সোমবার, ৫ মে, ২০১৪


স্কুল লাগবে না, নায়িকার শরীর দেখলেই জাতি শিক্ষিত হয়ে উঠবে?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ০৫ মে, ২০১৪, ০১:৪১:১৪ দুপুর << আগের পোস্ট পরের পোস্ট >> স্কুল বন্ধ করে দিয়ে তাতে নায়িকার পোষাকপ্রদর্শনী কেন্দ্র করবে হাসিনা সরকার! নায়িকা সুচিত্র সেন, আমাদের দেশের তথাকথিত প্রগতিবাদীদের মতে মহানায়িকা! হতে পারে, আমি কখনো তার সিনেমা দেখিনি। শুধু তার নয় কারো সিনেমাই দেখিনি আগ্রহ ও সময়ের অভাবে। বৃটিশ আমলে পূর্ববঙ্গের পাবনায় জম্মেছিল। এরপর ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর তিনি পরিবার সহ নিজেদের প্রয়োজনে স্বইচ্ছায় পশ্চিমবঙ্গে শিফট হয়েছিল। তাদেরকে কেউ এখান থেকে বের করে দেয়নি। তারা আরো অনেকের মতো উন্নত জীবন যাপনের ইচ্ছায় পশ্চিমবঙ্গে চলে গিয়েছিল। তারপর থেকে তাদের বাড়ি সরকারের হেফাজতে ছিল। দীর্ঘদিন পর এলাকার কিছু মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সুচিত্রা সেনদের সেই খালি বাড়ি সরকারের কাছ থেকে ১৯৮৭ সালে লীজ নেয়। বিশাল এক স্কুলও সেখানে স্থাপিত হয় যাতে হাজার-হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে। সবকিছুই ঠিকঠাক মতো চলছিল। স্কুলের নাম ইমাম গাজ্জালী ইনস্টিটিউট টাইপের কিছু। প্রতিষ্ঠাতারা নাকি ইসলামীক মাইন্ডের! এখানেই বেঁধেছে গোল! আমাদের দেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ (আসলে ইসলাম বিদ্বেষী) হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তথাকথিত প্রগতিশীলদের ইসলাম বিরোধী মানসিকতা যেন নূতন ভাবে প্রবল বেগে উতলে উঠল! সারাদেশে ওই ধরনের আরো অনেক জায়গা-জমি অনেকে লীজ নিয়ে এমনকি অবৈধভাবে ব্যবহার করলেও সেসব উদ্ধারে তেমন কোন তৎপরতা নেই। কিন্তু তথাকথিত প্রগতিশীল মিডিয়া, ব্যাক্তিত্ব সবার নজর পড়ে গেলো পাবনার একটি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর! তারা বিবৃতি ও রিপোর্টের ঝড় তুললো! কারণ একটিই, সেই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতারা ইসলামিক মাইন্ডের, স্কুলটির নামও একজন পৃথিবী সেরা ইসলামিক ব্যাক্তিত্বের নামে! এরপর হাসিনা সরকার দিলো বাতিল করে সেই জমির লীজ! সেখানে নাকি সুচিত্রা সেন সংগ্রহশালা হবে! সংগ্রহশালাতে থাকবে সুচিত্রা সেনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র, জামাকাপড়, ছবির প্রিন্ট, স্টিল ছবি, প্রতিকৃতি ইত্যাদি! শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে নায়িকার ছবি, জামাকাপড় দেখানো হবে! আমাদের বিচারপতিরা আরো এককাঠি সরস! তারাও তাতে রাজি! স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদন বাতিল করে দিয়ে তারাও প্রগতিশীলদের সাথে একমত! স্কুল লাগবে না, নায়িকার শরীর দেখলেই জাতি শিক্ষিত হয়ে উঠবে! এমন এক পরিবেশ বর্তমান বাংলাদেশে তৈরি করা হয়েছে যেখানে কেউ যত ভাল কাজই করুকনা কেন, ইসলামের গন্ধ তার সাথে থাকলে সেই অচ্যুৎ! তাকে সুরক্ষা সরকার দিবেনা, প্রগতিশীলরা দিবেনা, পুলিশ দিবেনা এমনকি আদালতও দিবেনা! তা না হলে একটি প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (যার অপরাধ শুধুমাত্র ইসলামের গন্ধ থাকা!) বন্ধ করে দিয়ে নায়িকার অশ্লীল ছবি, শরীর ও পরনের কাপড় চোপড় প্রদর্শনের সিদ্ধান্তের সাথে সবাই কি করে একমত হয়?! শিক্ষার প্রয়োজন নেই, শিক্ষিত জাতির প্রয়োজন নেই, নায়িকার উলঙ্গ-অর্ধউলঙ্গ ছবি, ব্যবহার্য কাপড়-চোপড় দেখালেই জাতি উন্নতির শিখড়ে পৌঁছে যাবে?! ভারতীয় নায়ক-নায়িকার ছবি, ভারতীয় সিরিয়াল, তাদের সংগ্রহশালা, ভারতকে ট্রানজিট, করিডোর ইত্যাদি দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, অন্যকোন কিছুর প্রয়োজনই নেই! এভাবেই এগিয়ে যাওয়ার জন্যেই তো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সে লক্ষ্য পূরণের জন্যেই শেখ হাসিনাকেই থাকতে হবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায়! তারপর এদেশ থেকে ইসলাম, সচ্চরিত্রের নাম-গন্ধ মুছে যাবে আর সবাই মাতাল হয়ে থাকবে নায়ক-নায়িকার শরীরী ভাষায়! এই ধরনের মাতাল জাতি তৈরি করার জন্য আসলেই তো শিক্ষার প্রয়োজন নেই, শুধু ভারতীয় নায়িকা চিনলেই চলবে! বিষয়: বিবিধ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন