মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০১৪


যৌন জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলায় নবজাতককে খুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক A+ A A- Print ২০১৪-০৫-০৫ ১৭:২৬:০৫ ঢাকা : ভোগ বিলাসে মত্ত এক যুবতী মা তার নবজাতক সন্তানকে খুন করেছেন। প্রসবের মাত্র অাধ ঘণ্টা পর তিনি তার শিশুপুত্রকে গলা টিপে খুন করেন। এরপর মৃতদেহ নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলে ডিসকোতে চলে যান স্ফূর্তি করতে। তার আশঙ্কা ছিল, শিশুটি তার উদ্দাম যৌন জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এ ভয় থেকেই তিনি এ খুন করেন বলে আদালতের শুনানিতে বলা হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানির বাভারিয়া শহরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। নিজ সন্তানকে হত্যার দায়ে জার্মান নাগরিক ২০ বছরের নাডিনে কোয়েনিংকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার আদালতে এই হত্যা মামলার শুনানি চলাকালে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নাডিনে বলেন,বাচ্চা লালন পালন করা সবসময়ই একটি বিরাট দায়িত্বের বিষয় এবং এটি পালন করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আদালতে বিচারককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,‘’আপনার বহুদূর প্রসারিত যৌন এবং সামাজিক যোগাযোগ যখন বাচ্চার কারণে ব্যাহত হচ্ছে তখন আপনি এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারবেন না।’ রোববার ডেইলি মেইল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর আচমকা গর্ভবতী হয়ে পড়েন নাদিনে। কিন্তু এতবড় একটি ঘটনা তিনি নিজ বাবা-মায়ের কাছে লুকিয়ে রাখেন। গত বছর ফ্রেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ নিজেদের বাড়িতেই তিনি একটি ফুটফুটে ছেলের জন্ম দেন। শিশুটি ভূমিষ্ট হওয়ার মাত্র আধঘণ্টা পরেই তাকে গলাটিপে হত্যা করেন নাদিনে। তারপর ছুরি দিয়ে গলা কেটে তার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হন। পরে মৃতদেহ বাড়ির পাশের এক ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ডিসকোতে চলে যান। কিন্তু এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নাদিনেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে মেয়ের আটক হওয়ার খবর পেয়ে আত্মহত্যা করেন তার মা কারসটিন(৪৪)। ইতিমধ্যে খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন নাদিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন