রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪


প্রচ্ছদ মতামত সংবাদ অর্থ পাচার সুইস ব্যাংকে আমাদের যত সম্পদ ফারুক মঈনউদ্দীন | আপডেট: ০০:০৪, জুন ২৯, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ ১ Like ১২ 28-06-14-ILLUS-FARUK-MOINUDDINসম্প্রতি সুইস ব্যাংকে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের যে গোপন অর্থ সঞ্চিত রয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে বোমা ফাটিয়েছে সেটা নিয়ে বহু দেশে তোলপাড় হয়ে গেলেও আমাদের এখানে পত্রপত্রিকায় কিছু বিচ্ছিন্ন লেখা ছাড়া আর তেমন কোনো আলোড়ন দেখা যাচ্ছে না কোনো মহলে। সরকারি মহলের নীরবতা হয়তো কিছুটা অর্থবহ। কারণ, সবার জানা আছে সুইস ব্যাংকে কারা গোপন সঞ্চয় রাখে। সুইস ব্যাংকগুলো যে দেশ-বিদেশের পাচার করা গোপন অর্থের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে, তার ইতিহাস বহু আগের। প্রায় ৩০০ বছর আগে থেকেই সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে গোপন অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা জমা রাখার ব্যবস্থা চালু ছিল। ফ্রান্সের রাজাদের সঞ্চিত অর্থ গোপন রাখার প্রবণতা থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ১৭১৩ সালে জেনেভার সিটি কাউন্সিলে যে আইন করা হয়, তাতে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের হিসাব গোপন রাখার বিধান চালু করা হয়। কেবল গ্রাহক ছাড়া অন্য কারও কাছে অ্যাকাউন্ট–সম্পর্কিত তথ্য জানানো ছিল নিষিদ্ধ। মূলত তখন থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ পাচার করে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে রাখার প্রবণতা শুরু হয়েছিল। আদিতে সুইস ব্যাংকের গোপনীয়তা রক্ষার আইন ফৌজদারি ছিল না বিধায় গোপনীয়তা ভঙ্গের কারণে কোনো ব্যাংক কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়ার সুযোগ ছিল না। ১৯৩৪ সালের নতুন ব্যাংকিং আইন এই গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টিকে ফেডারেল আইনে পরিণত করে আরও কঠোর করে দেওয়া হয়। ১৯২৯ সালের মহামন্দার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং আইনের এই সংশোধন প্রয়োজন ছিল। নতুন আইনে ব্যাংকিং গোপনীয়তার বিষয়টিকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় নিয়ে আসা হয়, ফলে গোপনীয়তা ভঙ্গকারীর শাস্তি ছিল কারাদণ্ড। জার্মানিতে হিটলারের শাসনামলে বিদেশে ধনসম্পদ জমা করার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু করা হলে সুইজারল্যা‌ন্ডে এই ব্যাংকিং গোপনীয়তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপীয় ইহুদিরা তাদের সমুদয় সম্পদ সুইস ব্যাংকে জমা রাখা শুরু করে। যুদ্ধের ডামাডোলে বহু ইহুদি সুইস ব্যাংকের গোপন দলিলপত্র হারিয়ে ফেলে, ফলে যুদ্ধ-পরবর্তীকালে তারা আর তাদের সঞ্চিত অর্থ ফেরত পায়নি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, সুইস ব্যাংকে যে কেবল ইহুদিদের সম্পদ গোপন করে রাখা হতো তা নয়, নাৎ​সি বাহিনী যুদ্ধবন্দী এবং অধিকৃত দেশ থেকে যে সম্পদ লুণ্ঠন করে, সেসবও গচ্ছিত রাখা হয়েছিল সুইস ব্যাংকের গোপনীয়তায়। বিষয়টির মধ্যে কোনো আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। মার্কিন কূটনীতিবিদ স্টুয়ার্ট আইজেনস্ট্যাট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে অর্থনৈতিক অসংগতি এবং ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে তাঁর বিখ্যাত বই ইমপারফেক্ট জাস্টিস: লুটেড অ্যাসেটস, স্লেভস লেবার, অ্যান্ড দ্য আনফিনিশড বিজনেস অব ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু-তে দেখিয়েছেন যে ১৯৩৯ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৪৫-এর জুন পর্যন্ত জার্মানি তখনকার মূল্যে ৪০ কোটি ডলারের স্বর্ণ ন্যাশনাল ব্যাংক অব বার্নে পাচার করেছে। ধারণা করা যায়, যুদ্ধের খরচ চালানোর জন্য নিয়ে যাওয়া এই স্বর্ণের বেশির ভাগই ছিল হতভাগ্য ইহুদিদের কাছ থেকে লুট করা। আইজেনস্ট্যাট লিখেছেন, ‘সুইজারল্যান্ড বা অন্য নিরপেক্ষ দেশগুলো যে ভিকটিমদের স্বর্ণ জেনেশুনে গ্রহণ করেছে তার কোনো প্রমাণ নেই...তবে সুইজারল্যান্ড ও ইতালিতে পাঠানো স্বর্ণের মধ্যে অন্তত একটা ছোট অংশ ছিল, যা অধিকৃত দেশের নাগরিক এবং কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের হতভাগ্য এবং ক্যাম্পে আনার আগেই মেরে ফেলা লোকজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা।’ এসব স্বর্ণালংকার অন্যান্য সোনার সঙ্গে মিশিয়ে গলিয়ে ফেলা হয়। এতে ধারণা করা যায় যে সুইজারল্যান্ড জার্মান আগ্রাসনের ভয় করছিল। যুদ্ধ শেষে ১৯৪৬ সালে সুইস-ওয়াশিংটন চুক্তির অধীনে সুইস সরকার ত্রিপক্ষীয় গোল্ড কমিশনের কাছে প্রায় ছয় কোটি (৫.৮) ডলারের সমপরিমাণ স্বর্ণ হস্তান্তর করতে সম্মত হয়। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফরাসি সরকার জার্মানি থেকে প্রাপ্ত সব স্বর্ণের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড এবং সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সম্পৃক্ততার দাবি ছেড়ে দেয়। এর ফলে ষাটের দশক পর্যন্ত সুইস ফেডারেল আইনের কারণে সেখানকার ব্যাংক, অ্যাটর্নি অফিস, ট্রাস্টিসহ সর্বত্র জার্মান সহিংসতার শিকার এবং উদ্বাস্তুদের সুপ্ত হিসাব খঁুজে বের করার কাজ চলে। এভাবে খঁুজে পাওয়া যায় প্রায় ২৪ লাখ ডলার, (১৯৬২-এর মূল্যমানে) যা যোগ্য উত্তরাধিকারীদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালে একটা ঘটনা সুইস ব্যাংকের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টাকে আরও স্পষ্ট করে দেয়। ইউনিয়ন ব্যাংক অব সুইজারল্যান্ডের (ইউবিএস) এক প্রহরী ধ্বংস করে ফেলার ঠিক আগে ব্যাংকের কিছু পুরোনো লেজার আবিষ্কার করে, যেখানে জার্মানিতে ইহুদি নিধনের সময়কার অ্যাকাউন্টের হিসাব ছিল। বার্লিনসহ বিভিন্ন শহরের ঠিকানাসংবলিত সেই সব হিসাব দেখে ক্রিস্টোফার মেইলি নামের সেই প্রহরী সেসব লেজার তুলে দেন একটা ইহুদি সাহায্য সংস্থার কাছে। বিষয়টি সুইস আইনে অপরাধ হলেও মেইলি এই ঐতিহাসিক দলিল ধ্বংস হতে দিতে চাননি। জার্মানিতে ইহুদি নিধনের সময়কার হিসাবপত্র দেওয়ার জন্য সুইস ব্যাংকগুলো বিভিন্নমুখী চাপের মুখে থাকলেও মেইলির এই বোমা ফাটানো ঘটনা তাদের নতুন চাপের মুখে ফেলে দেয়। শাস্তি এড়ানোর জন্য মেইলি আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। মেইলির এই উদ্‌ঘাটন অবশ্য সুইজারল্যান্ডের মানুষ এবং সংবাদমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়৷ এক পক্ষ মেইলির সাহসী বিবেচনাপ্রসূত পদ‌ক্ষেপের প্রশংসা করে, অন্য পক্ষ তাঁকে দেশপ্রেমরহিত বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করে। প্রতিক্রিয়া যা-ই হোক, পরের বছরই সুইস ব্যাংকের তরফ থেকে ইহুদি সংস্থাগুলোর সঙ্গে ১২৫ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ রফা হয়। ঘটনাটা ইউবিএস কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দেয়, কারণ এটি নতুন সুইস আইনে জার্মানি কর্তৃক ইহুদি নিধনের প্রমাণস্বরূপ যেকোনো আলামত সংরক্ষণ করার যে বিধান রয়েছে তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে বিষয়টা যে এক দুঃখজনক ভুল, সেটা স্বীকার করতেও হয়েছে তাদের। কোনো প্রাচীন দলিল ধ্বংস করার আগে ব্যাংকের নিজস্ব একজন ইতিহাসবিদ সেসব পরীক্ষা করে দেখতেন যে সেগুলোতে ইহুদি নিধন সম্পর্কে কোনো প্রমাণ রয়েছে কি না। মেইলির আবিষ্কারের আগে আরও যেসব দলিল ধ্বংস করা হয়েছে, সেখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলে সেই ইতিহাসবিদ সেসব ধ্বংসের অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে ধ্বংস করা দলিলগুলোর কোনো তালিকা না রাখার কারণে সেই ইতিহাসবিদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। অবশ্য মেইলি একা নন, পরবর্তী সময়ে রুডলফ এলমার নামের একজন সুইস ব্যাংক কর্মকর্তা কর ফাঁকি দেওয়া টাকার হিসাব ফাঁস করে দেওয়ার পর সুইস কর্তৃপক্ষ তার পেছনে লাগে। উইকিলিকসকে দেওয়া তার তথ্যগুলো কর ফাঁকি দেওয়া কালোটাকার অভয়ারণ্য হিসেবে সুইস ব্যাংকের ভূমিকা আর গোপন থাকে না। এরপর ব্র্যাডলি বার্কেনফেল্ড নামের আর একজনের ভূমিকার কারণে ইউবিএস আরও একবার কর ফাঁকিতে সহায়তা করার জন্য ধরা পড়ে। এর জন্য ইউবিএসকে সাত কোটি ৮০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় সাড়ে চার হাজার সন্দেহভাজন মার্কিন করখেলাপি হিসাবধারীর তালিকা সরবরাহ করতে হয়। বলা বাহুল্য, মেইলির মতো এলমার এবং বার্কেনফেল্ডকেও সুইস কর্তৃপক্ষ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল। সুতরাং বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সুইস ব্যাংকে গোপন সঞ্চয় নতুন কোনো ঘটনা নয়। মূল ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন যে আমাদের দেশের কঠোর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের ফাঁক গলে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে (২০১৩ সাল পর্যন্ত মোট জমা তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ) সুইস ব্যাংকে পাড়ি দিতে পারে, তা ভেবে। কেবল সুইস ব্যাংক নয়, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের সঞ্চিত সম্পদ কোন পথে গেল, তার কোনো কার্যকর তদন্ত কখনো করার চেষ্টা কি হয়েছে কখনো? আজ পৃথিবীর প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপে সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গোপনীয়তা রক্ষার অঙ্গীকার থেকে কিছুটা সরে আসতে বাধ্য হয়েছে বোঝা যায়। ৩০০ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে যদি সুইস ব্যাংকগুলো তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে গোপন হিসাবের তালিকা প্রকাশ করতে পারে, তাহলে আমাদের মতো দেশগুলোর সরকার দেশের স্বার্থে পাচারকৃত সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে পারছে না কেন? ফারুক মঈনউদ্দীন: লেখক ও ব্যাংকার৷

সেক্সি রিপোর্টার ও কোস্টারিকা ফুটবল নতুন বার্তা ডেস্ক Sun, 29 Jun, 2014 10:25:34 AM রিও: গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, ইতালি, উরুগুয়ে। কিন্তু ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে যারা গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোর যুদ্ধে পৌঁছেছে, তাদের নাম কোস্টারিকা। যে দলে ব্রায়ান রুইজ, জোয়েল ক্যাম্পবেলের মতো তারকা থাকলেও সাফল্যে পিছনে উঠে আসছে অন্য একটি নাম! ইনি মাঠে নামেন না। পরিচয় সাংবাদিক। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনিজেল বেরাহিমিই নাকি কোস্টারিকার ‘লাকি চার্ম’। একই সঙ্গে সুন্দরী সাংবাদিককে নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে বিশ্বকাপে। বিশ্ব জুড়ে প্রচারমাধ্যমের শিরোনামেও উঠে এসেছেন জেল। তার দেশ এবং তিনি দু’জনেই এখন খবরের শিরোনামে। কী ভাবে উপভোগ করছেন ব্যাপারটা? প্রশ্নে উত্তরে জেলের টুইট : ব্রাজিলে আসা আমার স্বপ্ন ছিল। এখন আমারও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, দেশেরও। ব্রাজিলে প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করছি। আর আমার দেশের কথা শুনতে চান? কোস্টারিকা শেষ ষোলোয় গিয়েছে বলে আমরা সবাই দারুণ খুশি। এখন ফল যা-ই হোক না কেন, আমাদের সেলিব্রেশন চলবেই।” দেশের প্রতিটা ম্যাচেই জাতীয় রংয়ের জার্সিতে মাঠে উপস্থিত থাকছেন বেরাহিমি। রিয়াল মাদ্রিদের অন্ধ ভক্তের ভক্তসংখ্যাও কিন্তু ব্রাজিলে বাড়ছে। বিশেষ করে নিজের অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি টুইটারে পোস্ট করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার দল কি বিশ্বকাপে এই ভাবে সাড়া ফেলে যাবে? প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে কোস্টারিকার প্রতিদ্বন্দ্বী বড় হেভিওয়েট না হলেও পুরো ফুটবলবিশ্ব জুড়ে গ্রিস পরিচিত ‘আন্ডারডগদের রাজা’ হিসাবে। ইউরো ২০০৪ ফাইনালে পর্তুগালকে নিজের ঘরের মাঠে হারিয়েছিল গ্রিস। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে চোট ও কার্ডের সমস্যায় জর্জড়িত গ্রিস। উল্টো দিকে কোস্টারিকানরা মন ভরিয়ে দিয়েছেন তাদের সুন্দর ফুটবলে। আক্রমণে ফুল ফোটাচ্ছেন, ডিফেন্সেও সমান জমাট। এখন পর্যন্ত পেনাল্টিতে ছাড়া গোল খায়নি তারা। গ্রিসের সমস্যা, আইভরি কোস্ট ম্যাচে চোট পেয়েছেন দলের গোলরক্ষক ওরেস্তিস কারনেজিস। যে তালিকায় রয়েছেন পানাজিওটিস কোনেও। পাশাপাশি আবার লাল কার্ড দেখে খেলতে পারবেন না দলের অধিনায়ক কোস্তাস কাতসুরানিস। যার জায়গায় খেলতে পারেন ইউরোজয়ী দলের সদস্য জিওর্জিওস কারাগুনিস। বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি কোস্টারিকা-গ্রিস। এবার দেখার গ্যালারিতে থাকা জেল বেরাহিমির জাদু কোনো কাজ করে কিনা। –ওয়েবসাইট। নতুন বার্তা/এসএফ

শনিবার, ২৮ জুন, ২০১৪


ফেনীতে বউ-শাশুড়িকে ধর্ষণের পর ডাকাতি ফেনী জেলা সংবাদদাতা : বউ-শাশুড়িকে ধর্ষণ শেষে আট ভরি স্বর্ণ, নগদ টাকা, মোবাইলফোনসহ প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সূত্র জানায়, শনিবার রাত ২টার দিকে ১০-১২ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল দৌলতপুর গ্রামের এক ব্যক্তির ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির সদস্যদের হাত-পা বেধে একটি কক্ষে আটকে রেখে বউ-শাশুড়িকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা আলমারি ভেঙে নগদ আট ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/06/22/187513.php#sthash.mG0dJbgk.dpuf

‘অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে আল্লাহ হাফেজের দরকার নেই’ প্রবাস নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম : shahriar-kabir (1) অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর বক্তব্যের শেষে আল্লাহ হাফেজ বলার সমালোচনা করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, এখন বিসমিল্লাহ বলে অনুষ্ঠান শুরুর দরকার নেই। বিসমিল্লাহ শব্দের বিরোধিতা আমি করছি না। উর্দু আর ফারসীর মিশেলে খোদা হাফেজ সংস্করণে আল্লাহ হাফেজ শব্দটা জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ভূত, পাকিস্তানের ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। পাকিস্তানী ধ্যান ধারণা আমাদের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মনোজগতে সাম্প্রদায়িকতা ঢুকে গেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কার্যক্রম শুরুর ৪৬তম দিবসে উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের চেতনা ও আচরণে এখনো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ভর করছে। জামায়াতের লোকেরা আওয়ামী লীগে ঢুকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে এখন অনেক কিছু করতে চাইছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতকে তারা ফুলের মালা দিয়ে দলে ঢুকাচ্ছেন, আর আমাদের জাতীয় বীরদের মুল্যায়ন করছেন না। শর্ষীনার পীরকে স্বাধীনতার পদক দেয়া হয়েছে। আমাদের জাতীয় বীরদের স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু ও তাদের সহযোগিরা যারা সশস্ত্রভাবে সংগ্রাম করেছে, কেন তাদেরকে আমরা জাতীয় বীরের মর্যাদা দিব না? আওয়ামী লীগের অর্জনের কথা কখনো সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি মন্তব্য করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ৬৫ বছরের পুরনো দল আওয়ামী লীগের ইতিহাসে অকথিত অধ্যায় বাংলাদেশের বাজারে আওয়ামী লীগ তাদের দলিয় ইতিহাস এখনো প্রকাশ করেনি। কিন্তু কংগ্রেস ভারতে তাদের রাজনৈতিক ইতিহাস প্রকাশ করেছে বিভিন্ন প্রকাশনায়। আগরতলা মামলা মূল্যায়ন পরিষদের সভাপতি আবু আহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আগরতলা মামলায় ২৬নং অভিযুক্ত ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) এম শওকত আলী এমপি, আগরতলা মামলায় ২৯নং অভিযুক্ত ও জাতীয় বীর ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সহকারী এটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট সাহিদা বেগম, মূল্যায়ন পরিষদের সেক্রেটারি আমজাদ হোসেন প্রমুখ। ( নিউজটি প্রকাশিত হয়েছে - জুন ২০, ২০১৪ তারিখ, আর বাংলাদেশ সময় - ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ মিনিটে ) ( বি: দ্র: প্রবাস নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

চুয়াডাঙ্গায় অপহৃত গৃহবধূ কেরানীগঞ্জে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশ পাড়া থেকে অপহৃত গৃহবধূ পপি খাতুন (২০) কে ৭৩ দিন পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী আসাদুল ইসলাম (২৬)কে আটক করে।পুলিশ জানায়, আজ সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই খলিলুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাড়াবাড়ি থেকে গৃহবধূ পপিকে উদ্ধার করে। এসময় দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে অপহরণকারী আসাদুল ইসলামকে আটক করে।উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল বিকালে শহরের পলাশ-পাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের স্ত্রী পপি খাতুন নিখোঁজ হয়। এরপর ১৭ এপ্রিল পপির বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে জামাতা আমজাদ হোসেন ও ফরহাদসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগ এনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর পুলিশ ফরহাদকে আটক করে।সদর থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান জানান, প্রেম-ঘটিত সম্পর্কের কারণেই আসাদুলের হাত ধরে পপি খাতুন ঘর ছেড়ে অজানার পথে পাড়ি জমায়। তিনি আরও জানান, এ মামলার এজাহার-ভুক্ত আসামি ফরহাদ আজও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/06/23/187731.php#sthash.KNrYB2zO.dpuf

ভারতে প্রতি ২২ মিনিটে ১টি ধর্ষণ May 30, 2014 by নিউজ ইভেন্ট ২৪.কম/পিএম in প্রতিবেশী, ফিচার with 0 Comments rape-india নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম ঢাকা ধর্ষণ বা যৌন নিগ্রহের তালিকায় ভারত উঠে এসেছে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে। কার্যত প্রতি ২২ মিনিটে ভারতের কোথাও না কোথাও একজন সাবালিকা বা নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে। বলা বাহুল্য, এর দায় দেশের পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার। শুক্রবার জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনের এ কথা বলা হয়েছে। ২০১২ সালে দিল্লির একটি বাসে বিবেক মথিত করা গণধর্ষণকাণ্ডে মেডিক্যাল ছাত্রীর মৃত্যুর ত শুকায়নি। অথচ একই রকমভাবে নিত্যদিন ঘটে চলেছে সাবালিকা বা নাবালিকার ওপর ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা, বরংবার। বলতে গেলে প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে আর রাজধানী দিল্লিতে ধর্ষণের হার গড়ে দৈনিক চার থেকে পাঁচটি করে। অধিকাংশ ঘটনা রক্তহীম করা। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিমবঙ্গের কামদুনিতে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা, মধ্যমগ্রামে এক কিশোরীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করার ঘটনার পর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। হালে দমদমের এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়ে সামাজিক লজ্জা আর ঘেন্নায় ট্রেনে গলা দিয়ে জ্বালা জুড়াতে চেয়েছিল। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যায়। ওই বছরেরই জুলাই মাসে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর, তার জিভ কেটে দেয় ওই ধর্ষক যাতে সে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে না পারে। সেই একই মাসে দুই বছরের এক শিশুর ওপর যৌন অত্যাচার করায় শেষ পর্যন্ত শিশুটি মারা যায়। পুলিশের কাছে শিশুর মা-বাবা অভিযোগ জানাতে গেলে বলা হয় যে, রাস্তার কুকুর কামড়ানোতে নাকি সে মারা গেছে। পাঞ্জাবের ১৮ বছরের এক তরুণী তার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করার দাবি জানালে পুলিশ তা করতে অস্বীকার করে। আর তরুণীটি বেছে নেয় আত্মহননের পথ। হালে উত্তর প্রদেশে এক দলিত পরিবারের দুই বোনকে গণধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় নরপশুরা। তাদের অপরাধ, অজগ্রামে বাড়িতে টয়লেট না থাকায় তারা দুই বোন গিয়েছিল কাছের জঙ্গলে। এ সবের জন্য কাকে দায়ী করা উচিত? পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিকৃত মানসিকতা নাকি পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতা নাকি দেশের বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি? ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ প্রথমে চেষ্টা করে অভিযোগ না নিয়ে লোকলজ্জার ভয় দেখিয়ে উভয় পরে মধ্যে টাকা-পয়সা দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে। উত্তর প্রদেশের ওই দুই কিশোরীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে পুলিশ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিতে টালবাহানা করে। পরে জনরোষ ছড়িয়ে পড়লে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আরো আছে, দিল্লির এক নারীকে যে ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কয়েক দিন পর ওই নারী দেখেন যে ওই ধর্ষক দিব্যি পুলিশ অফিসারের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেতে রয়েছে খোশগল্পে। অনেক সময় পুলিশের চাপে ধর্ষককেই বিয়ে করতে বাধ্য হয় ধর্ষিতা। দিল্লির মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার মনে করেন, অনেক ক্ষেত্রে রক্ষকই হয়ে ওঠে ভক্ষক। সাধারণভাবে বলতে গেলে মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার ভাইরাস আছে পুরুষ শাসিত সমাজের অস্থিমজ্জায়। ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলা ঝুলে আছে দেশের বিভিন্ন আদালতে। তার মধ্যে মাত্র ২৬ শতাংশ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এই দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার দরুণ মহিলাদের বারংবার আদালতে হাজিরা দিয়ে ধর্ষণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিররণ দিতে হয় আসামিপক্ষের কৌসুলির জেরায়। তখন অনেক নারী ব্যথা, বেদনা আর হতাশায় আত্মহননকেই মনে করেন শ্রেয়। ১৬ ডিসেম্বর দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের পর বিচারপতি ভার্মা কমিটি আইন সংশোধন করে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টের সুপারিশ করেন। তাতে দিল্লি গণধর্ষণ মামলার চারজন আসামির ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় এখনো তা কার্যকর হয়নি। হবে কিনা তাও অনিশ্চিত। পশ্চিমবঙ্গ নারী কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় প্রথমেই লোকেরা আঙুল তোলে ধর্ষিতা নারীর দিকে। কেন তিনি রাতে বাইরে গিয়েছিলেন? তারা ভুলে যান আজ শিক্ষিত নারীদের বাইরে বের হতে হয় নানা কাজকর্মে। তার জন্য তাকে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হবে? সমাজটা কি একটা জঙ্গল নাকি? সমাজবিজ্ঞানী দেবদাস ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, আইন কঠোর করাটাই যথেষ্ট নয়, দেখতে হবে দ্রুত বিচারে তারা দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে কিনা। দোষী সাব্যস্ত না হলে আইন কঠোর করে লাভ কী? সূত্র : ডয়চে ভেল। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম/৩০মে, ২০১৪/২০.৪০/পিএম আরো খবর: ধর্ষণ নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিকদের যত মন্তব্য স্বামীকে ছাড়াতে এসে পুলিশের হাতে ধর্ষণের শিকার! ভারতে একই পরিবারের দুই শিশুকে ধর্ষণ: যুবক গ্রেফতার ‘ধর্ষণের শিকার নারীরও ফাঁসি হওয়া উচিত’ ধর্ষণ ঠেকাতে বিশেষ জিন্সের প্যান্ট উদ্ভাবন!

Way To Jannah Skip to content প্রথম পাতা মৌলিক বিষয়সমুহ আক্বীদা অনলাইনে কুরআন কুরআন সুন্নাহ শিরক বিদআত অন্যান্য বিষয় ডাউনলোড আমাদের সম্পর্কে আপনার লেখা জমা দিন পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিমদের খ্রিষ্টান বানাচ্ছে খ্রিস্টান মিশনারীরা By WaytoJannah জুন 27, 2014 0 পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা, তাদের প্রভাব এতটাই বেশি যে, অনেক সময় প্রশাসনকেও পাত্তা দিতে চায় না। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক একটি ঘটনা উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ মার্চ ২০১৪ বান্দরবান জেলায়। পার্বত্যনিউজসহ দুই-একটি অনলাইন মিডিয়ায় খবরটি যেভাবে এসেছে তার সারমর্ম হলো- ‘বান্দরবান ফাতিমা রানী চার্চ-এ মহিলা হোস্টেলের মেয়েদেরকে মিশনের ফাদার ও ব্রাদার কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এরা সবাই বান্দরবান ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৫ মার্চ ৭১ জন ছাত্রী নদীতে গোসল করার নামে হোস্টেল থেকে বের হয়ে পালিয়ে গেলে ঘটনাটি জানতে পারে স্থানীয়রা। দুর্গম পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী দরিদ্র পিতা-মাতা বুক ভরা আশা নিয়ে তাদের সন্তানদের জেলা সদরে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করায়। এ সন্তানরা একদিন শিক্ষিত হয়ে মা-বাবা ও সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে। এমন প্রত্যাশায় পাহাড়ের দূরপল্লীর মেয়েরা ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ফাতিমা রানী চার্চ-এর হোস্টেলকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেয়। গত ১৫ মার্চ ৭১ জন ছাত্রী হোস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। হোস্টেল থেকে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রীদের কেউ কেউ আশ্রয় নেয় তাদের নিকট আত্মীয় ও বান্ধবীদের বাড়িতে। কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু ছাত্রীদের হোস্টেলে ফিরিয়ে আনলেও তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ দেয়নি মিডিয়াকর্মী এবং প্রশাসনকে।’ ওপরের ঘটনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা খ্রিস্টান মিশনারিদের অপ্রতিরুদ্ধ প্রভাব সম্পর্কে কোনো আঁচ করতে পারছেন কি? একটু ভেবে দেখুন, এত বড় একটি ঘটনা অথচ বাংলাদেশের মূল ধারার কোনো গণমাধ্যমে তা খবর হয়ে এলো না! কিন্তু আমরা যদি অন্যদিকে তাকাই তা হলে কী দেখতে পাই? এদেশের কোনো মহিলা মাদরাসার হোস্টেল, এতিমখানা কিংবা কোন কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে যদি একই ধরনের অভিযোগে ৫ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটত, তাহলে আমাদের মিডিয়া সে ঘটনাকে কতটা রসিয়ে রসিয়ে ফলাও করে প্রচার করত! অনেকে হয়তো ফলোআপ নিউজ করে করে ওই প্রতিষ্ঠানেরই বারোটা বাজিয়ে দিত। আর এর জন্য তাদের তথ্য প্রমাণেরও খুব একটা প্রয়োজন হতো কি? অথচ কী অদ্ভূত ঘটনা, মিশনারিদের একটি হোস্টেল থেকে ৭১ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার সংবাদও চেপে গেল বাংলাদেশের মিডিয়া! শুধু মিডিয়া নয়, প্রশাসনও চেপে গেছে বিষয়টি। শুনেছি, প্রথম দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা হোস্টেল কর্তৃপক্ষের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেননি। চার্চ কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে কোন সহায়তা করারই প্রয়োজন মনে করেননি। মিডিয়া এবং প্রশাসনকে পাত্তা না দিয়ে এত বড় একটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়াটা কি সহজ কথা? মোটেই না, বরং এটা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের মিডিয়া এবং প্রশাসনকে গুরুত্ব না দিয়েই অনেক কিছু করার মতো প্রভাব শক্তি আছে এই মিশনারিদের। ফাতিমা রানী চার্চের ঘটনাটি তদন্ত হওয়া দরকার ডেইলি মেইলের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়, “মাত্র দুই বছরে শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিভিন্ন চার্চের চারশ’ যাজককে বরখাস্ত করেছিলেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। ২০১১-১২ বছরে এসব যাজকদের বরখাস্ত করা হয় বলে ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেনেভায় জাতিসংঘের শুনানিতে অংশ নিয়ে ভ্যাটিকানের ক্যাথলিক চার্চ এ তথ্য প্রকাশ করে। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের শুনানিতে অংশ নেয়। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, আগের বছরগুলোর তুলনায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে। ২০০৮-০৯ বছরে একই অপরাধে ১৭১ জন যাজককে বরখাস্ত করা হয়েছিল।” এই সংবাদটি থেকে আমরা কী জানতে পারলাম? চার্চের দায়িত্বে থাকা ফাদার কিংবা ব্রাদারগণ কর্তৃক যৌন নির্যাতনে ঘটনা নতুন কিছু নয়। আর এটা অপরাধযোগ্য বিষয়, তাই এর জন্য নির্যাতনকারীদের শাস্তিও ভোগ করতে হয়। শুধু তাই নয়, এর জন্য জাতিসংঘ বা অন্যকোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে চার্চ কৈফিয়ত দিতেও বাধ্য। এটাই যদি বাস্তবতা হয়, তাহলে বান্দরবানের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হলো কেন, এমন প্রশ্ন করা কি অমূলক হবে? যদিও বান্দরবান ফাতিমা রানী চার্চ-এ মহিলা হোস্টেলের মেয়েদেরকে মিশনের ফাদার ও ব্রাদার কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগটি এখনও প্রমাণিত নয়, কিন্তু যেহেতু ৭১ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং এর জন্য ফাদার ও ব্রাদারদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, তাই চার্চের স্বার্থেই এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া আবশ্যক। অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ বান্দরবান জেলার একটি চার্চের অধীনে মহিলা হোস্টেলে মেয়েদের নির্যাতিত হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এ জেলাটি তো খ্রিস্টান অধ্যুষিত না, তাহলে এখানে চার্চ এলো কোথা থেকে? আর ফাদার-ব্রাদারদের দ্বারা মেয়েদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনাই-বা ঘটে কী করে? এটা সত্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে এক সময় কেউ খ্রিস্টান ছিলেন না। বান্দরবানসহ তিন জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসীরা ছিলেন মূলত বৌদ্ধ, হিন্দু এবং প্রকৃতিপূজারি। কিন্তু ব্রিটিশরা উপমহাদেশে আসার সময় তাদের সাথে সাথে খ্রিস্টান মিশনারিরাও এসেছে। মিশনারিরা শুরুতে সমতল-অসমতল সকল অঞ্চলের মানুষের মধ্যেই খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারে উদ্যোগী হন। কিন্তু এক পর্যায়ে তারা বুঝতে পারেন যে, সমতলে বসবাসকারী অপেক্ষাকৃত অগ্রসর জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরিত করার চেয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরিত করাটা অনেক সহজ এবং নিরাপদ। তাই তারা বাংলাদেশের যেখানেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর দেখা পেয়েছে, সেখানেই আস্তানা গেড়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই তারা তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে ধর্মান্তরিত করার টার্গেট করে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও এবং দাতা সংস্থার সহায়তায় তারা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রলুব্ধ করে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করা শুরু করে। মিশনারিদের প্রচেষ্টায় আজকের বাস্তবতা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামের শুধু বান্দরবান নয়, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এমনকি কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বসবাসরত কোনো কোনো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শতভাগ এবং কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর আংশিক জনসংখ্যা ইতোমধ্যে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে। ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় প্রভাব বাড়ছে মিশনারিদেরও। রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়িতেও মিশনারিদের প্রভাব বিদ্যমান তবে বর্তমানে বান্দরবানে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা। মিশনারিদের এই প্রভাবের গভীরতা ঠিক কতটা, তা বোঝা যাবে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক রিপোর্টের সূত্র ধরে ২০১১ সালের ১০ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবে “খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে উপজাতীয়দের” শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৪৫টি উপজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় রয়েছে ১৪টি উপজাতি। এসব উপজাতির ৩০.৫৭ ভাগ চাকমা, ১৬.৬০ ভাগ মারমা, ৭.৩৯ ভাগ ত্রিপুরা, ৬.১৬ ভাগ অন্যান্য উপজাতি। অবশিষ্টরা বাঙালি। পার্বত্যাঞ্চলের প্রধান এ তিনটি উপজাতির মধ্যে প্রথাগতভাবে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে সনাতন বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। গত দুই দশকে এসব জেলায় খ্রিস্টান ধর্মের বিস্তার ঘটেছে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে। গত জুন (২০১১) মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় কোরআন শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, বান্দরবান জেলায় এখন মুসলমান ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬২ জন। খ্রিস্টান ১ লাখ ৩ হাজার ৯৯৭ জন। বৌদ্ধ ৩০ হাজার ৫৪৬ জন। হিন্দু ১০ হাজার ৭৯৬ জন। দু’দশক আগে এ জেলায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যার দিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এখন তারা তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। খ্রিস্টান ধর্মানুসারীদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিতীয়।’ মুসলিমদেরকেও খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে বান্দরবান জেলার পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে, যে অঞ্চলে এক সময় খ্রিস্টান ধর্মানুসারীদের কোনো অস্তিত্বই ছিল না, সেখানে আজ মিশনারিদের তৎপরতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তথা উপজাতীয়দের সর্বাংশে খ্রিস্টানকরণ প্রায় সম্পন্ন। শুধু তাই নয়, অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা অসহায় দরিদ্র মুসলিম পরিবারগুলোকেও খ্রিস্টান বানানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনটিতে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, বান্দরবান রুমা উপজেলার গেলাইঙ্গা, রেমাকৃপাংশা, ফাইন্দু ইউনিয়নে খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও কিছু হিন্দু পরিবার বাস করত। অথচ মারমা ও বোম উপজাতি অধ্যুষিত রুমা উপজেলার এখন ৬০ ভাগ জনসংখ্যাই খ্রিস্টান। অন্যদিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। রুমা বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে আশ্রম পাড়ায় একবার ৪-৫টি ত্রিপুরা পরিবার ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। আর্থিক অনটনে পড়ে তারা মুসলমানদের সাহায্যপ্রার্থী হলে আশানুরূপ সাড়া পায়নি। এ সুযোগে জাইনপাড়াস্থ খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ তাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে। রুমা উপজেলার এসব নওমুসলিমদের অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েই বশে এনেছে, তাদেরকে খ্রিস্টান বানিয়েছে। কারণ, কোনো উপজাতি ইসলামের সাম্য ভাতৃত্বের আদর্শে মুগ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে, এমন খবর যদি মিশনারিরা পায় তাহলে তারা যেন অনেকটা উন্মাদ হয়ে উঠে। ছলে-বলে কিংবা কলে-কৌশলে যেভাবেই হোক তাদেরকে খ্রিস্টান বানাতে সচেষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠন এমনকি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকেও তারা কাজে লাগাতে পিছপা হয় না। ২০১৩ সালের রাঙ্গামাটি জেলার কিছু নওমুসলিমের ক্ষেত্রে এমন ঘটনাই ঘটেছে। ঘটনাটি নিম্নরূপ- ‘গত ২ জানুয়ারি ২০১৩ ঢাকার বাসাবোর একটি মাদরাসায় হানা দিয়ে পুলিশ ৫ জন উপজাতীয় নওমুসলিম অভিভাবক এবং তাদের ১৬ সন্তানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের ইসলাম গ্রহণের এফিডেভিট ও অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র দেখে পুলিশ ১১ শিক্ষার্থী ও তাদের ৫ অভিভাবককে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৫ জন ছাত্র আগে থেকেই মাদরাসায় পড়তো বলে তাদের অভিভাবক সাথে ছিল না। অভিভাবক আসা পর্যন্ত তাদের তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে পুলিশ। পরে অভিভাবকরা তাদের আনতে গেলে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য পরিচয়ে কতিপয় উপজাতীয় লোক তেজগাঁও থানার সীমার সামনে থেকে মাদরাসায় যেতে না দিয়ে তাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। উপজাতীয় এসব লোক অভিভাবক ও তাদের সন্তানদের মাদরাসায় যেতে না দিয়ে খ্রিস্টান ক্যাথলিক চার্চ নিয়ন্ত্রিত একটি এনজিও সংস্থার কাছে দিয়ে দেয়। জানা গেছে, উক্ত ক্যাথলিক চার্চ নিয়ন্ত্রণ করেন রোজালিন ডি কস্তা।’ এছাড়া একই সময়ে গাজীপুরের মিয়াপাড়ায় দারুল হুদা মাদরাসা থেকেও উপজাতীয় নওমুসলিম ছাত্রদের ধরে নিয়ে মিশনারিদের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব উপজাতীয় নওমুসলিম রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার দুমদুমিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা ছিলেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোক। আর এসব উপজাতীয় নওমুসলিম ছাত্রদের মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কর্মরত উপজাতীয় কমান্ডারগণ। বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। সেই দেশে নওমুসলিমদের মাদরাসা থেকে ধরে খ্রিস্টান চার্চের আওতায় নিয়ে যাওয়ার স্পর্ধা এরা পেল কোথায়? তাও আবার রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে? পার্বত্য জনগণের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে তাদের ধর্মান্তরিত করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মিশনারি প্রভাবিত এনজিওগুলো। স্বাস্থ্যসেবা ও মানবসেবার নাম করে এসব এনজিও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সেবার আড়ালে তাদের একটাই লক্ষ্য, অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা। তিন পার্বত্য জেলা তথা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলায় এক সময় বৌদ্ধ, মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বেশি থাকলেও বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যা উপরের পরিসংখ্যান থেকে সহজেই অনুমেয়। এর পেছনে যেসব এনজিও ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ আছে তার মধ্যে রয়েছে- অ্যাডভানটেজ ক্রুশ অব বাংলাদেশ, হিউম্যানিট্রেইন ফাউন্ডেশন, খ্রিস্টান কমিশন ফর ডেভলপমেন্ট বাংলাদেশ (সিসিডিবি), ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান ক্রুশ, ডানিডা, ওয়ার্ল্ড ভিশন, কৈনানিয়া, শান্তিরানী ক্যাথলিক চার্চ, গ্রিন হিল, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা (গ্রাউস), মহামনি শিশু সদন, জাইনপাড়া আশ্রম, তৈদান, আশার আলো, তৈমু প্রভৃতি। এনজিওগুলোর নানা প্রলোভনে পড়ে দলে দলে ধর্মান্তরিত হচ্ছে পাহাড়ি উপজাতীয় জনগোষ্ঠী। ফলে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা আরোও বেশি তৎপর হয়ে উঠছে। এছাড়াও ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন রেজিস্টার্ড ও নন রেজিস্টার্ড এনজিওর মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আড়ালে মূলত খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। একই সাথে এসব এনজিও প্রতিনিয়ত উপজাতীয়দের বাঙালিবিদ্বেষী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। ফলে উপজাতীয়দের মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বোম, মারমা প্রভৃতি উপজাতীয় লোকদের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। মুসলিম এবং রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বৌদ্ধ এবং হিন্দুরা যে হারে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে তা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অথচ বৌদ্ধ ধর্মের ধারক-বাহকরা তাদের ধর্মের ওপর এই হুমকির বিষয়ে একেবারেই উদাসীন অথবা সব কিছু জেনে-শুনেও অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা এবং পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও তাদের ধর্মের ওপর খ্রিস্টান ধর্মের থাবার ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছেন না। বরং তারা মিশনারিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উল্টো মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বেড়াচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে জোর করে মুসলমান বানানো হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এনজিও এবং দাতাসংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক বিদেশি নাগরিককে বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তারপরও এদের দৌরাত্ম্য থামেনি, বরং দিন দিন বাড়ছে। অনেক সময় পর্যটকের ছদ্মবেশেও বিদেশি নাগরিকরা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বাঙালি মুসলমান ও বাংলাদেশ বিদ্বেষী মনোভাব উস্কে দিয়ে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের কাজে নেমে পড়েন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেও পাহাড় থেকে বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃত হতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও তাদের তৎপরতা কমেনি পার্বত্য চট্টগ্রামের খ্রিস্টানাইজেশনের উদ্দেশ্য ইতিহাসের নানা ঘটনার পরিক্রমায় এটা স্পষ্ট যে, ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা এবং এর সংলগ্ন মায়ানমারের কিছু পার্বত্য এলাকা ও ভারতের ‘সেভেন সিস্টার’ খ্যাত রাজ্যগুলোর সমন্বয়ে খ্রিস্টান অধ্যুষিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ছিল। পশ্চিমাদের এই কল্পিত রাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরের তীর থেকে শুরু করে চীনের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ কারণেই এই অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে স্থানীয় সমতলবাসীদের থেকে সুপরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্ন রেখে মিশনারিদের দ্বারা খ্রিস্টান বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বহু আগে থেকেই। ১৯০০ সালে ব্রিটিশরা যে হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন অ্যাক্টের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগণকে স্থানীয় বাঙালি জনগণ থেকে বিচ্ছন্নকরণ করে তার মূলেও ছিল তাদের সেই পরিকল্পিত রাষ্ট্র গঠনের ইচ্ছা। এটা করা হয়েছিল মূলত স্থানীয় বাঙালিদের থেকে পাহাড়িদের বিচ্ছিন্ন রেখে তাদেরকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা সহজ হবে এই আকাক্সক্ষায়। কিন্তু প্রথম দিকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়ায় ছিল ধীর গতি। তাই ব্রিটিশরা তাদের এই কল্পিত রাষ্ট্রের দ্রুত এবং সফল বাস্তবায়নের জন্য ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময়েও এই অঞ্চলটিকে ভারত কিংবা পাকিস্তান কারও অধীনেই না রাখার পক্ষপাতি ছিল। তাদের ধারণা ছিল যে, এই অঞ্চলটি ভারত কিংবা পাকিস্তানের অংশ না হলে এখানকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীগুলোর পক্ষে সফল এবং কার্যকর রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন সম্ভব হবে না। এই সুযোগে ব্রিটিশরাই আবার ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হয়ে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকে তরান্বিত করতে পারবে। যাই হোক, সে সময় তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলেও তারা যে থেমে নেই সেটাই এখন দৃশ্যমান। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা যে তৎপর তা তাদের কর্মকাণ্ড দেখলেই বোঝা যায়। কারণ একদিকে তারা যেমন স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে খ্রিস্টান বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে, তেমনি তারা এসব জনগণকে বাঙালি মুসলমান, বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী বিদ্বেষী করে তুলছে। একই সাথে ‘আদিবাসী’ কনসেপ্ট, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলোকে স্থানীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষার পরিবর্তে মাতৃভাষায় শিক্ষিত করার কনসেপ্ট দিয়ে রাষ্ট্র এবং স্থানীয় জনগণ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন রাখার মিশন বাস্তবায়ন করছে। অন্যদিকে যেসব জনগোষ্ঠীর বর্ণমালা নেই তাদের ভাষাকে রোমান হরফে লেখার প্রচলন করা হচ্ছে, যাতে এসব জনগোষ্ঠীর যোগাযোগটা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র এবং তার জনগণের সাথে না হয়ে পশ্চিমাদের সাথেই ঘনিষ্ঠ হয়, বিশেষ করে যারা রোমান হরফ ব্যবহার করে তাদের সঙ্গে হয়। পশ্চিমাদের আশীর্বাদপুষ্ট মিশনারিদের এই অপতৎপরতা যে শুধু বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় সীমিত তা কিন্তু নয়, একই মিশন নিয়ে তারা কাজ করছে মায়ানমার এবং ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতেও। একই সাথে তারা এসব অঞ্চলের জনগণের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টাও করছে। ভিন্ন দেশের সীমানায় বসবাস করছে একই জনগোষ্ঠীর লোকজনদের ক্ষেত্রে তাদেরকে বিশেষ বিশেষ সংগঠনের আওতায় সংগঠিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসরত চাকমা এবং ত্রিপুরাদেরকে সমন্বিত করে ইতোমধ্যে একাধিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে এসব অঞ্চলে যেসব মিশনারিরা তৎপরতা চালাচ্ছে তারাও দুর্গম ও অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করে তাদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করছে। একবার মায়ানমার থেকে এভাবে কয়েকজন মিশনারি বান্দরবানে প্রবেশের ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় বেশ তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু দুর্গম অঞ্চলের সীমান্ত অরক্ষিত থাকায় সব খবর তো প্রশাসনের পক্ষে রাখাও সম্ভব না, তাই এমন ঘটনা হরহামেশায় ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং তার সংলগ্ন মায়ানমার ও ভারতের রাজ্যগুলোর এ চিত্রকে পূর্বতিমুর এবং দক্ষিণ সুদানের ইতিহাস এবং ঘটনা চিত্রের সাথে মিলিয়ে দেখলে, আশা করি সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে আর কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। খ্রিস্টানাইজেশনের মূল টার্গেট ভারত এবং চীন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা এবং খ্রিস্টানাইজেশন শুধু বাঙালি মুসলমান এবং বাংলাদেশের সমস্যা এটা ভাবলে বোকামি হবে। হ্যাঁ, বাঙালি মুসলমান এবং বাংলাদেশের জন্য এটা একটা বিরাট সমস্যা; তবে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাবে না ভারত, মায়ানমার; এমনকি চীনের জন্যও এটা আতঙ্কজনক একটি বার্তা। ধারণা করা যায়, ভারত শুরুতে এটাকে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা মনে করেছিল। তাই তারা এটাকে আরও উস্কে দেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রপন্থী সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে আশ্রয়, অস্ত্র, ট্রেনিং দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। কিন্তু এতে তাদের হিতে বিপরীত হয়েছে। বাংলাদেশের চাকমা প্রাধান্য বিশিষ্ট সশস্ত্র সংগঠন শান্তিবাহিনীকে তাদের দেশের আশ্রয় দেয়ার ফলে সেদেশের চাকমাদের সাথে এদের যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গড়ে উঠেছে যৌথ সংগঠন, যাদের দৃশ্যমান লক্ষ্য আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়ানো হলেও, তাদের ভবিষ্যৎ এবং মূল লক্ষ্য হলো একটি বৃহত্তর স্বাধীন চাকমা ল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা। ভারত সরকার বিষয়টি বুঝতে পেরেই ১৯৯৭ সালে তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি অসমচুক্তি করিয়ে দিয়ে এই চাকমাদের ভারত থেকে তাড়িয়েছে। কিন্তু একবার যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা চাইলেই নিঃশেষ করে দেয়া যায় না। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। দুই দেশের চাকমাদের মধ্যে বিভিন্ন উপলক্ষে যোগাযোগ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দুই দেশের সরকারেরই জানা আছে। অন্যদিকে এমএন লারমা চীন সফর করে এসে শান্তবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে চীন এদের প্রশ্রয় দিয়েছে অথবা এদের অপকীর্তির ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু বর্তমানে যে হারে এই অঞ্চলের উপজাতীয় জনগণ খ্রিস্টান হচ্ছে তা থামানো না গেলে ভারত কিংবা চীনের জন্যও তা মাথাব্যথার কারণ হতে বাধ্য। কারণ এই অঞ্চল খ্রিস্টান প্রধান অঞ্চলে পরিণত হলে এদের যোগাযোগ ভারত কিংবা চীনের পরিবর্তে পশ্চিমাদের সাথেই বেশি ঘনিষ্ঠ হবে। আর সেটা হলে বর্তমান বিশ্বের উদীয়মান সুপার পাওয়ার চীন এবং ভারতের জন্য তা অস্বস্তির কারণ হতে বাধ্য। আর বর্তমানে মায়ানমারের যেসব বৌদ্ধরা মুসলিমদের হত্যা করে উল্লাস করছে তাদের জন্য অশনি সঙ্কেত হয়ে আসবে এই খ্রিস্টানরাই। একই সাথে বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে যেসব বৌদ্ধ পণ্ডিতরা বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় কিংয়া বানিয়ে জায়গা দখলে ব্যস্ত আছেন, আর কয়েক দশক পরে তারা তাদের এসব মন্দিরের সেবা করার জন্য কোনো পূজারি পাবেন কিনা তাতেই সন্দেহ আছে। অতএব, পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা এবং খ্রিস্টানাইজেশন সমস্যা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটা মায়ানমার, ভারত এবং চীনের অখ-তা ও নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। সর্বোপরি এখানে বৌদ্ধ ধর্মের অস্তিত্ব বিলুপ্তির কারণও হতে পারে এটা। তাই পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে এই সমস্যাকে যৌথভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকেই বুঝতে হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাঙালিমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ার প্রেসক্রিপশনের অন্তর্নিহিত অর্থ কী। কেনই বা তারা বাঙালিদের জন্য সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দেয়? কেনই বা তারা ‘আদিবাসী’ কনসেপ্ট নিয়ে এত মাতামাতি করে, রাষ্ট্রকে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে তা বাস্তবায়ন করতে চায়? সৈয়দ ইবনে রহমত লেখক : সাংবাদিক ও গবেষক সূত্র ( লেখাটি ঈষত পরিবর্তিত )

ঢাকার বাইরে মামী ভাগ্নের পরকীয়ার শালিস: গ্রাম প্রধানকে পিটিয়ে হত্যা June 28, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in ঢাকার বাইরে with 0 Comments Nator_District_Map_Bangladesh নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম নাটোর নাটোরে মামী ভাগ্নের পরকীয়া প্রেমের শালিসের মধ্যে গ্রাম প্রধান ইয়াছিন আলীকে ( ৫৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কৈচরপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/ ২৮ জুন ২০১৪/১০.৩৩/মেহেদী হাসান আরো খবর: নাটোরে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা যশোরে মিল শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা রাঙ্গামাটিতে গ্রামপ্রধানসহ দুই জনকে অপহরণ কুষ্টিয়ায় কৃষককে গলা কেটে হত্যা

ঢাকার বাইরে মামী ভাগ্নের পরকীয়ার শালিস: গ্রাম প্রধানকে পিটিয়ে হত্যা June 28, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in ঢাকার বাইরে with 0 Comments Nator_District_Map_Bangladesh নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম নাটোর নাটোরে মামী ভাগ্নের পরকীয়া প্রেমের শালিসের মধ্যে গ্রাম প্রধান ইয়াছিন আলীকে ( ৫৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কৈচরপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/ ২৮ জুন ২০১৪/১০.৩৩/মেহেদী হাসান আরো খবর: নাটোরে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা যশোরে মিল শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা রাঙ্গামাটিতে গ্রামপ্রধানসহ দুই জনকে অপহরণ কুষ্টিয়ায় কৃষককে গলা কেটে হত্যা

লাকি মাকসুদার রাতগুলো ভোর হয় না… মুনিফ আম্মার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকম শনিবার, ২৮ জুন ২০১৪ ১০:৪৯ Lacky & Maksudaঢাকা: আঁধার কেটে যাচ্ছে ক্রমশ। একটু একটু করে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে মাত্র। রাস্তায় বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। রাতভর জেগে থাকা কুকুরগুলোও অলস হাই তুলছে। হেডলাইট নিভিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে গাবতলীর লোকাল বাস। ঠিক তখনই গলির ভেতর থেকে মুখ গুঁজে বেরিয়েছেন কয়েকজন। কেউ যুবতী, কেউ মাঝবয়েসী। তবে গার্মেন্টসকর্মী নয় কেউই। কাজের সন্ধানেও বেরুয়নি তারা। রাতভর নিজেকে বিক্রি করে এখন ঘরে ফেরার পালা। রাজধানীর পুরানা পল্টনের পানির ট্যাংকি গলির মুখে দেখা ওদের সঙ্গে। ভোরের মানুষ দেখে খানিকটা ইতস্তত। ভালো মতো মুখ ঢাকতেও ভোলেনি দু’একজন। কাছে যেতেই গলার আওয়াজ নামিয়ে এনেছে একদম নীচে। যেন নিজেদের কোনো কিছুই প্রকাশ করতে আগ্রহী নয় আর। পিছু নিতেই জোরসে ধমকে উঠলো একজন, ‘ওই কী চাস? এহন আর না। দূরে যা।’ ধমক মনে হলেও এরমধ্যে ছিলো একরাশ ক্ষোভ। নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারার তীব্র প্রতিবাদও ছিল এটি। খানিকটা পথ হেঁটেই উল্টো দৌড় দিলো সবাই। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল পুলিশের টহল গাড়ি। পুলিশকে যেন যমের মতো ভয় পায় ওরা সবাই। প্রায় ১০ মিনিট পরে গলি ছেড়ে আবার বেরুলো সবাই। পুলিশকে না দেখে রাস্তার একপাশেই বসলো দুইজন। খানিকটা ক্লান্ত। একটু যেন গা এলিয়ে দিতে পারলেই শান্তি। পাশে গিয়ে বসতেই প্রশ্ন ছুঁড়লো, ‘পুলিশডি কোনদিগে গেল?’ চলে গেছে জেনে এবার যেনো নিশ্চিন্ত হলো। ক্যান, পুলিশে কী সমস্যা? পাল্টা প্রশ্ন করতেই সব ঝাড়লো একসঙ্গে। একজন বলে উঠলো, ‘আরে জানেন না। মাইরা কিচ্ছু রাখে না। লাঠি দিয়া পিডাইয়া সব ফাডাইয়া দেয়।’ বলেই পায়ের কাপড় সরিয়ে দেখালো অন্যজন। আঁতকে ওঠার মতো দৃশ্য। বাম পায়ের হাঁটুর নীচে লাল হয়ে ফুলে গেছে একটি অংশ। মোটা হয়ে বসে গেছে লাঠির আঘাত। তারপর এক এক করে ঝাড়তে লাগলো রাতভর জমে থাকা ক্ষোভগুলো। ‘পুলিশের লাইগা কিচ্ছু করন যায় না। এমনিতেই বৃষ্টি। তারপরেও পুলিশ আইয়া শান্তি দেয় না। খালি ট্যাকা দিলেই সব ঠিক।’ এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বললেন। নাম জানতে চাইলে এবার আর কোনো আড়ষ্টতা নয়। ঝটপট বললেন, ‘লাকি’। বাড়ি কই, প্রশ্ন করতেই সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘নরসিংদীর ঘোড়াশালে’। তারপর নিজ থেকেই বললেন লাকি, ‘পেটের দায়ে ইজ্জত বেচি। রাস্তায় নামছি। শখে না। কোন কিছুর বাছ বিছার করি না। মানুষ খারাপ কয়। শরম লাগে। তবুও এইসব করি। খালি কয়ডা খাওনের লাইগা, পোলাপাইনডিরে মানুষ করনের লাইগা। তারপরেও এতো কষ্ট আর সহ্য হয় না।’ সঙ্গে থাকা মাকসুদা তখনই কথা বলে উঠলেন, ‘আল্লাহ হেগো বিচার করবো। আমরা তো কারও ক্ষতি করি না। ক্ষতি যা, তা তো নিজেরই করছি। নিজেরে শেষ কইরা দিছি। আর কিচ্ছু বাকি রাখি নাই। তবুও আমাগোরো শান্তি দেয় না।’ লাকী আর মাকসুদার জীবনগল্প মোটেও সুখকর নয়। নামে লাকি হলেও জীবনগড়া তার দুঃখ দিয়েই। নরসিংদীর এ মেয়ে বড় হয়েছেন ভুলতা গাউছিয়ায়। আর্থিক টানাপোড়েনের সংসারে পড়াশোনার ঝাপি খুব একটা খুলতে পারেননি। বইখাতা গুটিয়ে ফেলতে হয়েছে ক্লাস ফাইভে ওঠার আগেই। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে বয়স হওয়ার আগে। বাবার অভাবী সংসারে নিয়ম মতো খাবার না জুটলেও ভেবেছিলেন স্বামীর সংসারে হয়তো সেটা আর থাকবে না। কিন্তু কষ্ট পিছু ছাড়েনি। মাত্র আটমাস টিকেছে সে সংসার। তারপর রিকশাচালক স্বামী আরও একজন বউ তুলে এনেছেন ঘরে। ততোদিনে লাকির পেটে নতুন মুখের কোলাহল। শুরু হলো নতুন যন্ত্রণা। নিত্য মারধর, গালাগাল। সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন লাকি। প্রতিবাদে নেমে এসেছেন রাস্তায়, বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। গত সাতবছর ধরে এভাবেই চালাচ্ছেন নিজেকে। তার সন্তান লিমনের বয়সও এখন সাত বছর। মাকসুদার গল্পেও ভিন্নতা নেই খুব একটা। বয়সে লাকির চেয়ে চার পাঁচ বছরের বড়। তার সন্তান দুজন। বড় মেয়ের ক্লাস ফোরে পড়ে আর ছোট ছেলে এখন স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। স্বামীর খবর জানতে চাইলে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে মাকসুদা। তারপর গড়গড় করে বলেন, ‘পৃথিবীতে আমার দুই সন্তান ছাড়া আর কেউ নাই। স্বামী আছে তার অন্য সংসার লইয়া। আমার লগে গত ১০ বছর ধইরা কোন যোগাযোগ নাই।’ এমন গল্প শুনে প্রশ্ন করতে মুখ কাঁপে। তবুও জানতে ইচ্ছে করে অনেক কিছু। হয়তো বুঝতে পেরে নিজ থেকেই মাকসুদা বললেন, ‘আমাগোরে মানুষ খারাপ কয়। আমরা খারাপ কাম করি। কিন্তু কেউ তো ভালো করবো কইয়া একটা কাম দেয় না। উল্টা পারে না ঝাঁটা দিয়া পিটাইয়া বিদায় করে। হেইল্লাইগা আমরা এহানে আইয়া এইসব করি। বাড়িতে যাওনের আগে বোরখা পইরা একদম ঠিকঠাক হইয়া যাই। কেউ কোনদিন টেরও পায় না আমরা কী করি। সবাই জানে হসপিটালে আয়ার কাম করি।’ কথার ফাঁকে আলো ফুটে উঠেছে পুরোপুরি। ফেরার তাগাদা অনুভব করেছে লাকিরা। উঠে দাঁড়ালেন দুজনেই। আবার ভালো করে মুখ ঢেকে নিলেন দুজনেই। তাদের সঙ্গে তখন রাতভর আয় করা কয়েকশ টাকা আর নিজেকে বিকিয়ে দেয়ার রাশি রাশি কষ্ট। ‘ভাই গেলাম। রাইতে আইসেন, সব কমু। অহন যাই, বাচ্চার ঘুম ভাইঙ্গা না পাইলে কাইন্দা দিবো। আমগোরে রাইতেই পাইবেন, দিনে না…।’ লাকি আর মাকসুদা দ্রুত পা চালালেন। যাওয়ার আগে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, আঁধারেই তাদের জীবন, তাদের রাত কখনোই ভোর হয় না। বাংলামেইল২৪ডটকম/ এমএ/ এনএফ স

ধামরাইয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ ধামরাই (ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা জেলার ধামরাই পৌরসভার তালতলা এলাকায় তিনজন বখাটের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- পৌরসভার ছয়বাড়িয়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিক হোসেন ও নুরু মিয়ার ছেলে সুজনসহ অজ্ঞাত পরিচয় একজন।ধর্ষিতা পৌরসভার তালতলা মহল্লার লালমিয়ার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে স্বামীকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। ধর্ষিতা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। এঘটনা কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতা।আজ শনিবার সকালে ওই গৃহবধূ পৌর যুবলীগের সভাপতি ছয়বাড়িয়া গ্রামের আমিনুর রহমান ও স্থানীয় কাউন্সিলর আবু সাইদের কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন এবং বিচার দাবি করেন। এ ঘটনায় আমিনুর রহমান ওই তিন ধর্ষণকারীকে ডেকে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাদের আটক করে থানার ডিউটি অফিসার এস আই আবু তাহেরকে ফোন করে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন।ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার বলেন, “আমি এই মাত্র ঘটনাস্থলে থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই হাফিজুর রহমান ও এস আই আবুল বাসারকে পাঠিয়েছি।” বিষয়টি সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। « পূর্ববর্তী সংবাদ পর - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/06/28/188839.php#sthash.coTenLpR.ljUhN5js.dpuf

প্রিন্স মুসার অজানা অধ্যায় রাইজিংবিডি.কম শাহ মতিন টিপু ঢাকা, ১০ আগস্ট: ১৯৯৮ সালে বিশ্বখ্যাত লন্ডনের সানডে টেলিগ্রাফের ১৭ মে সংখ্যায় ‘ম্যান উইথ দি গোল্ডেন গানস’ শিরোনামে হাইলাইটস হয়েছিলেন বাংলাদেশের একজন ধনকুবের। টেলিগ্রাফের ঐ সংখ্যাটিতে বাংলাদেশী ধনকুবেরকে নিয়ে লেখা হয়েছিল ব্যতিক্রমী প্রচ্ছদ কাহিনী। এর ফলে বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে পশ্চিমা জগতে দারুণ আলোড়ন তোলে এই ধনকুবের কাহন। প্রচ্ছদ কাহিনীতে টেলিগ্রাফের বিশেষ প্রতিনিধি মি. নাইজেল ফার্নডেল লিখেন, বিশ্বের প্রথম সারির এই অস্ত্র ব্যবসায়ী পৃথিবীর সর্বত্র বিশেষ করে পাশ্চাত্য সমাজে ‘প্রিন্স অব বাংলাদেশ’ বলে খ্যাত। বিশ্ব এই ধনকুবের আর কেউ নন, তিনি ড. মুসা বিন শমসের। যাকে বিশ্বের সর্বোচ্চ মহল ও দরবারে সম্মানিত ‘প্রিন্স মুসা’ বলেই সম্বোধন করা হয়। ২০১০ সালে তিনি আবার তোলপাড় তুলেন পশ্চিমা জগতে। এ তোলপাড় তার সাত বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে আটকে যাওয়ার কারণে। এ একাউন্ট জব্দ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষই। বলা হয়েছে, মুসা বিন শমসেরের ‘লেনদেন অনিয়মিত’। টাকা তুলতে না পারার কারণ ১ কোটি ডলার দামের একটি মন্ট বাঙ্ক কলম। ফ্রান্সে তৈরী ওই কলম মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা কোম্পানি। ২৪ ক্যারেট স¡র্ণে তৈরী এ কলমটিতে রয়েছে ৭৫০০টি হীরকখ-। এক কোটি ডলারের বেশি লেনদেনের কোন ব্যবসায়িক চুক্তিতে মুসা বিন শমসের সাক্ষাতকার করেন ওই কলম দিয়েই। মুসা বিন শমসের বিশ্বাস করেন, এ কলম দিয়ে যে ব্যবসায় স্বাক্ষর করবেন তা সফল হবেই। সারা বছরই কড়া প্রহরায় এ কলমটি রক্ষিত থাকে সুইস ব্যাঙ্কের ভল্টে। প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় ওই কলম নিয়ে যাওয়া হয় নির্দ্দিষ্ট স্থানে। আবার সেভাবে ফেরত নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই কলমটি তুলতেই বাধা দিয়েছে তাকে। আর এ কারণে টাকাও তুলতে পারেননি তিনি। কলম তুলতে যাওয়ার পরই তিনি জানতে পারেন সুইস ব্যাংেক গচ্ছিত তার সকল সম্পদই জব্দ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর আইরিশ ডেইলি মিরর এবং ১৪ নভেম্বর বৃটেনের দ্য উইকলি নিউজ এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে জানায় ব্রিটেনের ক্যাম্পেইন মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ওই খবরে মুসা বিন শমসেরের বিচিত্র বিলাসবহুল বর্ণাঢ্য জীবনের বৃত্তান্ত-বিবরণও দেয়া হয়। তিনি যে রোলেক্স ঘড়িটি ব্যবহার করেন তার দাম ৫০ লাখ ডলার। ওই বিশেষ ঘড়ি মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা কোম্পানি। তার ইউনিক মন্ট ব্রাঙ্ক কলমের দাম ১০ লাখ ডলার। বেশভূষা অঙ্গসজ্জায় তিনি ব্যবহার করেন ১৬ ক্যারেটের একটি রুবি। যার দাম ১০ লাখ ডলার। আরও একটি চুনি পরেন ৫০ হাজার ডলার দামের। এছাড়া পরেন ৫০ হাজার ডলার দামের একটি হীরা ও এক লাখ ডলার দামের একটি পালা (এমেরাল্ড)। প্রতিদিন তিনি গোসল করেন গোলাপ পানিতে। নিত্য দিনের চলাফেরায় অথবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে তিনি ৭০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের গহনা-অলঙ্কার পড়েন। একবার ড. মুসা ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম তার বন্ধু ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতা (পরে প্রধানমন্ত্রী) টনিব্লেয়ারের নির্বাচনী ফান্ডে ৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বদরবারে আলোচনায় উঠে আসেন। একজন বিদেশী নাগরিক হওয়ায় টনি ব্লেয়ার অবশ্য সে অনুদান গ্রহণ করেননি। এরপরেও নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে এ ব্যবসায়ী মাঝে মধ্যেই বিশ্ব মিডিয়ার আলোচনা বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন। লোক মুখে আছে তার বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক চমকপ্রদ কাহিনী। ১৯৯৭ সালে ড. মুসা বিন শমসের তার ইউরোপিয়ান সদর দপ্তর হিসেবে একবার আয়ারল্যান্ডের কালকিনি দুর্গ কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হননি। প্রিন্স মুসার বিশ্বখ্যাতি অমিত সম্পদশালী এক ধনকুবের হিসেবে। তবে কেউ জানে না কত তার ধনসম্পদ। হয়তো নিজেও তিনি জানেন না। মনে করা হয়, তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ধনীদের অন্যতম একজন । তার জীবন যাপনের কথা ও কাহিনী দেশে ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে আছে কিংবদন্তির মতো। লোকের মুখে-মুখেও আছে তার বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক চমকপ্রদ চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিবরণ। বৃটেনের দ্য উইকলি নিউজ ‘গোল্ডফিঙ্গারস্! ম্যান উইথ দ্য মিডাস টাচ ওন্ট জাস্ট রাইট অফ ফ্রোজেন এসেটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে লিখেছে, ড. মুসা বিন শমসের বিপুল ধনসম্পদের অধিকারী হয়েছেন আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, তেল বাণিজ্য ও কেনাবেচার দালালির মাধ্যমে। ড্যাটকো নামে রয়েছে তার জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আইরিশ ডেইলি মিরর ‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন পেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছয়জন দুর্ধর্ষ দেহরক্ষী ছাড়া তিনি কোথাও যান না, চলাফেরা করেন না। ২৭ শে মে, ২০১২ ডেটলাইনে অনলাইনে প্রাপ্ত এক পরিসংখ্যানে লেখা হয়েছে, মুসা বিন শমসেরের অর্থের পরিমান ১.৫ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। একবার মুসা বিন শমসেরের ব্যাংক এ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মুসা বিন শমসেরের ব্যাংক এ্যাকউন্টের তথ্য চেয়ে সকল তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শুধু এ ব্যবসায়ী নয়, এর সঙ্গে জড়িত স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসেবেরও তথ্য ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগে জানানোর জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। অর্থ পাচার সন্দেহে এ নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগের যুগ্মপরিচালক একেএম এহসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তখন জানা গিয়েছিল, মুসা বিন শমসের ব্যাংক হিসেবে খোলার সময় গ্রাহক পরিচিতি (কেওয়াইসি) সম্পূর্ণভাবে প্রদান করেননি। ফলে কেওয়াইসি`র দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দেশ থেকে অর্থ পাচার করা হতে পারে মনে করা হয়। অর্থ পাচারের সন্দেহেই শমসের ও তার সঙ্গে জড়িত সকলের ব্যাংক হিসেব লেনদেনের তথ্য চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রিন্স মুসা বিন শমসের পিতার নাম শমসের আলী মোল্লা, জেলা, ফরিদপুর। বর্তমান ব্যবসায়িক ঠিকানা, বাড়ি নম্বর-৫৭, রোড নম্বর-১, ব্লক-১, বনানী, ঢাকা-১২১৩। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি অর্থণীতির ম্যাগাজিনে বলা হয়, ৭০ দশকের মাঝামাঝিতে বহির্বিশ্ব প্রাচ্যের এক স্বল্প বয়সী যুবকের ধুমকেতুসম বাণিজ্যিক উত্থান লক্ষ্য করে বিস্ময়ে হতবাক হয়েছিল। সৌদি আরব এবং কাতারে প্রবাসী এই খ্যাতিমান বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীর উত্থান সত্যিই উল্কার মত ঝলকে উঠেছিল। আরব্য রজনীর গল্প-কাহিনীসম তাঁর বিস্ময়কর জীবন-কথা নিয়ে রচিত উপাখ্যান ৮০ দশকের বিশ্ব-গণমাধ্যমে বারংবার শিরোনাম হয়। পশ্চিমা বিশ্বে দারুণভাবে সাড়া জাগানো বাংলাদেশী এই খ্যাতিমান অস্ত্র-ব্যবসায়ী যেন রূপকথার রাজপুত্রের মর্যাদাই লাভ করে দেশ মাতৃকার ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল করে তোলেন। অত্যাশ্চার্য্য ও কীর্তিমান এই ভাগ্যবান পুরুষই ডঃ মুসা বিন শমসের। জানা যায়, তিনি বাংলাদেশের শিক্ষিত ও পেশাদার নর-নারীদের জন্য ইটালীতে কাজের সুযোগ করে দেন। বাংলাদেশের ডিপ্লোমা নার্সিং কাউন্সিলের সনদ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁরই সৌজন্যে দেশের নার্সদের ইতালী ছাড়াও অন্যসব ইউরোপীয় দেশে কর্ম-সংস্থানের পথ সুগম হয়েছে। বাংলাদেশী জনশক্তির জন্য ইউরোপীয় স্বর্ণ-দ্বার ডঃ মুসার আপ্রান প্রচেষ্টায় আজ উন্মোচিত। এ কথা স্বীকার্য যে, ড. মুসা একজন রহস্যময় ব্যক্তি। তার অনেক কিছুই আমাদের অজানা। কেউ কেউ মনে করেন, প্রকৃত মূল্যায়নের অভাবে তিনি এখনও স্বদেশে এক বিরাট রহস্য। প্রিন্স মুসার প্রাসাদ : রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকার সুরম্য প্রাসাদে মুসার বসবাস। প্রাসাদের সাজসজ্জাও চোখধাধানো। লিভিংরুমসহ প্রাসাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছাদ অবধি শোভা পাচ্ছে বড় বড় দ্যুতিময় অসংখ্য ঝালর। ঘরগুলোর মেঝে মহামূল্যবান ঝকমকে কার্পেটে মোড়া। লিভিংরুমের আকর্ষন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে সুপরিসর ডাইনিংস্পেস। সব মিলিয়ে প্রাসাদটি পরিণত হয়েছে স্বপ্নপুরীতে। ফাইভ স্টার ফ্যামিলি : মুসার পরিবারকে বলা হয় দেশের একমাত্র ফাইভ স্টার ফ্যামিলি। কারণ, তাঁর বাসার স্টাইল-আয়োজন কর্মকান্ড সবকিছুই ফাইভ স্টার মানের। প্রিন্স মুসা তিনটি বুদ্ধিদীপ্ত ও মেধাবী সন্তানের গর্বিত পিতা। ওরা হলেন জাহারা বিনতে মুসা ন্যান্সী, হাজ্জাজ বিন মুসা ববি ও আজ্জাত বিন মুসা জুবি। এদের প্রত্যেকেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ন্যান্সী বিয়ে করেছেন শেখ ফজলে ফাহিমকে। অক্সফোর্ড স্কলার ববি বিয়ে করেছেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমামকে। আর জুবি বিয়ে করেছেন সুমী নাসরিনকে। হাজ্জাজ বিন মুসা ববি সম্পর্কে একটি কথা না বললেই নয় যে, এই তরুন বয়সেই অভূতপূর্ব সাফল্য তার ঝুড়িতে। তিনি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি ও পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত আছেন। প্রিন্স মুসার ব্যবহৃত জিনিসপত্র : জানা যায়, হীরকখচিত যে জুতো পরেন তার প্রতি জোড়ার মূল্য লক্ষ্য ডলার। তাঁর সংগ্রহে এমনি রতœখচিত হাজারো জুতো রয়েছে। তাঁর পরনের কয়েকটি স্যুট স্বর্ণসুতাখচিত। ভারতীয় দৈনিক দি হিন্দুতে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে লিখেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশিদা ভাগৎ। তিনি নিত্য গোসল করেন নির্জলা গোলাপ জলে। যার পোশাক, পছন্দ-অপছন্দ বৃটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্যার এন্থনি ইডেনের মত। ঊনবিংশ শতাব্দির সেরা ফ্যাশনরাজ বিউব্রামেল এর সাথেই তাঁর কেবল তুলনা চলে। ফিলিপাইনের ফাষ্ট লেডি ইমেল দ্য মারকোসের ওয়্যারড্রব ভরে থাকত ১০০ জোড়া সৌখিন জুতো। মুসা বিন শমসেরের বিলাসিতা তার চেয়েও বিস্ময়কর। তাঁর সংগ্রহে অসংখ্য মূল্যবান স্যুট রয়েছে; তাঁকে কখনো এক স্যুট পরিহিত অবস্থায় দু`বার দেখা যায় না। এমনি মূল্যবান প্রতিটি স্যুটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার পাউন্ড। যা শুধু তাঁর জন্য তৈরী করা হয়েছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজাইনার বলে খ্যাত প্রিওনী বেলভেস্ট এবং ইটালীর আবলা এবং ফ্যান্সিসকো স্মলটো ও খ্রিস্টিয়ান ডিয়রের বিশেষ ব্রান্ডের অতি মূল্যবান পোশাক-আশাক দিয়েই তাঁর সারি সারি ওয়্যারড্রব ভর্তি। তাঁর হাতের সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ির ডায়াল এবং ব্রেসলেট হচ্ছে হীরক খচিত। যার মূল্য অর্ধ মিলিয়ন ডলার এবং তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ির বেল্ট, কাফলিঙ্ক-এর সেটের মূল্য ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কেবল তাঁর জন্যে প্রস্তুতকৃত এই মূল্যবান ঘড়িটি তৈরী করা হয়েছিল ২৭ মাসেরও বেশী সময় ধরে। বিশ্ব বিখ্যাত রোলেক্স কোম্পানী এই অত্যাশ্চার্য্য ঘড়িটির প্রস্তুতকারক। রাইজিংবিডি / শামটি / কেএস

সোমবার, ২৩ জুন, ২০১৪


বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম *ভয়াবহ জলাবদ্ধতা *জিম্মি ৫০ লাখ মানুষ *বাজেটে বরাদ্দ নেই প্রকাশ : ২৩ জুন, ২০১৪ ০০:০০:০০আপডেট : ২৩ জুন, ২০১৪ ০৩:৩৮:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলছে না চট্টগ্রাম নগরবাসীর। হালকা বৃষ্টিতেও থৈ থৈ হয়ে যায় বন্দরনগরী। বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় নগরী। প্রাকৃতিকভাবে মৌসুমি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি ওঠে নগরের নিম্নাঞ্চলে। সৃষ্ট সংকটের কাছে অসহায় নগরের ৫০ লাখ মানুষ। জলাবদ্ধতার এ অভিশাপের জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ণ, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন না হওয়া, সঠিক পরিকল্পনার অভাবসহ বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না নগরবাসী। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম মনে করেন, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ২৯৭ কোটি টাকার একটি খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত একটি নতুন খাল খনন করা হবে। জানা যায়, প্রাকৃতিকভাবে মৌসুমি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি ওঠে নগরের নিম্নাঞ্চলে। অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ ও নানা প্রকারের বর্জ্যরে অব্যবস্থাপনায় সৃষ্ট সংকটের কাছে চরমভাবে অসহায় নগরের ৫০ লাখ মানুষ। ফলে প্রতি বছরই জলাবদ্ধতার মতো চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়। সরেজমিন দেখা যায়, গত তিন দিনের টানা বর্ষণে নগরীর অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে নগরবাসীর নাগরিক জীবন অনেকটাই পানিবন্দী। ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল। চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও অফিসগামীরা। জলাবদ্ধতার কাছে অসহায় আÍসমর্পণ করতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। পানি ঢুকেছে সরকারি বেসরকারি অফিসে। কোমর পানি উঠেছে বাসা-বাড়িতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢোকায় বন্ধ রয়েছে ক্রয় বিক্রয়। বন্ধ রয়েছে সড়কে যান চলাচল। যাত্রীদের চলাচলের এখন ভরসা ভ্যান কিংবা প্যাডেল রিকশা। ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে নগরীর আগ্রাবাদ, ছোটপুল, বড়পুল, সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, পাহাড়তলি, সরাইপাড়া, সাগরিকা, কাঁচারাস্তার মাথা, পতেঙ্গার নিম্নাঞ্চল, বহদ্দারহাট, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, নাসিরাবাদ, বায়েজিদ, ষোলশহর দুনম্বর গেট, চকবাজার, পাঁচলাইশ, ডিসি রোড, খাজা রোড, চান্দগাঁও, মোহরা, বাকলিয়া, চাক্তাই, রাজাখালি, দেওয়ানবাজার, অক্সিজেন, হামজারবাগ, মুরাদপুর, আতুরার ডিপো ও রউফাবাদ। তিন দিনের প্রবল বর্ষণ ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা জাহাজে পণ্য খালাস হচ্ছে না। শুক্রবার থেকে একটি লাইটারেজ জাহাজও বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করেনি। একই অবস্থা বিরাজ করেছে কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাটে এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে। পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় কাস্টমসে শুল্কায়ন ও অন্যান্য কার্যক্রমও তেমন ছিল না। ফলে বন্দর-কাস্টমসে কার্যত অচলাবস্থা চলছে। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বহির্নোঙরে গতকাল পর্যন্ত খোলা ও বস্তাবন্দী পণ্যবাহী ২২টি জাহাজ অবস্থান করেছে। বহির্নোঙরে এসব বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করতে দুই দিনে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল লাইটারেজ জাহাজ বরাদ্দ দিলেও একটিও পণ্য খালাস করতে পারেনি। নগর পরিকল্পনাবিদ ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, সঠিক পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং খাল ভরাটের ফলে পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে হালকা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরীতে। তার দাবি, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন না হওয়াও জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ। আবহাওয়া অধিদফতরের এক সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।বাজেটে বরাদ্দ নেই : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য প্রায় ১২শ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। কিন্তু চসিকের গতকাল ঘোষিত বাজেটেও জলাবদ্ধতা নিরসনে পৃথক কোনো বরাদ্দ কিংবা কোনো পরিকল্পনার কথা উল্লেখ নেই। জলাবদ্ধতা ইস্যু চট্টগ্রাম নগরের ‘টক অব দ্য টাউন’ হলেও সিটি করপোরেশনের এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুধীজনরা।

রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪


‘হাসিনা কেন বোরকা পরে সীমান্তে গিয়েছিলেন?’ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যার ব্যাপারে শেখ হাসিনা জানতেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বলেছেন, আপনি দেশে আসার ১৩দিন পর জিয়াউর রহমান মারা গেলেন কেন? তাহলে নিশ্চয় একটি কারণ আছে। জিয়াউর রহমানকে মানুষ এতো ভালোবাসতেন যে, তার জানাজা হয়েছিল অনেক বড়। সেদিন মানুষ যখন তার জানাজা পড়তে ঢাকায় জড়ো হয়েছিল তখন আপনি কেন বোরকা পরে বর্ডার দিয়ে পালাতে চেয়েছিলেন? আজ বিকাল চারটায় জয়পুরহাটের রামদেও বাজিলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। খালেদা জিয়া বলেন, জিয়াউর রহমানই তাকে (শেখ হাসিনা) লোক পাঠিয়ে বিদেশ থেকে এনেছিলেন, তাকে বাড়িঘর সব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানই আওয়ামীলীগের পুনর্জন্ম দিয়েছেন। ‘ঈদের পর সব ধরনের কর্মসূচি আসবে’ খালেদা জিয়া বলেন, আমরা আন্দোলনে নামব। কিন্তু যখন আন্দোলনে নামতে চাই, তখন ভয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের ঘরের বাইরে যেতে দেয় না। এবার কি ঘরে আটকে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, আন্দোলন কর্মসুচি দেব ঈদের পর। কর্মসূচি দিলে কি আপনারা রাস্তায় নামবেন? আমিও আপনাদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকব। আমরা কর্মসুচিতে যদি বাধা দেয়া হয় তখন হরতাল অবরোধ সব ধরনের কর্মসুচি দেয়া হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১৯দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়া বলেন, আমরা সকল দলকে আহ্বান জানাই। বাম-ডান, বড়-ছোট সবাই বলছি। আসুন আমরা দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হই। দেশ রক্ষার জন্য কাজ করি। তিনি বলেন, প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি বাদ দিয়ে দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে হবে। তাতে দেশের উন্নতি হবে। তখন দেশে বিদেশী বিনিয়োগ হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। সে জন্যই আমরা বলেছিলাম, দেশ বাঁচান, মানুষ বাঁচান। দেশের সব মানুষ বর্তমান অবৈধ সরকারের হাত থেকে বাঁচতে চায়। নিজেদের জীবন রক্ষা করতে চায়। আপনারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। ‘বিরোধী দলের নই, আমি জনগনের প্রতিনিধি’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলে, আমি সরকারি দলের কিংবা বিরোধী দলের প্রতিনিধি নই। আমি জনগনের প্রতিনিধি। আর সেই জন্য ৯৫ ভাগ জনগন আমার সঙ্গে আছে। আবারও নিরপেক্ষ সরকারের কথা উল্লেখ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ দল। আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোন নির্বাচন হতে পারেনা। আলোচনা আমাদের সঙ্গেই করতে হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, হয়নি। উপজেলায় আমরা এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে তারা এমন দুর্নীতি করেছে যে আর সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এ আওয়ামী লীগ একটা দুর্নীতিবাজ সরকার। নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিলে তাদের কি পরিনতি হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এমনকি পাশের দেশের নির্বাচনেও সরকার পরিবর্তন হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের মাথা ঠিক নেই। তারা আবোল-তাবোল কথা বলছে। আওয়ামী লীগের পাশে জনগন নেই তাই তারা দিশেহারা। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণতো আপনাদের ভোট দেয়নি। তাই আপনারা জনপ্রতিনিধি নন। এ নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। তাই এটা কোন নির্বাচন হয়নি। ৫ই জানুয়ারীর ভোটে দেশের জনগন অংশ নেয়নি। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাতে ভোট দিতে পারে। আমরা সেই ভোট চাই। তারা তা দিতে পারেনি বলে সরকার অবৈধ। বিদেশীরা বলে দশম জাতীয় নির্বাচনে কোন নির্বাচন হয়নি। সে জন্যই এই সরকারকে কেউ সমর্থন দেয়নি। খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। সে পরিবর্তন হতে পারে একমাত্র ভোটের মাধ্যমে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, দেরি না করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে মানুষের সে দাবি পুরণ করুন। ‘হাসিনা গডফাদারের মা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গডফাদারের মা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, গডফাদারের মা ক্ষমতায় থাকলে দেশের কোন মঙ্গল হবে না। আওয়ামী লীগের হাতে রক্ত। এরা খুনি। যাদের হাতে মানুষের রক্ত, তাদের হাতে দেশের মানুষে ভালো থাকতে পারে না। তাই আওয়ামী লীগের আমলে কোন ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়। তারা নিরিহ-নিরস্ত্র আলেমদের ওপর মধ্যরাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। হিন্দুদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বলে, যাই করি না কেন- তারা আওয়ামী লীগের বাইরে যাবে না। তাই আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দুদের মেয়েরা ধর্ষিত হয়, তাদের বাড়িঘর দখল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট হয়। হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর ও লুট হয়। এমনকি বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানরাও এ সরকারের আমলে নিরাপদ নয়। কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষের উপর হামলা, বাড়িঘর লুট ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। তাই সবাইকে বলবো, আপনারা বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হোন। শান্তিতে থাকবেন। কারণ আমরা সংখ্যাগুরু, সংখ্য লঘুতে বিশ্বাস করি না। আমরা সবার প্রতি সমান আচরণ করি। আমরা সবাইকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই দেখি। ‘মানুষ খুনের জন্য হাসিনাকে জবাবদিহি করতে হবে’ জয়পুরহাটের সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, মানুষ খুনের জন্য শেখ হাসিনাকে জবাবদিহি করতে হবে। দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিনত হয়েছে। আমাদের দলের (বিএনপি) ৩১০ জনকে হত্যা করেছে, ৫৬ জনকে গুম করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সরকার এবং সরকারের বাহিনী। এই র‌্যাবকে আমরা গড়েছিলাম জঙ্গি দমনে। আমাদের আমলে র‌্যাবে ভাল ভাল অফিসার নিয়োগ দিয়েছি। কোন রাজনৈতিক বিবেচনা করিনি। সে সময় র‌্যাব বড় বড় জঙ্গি ধরেছে। অথচ এই সরকার জঙ্গি ধরতে পারেনি। বরং সরকারদলীয় লোকরা জঙ্গি ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেনÑ কিভাবে নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাটে গুম-খুন করা হচ্ছে। জনগনকে মারার জন্য র‌্যাবকে গঠন করা হয়নি। এসব ঘটনার সঙ্গে র‌্যাবের তারেক, জিয়াসহ আরও অনেকে জড়িত। তারা এখন ঘাপটি মেরে আছে। খালেদা জিয়ার তার বক্তব্যে ব্যাবের সমালোচনা করে এর বিলুপ্তি দাবি করেন। ‘জনগনের তত্ত্বাবধায়কের দাবি কেন তবে বৈধ নয়’ আদালতের প্রতি প্রশ্ন রেখে খালেদা জিয়া বলেন, ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ১৫৪জন নাকি বৈধ। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, মানুষের আন্দোলনের প্রতিষ্ঠিত এবং মানুষের আন্দোলনে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সেটা কেন আদালতের দৃষ্টিতে বৈধ হবে না। এখন সরকারই তো বিএনপির কাছে বৈধতা চায়। তিনি বলেন, বিচারকরা নিজেদের মতো রায় দিতে পারছেন না, আওয়ামী লীগ তাদের ইচ্ছেমতো রায় দিতে বাধ্য করছে। এখন দেশে দুই রকমের বিচার। বিরোধী দল হলে এক রকমের, আওয়ামী লীগের হলে অন্যরকম। এক দেশে দুই রকমের বিচার চলতে পারে না। বিদেশিরাও বিচার ব্যবস্থায় আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিরপেক্ষভাবে বিচার করুন, জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। ‘আওয়ামী লীগ সুইস ব্যাংকে টাকা জমিয়েছে’ সরকারের দূর্নীতির কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, এ আওয়ামী লীগ একটা দুর্নীতিবাজ সরকার। আওয়ামী লীগ জনগণের টাকা চুরি করে আত্মসাৎ করেছে। তারা পদ্মা সেতু, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চুরি করেছে। কাগজে বের হয়েছে সুইচ ব্যাংকে এ বছর রেকর্ড পরিমান অর্থ বাংলাদেশ থেকে রাখা হয়েছে। দুদক সাহেবকে বলছি? আমনারা কি এক চোখা, আপনারা এখন দেখছেন না কেন? এই টাকা কাদের, কারা এত টাকা রেখেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। খালেদা জিয়া বলেন, আমরা জানতে চাইÑ দুদক কেন শুধু বিএনপিকে দেখে তারা আওয়ামী লীগকে কেন দেখে না। তারা কি চোখ বন্ধ করে আছে? তিনি বলেন, ফরমালিনের নামে কৃষকের ফল ধ্বংস করা হচ্ছে। অথচ দেশে ফরমালিন আমদানী করছে শেখ হাসিনা। তাকে ফরমালিন আমদানীর জন্য ধরা উচিত। ‘বিদেশী বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ করব’ ১৯দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য ও লুটপাটের কারণে কোন বিদেশী বিনিয়োগকারী এদেশে আসে না। দেশের এখন বিদেশী বিনিয়োগ নেই। এদেশের যারা বিনিয়োগকারী তারাও ভয়ে এদেশে বিনিয়োগ করে না। আমি বিদেশীদের বলবÑ বিএনপির নেতৃত্বে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আমরা বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করব। আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা কিছুই দিতে পারে না। আমরা সেগুলোর নিশ্চিত করব। আমরা বিদেশীদের নিশ্চয়তা দেব। তিনি বলেন, জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। প্রতিটি জায়গায় শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করব। দেশকে মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত করব। জয়পুরহাটবাসীর উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ভারিবৃষ্টি উপেক্ষা করে আপনার এখানে এসেছেন। আপনাদের দেখে আমি সাহস পাচ্ছি। এই জয়পুরহাটে সরকার পতন আন্দোলনে ১২ জন শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য লোক আহত হয়েছেন। তাদের অনেককে আমরা আর্থিক সহযোগীতা করেছি। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সাহসি ভূমিকা রাখার জন্য জয়পুরহাটবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি Related আপডেট হয়েছে বাংলাদেশ সময়: জুন ২২, ২০১৪ at ৭:০৯ অপরাহ্ণ

জুন ২২, ২০১৪ at ৮:৫৫ অপরাহ্ণ আত্রাইয়ে এক শিশু কন্যা ধর্ষনের অভিযোগে একজনকে আটক প্রবাস নিউজ ২৪ ডটকম dorsonপ্রবাস নিউজ নওগাঁঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে ১২বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষনের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা রনসিবাড়ী গ্রামের মরু হামিদের ছেলে পিন্টু (২৭), আত্রাই উপজেলার বামনীগ্রামের আব্দুর রহিমের শিশু কন্যা (১২) কে তার নিজ বাড়ীতে গত (১১জুন) বুধবার রাতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে আত্রাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার বাগমারা থানা পুলিশের সহযোগীতায় ধর্ষক পিন্টুকে মঙ্গল বার রাতে নিজ বাড়ী থেকে আত্রাই থানার এস আই হাদিকুর সঙ্গীয় ফোর্সসহ আটক করে। গতকাল বুধবার পিন্টুকে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে আত্রাই থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ খান বলেন, আসামী আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সির্ভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আতিক/প্রবাস নিউজ Related আপডেট হয়েছে বাংলাদেশ সময়: জুন ২২, ২০১৪ at ৮:৫৫ অপরাহ্ণ

জুন ২৩, ২০১৪ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ রাজধানীতে যুবতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার lash1 বাংলাদেশ প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতীর (২০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে ১০ নম্বরের সি ব্লকের রাব্বানী হোটেল সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মিরপুর মডেল থানার এসআই আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আরো জানান, কে বা কারা গলা কেটে ওই এলাকায় লাশ ফেলে যায়। উদ্ধারের সময় তার পরনে ছিল বেগুনি সেলোয়ার ও সাদা রংয়ের কামিজ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মুআনি/প্রবাস নিউজ Like this: Like Loading... Related আপডেট হয়েছে বাংলাদেশ সময়: জুন ২৩, ২০১৪ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

‘অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে আল্লাহ হাফেজের দরকার নেই’ shahriar-kabir (1) জুন ২০, ২০১৪ at ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর বক্তব্যের শেষে আল্লাহ হাফেজ বলার সমালোচনা করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, এখন বিসমিল্লাহ বলে অনুষ্ঠান শুরুর দরকার নেই। বিসমিল্লাহ শব্দের বিরোধিতা আমি করছি না। উর্দু আর ফারসীর মিশেলে খোদা হাফেজ সংস্করণে আল্লাহ হাফেজ শব্দটা জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ভূত, পাকিস্তানের ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। পাকিস্তানী ধ্যান ধারণা আমাদের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মনোজগতে সাম্প্রদায়িকতা ঢুকে গেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কার্যক্রম শুরুর ৪৬তম দিবসে উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের চেতনা ও আচরণে এখনো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ভর করছে। জামায়াতের লোকেরা আওয়ামী লীগে ঢুকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে এখন অনেক কিছু করতে চাইছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতকে তারা ফুলের মালা দিয়ে দলে ঢুকাচ্ছেন, আর আমাদের জাতীয় বীরদের মুল্যায়ন করছেন না। শর্ষীনার পীরকে স্বাধীনতার পদক দেয়া হয়েছে। আমাদের জাতীয় বীরদের স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু ও তাদের সহযোগিরা যারা সশস্ত্রভাবে সংগ্রাম করেছে, কেন তাদেরকে আমরা জাতীয় বীরের মর্যাদা দিব না? আওয়ামী লীগের অর্জনের কথা কখনো সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি মন্তব্য করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ৬৫ বছরের পুরনো দল আওয়ামী লীগের ইতিহাসে অকথিত অধ্যায় বাংলাদেশের বাজারে আওয়ামী লীগ তাদের দলিয় ইতিহাস এখনো প্রকাশ করেনি। কিন্তু কংগ্রেস ভারতে তাদের রাজনৈতিক ইতিহাস প্রকাশ করেছে বিভিন্ন প্রকাশনায়। আগরতলা মামলা মূল্যায়ন পরিষদের সভাপতি আবু আহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আগরতলা মামলায় ২৬নং অভিযুক্ত ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) এম শওকত আলী এমপি, আগরতলা মামলায় ২৯নং অভিযুক্ত ও জাতীয় বীর ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সহকারী এটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট সাহিদা বেগম, মূল্যায়ন পরিষদের সেক্রেটারি আমজাদ হোসেন প্রমুখ। Related আপডেট হয়েছে বাংলাদেশ সময়: জুন ২০, ২০১৪ at ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ফেনীতে বউ-শাশুড়িকে ধর্ষণের পর ডাকাতি ফেনী জেলা সংবাদদাতা : বউ-শাশুড়িকে ধর্ষণ শেষে আট ভরি স্বর্ণ, নগদ টাকা, মোবাইলফোনসহ প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সূত্র জানায়, শনিবার রাত ২টার দিকে ১০-১২ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল দৌলতপুর গ্রামের এক ব্যক্তির ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির সদস্যদের হাত-পা বেধে একটি কক্ষে আটকে রেখে বউ-শাশুড়িকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা আলমারি ভেঙে নগদ আট ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/06/22/187513.php#sthash.AVqwEsO2.dpuf

ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হাতে আরো শহরের পতন সর্বশেষ আপডেট রবিবার, 22 জুন, 2014 12:53 GMT 18:53 বাংলাদেশ সময় আইসিসের জঙ্গিদের হাতে নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে একের পর এক ইরাকি শহরের ইরাকে আইসিসসহ সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর হাতে আরো কতগুলো শহরের পতন হয়েছে। সর্বশেষ যে শহরটি তারা দখল করেছে, সেটির নাম রুতবা। সম্পর্কিত বিষয় সুন্নি অধ্যুষিত প্রদেশ আনবারের এই রুতবা এবং আশপাশের কয়েকটি শহর থেকে আইসিস যোদ্ধাদের ভয়ে ইরাকি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ওদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ সুন্নি-প্রধান দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেছেন, এরা ইরাকের জিহাদিদের মদত দিচ্ছে। ইরানি প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে সৌদি আরব এবং কাতারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। মাত্র দু’ সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইরাকে সুন্নি জিহাদিরা দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে। বাগদাদের উত্তরে এখনো যুদ্ধ চলছে, আর তার পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় - ইরাকের সবচেয়ে বড় প্রদেশ এবং প্রায় সম্পূর্ণ সুন্নি-অধ্যুষিত আল-আনবারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। "তারা তাদের টাকা এবং পেট্রোডলার দিয়ে সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। আমি তাদের বলতে চাই, সাবধান, এর পর আপনাদের পালা আসবে - এই জঙ্গি গ্রপগুলো আপনাদের দেশকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে" হাসান, রুহানী, ইরানি প্রেসিডেন্ট এর মধ্যে আছে আল কাইম এবং রুতবা শহর। জঙ্গিদের আক্রমণের মুখে ইরাকের সরকারি সৈন্যরা তাদের অস্ত্র এবং ঘাঁটিগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এই প্রদেশটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ - কারণ এর সাথে সীমান্ত আছে সিরিয়া, জর্ডন এবং সৌদি আরবের। এর মধ্যে বাগদাদের নূরী আল-মালিকির সরকারের সমর্থন দানকারী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বলছেন, সৌদি আরবসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলো সুন্নি বিদ্রোহীদের অর্থ যোগাচ্ছে। তিনি বলছেন, “তারা তাদের টাকা এবং পেট্রোডলার দিয়ে সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। আমি তাদের বলতে চাই, সাবধান, এর পর আপনাদের পালা আসবে - এই জঙ্গি গ্রপগুলো আপনাদের দেশকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে।” আইসিস-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুন্নি জিহাদি গ্রুপগুলোর একজন মুখপাত্র বিবিসি-কে বলেছেন, বিদ্রোহীরা এখানে আগে থেকেই রামাদি এবং ফালুজার মতো শহরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছিল, তবে এখন তারা চাইছে পুরো আল-আনবার প্রদেশটিই দখল করে নিতে। ইরাক সরকার ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে। তবে ওয়াশিংটনে ইন্সটিটিউট ফর স্টাডি অব ওয়ার-এর বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার হার্মার বলছিলেন, জঙ্গিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা হচ্ছে। "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকনিক্যাল গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সেরা। কিন্তু এখন আমরা এমন এক শত্রুর মোকাবিলা করছি - যাদের ক্ষেত্রে এগুলো কাজে লাগছে না। আমাদের দরকার মানবিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কিন্তু ঠিক সেটাই আমাদের নেই" ক্রিস্টোফার হার্মার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকনিক্যাল গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সেরা। কিন্তু এখন আমরা এমন এক শত্রুর মোকাবিলা করছি - যাদের ক্ষেত্রে এগুলো কাজে লাগছে না। আমাদের দরকার মানবিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কিন্তু ঠিক সেটাই আমাদের নেই।” বিবিসির জন সিম্পসন জানাচ্ছেন, ইরাকের সরকারি সেনাবাহিনীর চাইতে আইসিসের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-সরঞ্জাম এবং অভিজ্ঞতা - সবকিছুই বেশি। সিরিয়ার ভেতরে এবং অন্যত্র তাদের নিরাপদ আশ্রয় আছে - যেখানে আমেরিকানদের পক্ষেও হামলা চালানো খুবই কঠিন। জিহাদিরা আত্মবিশ্বাসী যে ইউফ্রেতিস বরাবর ইরাকের অন্যান্য শহরগুলোও তেমন কোন প্রতিরোধ ছাড়াই শীঘ্রই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে তাদের আসল লক্ষ্য হলো বাগদাদ - এবং তারা মনে করছে আইসিসের যোদ্ধারা বাগদাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেলেই সরকারি সৈন্যরা পালাতে শুরু করবে - ঠিক মসুলে যেমন হয়েছিল। বিবিসি

বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখা নাটোরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আটক জাস্ট নিউজ - নাটোর, ১৮ জুন (জাস্ট নিউজ) : নাটোরে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২২)। নিহতের নাম সেলিম হোসেন (২৫)। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকারীকে আটক করেছে। বুধবার সকালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপুর স্কুলপাড়া গ্রামে এই হত্যাকা-ের ঘটনাটি ঘটে। সেলিম হোসেন ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখা কেন্দ্র করে জেসমিন তার স্বামী সেলিম হোসেনকে ঘাস কাটা হাসুয়া দিয়ে গলায় কোপ দেয়। এতে সেলিম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে সকালে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার এবং স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে আটক করে। (জাস্ট নিউজ/কেএসএইচ/এইচও/০৯১৭ঘ)

খেলা দেখার জেরে স্ত্রীর হাঁসুয়ার কোপে স্বামীর মৃত্যু অনলাইন ডেস্ক: প্রকাশ : ১৮ জুন, ২০১৪ ০৯:৪২:২৬আপডেট : ১৮ জুন, ২০১৪ ১১:২১:২৬ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার উত্তর পাড়ায় রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর কোপে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহতের নাম সেলিম হোসেন (২২)। তার বাবার নাম আবুল হোসেন। জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে সেলিমের বাড়িতে প্রতিবেশিরা চিৎকার শুনতে পায়। এ সময় আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন ছুটে গিয়ে সেলিমকে তার শোবার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। আটকের পর জেসমিন ঘাসকাটার হাঁসুয়া দিয়ে স্বামীর গলায় কোপ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, সারারাত ধরে সেলিম টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখায় তার ঘুম হয়নি। টেলিভিশন বন্ধ করা নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাঁসুয়া দিয়ে স্বামীর গলায় কোপ দেন তিনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সুন্নিপন্থী জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে ইরাকের আরো কয়েকটি শহর 23 Jun, 2014 সুন্নি সমর্থিত আইসিআইসির জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে একের পর এক ইরাকি শহর। ইরাকে আইসিআইসিসহ সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর হাতে আরো কতগুলো শহরের পতন হয়েছে। সর্বশেষ যে শহরটি তারা দখল করেছে, সেটির নাম রুতবা। সুন্নি অধ্যুষিত প্রদেশ আনবারের এই রুতবা এবং আশপাশের কয়েকটি শহর থেকে আইসিআইসি যোদ্ধাদের ভয়ে ইরাকি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়। ওদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ সুন্নি-প্রধান দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেছেন, এরা ইরাকে জিহাদিদের মদত দিচ্ছে। ইরানি প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে সৌদি আরব এবং কাতারের দিকে প্রতি অভিযোগ জানিয়েছেন। ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান, রুহানী বলেন, ‘তারা তাদের টাকা এবং পেট্রোডলার দিয়ে সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। আমি তাদের বলতে চাই, সাবধান, এরপর আপনাদের পালা আসবে - এই জঙ্গি গ্রপগুলো আপনাদের দেশকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে।’ মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইরাকে সুন্নি জিহাদিরা দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে আছে আল কাইম এবং রুতবা শহর। বাগদাদের উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি ইরাকের সবচেয়ে বড় প্রদেশ এবং প্রায় সম্পূর্ণ সুন্নি-অধ্যুষিত আল-আনবারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। জঙ্গিদের আক্রমণের মুখে ইরাকের সরকারি সৈন্যরা তাদের অস্ত্র এবং ঘাঁটিগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এই প্রদেশটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর সাথে সীমান্ত আছে সিরিয়া, জর্ডন এবং সৌদি আরবের। আইসিআইসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুন্নি জিহাদি গ্রুপগুলোর এক মুখপাত্র বলেন, বিদ্রোহীরা এখানে আগে থেকেই রামাদি এবং ফালুজার মতো শহরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছিল, তবে এখন তারা চাইছে পুরো আল-আনবার প্রদেশটিই দখল করে নিতে। ইরাক সরকার ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে। তবে ওয়াশিংটনে ইন্সটিটিউট ফর স্টাডি অব ওয়ার-এর বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার হার্মার বলছিলেন, জঙ্গিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকনিক্যাল গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সেরা। কিন্তু এখন আমরা এমন এক শত্রুর মোকাবিলা করছি - যাদের ক্ষেত্রে এগুলো কাজে লাগছে না। আমাদের দরকার মানবিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কিন্তু ঠিক সেটাই আমাদের নেই।’ আইসিআইসি জঙ্গিদের আসল লক্ষ্য হলো বাগদাদ - এবং তারা মনে করছে আইসিআইসি জঙ্গিরা বাগদাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেলেই সরকারি সৈন্যরা পালাতে শুরু করবে - ঠিক মসুলে যেমন হয়েছিল। উৎসঃ ঢাকাটাইমস

সুন্নিপন্থী জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে ইরাকের আরো কয়েকটি শহর 23 Jun, 2014 সুন্নি সমর্থিত আইসিআইসির জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে একের পর এক ইরাকি শহর। ইরাকে আইসিআইসিসহ সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর হাতে আরো কতগুলো শহরের পতন হয়েছে। সর্বশেষ যে শহরটি তারা দখল করেছে, সেটির নাম রুতবা। সুন্নি অধ্যুষিত প্রদেশ আনবারের এই রুতবা এবং আশপাশের কয়েকটি শহর থেকে আইসিআইসি যোদ্ধাদের ভয়ে ইরাকি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়। ওদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ সুন্নি-প্রধান দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেছেন, এরা ইরাকে জিহাদিদের মদত দিচ্ছে। ইরানি প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে সৌদি আরব এবং কাতারের দিকে প্রতি অভিযোগ জানিয়েছেন। ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান, রুহানী বলেন, ‘তারা তাদের টাকা এবং পেট্রোডলার দিয়ে সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। আমি তাদের বলতে চাই, সাবধান, এরপর আপনাদের পালা আসবে - এই জঙ্গি গ্রপগুলো আপনাদের দেশকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে।’ মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইরাকে সুন্নি জিহাদিরা দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে আছে আল কাইম এবং রুতবা শহর। বাগদাদের উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি ইরাকের সবচেয়ে বড় প্রদেশ এবং প্রায় সম্পূর্ণ সুন্নি-অধ্যুষিত আল-আনবারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। জঙ্গিদের আক্রমণের মুখে ইরাকের সরকারি সৈন্যরা তাদের অস্ত্র এবং ঘাঁটিগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এই প্রদেশটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর সাথে সীমান্ত আছে সিরিয়া, জর্ডন এবং সৌদি আরবের। আইসিআইসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুন্নি জিহাদি গ্রুপগুলোর এক মুখপাত্র বলেন, বিদ্রোহীরা এখানে আগে থেকেই রামাদি এবং ফালুজার মতো শহরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছিল, তবে এখন তারা চাইছে পুরো আল-আনবার প্রদেশটিই দখল করে নিতে। ইরাক সরকার ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে। তবে ওয়াশিংটনে ইন্সটিটিউট ফর স্টাডি অব ওয়ার-এর বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার হার্মার বলছিলেন, জঙ্গিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকনিক্যাল গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সেরা। কিন্তু এখন আমরা এমন এক শত্রুর মোকাবিলা করছি - যাদের ক্ষেত্রে এগুলো কাজে লাগছে না। আমাদের দরকার মানবিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কিন্তু ঠিক সেটাই আমাদের নেই।’ আইসিআইসি জঙ্গিদের আসল লক্ষ্য হলো বাগদাদ - এবং তারা মনে করছে আইসিআইসি জঙ্গিরা বাগদাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেলেই সরকারি সৈন্যরা পালাতে শুরু করবে - ঠিক মসুলে যেমন হয়েছিল। উৎসঃ ঢাকাটাইমস

কী হবে পৃথিবীর ঘূর্ণন থেমে গেলে? 23 Jun, 2014 মোটেও ভুলে গেলে চলবে না, পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রের সবকিছুই তাদের আবর্তনের উপর নির্ভর করে। এটা স্বস্তির যে, আমাদের প্রিয় এই গ্রহ এখনও ঘুরছে। কিন্তু কী ঘটবে যদি হঠাৎ এই ঘূর্ণন থেমে যায়? এক কথায় যদি বলা হয়, পৃথিবী হ‍ুট করে তার ঘোরা বন্ধ করে দিলে সাথে সাথে ধেয়ে আসবে মহাদূর্ঘটনার স্রোত! বিস্তারিত দেখতে হলে শুনে দেখতে পারেন মাইকেল স্টিভেনস এর ‘ভিসস’ নামের নতুন ইউটিউব সিরিজ। স্টিভ বলছে, ‘প্রথমেই, ‍আপনারা সবাই সথূল হয়ে উঠবেন। পৃথিবীর আবর্তন গ্রাভিটির প্রভাবের উপর ভারসাম্য তৈরি করে। কিন্তু এটা হতে পারে আপনার চিন্তার কারণ। কারণ হঠাৎ করে আপনি পরমাণু বিষ্ফোরণের ঝড়ের মুখে পড়বেন এবং সেটা সুনামি কিলোমিটার উচ্চতায়। মূহুর্তের মধ্যেই আপনার শরীর শব্দের চেয়ে দ্রুত গতির টাম্বলউইড-এ পরিণত হবে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হবে বিষুবরেখার কাছে, যেখানে পৃথিবীর উপরি অংশ সবচেয়ে দ্রুত ঘোরে। যদি পৃথিবী ঘূর্ণন থামিয়ে দেয়, গোটা গ্রহ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঘুরতে থাকবে!’ উৎসঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

তৃতীয় ইরাক যুদ্ধ এবং পশ্চিমা নকশা 22 Jun, 2014 হাসান তারিক চৌধুরী আবার একটি যুদ্ধের পথে বিধ্বস্ত ইরাক। এবারের যুদ্ধের চেহারা একটু আলাদা। তবে সম্ভবত আগের চেয়ে ভয়াবহ এবং দীর্ঘস্থায়ী। সিএনএনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ২১ জুন লিখেছে, ইরাকের সুন্নী জঙ্গীরা দেশটির সিরিয়া-সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর দখল করে নিয়েছে। মসুল, তিরকিতসহ একের পর এক বড় বড় শহর দখল করে চলেছে এই জঙ্গী সংগঠন। এদের জোরদার হামলায় ভয়ে কাঁপছে ইরাক সরকারের বাহিনী। সরকারি বাহিনী এখন তাকিয়ে আছে তাদের এগার বছরের পুরনো ত্রাণকর্তার দিকে। ‘আইএসআইএস’ নামের এই সংগঠন ইরাক এবং বৃহত্তর সিরিয়ায় ইসলামি খেলাফতের ঝাণ্ডা উড়াতে চায়। তাই তারা ঔপনিবেশিক যুগের সীমান্ত রেখাগুলো মুছে দিচ্ছে। এই যুদ্ধ কি আসলেই তথাকথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ? এটি কি একটি ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক লড়াই? নাকি এর আসল হোতা তৃতীয় কোনো শক্তি? কেন এই যুদ্ধ? এর শেষই-বা কোথায়? এ রকম প্রশ্ন আজ অনেকেরই মনে দোলা দিচ্ছে। পশ্চিমী সমাজ এর উত্তর সঠিকভাবে না দিলেও নানাভাবে এর জবাব বেরিয়ে আসছে। ইরাক নিয়ে সাম্প্রতিক খবরগুলো দিয়েছেন নিজদেশে সত্য বলার দায়ে কারাবন্দি মার্কিন সেনা সদস্য চেলসিয়া ম্যানিং ইরাক নিয়ে সাম্প্রতিক খবরগুলো দিয়েছেন নিজদেশে সত্য বলার দায়ে কারাবন্দি মার্কিন সেনা সদস্য চেলসিয়া ম্যানিং ইরাক নিয়ে পশ্চিমা নীলনকশার সাম্প্রতিক খবরগুলো দিয়েছেন নিজদেশে সত্য বলার দায়ে কারাবন্দি মার্কিন সেনাসদস্য চেলসিয়া ম্যানিং। বন্দিশালার ভেতর থেকে মোবাইল ফোনে পাঠানো তার একটি কলাম ১৫ জুন ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় ছাপা হয়। ম্যানিং তার কলামে লিখেছেন কীভাবে ইরাকে সত্যানুসন্ধানী সাংবাদিকদের হত্যা করা হচ্ছে। এছাড়া ২১ জুন ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ পত্রিকা তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছে কীভাবে মার্কিন প্রশাসন তাদের গোপন পরিকল্পনামাফিক গত কয়েক বছর ধরে ইরাকে সন্ত্রাসের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছে। আজ সেই বীজ ইরাকের মাটিতে এক বিষবৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার সুযোগে পশ্চিমা অক্টোপাস আজ নতুন করে ইরাকের টুঁটি চিপে ধরেছে। এক বিরাট ভয়ানক মিথ্যার উপর ভর করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এগার বছর আগে ইরাকের সাধারণ জনগণের উপর একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, সাদ্দাম হোসেনের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র রয়েছে। যা কিনা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি। বলা হয়েছিল, সাদ্দামবিহীন ইরাকে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে মার্কিন দখলদাররা। এর কিছুই ঘটেনি। দ্রুত প্রমাণ হল সাদ্দামের বিরুদ্ধে আনীত ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারপরও সেই চরম মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বাধীন দখলদার বহুজাতিক বাহিনী ইরাকে গণহত্যা চালিয়ে গেছে। এখন আবারও জঙ্গীবাদ নির্মূলের দোহাই দিয়ে নতুন করে ইরাকে হামলা চালাতে অস্ত্র শান দিচ্ছে মার্কিন সামরিক কমপ্লেক্স, পেন্টাগন। বলা হচ্ছে, সুন্নী জেহাদী সংগঠন ‘আইএসআইএস’ অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার হাত থেকে ইরাককে বাঁচাতে নতুন করে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ১৮ জুন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ইরাকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ওবামা সিনেট ও কংগ্রেসের ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন। সিনেটে রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেলের মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর ছাপা হয়েছে। ইরাকে তৃতীয় দফায় সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে সবচেয়ে বেশি ডঙ্কা বাজাচ্ছেন রিপাবলিকান সিনেটররা। এ ক্ষেত্রে মার্কিন দ্বি-দলীয় রাজনীতিতে এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলের সিনেটররা দেখানোর চেষ্টা করছেন কে বেশি প্রতিরক্ষা-সচেতন। এমনি পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসন বাগদাদে ইতোমধ্যেই ৩০০ জনের একটি বিশেষ কমান্ডো দল পাঠিয়ে দিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল সশস্ত্রবাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। যার ফলে অত্যাধুনিক মার্কিন রণতরী মেসা ভার্ডে পারস্য উপসাগরে অবস্থান নিয়েছে। এম ভি-২২ নামের অত্যাধুনিক বোমারু কপ্টারবাহী ৫০০ মেরিন সেনাসমৃদ্ধ এই রণতরীর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ আরও তিনটি বড় মার্কিন রণতরী। মোট কথা, কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই মার্কিন প্রশাসন সুন্নি জঙ্গী আইএসআইএস দমনের নামে ইরাক যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। অথচ তারা বলেছিল, মার্কিন প্রশাসনের ইরাক মিশন সফল হয়েছে। এখন ইরাক নিয়ন্ত্রণে মার্কিনের সমস্ত ব্যর্থতার জন্য ইরাকের তাঁবেদার প্রধানমন্ত্রী নুরী আল মালিকিকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য এবং সিরিয়ায় মার্কিনী আগ্রাসনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হবার জন্য এখন নতুন করে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে পেন্টাগন। যার পটভূমি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সুন্নী জঙ্গী আইএসআইএসকে। একসময় লেবানন, ইরান ও সিরিয়ার শিয়া-আধিপত্য ঠেকানোর জন্য মার্কিন মদদেই এই সংগঠনের জন্ম দেওয়া হয়েছিল একসময় লেবানন, ইরান ও সিরিয়ার শিয়া-আধিপত্য ঠেকানোর জন্য মার্কিন মদদেই এই সংগঠনের জন্ম দেওয়া হয়েছিল কারা এই আইএসআইএস? এদের অস্ত্র ও অর্থের যোগানদাতা কারা? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করলেই এর সঙ্গে মার্কিনের বর্তমান পরিকল্পনার যোগসুত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। আইএসআইএস মূলত একটি সশস্ত্র সুন্নী জঙ্গী সংগঠন। এরা প্রধানত শিয়াবিদ্বেষী। একসময় লেবানন, ইরান ও সিরিয়ার শিয়া-আধিপত্য ঠেকানোর জন্য মার্কিনের মদদেই এই জঙ্গী সংগঠনের জন্ম দেওয়া হয়েছিল। এ সংগঠনের অর্থ যোগানদাতা হচ্ছে প্রধানত সৌদি আরব ও কাতার। অনেকটা আফগানিস্তানে মার্কিনের ঔরসে জন্ম নেওয়া মুজাহিদদের মতো। ইরাক দখলের পর মার্কিনী নেতারা এ সংগঠনকে কাজে লাগান সিরিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মার্কিন ও সৌদি-স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে এই জঙ্গী সংগঠন। ইরাকের ক্ষমতায় নূরী আল মালিকিসহ শিয়া-আধিপত্যে শুরু থেকেই নাখোশ ছিল সংগঠনটির নেতা ও সশস্ত্র কর্মীরা। এ নিয়ে তারা মার্কিনের সঙ্গে দরকষাকষিও করছিল। কথিত আছে, ২০১০ সালে এই জঙ্গী সংগঠনের নেতৃত্বে আসেন আবু বকর আল বাগদাদী। তারপর থেকেই সংগঠনটি তার কর্মসূচিতে নাটকীয় পরিবর্তন আনে। মার্কিনের সঙ্গে দরকষাকষির পাশাপাশি তারা ইরাকের ভেতরে নিজেদের ঘাঁটি পাকাপোক্ত করতে শুরু করে। আজকের আইএসআইএস’র এই বিরাট সামরিক আধিপত্য তাদের সেই সামরিক কর্মসূচির সফলতারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সংগঠনটি যেহেতু সুন্নী ভাবধারার, তাই এখন সাদ্দাম-সমর্থক বহু সাবেক সেনাসদস্যও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাছাড়া সংগঠনটি জনপ্রিয়তা লাভের আশায় প্রায়শ ইরাকের বর্তমান দুর্নীতিবাজ শিয়া শাসকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এতে তারা ব্যাপক সাড়া পায়। বিশেষ করে বছর খানেক আগে আবু গারিব কারাগারে হঠাৎ হামলা চালিয়ে নিজেদের বেশ কিছু সহোযাদ্ধাকে মুক্ত করে আনে সংগঠনটি। এতে তাদের প্রচার ও প্রসার অনেক বেড়ে যায়। এখন বলতে গেলে ইরাকের উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে এই জঙ্গী সংগঠন। ব্রিটেনের ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকা ১৮ জুন লিখেছে, এই জঙ্গী সংগঠন রাজধানী বাগদাদের ৬০ কিলোমিটার দূরে বাকুবা শহর দখল করে নিয়েছে। এর আগে এই বাহিনী ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখল করেছে। এছাড়া ফাল্লুজা, রামাদি এবং সাদ্দামের জন্মস্থান তিরকিতের মতো শহরগুলোও দখল করে নিয়েছে বাহিনীটি। ইরাকের সুন্নী-অধ্যুষিত প্রায় সব এলাকাই এখন এই বাহিনীর দখলে। অর্থাৎ উত্তরাঞ্চল এবং মধ্য ইরাকের একটা বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেবার পর এরা এখন বাগদাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন বাগদাদের ক্ষমতাসীন তাঁবেদার শিয়া জনগোষ্ঠীর নেতারা। তারা এখন অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছেন মার্কিনের দিকে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন পড়েছে বিপাকে। কারণ ঘটনার সমীকরণ এতটাই জটিল যে, অনেক কিছুই আর তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকছে না, যেমনটা থাকেনি আফগান তালেবানদের বেলায়। তাই তারা না পারছে বাগদাদের শিয়াশাসিত সরকারকে পূর্ণ মদদ দিতে, না পারছে সুন্নী জঙ্গীদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে। ডেমোক্রেট দলের এই দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থার মধ্যে সামনে এগিয়ে এসেছে মার্কিন নয়া রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা। তাদের নেতারা, বিশেষ করে সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামই এখন তৃতীয় ইরাক যুদ্ধের জন্য উচ্চকণ্ঠ। তার মতে, ইরাকে মার্কিনের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনের পুূর্ণ সম্মান রক্ষা করতে পারে। গ্রাহামের এই তত্ত্ব ধরেই মার্কিন মিডিয়াপন্থীরা তাদের যুদ্ধবাজ কোরাস গাইতে শুরু করেছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মার্কিনের যুদ্ধবাজ নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এক ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল কূটনীতি। যার অংশ হিসেবে মার্কিন প্রশাসন এখন তার দীর্ঘদিনের শত্রু ইরানের দিকেও হাত বাড়িয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত সপ্তাহে ভিয়েনায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইরাকের শিয়াদের রক্ষায় ওয়াশিংটন তেহরানের সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়ে বসে আছে। এর পরপরই রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরান এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়াশিংটনকে সাহায্য করবে। খুবই তাৎপর্যপূণভাবে ঠিক তার পরপরই ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রোহানী আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলোকে জানালেন যে, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তেহরান এ ক্ষেত্রে মার্কিনকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। শুধু তাই নয়, রোহানীর এই ঘোষণার আগেই ইরানের রেভুলুশনারি গার্ডের অন্যতম কমান্ডার কাশেম সুলেইমানীকে বাগদাদ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এইভাবে ইরানের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে মার্কিনের এক ধরনের সমঝোতার জায়গা সৃষ্টি হয়েছে এবং ইরানের মোল্লাতন্ত্র মার্কিনের এই সমঝোতা বেশ ভালোই উপভোগ করছে। কিন্তু ইরানের শাসকশ্রেণি এটা ভুলে যাচ্ছে যে, এই সমঝোতার জন্য অদূর ভবিষ্যতে খোদ ইরানকেই চরম মূল্য দিতে হবে। সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের যে মূল্য আজ পাকিস্তানকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতির সুযোগে কুর্দিরা তাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত স্বতন্ত্র আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে পারে এই পরিস্থিতির সুযোগে কুর্দিরা তাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত স্বতন্ত্র আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে পারে এমনিভাবে শিয়া-সুন্নী বিরোধ পুঁজি করে ‘ভাগ কর, শাসন কর’ নীতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মাটিতে ধেয়ে আসছে মার্কিনীরা। যার মূল্য দিতে হচ্ছে বিশ্বের সব দেশের নাগরিককে। বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর মানুষদের, যারা কাজের সন্ধানে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে গিয়েছিলেন। ১৮ জুন বাংলাদেশের ডেইলি স্টার পত্রিকা জানিয়েছে, ১৪ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক এখন ইরাকে কাজ করেন। বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে মসুল শহর থেকে অনেক বাংলাদেশিকে সরিয়ে এনেছে। যুদ্ধ পুরোদমে শুরু হলে এই শ্রমিকদের কেউই ইরাকে থাকতে পারবেন না। এই একই অবস্থা অনেক দেশের শ্রমিকদের। এতবড় ব্যর্থতার পর কেন মার্কিনীরা ইরাকে আরও একটি যুদ্ধ চায়? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশ্বখ্যাত পারস্য উপসাগর অঞ্চল বিশেষজ্ঞ কেনেথ পুলাক। তিনি বলেছেন, এর কারণ অর্থনৈতিক। অনেকের মতে, অর্থনীতি ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক আধিপত্য বিস্তারও এর অন্যতম কারণ। তবে পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ইরাকের জনগণের জন্য অপেক্ষা করছে আরও প্রাণহানি ও রক্তক্ষয়। অনেকের ধারণা, এই হামলায় বদলে যেতে পারে ইরাকের মানচিত্রও। সে কারণেই বাগদাদে নিযুক্ত জাতিসংঘের স্থায়ী দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ বলেছেন, ইরাকের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এখন বিরাট হুমকির মুখে। শুধু জাতিসংঘের দূতই নয়, ২০ জুন কিরকুক শহরে কর্মরত ইরাকের সরকারি বাহিনীর এক কর্নেলের বরাত দিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ লিখেছে, এই পরিস্থিতির সুযোগে কুর্দিরা তাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত স্বতন্ত্র আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে পারে। এসব আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে, ইরাক এখন তিনটি খণ্ডে ভাগ হবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যার প্রথমটি হল শিয়া-শাসিত অঞ্চল, দ্বিতীয়টি সুন্নী-শাসিত এবং তৃতীয়টি হল স্বাধীন কুর্দিস্তান। যে ভাতৃঘাতী রক্তের হোলিখেলা আজ ইরাকে শুরু হয়েছে, এর ফলে ইরাকের আজকের মানচিত্র বদলে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় । হাসান তারিক চৌধুরী: আইনজীবী, রাজনীতিক। উৎসঃ bdnews24

প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ট্রেনের নিচে 23 Jun, 2014 প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল এক কলেজ ছাত্রের। তার নাম ফরহাদ হোসেন সয়ন (২১)। সে উত্তরা ইউনিভার্সিটির বিবিএ ১ম বর্ষের ছাত্র। রাজধানীর বিমানবন্দর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরহাদের প্রেমিকা নাসরিন জানান, ফরহাদের সঙ্গে আমার ছোটবেলা থেকে পরিচয়। সম্পর্কে সে আমার মামাতো ভাই। এই পরিচয়ের মাধ্যমেই আমাদের প্রেম হয়। আমাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়াও হতো। কিন্তু শনিবার ফরহাদের সঙ্গে আমার কোন ঝগড়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে রেললাইন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে আমাকে ফোন করে। আমাদের কথাবার্তা ছিল স্বাভাবিক। সে আমার কাছে জানতে চেয়েছে আমি খেয়েছি কিনা, বাসায় কখন এসেছি এই সব। শেষের দিকে সে আমাকে বললো- আমার ফোনে টাকা নেই তুমি পারলে আমাকে ৫০ টাকা ফ্লেক্সিলোড কইরো। একথা বলার পরই ফোনটা কেটে যায়। আমি ভাবলাম, ফোনে টাকা নাই এজন্য মনে হয় ফোনটা কেটে গেছে। তখনও আমি জানি না ফরহাদ আর নেই, সে আমাকে ছেড়ে অনেক দূর চলে গেছে। গতকাল সকালে আমি জানতে পারলাম ফরহাদ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। নিহতের চাচা হাবিবুর রহমান জানান, ফরহাদ আমার পরিবারের সঙ্গে খিলক্ষেত নয়াপাড়ার পোর্টঘাটে ২০৯/এ নম্বর বাসায় থেকে পড়ালেখা করে। গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে। তার পিতা চুন্নু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাতারে আছেন। কিভাবে এমনটা হলো তা বুঝতে পারছি না। তবে এখন শুনতে পারছি নাসরিন নামের একটি মেয়ের সঙ্গে সে ফোনে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে। শনিবার রাতে এই ঘটনার সময়ও ফরহাদ ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। তার সঙ্গে অভিমান করেই সে মারা গেল না ফোনে কথা বলায় অন্যদিকে মনোযোগ থাকার কারণে মারা গেল সে বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত। হাবিবুর রহমান তার ছেলের বরাত দিয়ে বলেন, আমার ছেলে আর ফরহাদ একই রুমে থাকতো। সে বলেছে ফোনে কথা বলার সময় প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো এবং রাগে ক্ষোভে ফরহাদ মরে যাওয়ার কথা বলতো। রেলওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলী আকবর জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে গতকাল সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, ফরহাদ যখন রেললাইন দিয়ে হাঁটছিল তখন সে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। সেই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফরহাদের পরিবারের অভিযোগ মোবাইল ফোনে যে মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিল তার উপর অভিমান করেই সে মারা গেছে। তবে এ বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ফরহাদের পরিবার ময়নাতদন্তের পর লাশ তার গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেছেন। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। উৎসঃ মানব জমিন