মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০১৪


যুবলীগ নেতা মুন্সীর ধর্ষণকান্ড
06 May, 2014 কৌশলে এক ভবনে ডেকে নিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় দশমিনা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েম মুন্সিকে (৩৫) জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার ঘটনার পরে ওই নেতার বিরুদ্ধে রাতেই মামলা করেন নির্যাতিত ছাত্রী। সোমবার দশমিনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। থানা সূত্রে জানা গেছে, দশমিনার আব্দুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী রোববার ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষায় অংশ নেন। বিকেল ৫টায় পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার সময় যুবলীগ নেতা সায়েম মুন্সি তাকে ফোন করেন। পরে বিশেষ জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে শহরের জয় তালুকদার ভবনের সামনে আসার অনুরোধ করেন। যুবলীগ নেতা সায়েম পূর্ব পরিচিতি হওয়ায় ওই ছাত্রী ঘটনাস্থলে যান। সায়েম তাকে ভবনটির তৃতীয় তলায় ডেকে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তৃতীয় তলার পূর্বপাশের ডিশ ক্যাবল নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে থাকা ফারুক নামের অপারেটরকে কৌশলে সায়েম নিচে পাঠিয়ে দেন। এরপর ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই ছাত্রী নিচে নেমে ডাক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ভবনটি ঘোরাও করে। তারা সায়েমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। রাতেই নির্যাতিতা ছাত্রী বাদী হয়ে সায়েমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সোমবার যুবলীগ নেতা সায়েমকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শওকত বাংলামেইলকে বলেন, ‘এ জাতীয় ঘৃণ্য অপরাধের কারণে উপজেলা যুবলীগের নেতারা সায়েমকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী সভায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।’ দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন বাংলামেইলকে বলেন, ‘সুরাতহাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। মেডিকেল রিপোর্টের জন্য ভিকটিমকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একমাত্র আসামি সায়েমকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন