই ছাত্রীর সবচেয়ে বেশি পর্নো ভিডিও করে হেলাল ও ময়নুল। ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে মিলিত হয় ময়নুল। আর হেলাল সেটি রেকর্ড করে রাখে। পরে ওই ফুটেজ দেখিয়ে হেলালও তার সঙ্গে মিলিত হয়। এভাবে অর্ধশতাধিক ভিডিও ফুটেজ তারা ক্যামেরাবন্দি করে রাখে। প্রায় ১৫ দিন আগের ঘটনা। ময়নুলের এক প্রেমিকাকে এভাবে ফাঁদে ফেলে দৈহিক মিলন করে হেলাল। এ নিয়ে হেলাল ও ময়নুলের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। দুজনের বন্ধুত্বের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আর দূরত্ব সৃষ্টি হওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রীদের পর্নো ফুটেজ ছড়িয়ে দেয়া হয় এলাকার যুবকদের মোবাইলে মোবাইলে। দ্রুত এ ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ায় কামালবাজার, নভাগী, রামপুর, কুড়িগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এরকম বেশ কয়েকটি ফুটেজ ও ছবি এ প্রতিবেদকের কাছে এসে পৌঁছেছে। ঘটনার পর গা-ঢাকা দেয় হেলাল ও ময়নুল। এলাকার লোকজন তাকে খুঁজলেও পায়নি। পরে তারা এসে নওরিন ফটোস্টুডিওতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। গত সোমবার থেকে নওরিন ফটো স্টুডিওটি বন্ধ রয়েছে। কামাল বাজারের ভিডিও ব্যবসায়ী আলী হোসেন গতকাল জানিয়েছেন, নওরিন ফটো স্টুডিও থেকে ছাত্রীদের পর্নো ছবি প্রকাশ পাওয়ায় ব্যবসায়ী ও এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে হেলাল ও ময়নুল। তবে, কামালবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জহির আহমদ জানিয়েছেন, এ বিষয়টি নিয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এলাকায় যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সেদিকে পুলিশ নজর দেবে বলে জানান তিনি। আর নওরিন ডিজিটাল ফটোস্টুডিওর মূল মালিক বখাটে হেলালের মামা আশরাফ আলী জানিয়েছেন, এলাকার মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ শোনার পর তিনি দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে হেলালকেও তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান। সূত্র: মানবজমিন নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম/২৪মে, ২০১৪/০৮.২৯/মেহেদী হাসান - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/05/24/metro/133145#sthash.7ZjzBGgc.dpuf

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন