রবিবার, ৪ মে, ২০১৪


ফ্রেশ ইন হোটেলে এবার ছাত্রী ধর্ষিত! সিটিজিনিউজ ডট কম | প্রকাশিত হয়েছে : মে ৪, ২০১৪ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ Share via email Share fresh mজালালউদ্দিন সাগর :: নগরীর চকবাজারের ‘ফ্রেশ ইন’ আবাসিক হোটেলে এবার কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। হোটেলটির তিনতলার একটি কক্ষে ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতার বড় বোন। ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নগরীর চকবাজার থানায় গত ৩০ এপ্রিল একটি মামলা দায়েরও (মামলা নং ১৭) করেছেন তিনি। এদিকে, নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় ধর্ষক পিয়াস দাশকে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। এজাহারে ধর্ষিতার বড় বোন অভিযোগ করে বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ফ্রেশ ইন হোটেলের একটি কামরায় ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। পিয়াস দাশ (২৫) নামে এক যুবক তার স্কুলপড়ুয়া বোনকে ফুসলিয়ে ফ্রেশ ইন হোটেলের তিনতলার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ঐ যুবক তার বোনের কিছু অশ্লীল ছবি তোলে ফেইসবুকে ছেড়ে দিবে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ধর্ষক পিয়াস উক্ত হোটেলের লোকজনের সাথে পূর্ব পরিচিত বলেও এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন। মামলার বাদি ধর্ষিতার বোন এ প্রতিবেদককে বলেন, “ধর্ষণের সময় আমার বোন চিৎকার করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষের কেউ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। আমার বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে জোর করে ওই হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।” ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ধর্ষককে রিমান্ডে আনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেলের মালিক ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ওয়াহিদ জামান বলেন, “আমি আপনাকে জবাব দিতে বাধ্য নই। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আরও পাঁচটি রিপোর্ট করেন, তাতে আমার কিছুই হবে না।” একই বিষয়ে জানার জন্য হোটেল ম্যানেজারের মোবাইল নাম্বার ০১৯১৪২৪০৭৩৩ এবং হোটেলের ফোন নাম্বার ০৩১-২৮৬০৮৩৭ এ কল করা হলে লাইন বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে হোটেল ফ্রেশ ইনে দেহব্যবসা চলে আাসছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘণ্টা হিসেবে অবৈধভাবে রুম ভাড়া দিয়ে আসছে। এর সুযোগে নগরীর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ নগরীর পতিতাদের নিয়মিত আড্ডার জায়গায় পরিণত হয়েছে ফ্রেশ ইন হোটেল। প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে এই হোটেলে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ওয়াহিদ জামান ও সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজন। উল্লেখ্য, নগরীর শিক্ষাজোন খ্যাত চকবাজার গুলজার টাওয়ারের দক্ষিণ পাশের ‘ফ্রেশ ইন’ আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিটিজি নিউজ ডটকমে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ বিষয়ে সিটিজি নিউজ কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য-প্রমাণও রয়েছে। তবে সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বেআইনিভাবে ঘণ্টাভিত্তিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে এভাবে হোটেলের রুম ভাড়া দিলেও এর কিছুই জানেন না মাত্র ২০০ গজ দূরের চকবাজার থানা পুলিশ। অথচ চকবাজার এলাকার গুলজার মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন দায়িত্বে থাকে চকবাজার থানা পুলিশ। যেখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে ঠিক তার উপরেই হোটেলের চতুর্থ তলায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে এই হোটেলে দেহ-ব্যবসা চালিয়ে আসছে হোটলের মালিক ওয়াহিদ জামান ও সাইদুর রহমান। তবে এ ব্যাপারে নগর পুলিশের (গোয়েন্দা) অতিরিক্ত কমিশনার বাবুল আকতার বলেন, যদি ফ্রেশ ইন হোটেল এসব ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে তবে অবশ্যই এ ব্যপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন