রবিবার, ১১ মে, ২০১৪


শিক্ষিকাকে নগ্ন করলো পঞ্চায়েত! 10 May, 2014 যখন-তখন মানুষ খুন করার ফতোয়া দেয় স্বঘোষিত গ্রামীণ বিচারসভা খাপ পঞ্চায়েত। অন্য জাতের কোনো মেয়ে প্রেম করছে জানলে তাকে ধর্ষণের নির্দেশ জারি করে তারা। এমন অভিযোগ ওঠেছে বহুবার। এবার এক পঞ্চায়েতের নির্দেশে নগ্ন করে মারধর করা হলো এক শিক্ষিকাকে। সবার সামনেই ওই শিক্ষিকাকে নগ্ন করা হয়। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরও করা হয় তাকে। শুধু তাই নয়, এরপর ওই শিক্ষিকার কাছে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চায় পঞ্চায়েত। না দিতে পারলে গ্রামছাড়া করার হুমকি। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতার ঘটনা ঘটে ছত্তিসগড়ের জশপুর জেলার পাঠালগাঁওয়ে। অপরাধ এক ভাইয়ের ছেলের হবুস্ত্রীকে তার বাড়িতে থাকতে দেয়া। শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ভাইয়ের ছেলের সঙ্গে গ্রামেরই একটি মেয়ের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলে ওই তরুণী শিক্ষিকার বাড়িতেই এসে থাকতে শুরু করে। একই বাড়িতে থাকে শিক্ষিকার ভাইয়ের ছেলেও। কয়েকদিন পর আবার নিজের বাড়ি ফিরে যায় ওই তরুণী। কিন্তু এ ঘটনা ভালো চেখে দেখেনি খাপ পঞ্চায়েত। বসানো হয় বিচারসভা। শাস্তি হিসেবে তাকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে এসে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়। জামাকাপড় ছিঁড়ে গোটা গ্রামের সামনে বিবস্ত্র করা হয় তাকে। তার কানে, গলায়, হাতে থাকা সোনার গয়নাও কেড়ে নেয় পঞ্চায়েতের বিচারকরা। একেও যথেষ্ট শাস্তি মনে না করে ওই শিক্ষিকার কাছে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। তবে ঘটনা কিছুদিন আগের। গত ১৯ এপ্রিল এই ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। কিন্তু পুলিশের কাছে ন্যায় বিচার না পেয়ে তিনি মানবাধিকার কমিশন ও মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন। এরপরই টনক নড়ে পুলিশেরও। খাপ পঞ্চায়েতের প্রধানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তারা। অবশ্য তারা জামিনে মুক্তি পায়। তবে অভিযুক্তরা মুক্তি পাওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে হুমকি। উল্লেখ্য, খাপ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ কিছুদিন আগে বলেছেন, কোনো নারী মোবাইল ব্যবহার করবেন কি-না বা কীভাবে পোশাক পরবেন, তা বলার অধিকার খাপ পঞ্চায়েতের নেই। এ ধরনের নির্দেশ আইনের লঙ্ঘন ও অপরাধ। বাংলামেইল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন