সোমবার, ১২ মে, ২০১৪


বার্লিনে খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলন বাড়ছে! May 12, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in রকমারি with 0 Comments coupleনিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম ঢাকা গ্রীষ্মে বার্লিন রূপ নেয় বিশাল, খোলা আকাশের নীচে পার্টির একটি স্থান হিসেবে৷ বার্লিনবাসী সাধারণত যা ঘরের মধ্যে করতে ভালোবাসেন, গ্রীষ্মে সেসব করেন ঘরের বাইরে৷ গ্রীষ্মের প্রথম প্রখর সূর্যোদয়কে বার্লিনবাসী মনে করেন সবুজ সংকেত৷ এই সংকেত পেয়ে তাঁরা নিজেদের যাবতীয় ব্যক্তিগত বিষয়াদি খোলা আকাশের নীচে নিয়ে যান৷ এই সবের মধ্যে তাঁদের শোবার ঘরও পরে৷ ফলে শোবার ঘরের কাজ বলে আমরা যা মনে করি, মানে যৌন মিলন, সেটাও বার্লিনবাসী সারেন প্রকাশ্যে খোলা আকাশের নীচে৷ এই ধারা নাকি ক্রমশ বাড়ছে৷ আর এই কাজে স্থান বিবেচনার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো বাছবিচার নেই৷ পার্ক, রাস্তা, পার্কিং-এর জায়গা, নদীর পাড়, বাগান, এমনকি বাড়ির ছাদ – যেখানে সম্ভব সেখানেই শুয়ে পড়ছেন তাঁরা৷ এ বছর অবশ্য বার্লিনে গ্রীষ্ম একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং হঠাৎ ঠান্ডার জন্য এই পরিস্থিতি৷ তাসত্ত্বেও খোলা আকাশের নীচে যৌনাচার শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে৷ বিষয়টি এত তীব্র আকার ধারন করছে যে শহর কর্তৃপক্ষও উদ্বিগ্ন৷ জার্মান পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনযায়ী, ২০১২ সালে মুক্ত পরিবেশে সঙ্গমে অংশ নেওয়া ২৩৯ ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে পুলিশ৷ গড়ে তাঁদের দেড়শো ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে৷ আগের তিন বছরের তুলনায় জরিমানার এই হার প্রায় দ্বিগুন৷ বার্লিনের সবচেয়ে বড়, বিখ্যাত বাগানটি হচ্ছে ‘টিয়ারগার্টেন’ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ট্রেপটাওয়ার পার্ক’৷ মুক্ত পরিবেশে শারীরিক মিলনের জন্য এই দু’টি জায়গাই বার্লিনবাসীর সবচেয়ে পছন্দ৷ টিয়ারগার্টেনের একটি অংশে মিলনে আগ্রহীদের ভিড় এত বেশি যে সেখানে পুলিশ বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা চালুতে বাধ্য হয়েছে৷ তবে বার্লিনের সব বাসিন্দাই যে এমনটা চান, তা কিন্তু নয়৷ সাধারণভাবে তাঁরা অত্যন্ত উদার হলেও অনেকে খোলা আকাশের নীচে এরকম সঙ্গম রোধ বা অন্ততপক্ষে নিয়ন্ত্রণের পক্ষে৷ জার্মান আইনে অবশ্য পাবলিক প্লেসে নগ্ন হতে কোনো বাধা নেই৷ আরো বিভ্রান্তিকর ব্যাপার হচ্ছে, খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলনেও আইন অনুযায়ী বাধা নেই – শুধু অন্তত একটি টাওয়েল ব্যবহার করে নিজেদের ঢেকে রাখতে হবে৷ রাজধানীতে নগ্ন সংস্কৃতি: গভীর রাতে খোলা পরিবেশে উন্মত্ত যৌন মিলন, যার দর্শক শুধু কাঠবিড়ালিরা – এমন হলেও না হয় মানা যেত৷ কিন্তু প্রকাশ্যে দিনেরবেলা এরকম মিলন দৃশ্য বোধহয় শোভনীয় নয়৷ বিশেষ করে যাঁরা যৌনতার বিষয়াদি দরজার আড়ালে, চার দেয়ালের মধ্যে রাখতে পছন্দ করি, তাঁদের জন্য বিব্রতকরও৷ তবে বার্লিনে কিন্তু নগ্নতাবাদ, জার্মান ভাষায় যাকে বলে ‘ফ্রাইকর্পারকুলট্যুর’ নতুন নয়৷ ১৯২০ সালের দিকে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সেখানে নগ্ন দেহের প্রদর্শনী শুরু হয়৷ আর নগ্নতা বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় বার্লিনে, ১৯২৯ সালে৷ ২০১৩ সাল, মানে চলতি বছর খোলা আকাশের নীচে সঙ্গম প্রতিরোধে বেশ সক্রিয় পুলিশ৷ সামাজিক ন্যায়বিচারের স্বার্থে এটা করছে তারা৷ কিন্তু প্রতিরোধ সহজ নয়৷ সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে কিংবা গাড়ি থামিয়ে হঠাৎ হয়ত কোনো জুটি কোথাও শুরু করে দিল সঙ্গম৷ ফলে দ্রুত তাঁদের ঠেকানো কঠিন৷ তবে এই চর্চা বাড়ায় শহরের খানিকটা লাভও হচ্ছে৷ প্রকাশ্যে সঙ্গমরতদের ধরতে পারলেই আর্থিক জরিমানা করছে পুলিশ৷ এভাবে অনেক টাকা আয় হচ্ছে৷ অবশ্য জরিমানার ক্ষেত্রে নিয়ম খানিকটা শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ৷ বেকাররা এক্ষেত্রে ছাড় পাবে৷ রাস্তাঘাটে সঙ্গমরত অবস্থায় ধরা পড়লে তাঁদের জরিমানা ৩৪ ইউরো৷ বার্লিনবাসী এবং সস্তায় বার্লিন ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে৷ আপনাদের উচিত হবে গ্রীষ্মে ঠিকঠাক পোশাক পরে রাস্তায় বের হওয়া৷ তাতে করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলো রোদে পোড়া থেকে রক্ষা পাবে৷ সুস্থ জীবনের জন্য এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১২ মে, ২০১৪/২২.৪০/মেহেদী হাসান আরো খবর: নগ্ন হয়ে চলাফেরার বৈধতা দিলো জার্মানি! মেয়েরাই বলছে, ‘এমন কাপড় চাই না’ ওজন বাড়লে গর্ভনিরোধ অকার্যকর! কয়েকটি জেলায় স্বস্তির বৃষ্টি বাংলাদেশের যৌনকর্মীদের কথা - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/05/12/gallery/various/130671#sthash.KQD1ab2q.dpuf

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন