বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪


রিমান্ডে মিলেছে নীলার অন্ধকার জগতের নানা কাহিনী PDFPrintE-mail
Thursday, 29 May 2014 11:06 বাংলাদেশ সংবাদ - Political news User Rating: / 0 PoorBest রিমান্ডে মিলেছে নীলার অন্ধকার জগতের নানা কাহিনী 29 May, 2014 নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেনের বান্ধবী সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল নামে এক যুবককে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে হত্যা করার ঘটনায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মিজমিজির বাড়ি থেকে গত সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গেছে জিজ্ঞাসাবাদে নীলার মাদকের অন্ধকার জগতের নানা কাহিনী বেড়িয়ে এসেছে।এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে দেখছে। প্রয়োজনে তাকে আবার রিমান্ডে নেয়া হবে জানা গেছে। রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। তার বাবা হাজি আবদুল মোতালেব আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ড কমিটির নেতা। নীলাকে নগরবাসী সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে জানলেও তিনি মূলত একজন মাদক সম্রাজ্ঞী। নূর হোসেন ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রক ছিলেন এই নীলা। মাদক ব্যবসার টাকা লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে নীলার পরিকল্পনায় খুন হয় তারই মাদক ব্যবসার অন্যতম অংশীদার জুয়েল। আর জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ যুবকের ৩ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তাদের ২ জন আদালতে জুয়েল হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাউন্সিলর নীলার নাম বলে। কিন্তু নীলা নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সে সময় জুয়েল হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিতে নীলার নাম উঠে এলেও তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জানা গেছে, আসামিদের দিয়ে নীলাকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করায় মামলার ওই সময়ের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলামকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ সুপার বদলি করে দেন। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুঁড়ি এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মস্তকবিহীন দেহ ও পরে মাথা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন ২৭ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জিন্নাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার উত্তর মাসুদপুর গ্রামের ফিরোজ খান সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে লাশটি তার ছেলে জুয়েলের বলে শনাক্ত করেন। উৎসঃ ঢাকাটাইমস

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪


এলজিইডির ভুলে ২০ কোটি টাকা গচ্চার আশঙ্কা খিলগাঁও ফ্লাইওভারে নতুন লুপ অমিতোষ পাল | প্রকাশ : ১২ মে, ২০১৪ ১১:১৯:৪৮]
নতুন লুপের কাজ অর্ধেক এগিয়ে নেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, এটা সম্ভব নয়। অমিতোষ পাল সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই না করেই খিলগাঁও ফ্লাইওভারে অতিরিক্ত লুপ সংযোজন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। নতুন লুপের কাজ অর্ধেক এগিয়ে নেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, এটা সম্ভব নয়।এলজিইডির ভুলে ২০ কোটি টাকা গচ্চার আশঙ্কা এমন বাস্তবতায় এ পর্যন্ত ব্যয় করা অর্থের পুরোটাই পানিতে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত লুপের বেশ কয়েকটি র‌্যাম যেখানে বসবে, সেখানে রয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বিশাল মার্কেট। সিটি করপোরেশন সেই মার্কেট ভাঙতে নারাজ। যে কারণে অন্য অংশের কাজ শেষ হলেও ওই অংশে কাজ করতে পারছে না এলজিইডি। চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে অতিরিক্ত লুপ তৈরির কাজ। জানা গেছে, মালিবাগ থেকে সায়েদাবাদ যেতে খিলগাঁও ফ্লাইওভার ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও মালিবাগ থেকে রাজারবাগ হয়ে মতিঝিল এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ফ্লাইওভার ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া বাসাবো এলাকার বাসিন্দারাও এ পর্যন্ত ফ্লাইওভারের কোনো সুফল পাননি। সে জন্য বাসাবো পয়েন্টে একটি অতিরিক্ত লুপ সায়েদাবাদ অভিমুখ দিয়ে ঘুরিয়ে রাজারবাগ পয়েন্টে সংযোজনের পরিকল্পনা করে এলজিইডি। সে অনুযায়ী ৮০ কোটি টাকা বাজেট করে কাজও শুরু হয়। কয়েকটি র‌্যামও স্থাপিত হয় বাসাবো পয়েন্টে। পরে শাহজাহানপুর এলাকায় গিয়ে বাধে বিপত্তি। যেখানে র‌্যাম বসিয়ে রাজারবাগ অভিমুখের মূল ফ্লাইওভারের সঙ্গে লুপটি সংযোজন করতে হবে, ওই স্থানে রয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি বিশাল মার্কেট। র‌্যাম বসাতে হলে পুরো মার্কেটই ভেঙে ফেলতে হবে। ওই মার্কেটের জায়গা সিটি করপোরেশনের। মার্কেটের দোকান মালিকদের প্রতিবাদের মুখে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। এলজিইডির এক প্রকৌশলী সমকালকে বলেন, এ ধরনের একটি লুপ সংযোজন করার আগে প্রয়োজনীয় সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। তিনি জানান, এরই মধ্যে চার-পাঁচটি র‌্যাম তৈরিও হয়ে গেছে। ব্যয়ের পরিমাণও অন্তত ২০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। মার্কেটটি না ভাঙলে পুরো কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। আবার সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বিরোধিতাও করেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক প্রকৌশলী বলেন, শাহজাহানপুরে যে পয়েন্ট দিয়ে নতুন লুপটি বাঁক নিয়েছে, সেখান দিয়ে ৬০ ফুট প্রশস্ত একটি রাস্তা আছে। রাস্তাটি সোজা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের কাছে গিয়ে মিশেছে। এ রাস্তা চলাচলের উপযোগী করলে নতুন লুপটি তৈরির প্রয়োজন পড়ে না। এ ছাড়া ফ্লাইওভারের রাজারবাগ পয়েন্টের আউটলেটে এমনিতেই গাড়িগুলো জ্যামে আটকে থাকে। এখন নতুন লুপ চালু হলে বাসাবো থেকেই ফ্লাইওভারের ওপরে জ্যাম শুরু হবে। অন্যদিকে মগবাজার ফ্লাইওভারের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন প্রকৌশলী সমকালকে বলেন, মগবাজার ফ্লাইওভারেরও একটি আউটলেট রয়েছে রাজারবাগ পয়েন্টে। কাজেই এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হলে রাজারবাগ পয়েন্টের যানজট অসহনীয় হয়ে উঠবে। নতুন লুপ তৈরির সময় এ বিষয়টি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করেনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের (টিইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশিকুর রহমান সমকালকে বলেন, একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন লুপটি তৈরি হচ্ছে। এটির প্রয়োজনীয়তা অবহিত করেছি কর্তৃপক্ষকে। খিলগাঁও ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, শাহজাহানপুর পয়েন্টে ফ্লাইওভারের কাজ বন্ধ থাকলেও বাসাবো এলাকায় চলছে। সিটি করপোরেশনের ওই মার্কেট স্থানান্তর করে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিটি করপোরেশনও রাজি হয়েছে। নতুন লুপের ফলে রাজারবাগ পয়েন্টে যানজট বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনও রামপুরা-মালিবাগ বা প্রগতি সরণির গাড়িগুলো ফ্লাইওভার ব্যবহার করে। সেগুলো সায়েদাবাদ পয়েন্ট হয়ে ঘুরেই রাজারবাগ গিয়ে নামে। এ কারণে অতিরিক্ত যানজট হবে না। মগবাজার ফ্লাইওভারের আউটলেট রাজারবাগ পয়েন্টে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে তো সমস্যা অনেক। একটির সমাধান হতে না হতেই আরেকটি যোগ হয়ে যায়।'

র্নো নির্মাতার সাথে ক্যাটরিনার গোপন ছবি ফাঁস! May 12, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in সংস্কৃতি-বিনোদন with 0 Comments katrinaসংস্কৃতি-বিনোদন ডেস্ক নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম পর্নো নির্মাতা টেরি স্টিফেনের সাথে বলিউড তারকা ক্যাটরিনা কাইফ ও তার বোন ইসাবেলার সদ্য তোলা দুটি ছবি ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে। ছবিতে তাদের একসাথে সেলফি তুলতে দেখা যায়। ক্যাটের বোন ইসাবেলার সাথে স্টিফেনের খুব বেশি ঘনিষ্ট ছবি আপলোড করা হয়েছে ইন্টারনেটে। ইন্টারনেটে ইতিমধ্যেই বেশ আলোচনার ঝড় তুলেছে এই ছবি গুলো। Issabelaধারণা করা হচ্ছে, কোনো পর্নো ছবির চুক্তি সাক্ষর করতেই স্টিফেনের বাসায় গিয়েছিলেন বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ এবং তার বোন ইসাবেলা কাইফ। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১২ মে, ২০১৪/১৮.২৪/মেহেদী হাসান আরো খবর: কারিনার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস: সাইফ-কারিনা দ্বন্ধ চরমে! অক্ষয়ের বিপরীতে কাকে বেশি মানায়- সোনাক্ষি নাকি ক্যটরিনা? পরীক্ষার্থীরা বলছেন সব বিষয়ের প্রশ্ন ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে ‘নগ্ন না হলে মিস এ্যাওয়ার্ড জেতা যায় না’ চুয়াডাঙ্গায় গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা

হেফাজতের মিটিংয়ের জন্য ৪ রাত ঘুমাতে পারিনি : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ফরিদপুর অফিস ১২ মে ২০১৪, সোমবার, ১০:৩৭ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, ফরিদপুরে হেফাজতে ইসলামের মিটিংয়ের জন্য চার রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। সবসময় চিন্তায় ছিলাম ওরা আবার কী করে বসে। মানবধর্মের ওপর তারা আবার আঘাত করে কি না এই চিন্তায় আমার ঘুম হয়নি। যেখানেই থাকি, যেভাবেই থাকি, কাউকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেবো না। গত শনিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের শ্রী অঙ্গন ধামে আয়োজিত এক ধর্মীয় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দর আজীবন মানবধর্ম প্রচার করেছেন। এই শ্রী অঙ্গনকে আমি রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে চাই। এখানে রাজনীতির কোনো স্থান নেই। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার একদিন আগেও আওয়ামী লীগ সরকার মতা হস্তান্তর করবে না বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। মহানাম সম্প্রদায় বাংলাদেশের সভাপতি কান্তিবন্ধু ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান, পুলিশ সুপার জামিল হাসান, পৌরমেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, জেলা সিভিল সার্জন সিরাজুল ইসলাম তালুকদার ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোবারক মিয়া বাবু। স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রী অঙ্গন মহানাম সম্প্রদায়ের সাধারণ স¤পাদক শ্রীমত বন্ধুসেবক ব্রহ্মচারী। অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন শ্রী অঙ্গন মহানাম সম্প্রদায়ের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, শ্রী অঙ্গন মহানাম সম্প্রদায়ের সেবাইত মানসবন্ধু ব্রহ্মচারী, শ্রী অঙ্গন মহানাম সম্প্রদায়ের নির্বাহী সদস্য যশোদাজীবন দেবনাথ প্রমুখ।

সাত খুন: অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন 12 May, 2014 নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডারের সঙ্গে যাদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনে অস্বাভাবিকতা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই খুনের আগে ও পরে ঘটনায় অভিযু্ক্ত এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি(স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন, বাবা, মা ইত্যাদি) ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে বিচ্ছিন্নভাবে টাকা জমা দেয়া ও উঠানোর ঘটনা ঘটেছে। যা গত ছয়মাসে এইসব ব্যাংক হিসাবে হয়নি। খুনের ঘটনার পর নিহত কমিশনার নজরুলের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন র‌্যাব-১১ অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ৬ কোটি টাকা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আর এই অর্থ সরবরাহ করেছে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন। শহীদ চেয়ারম্যান দাবি করেন ‍খুন করানোর জন্য টাকা লেনদেন হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে। শহীদ চেয়ারম্যানের এই দাবির পর বাংলাদেশ ব্যাংক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে যারা অভিযু্ক্ত তাদের এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের খোঁজ নিতে শুরু করে। ৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে এ নিয়ে পরিদর্শন চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, ‘অভিযু্ক্ত এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যতগুলো ব্যাংক হিসাব চিহ্নিত করা গেছে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে যে তদন্ত হয়েছে, তাতে দেখা গেছে কিছু হিসাবে নারায়ণগঞ্জের ঘটনার আগে ও পরে ছোট-বড় লেনদেন হয়েছে। তবে এই লেনদেনের সঙ্গে ঘটনার কোনো সম্পৃ্ক্ততা আছে কি না তা এনখও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। লেনদেনগুলোকে কি সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে কি না জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান বলেন, যেহেতু বিষয়টি এখনও প্রমাণিত না, সেহেতু লেনদেনগুলোকে আমরা এই মুহূর্তে সন্দেহজনক বা সন্দেহজনক নয় কোনোটাই বলবো না। কর্নেল তারেক সাঈদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা পাওয়া গেছে কি না তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব সম্পর্কে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। এই ঘটনাটির সঙ্গে ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনে গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে সব জানানো হবে। কোনো কোনো ব্যাংকে, কার কার কতগুলো হিসাব তদন্ত করা হয়েছে সেবিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। তদন্ত দলের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা কয়েটি একাউন্ট দেখেছি, যেখানে এই ঘটনার আগে ও পরে যে ধরনের লেনদেন হয়েছে, গত ছয় মাসে তা হয়নি। এই খুনের সঙ্গে সম্পৃকক্ততার অভিযোগে র‌্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে তারেক সাঈদ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়ে জামাই। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। লাশ উদ্ধারের আগের দিন তারেক সাঈদকে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়েছিল। এরপর নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে র‌্যাব সদস্যরা তার জামাতাসহ সাতজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। ওই অভিযোগ ওঠার পর গত ৭ মে সাঈদসহ র‌্যাব-১১ এর ওই তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অকালীন অবসরে পাঠানো হয়। উৎসঃ প্রাইমনিউজবিডি

কেমন পুরুষদের প্রতি আকর্ষণবোধ করেন নারীরা? 13 May, 2014 সৃষ্টির শুরু থেকেই নারী পুরুষ একজন আরেকজনের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। এটি প্রাকৃতিক নিয়মেই ঘটে থাকে। অবশ্য কিছুটা ব্যতিক্রমও চোখে পরে। কিন্তু সে যাই হোক, নারী ও পুরুষের মধ্যকার এই আকর্ষণবোধ আছে এবং থাকবে। প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা তেমনই আলাদা তাদের পছন্দ। একজনের কাছে যা অনেক পছন্দের অন্যের কাছে তা পছন্দ নাও হতে পারে। পুরুষরা অনেক সময় এই চিন্তা করে থাকেন নারীদের আসলে কি ধরণের পুরুষ পছন্দ। অনেক পুরুষ আরেকজনকে দেখে মনে মনে ভাবেন, ‘কি কারণে নারীরা তাকে এতো বেশি পছন্দ করেন’। সত্যি বলতে কি একেক ধরনের নারীর কাছে একেক বৈশিষ্ট্যের পুরুষ পছন্দনীয় হয়ে থাকে। কিন্তু নারীরা কয়েক ধরণের পুরুষের প্রতি বেশ আকর্ষণ বোধ করে থাকেন। এই আকর্ষণটাই নিয়ন্ত্রণ করে নারীর পছন্দ। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক সেই ৫ ধরণের পুরুষ যাদের প্রতি নারীরা আকর্ষণবোধ করেন। বুদ্ধিমান পুরুষ নারীদের কাছে বুদ্ধিমান পুরুষ খুবই পছন্দের। বুদ্ধিমান পুরুষের কথা বলার ধরণ, আচার আচরণ এবং সেন্স অফ হিউমার অন্যান্যদের তুলনায় বেশ আলাদা ধরণের থাকে। তারা শুধুমাত্র তাদের সেন্স অফ হিউমার ব্যবহার করে নারীরা কখন কোন জিনিসটি পছন্দ করেন তা বুঝতে পারেন। যে কোনো ধরণের সমস্যা তুড়ি বাজিয়েই সমাধান করার ক্ষমতা রাখেন। আর এ কারনেই নারীরা বুদ্ধিমান পুরুষদের প্রতি অনুভব করেন দুর্নিবার আকর্ষণ। আত্মবিশ্বাসী পুরুষ মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী পুরুষদের অনেক পছন্দ করেন। আত্মবিশ্বাসী পুরুষেরা নিজের সম্পর্কে এবং নিজের জীবন এবং সম্পর্ক সম্বন্ধে বেশ পরিষ্কার ধারণা দিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে কোনো ধরণের মেকী ভাব থাকে না। তারা অনেক সোজাসাপ্টা চলাফেরা করেন তা নারীদের আকর্ষণের মূল কারণ। আর স্বভাবসুলব কারনেই মেয়েরা নিজের চাইতে বেশি আত্মবিশ্বাসী পুরুষ পছন্দ করে থাকেন। মনোযোগী পুরুষ নারীরা চান তাদের কথা কেউ মন দিয়ে শুনুক। সব সময় বুঝতে হবে এমন কোনো কথা নেই, শুধুমাত্র কেউ তাদের কথা মন দিয়ে শুনছেন তা তাদের মনে বেশ বড় ছাপ ফেলে যায়। নিজেকে তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নারীরা। সেকারণে নারীদের মনোযোগী পুরুষ খুব পছন্দের হয়ে থাকে। আড্ডায় বা কোনো স্থানে কথা বলার সময় যে পুরুষটি তার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, লক্ষ্য করলে দেখবেন নারীরা সেই পুরুষের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করেন। কারণ নারীরা এই ধরণের মনোযোগী পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে থাকেন। রোম্যান্টিক পুরুষ নারীরা অনেক বেশি রোম্যান্টিক স্বভাবের হয়ে থাকে। বোঝার বয়স হওয়ার পর থেকেই তাদের মনের ভেতরে যে স্বপ্ন বোনা শুরু হয় একজন স্বপ্নের রাজপুত্র নিয়ে এটি তারই বহিঃপ্রকাশ। স্বপ্নের জগতে অনেক রোম্যান্টিক জিনিস চিন্তা ভাবনা করে থাকেন নারীরা। সে কারণে রোম্যান্টিক ধরণের পুরুষের সকল আচার আচরণ নারীদের আকর্ষণ করে থাকে। রোম্যান্টিক পুরুষের সাথে মেলামেশায় নারীরা নিজেদের স্বপ্নের রাজপুত্রের দেখা পেয়েছেন বলে ভাবতে থাকেন। প্লে’বয় ধরণের পুরুষ প্লে’বয় ধরণের পুরুষের প্রতি বেশিভাগ নারীরাই আকর্ষণবোধ করে থাকেন। এর কারণ এই ধরণের পুরুষের মধ্যে রয়েছে নারীদের চাহিদামতো সকল বৈশিষ্ট্য। আত্মবিশ্বাস, পৌরুষ, সম্পর্কে খানিকটা ‘ডমিনেটিং’ ভাব, রহস্যময়টা এবং স্টাইল এই সবই যা নারীদের আকর্ষণ করে রয়েছে এই ধরণের পুরুষের মধ্যে। নারীরা রাফ এবং ডেয়ারিং স্বভাবের কারনেও এই ধরণের পুরুষের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন।

নগ্ন হয়ে চলাফেরার বৈধতা দিলো জার্মানি! April 15, 2014 by নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/এআই in বিদেশ with 0 Comments jarmanyনিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম আন্তর্জাতিক ডেস্ক আমি পোশাক পরব কি পরব না সেটা আমার ব্যাপার। সত্যি বলতে নগ্ন থাকতেই আমি বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করি। কিন্তু নগ্ন হয়তো আর ঘরের বাইরে প্রকাশ্যে বের হওয়া যায় না। শরীর অনাবৃত রেখে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতদিন এমনটাই আফসোস ছিল ইউরোপের বেশ কিছু সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের। এবার শরীর অনাবৃত রেখে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো যাবে না সেই নিয়মটাই তুলে দিল জার্মান সরকার। জার্মানির মিউনিখ ছটি অঞ্চলে নগ্ন হয়ে ঘোরার ছাড়পত্র দেওয়া হল। জার্মানির অন্যতম বড় শহরে মিউনিখে এই ৬টি অঞ্চলের নাম দেওয়া হল “আরবান ন্যাকেড জোনস” (urban naked zones)। এই ছটি জোনে যে কেউ যে কোনও পোশাকে এমনকী নগ্ন হয়েও চলাফেরা করতে পারবে। একটি নির্দেশিকা জারি করে মিউনিখ শহরের ওই ৬টি অঞ্চলের নাম উল্লেখ করে লেখা হল, যে কেউ যে কোনও ভাবে এখানে ঘুরতে পারবে। নগ্ন হয়ে ঘুরলেও এখানে গ্রেফতার হওয়ার ভয় নেই। নগ্ন হলে নিরাপত্তারও অভাব হবে না বলে জানানো হয়েছে। নগ্ন অঞ্চল ঘোষিত হয়েছে তার মধ্যে একটি হল মিউনিখ শহর থেকে মিনিট দশেক দূরে একটি পার্ক। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১৫ এপ্রিল, ২০১৪/১৭.১০/আরিফুল ইসলাম আরো খবর: ‘নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে পারব না’ চোখ বন্ধ করুন: আপনার প্রিয় সেলিব্রেটির নগ্ন চিত্র পার্টিতে নগ্ন হয়ে নাচলেন সানি লিওন! বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না আঁখির বার্লিনে খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলন বাড়ছে! - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/04/15/world/124521#sthash.9ZUXdC3x.dpuf

বাংলাদেশের যৌনকর্মীদের কথা May 12, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এমএ in জীবনধারা with 0 Comments sexপৃথিবীর আদিম এক পেশা পতিতাবৃত্তি৷ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই চালু রয়েছে এই পেশা৷ বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন আছেন বাংলাদেশের যৌনকর্মীরা? এই ছবিঘরে তাদের অবস্থা কিছুটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ যেভাবে যৌনপল্লীতে আগমন বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়ে যৌনপল্লীতে হাজির হন মেয়েরা৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের অতিদরিদ্র্য পরিবারের সদস্যরা কখনো কখনো অর্থের লোভে মেয়েদের বিক্রি করে দেন বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা৷ এছাড়া ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে কিংবা বিদেশ যাওয়ার লোভ দেখিয়েও মেয়েদের যৌনপল্লীতে নেয়া হয়৷ যৌনকর্মীদের জন্য ‘গরুর ট্যাবলেট’ ফরিদপুরের সরকার অনুমোদিত যৌনপল্লীর ছবি এটি৷ অভিযোগ রয়েছে, পল্লীর মালিক নতুন আসা যৌনকর্মীদের স্টেরয়েড ট্যাবলেট সেবনে বাধ্য করেন, যা সাধারণত গরুকে খাওয়ানো হয়৷ গরুর স্বাস্থ্য বাড়াতে ব্যবহার করা এই ট্যাবলেট মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর৷ অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ‘ইনজেকশন’ বাংলাদেশের এক যৌনপল্লীর মালিক রোকেয়া জানান, স্টেরয়েড ওষুধ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ভালো কাজে দেয়৷ কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক, বিশেষ করে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়৷ অপ্রাপ্তবয়সিদের স্বাস্থ্য ভালো করতে বিশেষ ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় বলে জানান ৫০ বছর বয়সি রোকেয়া৷ অধিকাংশ যৌনকর্মী ‘স্টেরয়েড আসক্ত’ আন্তর্জাতিক উন্নয়নসংস্থা একশনএইড ইউকে এক সমীক্ষার ভিত্তিতে ২০১০ সালে জানায়, বাংলাদেশের প্রায় নব্বই শতাংশ যৌনকর্মী ওরাডেক্সন বা অন্যান্য স্টেরয়েড ট্যাবলেট নিয়মিত গ্রহণ করে৷ তাদের গড় বয়স ১৫-৩৫ বছর৷ বাংলাদেশে দু’লাখের মতো যৌনকর্মী রয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারণা চালাচ্ছে একশনএইড৷ সংস্থাটির বাংলাদেশ অংশের কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার জানিয়েছেন, ‘‘ওরাডেক্সন গ্রহণ করার পর শুরুতে মেয়েদের শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়তে থাকে৷ কিন্তু এটি নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চামড়ায় ক্ষতসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়৷’’ এইচআইভি সংক্রমণ বাংলাদেশে যৌনকর্মীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের খবর মাঝে মাঝে পত্রিকায় প্রকাশ হয়৷ তবে ঠিক কতজন যৌনকর্মী এইচআইভি আক্রান্ত তার হালনাগাদ কোন হিসাব পাওয়া যায়নি৷ অনেকক্ষেত্রে কনডম ব্যবহারে খদ্দেরের অনীহা যৌনকর্মীদের মাঝে যৌনরোগ ছড়াতে সহায়ক হচ্ছে৷ ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ যৌনকর্মী বাংলাদেশের যৌনপল্লীগুলোতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জোর করে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টাঙ্গাইলের সাংবাদিক বুলবুল মল্লিক জানান, ‘‘টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া পতিতালয়ে প্রায় নয়শো যৌনকর্মীর বাস৷ এর মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক, মানে অল্প বয়সি কর্মীর সংখ্যা ৫০’এর বেশি৷’’ শত বছরের পুরনো পল্লী উচ্ছেদ মাদারিপুরের পতিতাপল্লীটি ছিল শত বছরের পুরনো৷ গত বছর এই পল্লী উচ্ছেদ করেছেন স্থানীয়রা৷ এমনকি পল্লীটি জোরপূর্বক উচ্ছেদ না করার হাইকোর্টের আদেশও এ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হয়েছে৷ সেখানে পাঁচশোর মতো যৌনকর্মী বাস করতেন৷ এরকম উচ্ছেদের আতঙ্কে রয়েছেন আরো অনেক যৌনকর্মী৷ আরো খবর: কনডম ব্যবহারের মারাত্মক কুফল জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ির মারাত্মক কুফল যৌন উত্তেজক ড্রিংসে আসক্ত হয়ে পড়ছে লালমনিরহাটের যুব সমাজ চার দিকে প্রতারক অতিষ্ঠ জনজীবন এবার স্কুলে কনডমের দোকান! - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/05/12/gallery/lifestyle/130470#sthash.66BpxZto.dpuf

বার্লিনে খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলন বাড়ছে! May 12, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in রকমারি with 0 Comments coupleনিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম ঢাকা গ্রীষ্মে বার্লিন রূপ নেয় বিশাল, খোলা আকাশের নীচে পার্টির একটি স্থান হিসেবে৷ বার্লিনবাসী সাধারণত যা ঘরের মধ্যে করতে ভালোবাসেন, গ্রীষ্মে সেসব করেন ঘরের বাইরে৷ গ্রীষ্মের প্রথম প্রখর সূর্যোদয়কে বার্লিনবাসী মনে করেন সবুজ সংকেত৷ এই সংকেত পেয়ে তাঁরা নিজেদের যাবতীয় ব্যক্তিগত বিষয়াদি খোলা আকাশের নীচে নিয়ে যান৷ এই সবের মধ্যে তাঁদের শোবার ঘরও পরে৷ ফলে শোবার ঘরের কাজ বলে আমরা যা মনে করি, মানে যৌন মিলন, সেটাও বার্লিনবাসী সারেন প্রকাশ্যে খোলা আকাশের নীচে৷ এই ধারা নাকি ক্রমশ বাড়ছে৷ আর এই কাজে স্থান বিবেচনার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো বাছবিচার নেই৷ পার্ক, রাস্তা, পার্কিং-এর জায়গা, নদীর পাড়, বাগান, এমনকি বাড়ির ছাদ – যেখানে সম্ভব সেখানেই শুয়ে পড়ছেন তাঁরা৷ এ বছর অবশ্য বার্লিনে গ্রীষ্ম একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং হঠাৎ ঠান্ডার জন্য এই পরিস্থিতি৷ তাসত্ত্বেও খোলা আকাশের নীচে যৌনাচার শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে৷ বিষয়টি এত তীব্র আকার ধারন করছে যে শহর কর্তৃপক্ষও উদ্বিগ্ন৷ জার্মান পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনযায়ী, ২০১২ সালে মুক্ত পরিবেশে সঙ্গমে অংশ নেওয়া ২৩৯ ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে পুলিশ৷ গড়ে তাঁদের দেড়শো ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে৷ আগের তিন বছরের তুলনায় জরিমানার এই হার প্রায় দ্বিগুন৷ বার্লিনের সবচেয়ে বড়, বিখ্যাত বাগানটি হচ্ছে ‘টিয়ারগার্টেন’ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ট্রেপটাওয়ার পার্ক’৷ মুক্ত পরিবেশে শারীরিক মিলনের জন্য এই দু’টি জায়গাই বার্লিনবাসীর সবচেয়ে পছন্দ৷ টিয়ারগার্টেনের একটি অংশে মিলনে আগ্রহীদের ভিড় এত বেশি যে সেখানে পুলিশ বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা চালুতে বাধ্য হয়েছে৷ তবে বার্লিনের সব বাসিন্দাই যে এমনটা চান, তা কিন্তু নয়৷ সাধারণভাবে তাঁরা অত্যন্ত উদার হলেও অনেকে খোলা আকাশের নীচে এরকম সঙ্গম রোধ বা অন্ততপক্ষে নিয়ন্ত্রণের পক্ষে৷ জার্মান আইনে অবশ্য পাবলিক প্লেসে নগ্ন হতে কোনো বাধা নেই৷ আরো বিভ্রান্তিকর ব্যাপার হচ্ছে, খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলনেও আইন অনুযায়ী বাধা নেই – শুধু অন্তত একটি টাওয়েল ব্যবহার করে নিজেদের ঢেকে রাখতে হবে৷ রাজধানীতে নগ্ন সংস্কৃতি: গভীর রাতে খোলা পরিবেশে উন্মত্ত যৌন মিলন, যার দর্শক শুধু কাঠবিড়ালিরা – এমন হলেও না হয় মানা যেত৷ কিন্তু প্রকাশ্যে দিনেরবেলা এরকম মিলন দৃশ্য বোধহয় শোভনীয় নয়৷ বিশেষ করে যাঁরা যৌনতার বিষয়াদি দরজার আড়ালে, চার দেয়ালের মধ্যে রাখতে পছন্দ করি, তাঁদের জন্য বিব্রতকরও৷ তবে বার্লিনে কিন্তু নগ্নতাবাদ, জার্মান ভাষায় যাকে বলে ‘ফ্রাইকর্পারকুলট্যুর’ নতুন নয়৷ ১৯২০ সালের দিকে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সেখানে নগ্ন দেহের প্রদর্শনী শুরু হয়৷ আর নগ্নতা বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় বার্লিনে, ১৯২৯ সালে৷ ২০১৩ সাল, মানে চলতি বছর খোলা আকাশের নীচে সঙ্গম প্রতিরোধে বেশ সক্রিয় পুলিশ৷ সামাজিক ন্যায়বিচারের স্বার্থে এটা করছে তারা৷ কিন্তু প্রতিরোধ সহজ নয়৷ সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে কিংবা গাড়ি থামিয়ে হঠাৎ হয়ত কোনো জুটি কোথাও শুরু করে দিল সঙ্গম৷ ফলে দ্রুত তাঁদের ঠেকানো কঠিন৷ তবে এই চর্চা বাড়ায় শহরের খানিকটা লাভও হচ্ছে৷ প্রকাশ্যে সঙ্গমরতদের ধরতে পারলেই আর্থিক জরিমানা করছে পুলিশ৷ এভাবে অনেক টাকা আয় হচ্ছে৷ অবশ্য জরিমানার ক্ষেত্রে নিয়ম খানিকটা শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ৷ বেকাররা এক্ষেত্রে ছাড় পাবে৷ রাস্তাঘাটে সঙ্গমরত অবস্থায় ধরা পড়লে তাঁদের জরিমানা ৩৪ ইউরো৷ বার্লিনবাসী এবং সস্তায় বার্লিন ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে৷ আপনাদের উচিত হবে গ্রীষ্মে ঠিকঠাক পোশাক পরে রাস্তায় বের হওয়া৷ তাতে করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলো রোদে পোড়া থেকে রক্ষা পাবে৷ সুস্থ জীবনের জন্য এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১২ মে, ২০১৪/২২.৪০/মেহেদী হাসান আরো খবর: নগ্ন হয়ে চলাফেরার বৈধতা দিলো জার্মানি! মেয়েরাই বলছে, ‘এমন কাপড় চাই না’ ওজন বাড়লে গর্ভনিরোধ অকার্যকর! কয়েকটি জেলায় স্বস্তির বৃষ্টি বাংলাদেশের যৌনকর্মীদের কথা - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/05/12/gallery/various/130671#sthash.KQD1ab2q.dpuf

এ দাগটাকে সারা জীবন বয়ে নিতে চাই'
12 May, 2014 ছবি মুক্তির আগেই যে কজন অভিনেত্রী আলোচনায় উঠে এসেছেন তাদের মধ্যে পরীমণি অন্যতম। মূলত লাস্যময়ী চেহারা ও বডিফিটনেসের কারণে নিজস্ব একটা জায়গা করে নিয়েছেন ফিল্মপাড়ায়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। হয়েছেন নামি-দামি কয়েকটি কোম্পানির মডেল। এবার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন বড় পর্দায় অভিষেকের জন্য। সবকিছু ঠিকমতো এগুলে নজরুল ইসলাম খানের রানা প্লাজা ছবির মাধ্যমে রুপালি জগতে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন উদীয়মান এই অভিনেত্রী। এ ছবির আগে আরও কয়েকটি ছবির কাজ শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে মুক্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে রানা প্লাজা ছবিটি। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা সায়মন। এ ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে সাভারের আলোচিত সেই রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি। আর সেই ট্রাজেডির রেশমার চরিত্রে দেখা যাবে পরীকে। বোদ্ধারা বলছেন, এ ছবির ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে তার ভবিষ্যত্। পরী কতটুকু ডানা মেলতে পারেন তা দেখা যাবে ছবিটির মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পরী বলেন, ছবিটি যেহেতু একটি বাস্তব ঘটনার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে তাই আমি আশাবাদী। বলতে পারেন এটি আমার ড্রিম প্রজেক্ট। আমাদের ফিল্মপাড়ায় অনেক অভিনেত্রী আছেন যারা প্রথম ছবি দিয়েই দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। যেমন— কেয়ামত থেকে কেয়ামতে মৌসুমী, চাঁদনী রাতে শাবনূর এবং চাঁদনীতে শাবনাজ। আমিও চাচ্ছি এ ছবিটি যেন টার্নিং পয়েন্ট হয়। পরী আরও বলেন, ছবির একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে আহত হয়েছিলাম। ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হওয়ার সময় হাতে-পায়ে ও মাথায় আঘাত পাই। হাতে অনেকখানি কেটেও যায়। কাটা অংশ শুকালেও ক্ষতের দাগটা এখনও রয়েই গেছে। এই দাগটাকে সারা জীবন বয়ে নিতে চাই। যাতে করে প্রথম ছবির কথা আজীবন মনে থাকে। উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

লিভ টুগেদারের সঙ্গীকে খুনের পর গণধর্ষণ! May 10, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in প্রতিবেশী with 0 Comments indiaপ্রতিবেশী ডেস্ক নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম লিভ টুগেদারের পার্টনারকে খুনের পর তাঁকে ধর্ষণ করল এক যুবক। শুধু তাই নয়, তার এক বন্ধুও মৃতাকে ধর্ষণ করে। এর পর তাঁর মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে ওই দুই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির বিন্দাপুরে। ময়নাতদন্তর রিপোর্টে জানা গেছে, হত্যার পর ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়। ২ মে মৃতদেহ উদ্ধার করার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের নাম গুলফাম এবং মহম্মদ রফিক। তারা জানিয়েছে, ২৯ এপ্রিল শ্বাসরোধ করে ওই যুবতীকে খুন করে তাঁরা। ধর্ষণ করার পর যুবতীর দেহ আলমারির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গুলফাম ওই যুবতীর সঙ্গে বিন্দাপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকত। রফিক দু’জনেরই বন্ধু ছিল। পরে রফিক এবং গুলফাম জানতে পারে, এক প্রতিবেশীর সঙ্গে যুবতীর প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এবং তাঁরা বিয়ের পরিকল্পনাও করছেন। এর পরই রেগে যায় গুলফাম। হত্যার পরিকল্পনা করে বন্ধুর সঙ্গে মিলে। তার পরই যুবতীকে হত্যা করে তারা। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১০ মে, ২০১৪/২২.৩৪/মেহেদী হাসান আরো খবর: বড় বোনের বিয়ের দিনে ধর্ষিত হলেন ছোট বোন মোবাইল অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল, অত:পর ধর্ষণ! মাদারীপুরে নিখোঁজ যুবতীর লাশ উদ্ধার শ্যালিকাকে গণধর্ষণ : গ্রেপ্তার হলেন বড় বোন, দুলাভাই পলাতক কিশোরীকে অপহরণ করে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/05/10/others/neighbour/130173#sthash.ySjAX6Yn.dpuf

বড় বোনের বিয়ের দিনে ধর্ষিত হলেন ছোট বোন May 13, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এমএ in প্রতিবেশী with 0 Comments বড় বোনের বিয়ের দিনেই ধর্ষিত হলেন ছোট বোন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে। ঘটনায় এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অপর অভিযুক্ত পলাতক। জানা গিয়েছে, হিরাগঞ্জের মহেশগঞ্জ এলাকায় শুক্রবার বিয়ে ছিল। বাড়ির লোকেরা যখন বিয়ের কাজে ব্যস্ত, তখনই কনের বোনকে জোর করে পাশের বাগানে টেনে নিয়ে যায় দুই জন যুবক। অভিযোগ, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা অমরেশ সরোজ নামে এক যুবক নিজের বন্ধুর সঙ্গে মিলে যুবতীকে ধর্ষণ করে। এর পর ওই যুবতীকে সেখানে রেখেই পালিয়ে যায় তারা। যুবতীকে দেখতে না-পেয়ে তাঁর খোঁজ শুরু হয়। শনিবার সকালে গ্রামের লোকেরা বাগানে নিগৃহীতাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। নিগৃহীতার বাড়ির লোকেদের খবর দেওয়া হয়। বিয়ের কাজকর্ম শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর চিকিত্‍‌সা করানো হয়। জ্ঞান ফিরলে তিনি ঘটনার কথা সকলকে জানান। এর পরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। অমরেশ সরোজ-সহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মহেশগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অমরেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আরো খবর: লিভ টুগেদারের সঙ্গীকে খুনের পর গণধর্ষণ! বড় বোনের হবু স্বামীকে ছোট বোনের বিয়ে বিয়ের আসরে কনেকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রেমিক শিক্ষিকাকে উলঙ্গ করে মারধর! বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে কারাগারে - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/05/13/others/neighbour/130693#sthash.OxmF0TuX.dpuf

ভিডিও >> টাকার জন্য এই প্রথম আর্মি অফিসার খুনি হয়েছে 12 May, 2014 বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে। অতীতে সেনাবাহিনীকে কেউ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে আবার সেনাবাহিনী রাজনীতিকে ব্যবহার করেছে। কিন্তু এই প্রথম বাংলাদেশে কোন আর্মি অফিসার টাকার বিনিময়ে খুনি হয়েছেন। বেসরকারি টেলিভিশন বাংলা ভিশনের ফ্রন্ট লাইনে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল সাইদ তারেক একজন সিরিয়াল কিলার। তিনি ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর হত্যা অপরাধের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের নির্যাতন ও হত্যার সাথে তার নাম জড়িত রয়েছে। এবার নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ার পরেও কেন কি কারণে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তার কারণ বোধগম্য নয়। আসিফ নজরুল বলেন, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা এই কারণে সাইদ তারেককে গ্রেফতার করা যাবে না এটা কোন কারণ হতে পারে না । ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে কয়েকটি খুনের ঘটনায় তার নামে অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি এসব র‌্যাব দিয়ে খুন করানো হয় তাহলে সে যখন বিপদে পড়ে তখন চট করে তাকে গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অনেকেই বলছেন যেহেতু সে সেনানিবাসে বসবাস করছে এই অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা সহজ হবে না। তিনি বলেন, তাপস হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে সেনানিবাস থেকে গ্রেফতারের নজির আছে। আর এখানে হত্যার অভিযোগে কেন গ্রেফতার করা যাবে না ? আসিফ নজরুল বলেন, সাইদ তারেক এসব কর্মকান্ড ঘটিয়ে সেনাবাহিনীর ইমেজ নষ্ট করেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা র‌্যাব বা যেকোন সংস্থায় কাজ করুক তাদের মনে রাখা দরকার তারা সেনাবাহিনীর সদস্য। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি এবং এজন্য মানুষ তাদের হৃদয়ে লালন করে। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, র‌্যাবের সংস্কার প্রয়োজন। যে লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে র‌্যাব গঠন করা হয়েছিল তারা যেন পেশাগত দক্ষতা ও পেশাগত মান বজায় রেখে কাজ করতে পারে তার জন্য এই বাহিনীর সংস্কার প্রয়োজন। জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমনে র‌্যাবের ভুমিকার জন্য এই বাহিনী মানুষের কাছে যথেষ্ট সম্মান অর্জন করেছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের পেশাগত কাজের চেয়ে অন্য বিষয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা অবশ্যই প্রয়োজন। যে বাহিনীর যে কাজ করা দরকার তা বাদ দিয়ে যখনই অন্য কাজে তাদের লাগানো হয় তখন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তারই নিকৃষ্ট একটি উদাহরণ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের ঘটনা। হুমায়ুন কবির বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এসব খবরে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী নিজেও বিনিয়োগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেশের ভেতরের মানুষ বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছে না সেখানে বিদেশিরা কিভাবে বিনিয়োগ করতে সাহস পাবে ? এসব ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল নারায়ণগঞ্জের ঘটনাকে শুধু নারায়ণগঞ্জকে কেন্দ্র করে দেখছে না। তারা নারায়ণগঞ্জকে সমগ্র দেশের সাথে তুলনা করছে। সম্পূর্ণ ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

অপরাধ, সমাজ ও রাষ্ট্র সৈয়দ আবুল মকসুদ | আপডেট: ০০:০৭, মে ১৩, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ ১ Like ৮ পরবর্তী অংশ কার্টুন: তুলিতঁার কোনো নিকট আত্মীয়স্বজন ছিল না। আমরা ডাকতাম সাধু ভাই। সাধু তিনি ছিলেন না। প্রথম জীবনে তো নয়ই। ছিলেন লম্পট। তঁাকে ডাকা উচিত ছিল লুচ্চা ভাই। কিন্তু আমি যখন তঁাকে দেখি তখন তিনি লম্পট নন, নিম্ন আয়ের নিরীহ সজ্জন ব্যক্তি। জিন্দাবাহার লেনে এক ছাপাখানার দপ্তরি। ভালো বইবঁাধাই করতেন। সারা দিন বসে বসে কাজ করে রাতে নিয়মিতভাবে গঁাজা সেবন করে বুঁদ হয়ে থাকতেন। আমাকে বিশেষ স্নেহ করতেন। আমার বইটই পড়ার অভ্যাস ছিল বলে সেই পঞ্চাশের দশকে তিনি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন কার্ল স্যান্ডবার্গের পথে প্রান্তরে, সরদার জয়েনউদ্দিনের গল্পের বই বীরকণ্ঠীর বিয়ে, খরস্রোত প্রভৃতি বই। তিনি শুধু গাঞ্জুটিয়া ছিলেন না, ছিলেন একজন খুনি। কীভাবে তিনি সাধু আখ্যা পেলেন সেই কাহিনি তঁার মুখেই শুনেছি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মধ্যে তিনি চাকরি করতেন কলকাতার এক ছাপাখানায়। পদ্মাপারে তঁাদের গ্রামের এক প্রান্তে বাস করতেন এক বোবা জেলে ও তঁার যুবতী বউ। একবার ছুটিতে বাড়ি এসে জেলের বউয়ের সঙ্গে গড়ে তোলেন অনৈতিক সম্পর্ক। মাছ ধরতে জেলে থাকেন সারা রাত পদ্মায়। একদিন মধ্যরাতে বাড়ি ফিরে দুইজনকে ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে জেলের মাথার রক্ত চড়ে যায়। বঁটি দিয়ে তঁাকে মারতে উদ্যত হতেই দা দিয়ে জেলেকে তিনি কোপ দেন। রক্তপাতে জেলে মারা যান। আদালতে তিনি দোষ স্বীকার করেন। তঁার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। বছর আটেক জেল খাটার পর পঞ্চাশের শুরুতে তিনি ছাড়া পান। মুক্তি পেয়ে যখন গ্রামে আসেন, তখন তঁার দীর্ঘ চুল ও লম্বা দাড়ি। লোকে নাম দিল সাধু। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বিয়ে করেছিলেন তঁার চেয়ে ১৫ বছরের বড় এক বিধবাকে। বছর দুই ঘর করার পর তঁাকে তালাক দেন। বিয়ে করেন তঁার চেয়ে ৩০ বছরের ছোট অতি অঁাটসঁাট শরীরের এক দরিদ্র সদ্যযুবতীকে। সন্তানসন্ততি নিয়ে এ সংসার তঁার সুখের হয়েছিল। দোষের মধ্যে দোষ ছিল গঁাজার কলকেতে দম দেওয়া। তঁাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, খুনের মামলা করেছিল কে? জেলের বউ? তিনি বলেছিলেন, সকালে উঠানে জেলের মৃতদেহ দেখে ইউনিয়ন বোর্ডের মেম্বর চৌকিদারকে দিয়ে থানায় খবর দেন। থানা নিজের থেকেই মামলা করে। আমাকে গ্রেপ্তার করে চালান দিলে আমি কোনো উকিল মোক্তার রাখিনি। সরকার থেকে আমাকে উকিল রেখে দেয়। কোর্ট দারোগার সঙ্গে আমার উকিলের জেরা হতো। অর্থাৎ অপরাধী বিত্তহীন হওয়ায় তঁার আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যবস্থা রাষ্ট্রই করে দেয়। তিনি জানান, তঁার উকিল তঁাকে বঁাচানোর জন্য বা কম শাস্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। হিন্দু জেলের হত্যাকাণ্ডে মুসলমান আসািমর পক্ষে হিন্দু উকিল তঁার সাধ্যমতো পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। সেটা ব্রিটিশ আমলের একেবারে শেষের দিক। আইনের শাসন বলতে যা বোঝায় তখন তা ছিল, যদিও দেশটি ছিল পরাধীন। পাকিস্তানি আমলেও আইনের শাসনের এই ধারা অব্যাহত ছিল, যদিও দেশে গণতন্ত্র ছিল না অধিকাংশ সময়। রাজনৈতিক মামলা-মোকদ্দমা ছাড়া সাধারণ অপরাধের বিচারে কোনো রকম হস্তক্ষেপ ছিল না। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট-আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতেন। সে জন্য জেলা ও দায়রা জজ তো দূরের কথা, মুনসেফ পর্যন্ত সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতেন না, পাছে কেউ তঁার কাছে তদবির করে। উল্লেখ করা কাহিিন থেকে যে জিনিসটি বোঝার আছে তা হলো, কোনো সভ্য সমাজে যে ব্যক্তি যেখানেই অপরাধ করুক, রাষ্ট্রের কর্তব্য তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া। পুলিশ ও প্রশাসনের কাজ অপরাধ আমলযোগ্য হলেই তা আইনের আওতায় আনা, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা। আদালতের দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে বিচারকাজ সম্পন্ন করা। আসািম নিঃস্ব না বিত্তবান, অসহায় না প্রভাবশালী, তা বিবেচ্য নয়। ভাওয়ালের রাজকুমারের চাঞ্চল্যকর মামলার কথা অনেকেই জানেন। অপরাধ মধ্যরাতে নির্জনে, না দিনদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় বহু লোকের সামনে সংঘটিত হলো, তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভাবার বিষয় নয়। আজকাল প্রায়ই শোনা যায়, থানার পুলিশ বলে, ‘আমরা জানি না’, ‘কেউ মামলা করে নাই’, ‘অভিযোগ এলে আমলে নেব’ ইত্যাদি। এসব আইনের শাসনের কোনো কথা হতে পারে না। ওই লোকটি মধ্যরাতে পরস্ত্রীতে উপগত হয়েছিলেন। খুনেরও কোনো সাক্ষী ছিল না। জেলের বউ ছিলেন খুনির পক্ষে। থানায় কেউ এজাহার দেয়িন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করে। আসািমকে খঁুজে বের করে। চার্জশিট দেয়। মামলার সময় আসািমকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য রাষ্ট্র নিজের অর্থে তঁার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেয়। আইন-আদালত যদি নির্ভুল ও নিরপেক্ষভাবে নিজস্ব গতিতে চলে, তাহলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসািমরও কোনো

রবিবার, ১১ মে, ২০১৪


জামায়াতীদের দাপটে বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ বুয়েটে! 12 May, 2014 বিভাষ বাড়ৈ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের নামে সংগঠন করতে গিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলদের বাধার মুখে পড়েছেন প্রগতিশীলরা। ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ’ নামে সংগঠন করতে চাইলেও বাধার কারণে প্রগতিশীল শিক্ষক ও গবেষকরা আদর্শ, উদ্দেশ্য ঠিক রেখে ‘বুয়েট শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ’ গঠন করেছেন। তবে তাতেও বাধার মুখে পড়েছেন তাঁরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এমন সব বক্তব্য থাকায় উল্টো প্রগতিশীলরাই এখন চাপের মুখে। শিক্ষক সমিতিতে সরকারবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীলদের দাপট থাকায় পুরো সমিতিই এখন প্রগতিশীল এ সংগঠনকে হুমকি মনে করছে। কেবল তাই নয়, ইতোমধ্যে নতুন এ সংগঠন করার জন্য ডিনদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের। এ অবস্থায় উদ্বেগের মধ্যে আছে প্রগতিশীল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা। জানা গেছে, কেবল বঙ্গবন্ধু নাম নয় বরং প্রগতিশীলদের যে কোন সংগঠন করার বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে বুয়েটের সরকারবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। এ কারণে সংগঠনের নাম পাল্টে ‘বুয়েট শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ’ রাখা হলেও বাধা দেয়া হচ্ছে। জামায়াত-শিবিরসহ উগ্রবাদী গোষ্ঠী গ্রগতিশীল শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নানাভাবে হুমকিও দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর নামে কোন সংগঠন নয় বলে দেয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশ্ন উঠেছে, বুয়েটে কি তাহলে বঙ্গবন্ধুনিষিদ্ধ? নিষিদ্ধ কি প্রগতিশীলদের যে কোন সংগঠন? এর আগে বুয়েটে জামায়াত-শিবির ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের আস্তানা নিয়ে গত প্রায় এক বছর ধরে নানা তথ্য প্রকাশ হয়েছে। ট্রাইবুনালে দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় হরতালে নাশকতা চালাতে গিয়ে আটকও হয়েছেন একাধিক বুয়েটের ছাত্র। কয়েক শিক্ষকের সঙ্গে শিবির ও হিযবুত তাহ্রীরের সদস্যদের চাঁদা দেয়া ও ই-মেইল, ফেসবুকে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বুয়েটেই উগ্রবাদীরা হত্যা করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মেধাবী ছাত্র দ্বীপকে। বুয়েটের আরেক প্রগতিশীল সংগঠক তন্ময় আহমেদকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানেরই উগ্রপন্থী শিক্ষক নেতা হাফিজুর রহমান রানা গেল বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে হাফিজুর রহমান রানা স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘হায়েনা ওই হায়েনা তুই দেশকে খেয়েছিস, এখন তুই বুয়েট কে খাবি... পারবি না...আমরা বুয়েটের শিক্ষকরা ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা হচ্ছি শিকারি। প্রথমে তোর মাথাতে গুলি করব, তারপর তোর পেটে। তারপর তোর মাথা কেটে বুয়েটের গেটের সামনে টানিয়ে রাখব। যাতে আর কোন হায়েনার আক্রমণে বুয়েট আক্রান্ত না হয়। এখানেই শেষ নয়, ইতোমধ্যেই সরকারের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ২২ ভাগ শিক্ষক বর্তমান সরকার ও প্রগতিশীল মতাদর্শের অনুসারী। ৭০ ভাগ শিক্ষকই বিএনপি-জামায়াত ও হিযবুত তাহ্রীরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাকি ৮ ভাগ শিক্ষক মোটামুুটি নিরপেক্ষ। শিক্ষক সমিতির অধিকাংশই সরকারের ঘোরতর বিরোধী এবং তারাই হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্রদের মদদ দিচ্ছেন। এমন এক অবস্থায় প্রগতিশীল শিক্ষক, গবেষকরা কিছুদিন ধরেই ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গঠনতন্ত্র, লক্ষ্য উদ্দেশ্য যখন চূড়ান্ত তখন নানা ধরনের হুমকি পেয়ে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক রেখে ‘বুয়েট শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ’ গঠনের উদ্যোগ নেন প্রগতিশীলরা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম নজরুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করেই শিক্ষক, গবেষকরা এক পর্যায়ে কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেন। এই মুহূর্তে উপাচার্য দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে চিহ্নিত গ্রুপটির কারণে প্রগতিশীলদের সংগঠন এখন হুমকির মুখে পড়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের পুরো প্রশাসনে সরকারবিরোধীদের একচ্ছত্র দাপট থাকায় উপাচার্য এখন অনেকটাই তাদের হাতের পুতুল। শিক্ষক সমিতিসহ প্রভাবশালী শিক্ষক নেতারা যাই বলেন উপাচার্য তার বাইরে যেতে পারেন না। আবার শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজন আছেন যাঁরা সরকার সমর্থক হলেও নানা লাভক্ষতির বিবেচনা করে বিএনপি-জামায়াতের গ্রুপের সঙ্গে আপোস করে চলেন। ফলে প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করার পক্ষে অবস্থান আছে কমসংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তারই। এ অবস্থার মধ্যেই সম্প্রতি বুয়েট শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নামে সংগঠন করা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনের আদর্শ ও সদস্য হওয়ার নিয়মাবলী সংযুক্ত করে বিতরণ করা হয়েছিল। যার আদর্শ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সহযোগিতা প্রদান করা। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা সম্পর্কিত/সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নীতিনির্ধারণ এবং উৎকর্ষ সাধনে সহযোগিতা প্রদান করা। সদস্যদের স্ব স্ব কাজে জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনে এবং দক্ষতা অর্জনে সম্ভাব্য প্রচেষ্টা চালানো/অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। নিয়মিতভাবে ক্রীড়া, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও চিত্তবিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। বন্যা, ঝড়, দুর্ভিক্ষ, মহামারী বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত মানুষকে যথাসাধ্য সাহায্য করার প্রচেষ্টা চালানো। সকল ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা এবং বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখা এবং এতদসংক্রান্ত পরিবেশকে ব্যাহত করে এমন যে কোন কর্মকান্ড প্রতিহত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার ব্যাপারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা। এর জন্য প্রয়োজনবোধে অত্র সংগঠন তার আদর্শ ও উদ্দেশ্যাবলীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাংলাদেশের এক বা একাধিক বা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল সংগঠন/সংগঠনের সমন্বয়ে ফেডারেশন গঠনের মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত অধিকার, স্বার্থ ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে। সদস্য হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়, সংগঠন এবং গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল শিক্ষক/গবেষক এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন। তবে কোন সদস্য অবসর গ্রহণের পর সদস্যপদ অব্যাহত রাখতে চাইলে তাঁকে আবেদন করতে হবে। সদস্য হওয়ার অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়, মুুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সংগঠনের নীতিতে বিশ্বাসী অথবা এরূপ সংগঠনের সঙ্গে অতীতে বা বর্তমানে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি সদস্যপদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে সংগঠনের এমন অবস্থানকেই নিজেদের জন্য হুমকি মনে করছে উগ্রবাদীরা। শিক্ষক সমিতির নেতারা কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, এই সংগঠন সমিতির সমান্তরাল কিছু করতে চায়। এই অবস্থায় ডিনরা সংগঠন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে চিঠি দেন। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ডিনদের কাছে ইতোমধ্যেই সংগঠনের বিষয়ে জবাবদিহি করতে হয়েছে শিক্ষকদের। ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে বুয়েটজুড়ে। প্রগতিশীল শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেখানে শিবির, হিযবুত তাহ্রীরের মতো সংগঠনের কমিটি আছে সেখানে প্রগতিশীলদের সংগঠন বাধার মুখে পড়ছে। এ অবস্থার জন্য অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের রহস্যজনক নীরবতাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত এক বছরে এখানে উগ্রবাদীরা অনেকে চিহ্নিত হলেও মন্ত্রণালয়ের আপোসের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। ডিনদের একজন অধ্যাপক আমিনুল হক অবশ্য দাবি করেছেন, নতুন এ সংগঠন বুয়েটের অর্ডিন্যান্সের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, বুয়েট নাম থাকলে এভাবে সংগঠন করা যাবে না। তাহলে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ হলে কি বৈধ? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই ক্ষেত্রে তো আবার কেউ কেউ বলতে পারে জিয়ার নামে সংগঠন করবে। তাতে তো বিভাজন তৈরি হবে। বুয়েট নামে সংগঠন হবে না বলে বলা হলেও জানা গেছে, বুয়েট উত্তরবঙ্গ সমিতি, বুয়েট কুমিল্লা সমিতি, বুয়েট নোয়াখালী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন এখানে সক্রিয় আছে। শিক্ষকরা বলছেন, আসলে অর্ডিন্যান্স কেবল ছুঁতো। প্রগতিশীলরা এক হচ্ছে এটাই প্রতিপক্ষের জন্য সমস্যা। উৎসঃ জনকন্ঠ



জাপানে শিশুদের সংখ্যা আরো কমেছে জাপানে শিশুদের সংখ্যা একটি রেকর্ড পর্যায়ে নেমে গেছে৷ অপরদিকে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের প্রবীণদের সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ অর্থাৎ জাপানের বাসিন্দারা একদিকে যেমন বেশিদিন বাঁচছেন, অন্যদিকে তাদের সংখ্যাও সেরকম কমছে৷ গত পয়লা এপ্রিলের পরিসংখ্যান৷ এ দিন জাপানে ১৫ বছরের কমবয়সি ছেলেমেয়েদের সংখ্যা ছিল আনুমানিক এক কোটি ৬৩ লক্ষ ৩০ হাজার৷ যা কিনা এক বছর আগের তুলনায় এক লাখ ষাট হাজার কম৷ ১৯৫০ সালে জনসংখ্যাগত এই সব তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হয়৷ বিগত ৩৩ বছর ধরে জাপানে শিশুদের সংখ্যা এ ভাবে প্রতি বছর কমে আসছে৷ স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এই পরিসংখ্যান রেখে থাকে৷ Bidergalerie Indien Kindesentführung ভারতের নিখোঁজ শিশুরা ভাগ্যের লিখন ভারতে ‘শিশু বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের একটি সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে, ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ১১ জন শিশু নিখোঁজ হয়ে থাকে৷ এদের মধ্যে কমপক্ষে চারজনকে আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায় না৷ 12345678 বর্তমানে জাপানের জনসংখ্যায় শিশুদের অনুপাত মাত্র ১২ দশমিক আট শতাংশ৷ সে তুলনায় ৬৫ বছর অথবা তার বেশি বয়সের মানুষদের অনুপাত ২৬ দশমিক ছয় শতাংশ, যা কিনা একটা রেকর্ড৷ অন্তত চার কোটি জনসংখ্যার দেশগুলির মধ্যে জাপানেই শিশুদের অনুপাত সবচেয়ে কম৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের অনুপাত হল ১৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ; চীনে ১৬ দশমিক চার শতাংশ৷ অপরদিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে এখন ১২ কোটি ৭২ লক্ষ ৯৮ হাজার মানুষের বাস: এর মধ্যে যারা দীর্ঘকাল জাপানে বাস করছেন, এমন বিদেশিদেরও ধরা হয়ে থাকে৷ ২০১৩ সালের পয়লা অক্টোবরের তুলনায় জাপানের জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে৷ বাকি থাকে ভবিষ্যতের বিভীষিকা: এভাবে চলতে থাকলে ২০৬০ সালে জাপানের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স হবে ৬৫ বছর কিংবা তার বেশি৷ এটা খোদ জাপান সরকারের ভবিষ্যদ্বাণী৷ এসি/এসবি (এএফপি)

জেনে নিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিরাপত্তাব্যবস্থায় জন্য যে বিশেষ প্রেসিডেন্টাল ক্যাডিলাক-ওয়ান গাড়িটি রয়েছে তার অনন্য বৈশিষ্ট্য সমূহ

হিন্দু থেকে মুসলমান হলেন একই পরিবারের ৫ সদস্য জেলা প্রতিনিধি, বাংলামেইল২৪ডটকম Sun, 11 May, 2014 10:37 PM নারায়ণগঞ্জ: শহরের হাজীগঞ্জের পরিমল চন্দ্র শীলের পরিবারের ৫ সদস্য রোববার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। নারায়ণগগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদের আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা করেন নেদায়ে ইসলাম। অ্যাডভোকেট শাহাজাহান মোড়ল জানান, পরিমল চন্দ্র শীলের পরিবারের সদস্যরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে আমার কাছে আসে। পরিবারের পাঁচ সদস্য সবাই ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে আদালত তাদের আদেশ দেন। পরিমল চন্দ্র শীল বর্তমানে আহমদ আবু বাকার জানান, নিউ হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে বাসার পাশে মসজিদে এক বছর ধরে বিভিন্ন ওয়াজ ও ধর্মের দাওয়াতে আমার পরিবারের সদস্যরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণে ইচ্ছা প্রকাশ করে। এরপর রোববার সব সদস্য আদালতে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের অনুমতি নেয়। তিনি আরো জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর থেকে পরিমল চন্দ্র শীল বর্তমানে আহমাদ আবু বাকার, স্ত্রী দিপালী রানি বর্তমানে আমিনা মোতমাইন্না, বড় ছেলে অপু চন্দ্র শীল বর্তমানে আহমাদ আবু আরশাদ, মেজো মেয়ে রেখা রানি শীল বর্তমানে আয়িশা সিদ্দিকা ও ছোট ছেলে অমিত চন্দ্র শীল বর্তমানে আহমাদ আবু আরদিল্লাহ হিসেবে সমাজে পরিচিতি লাভ করবে। অপরদিকে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর আদালতে তাদের অভিনন্দন জানায় জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা এমপি হোসেনে আরা বাবলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন নান্নু।

যৌনসুখে অতৃপ্ত: প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে খুন! May 11, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in প্রতিবেশী with 0 Comments porokiaপ্রতিবেশী ডেস্ক নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম যৌনসুখে অতৃপ্ত থাকার কারণে নৌবাহিনী স্বামীকে প্রেমিকের সহায়তায় খুন করলেন ১৭ বছর বয়সের স্ত্রী। ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ছাবনির সুব্রত পার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রের জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সের স্ত্রী স্বামী থাকা সত্বেও অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জরিয়ে পরে আর এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে ওই প্রেমিকের সহায়তায় খুন করে নৌবাহিনী স্বামীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর স্বামী ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন আর স্বামীর সঙ্গে যৌনসুখে অতৃপ্ত ছিলেন ওই নারী। সেই কারণে তিনি প্রতিবেশী একটি অল্প বয়সের ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনা তার স্বামীর কাছে জানাজানি হয়ে যায়। এ বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক সামনে চলে আসতেই ভয়ে ওই নারী তার প্রেমিকের যোগসাজশে স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন এবং সে মতো তাকে খুনও করা হয়। আর পুলিশ সবজেনে ওই নারী ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে। যদিও অভিযুক্ত নারী হত্যার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তার স্বামীর মৃত্যু হৃদরোগের কারণে হয়েছে। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১১ মে, ২০১৪/২২.৩৬/মেহেদী হাসান

তসলিমা নাসরীন অসুস্থ, আশঙ্কা ক্যান্সারের নয়া দিগন্ত অনলাইন ১১ মে ২০১৪, রবিবার, ১১:১৯ বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরীন যুক্তরাষ্ট্রে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়েছেন। তিনি নিজেই ক্যান্সারের আশঙ্কা করছেন। এক টুইটে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান। শনিবার নিউ ইয়র্কে ঘনিষ্ঠজনদের কাছেও তিনি একই কথা বলেন। সপ্তাহখানেক আগে নয়াদিল্লি থেকে নিউ ইয়র্কে আসেন তিনি। টুইটে তসলিমা জানান, কয়েক দিন ধরে একটু একটু কাঁশি হওয়ায় গত ৬ মে নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে তার ফুসফুস পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা স্তন পরীক্ষা করেন। তার স্তনে টিউমার ধরা পড়েছে, যা প্রায় এক ইঞ্চি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এরপরই তার ‘বায়োপসি’ করা হয়। সোমবার ‘বায়োপসি’র রিপোর্ট দেয়ার কথা। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে তার চিকিৎসা শুরু হবে। বিষয়টি নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ক্যান্সারে মায়ের মৃত্যু এবং বর্তমানে এক ভাই নিউ ইয়র্কে ক্যান্সারের চিকিৎসা নেয়ায় নিজের ক্ষেত্রেও একই সমস্যার আশঙ্কা তার। Share on facebook Share on twitter Share on email Share on print More Sharing Services 17

হাজারীবাগে স্যুটকেসের মধ্যে কিশোরীর লাশ উদ্ধার তারিখ: ২০১৪-০৫-১১ ১৮:২৩:৩৮ | ১৩ বার পঠিত 0 people like this ShareThis 2 0 0 Print Friendly and PDF « আগের সংবাদ পরের সংবাদ» ঢাকাঃ রাজধানীর হাজারিবাগ থেকে স্যুটকেস বন্দি কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । আজ রোববার বিকেল ৩ টায় থানা এলাকার একটি ডোবা থেকে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায় নি বলে জানায় পুলিশ। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, “ওই কিশোরীর বয়স ১০ থেকে ১১ বছর হতে পারে। বেলা তিনটায় হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ কালোনগর এলাকার একটি ডোবায় নীল রঙের একটি স্যুটকেস ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্যুটকেসটি উদ্ধার করে এবং ভেতরে কিশোরীর লাশ দেখতে পায়।” তিনি জানান, লাশটি বিকৃত ছিল। তার পুরো শরীর ওড়না দিয়ে পেঁচানো। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ ও ধরন জানা যাবে। - See more at: http://bangla52.com/?p=details&id=1396#sthash.UrGQqSqJ.dpuf

পটুয়াখালীতে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষন করলো দশম শ্রেনীর ছাত্র তারিখ: ২০১৪-০৫-১০ ১৯:৪২:৫৭ | ৩৮ বার পঠিত 0 people like this ShareThis 11 0 0 Print Friendly and PDF « আগের সংবাদ পরের সংবাদ» পটুয়াখালীঃ জেলার দশমিনা উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে দশম শ্রেনীর এক ছাত্র। এ ঘটনায় আজ শনিবার মামলা দায়েরের পর পুলিশ ধর্ষক রাসেল হাওলাদার নামের ঐ স্কুল ছাত্রকে গ্রেফতার করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে উপজেলার পূর্ব আলীপুরা এস এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার দশম শ্রেণির ছাত্র রাসেল হাওলাদার ধর্ষণ করে। গত ৩ মে সকালে পার্শ্ববর্তী খড়ের গাদা থেকে ধর্ষিতা কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা ঘটনাটি উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতার কথা বলে গড়িমসি করে সঙ্গে সঙ্গে মামলা করতে দেয়নি। পরে শুক্রবার রাতে কিশোরীর মা খাদিজা বেগম বাদি হয়ে দশমিনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ বিষয়ে দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সালাউদ্দিন সৈকত বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে রাসেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এদিকে ওই ছাত্রী অনেক দিন ধরে বিদ্যালয়ে না আসায় ঘটনা জানতে পারেনি বলে জানান এস এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস ছাত্তার। একই বিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মো. শাহবুদ্দিন বলেন, ধর্ষিতার মায়ের মামলার পর অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। - See more at: http://bangla52.com/?p=details&id=1369#sthash.rYKLBOt8.ByNfwb66.dpuf

ইহুদি হিটলিস্টে মুসলিম বিজ্ঞানীরা 10 May, 2014 ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল ‘মোসাদ’সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞানীদের পরিকল্পিত হত্যা করছে। পৃথিবীর কোনো মুসলিম রাষ্ট্র যাতে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে না পারে- ইসরাইল তার মিত্র দেশসমূহকে নিয়ে এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। মুসলিম বিশ্বের কোনো দেশে যদি বিস্ময়কর মেধার অধিকারী কোনো বিজ্ঞানীর জন্ম হয় এবং তাঁর মেধা যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় তাহলে নির্ঘাত ইহুদী হিটলিস্টে তাঁর নাম অন্তর্ভূক্ত হবে। ঘাতক স্কোয়াড তাঁর পেছনে লেগে থাকবে এবং সুযোগ পেলে গুলি করে দেবে। ইরাকের বিশাল সেনাবাহিনী যাতে ইসরাইলের জন্য হুমকী সৃষ্টি না করে সে জন্য মিথ্যা অজুহাতে ইহুদী মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ১ লাখ ৭১ হাজার সৈন্য নিয়ে ইরাক দখল করে নেয়। বিদ্যুৎ তৈরির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত পরমাণু সংক্রান্ত নথিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ, বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য-উপাত্ত আগ্রাসী সেনাবাহিনী তাদের নিজ দেশে পাচার করে। পারমাণবিক সব গবেষণা ও স্থাপনা বন্ধ ঘোষণা করে। সম্প্রতি মার্কিন বাহিনী ইরাক থেকে বিদায় নিয়েছে ঠিক কিন্তু রেখে গেছে পৈশাচিকতার উন্মত্ত তাণ্ডব, বাতাসে রাসায়নিক মারণাস্ত্রের বিষক্রিয়া ও আগ্রাসনের দুঃসহ স্মৃতি। মার্কিন সশস্ত্র অভিযানে দেড় লাখ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। বিধবা হয়েছেন ৭ লাখ ৪০ হাজার মা। মার্কিন হামলার পর ২০ লাখ ইরাকি যাদের মধ্যে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যসেবী সিরিয়া, জর্দানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে আশ্রয় নিয়েছে উদ্বাস্তু হিসেবে। ইরাক পরমাণু প্রকল্পের প্রধান ড. ইয়াহিয়া আমীন আল মুশহিদ ১৯৮০ সালে প্যারিসে মোসাদ এজেন্টদের হাতে নিহত হন। ইরাকী পরমাণু রিয়েক্টর উন্নয়নের জন্য তিনি তখন ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের সাথে প্যারিসে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যু ইরাকের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সরাসরি হামলা করতে না পেরে ইসরাইল গুপ্ত হত্যার আশ্রয় নিয়ে মুসলিম বিশ্বকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী আরদাশীর হাসান বাউর মোসাদ এজেন্টদের হাতে প্রাণ হারান। আরদাশীর হাসান ইস্পাহানে অবস্থিত পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পরমাণু গবেষণার অন্যতম পাদপীঠ সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক স্টাডিজের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘দি সানডে টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ইরানের শীর্ষস্থানীয় আরো বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী ইসরাইলীদের হত্যার তালিকায় রয়েছে। সাইপ্রাসে নিযুক্ত জর্দানী বংশোদ্ভুত আল-ফাতাহ প্রতিনিধি হোসাইন আল বশির ১৯৭৩ সালের ২৪ জানুয়ারি মোসাদ এজেন্টদের হাতে মৃত্যুবরণ করেন। নিকোশিয়ায় তাঁর হোটেল কক্ষে রক্ষিত বোমার বিস্ফোরণে তাঁর মৃত্যু ঘটে। ১৯৭২ সালের ২ ডিসেম্বর প্যারিসে নিযুক্ত পিএলও প্রতিনিধি ড. মুহাম্মদ হামশারী’কে মোসাদ হত্যা করে তাঁর অফিসের টেলিফোন টেবিলে টাইম বোমা পুঁতে। আরব বিশ্বের খ্যাতনামা সব বিজ্ঞানীর কর্মপ্রয়াসের উপর রয়েছে ইসরাইলের কড়া গোয়েন্দা নজরদারী। মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. সামীরা মূসা ১৯৫২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। অজ্ঞাত পরিচয় এক ড্রাইভার তাঁর গাড়ি চালাচ্ছিল। ইসরাইল কর্তৃক পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার মজুদ করার কারণে যে কোনো সময় মধ্য প্রাচ্যে জুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে, ড. সামীরা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করতেন বলে ইসরাইল তাঁকে অপছন্দ করতো। এ ছাড়া তিনি পরমাণু প্রকল্পের জন্য ইউরেনিয়ামের তুলনায় ধাতব পদার্থ হতে আরো সাশ্রয়ী জ্বালানি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন। ১৯৬৭ সালে মিসরের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. আমীর নাজীব গুপ্তঘাতকের হাতে ডেট্রয়টে নিহত হন। সামরিক অভিযানে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারে তিনি বেশ কয়েকটি সফল পরীক্ষা পরিচালনা করেন। ১৯৮৯ সালের জুলাই মাসে অজ্ঞাতনামা আততায়ী মিসরীয় বিজ্ঞানী সাঈদ আল বুদায়েরকে তাঁর আলেকজান্দ্রিয়াস্থ বাসভবনে গুলি করে হত্যা করে। মাইক্রোওয়েভ ফিল্ডে তিনি বেশ কয়েকটি অগ্রবর্তী থিউরি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন। এসব হত্যাকাণ্ড মুসলমানদের পারমাণবিক অস্ত্র প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত রাখার যায়নবাদী কৌশলের অংশ বিশেষ মাত্র। ইসরাইল ছাড়া যেন আর কারও হাতে পরমাণু অস্ত্র না থাকে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যেন ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি না হয়, এটাই ইহহুদীদের টার্গেট। সামরিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ইসরাইলের হাতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩০০টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে। পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) ১৮৯টি রাষ্ট্র স্বাক্ষর করলেও আজ পর্যন্ত ইসরাইল এ চুক্তি মেনে নেয়নি। ইসরাইলকে এনপিটি’তে যোগ দেয়ার জন্য কিংবা তার কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্রের ধ্বংসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কোনোরূপ কার্যকর চাপ প্রয়োগ করেনি। মার্কিন নেতাদের এ ‘ডাবল স্টান্ডার্ড’ পলিসি বিশ্বে তাদের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। ইহুদীদের সর্বশেষ ষড়যন্ত্রের শিকার ড. আফিয়া সিদ্দিকা যিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন স্নায়ু বিজ্ঞানী। অসামান্য ধীসম্পন্ন পিএইচডি ডিগ্রিধারী এ মহিলার সম্মানসূচক অন্যান্য ডিগ্রি ও সার্টিফিকেট রয়েছে প্রায় ১৪৪টি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রন্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে Neurology বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। আফিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নায়ু বিজ্ঞানে পড়ালেখা ও উচ্চতর গবেষণা করেন। তিনি হাফিজে কুরআন ও আলিমা। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে পারদর্শিনী এ মহিলা ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দ্বীনদার ও পরহেজগার। ইসলামী আদর্শ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে তাঁর স্ট্রং কমিটমেন্ট। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফ বি আই পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথিত অভিযোগে ২০০৩ সালে ড. আফিয়াকে তাঁর তিন সন্তান আহমদ, সুলায়মান, ও মরিয়মসহ করাচীর রাস্তা থেকে অপহরণ করে। পাকিস্তানের কোনো কারাগারে না রেখে এবং পাকিস্তানী আদালতে উপস্থাপন না করে তাঁকে আফগানিস্তানের বাগরাম সামরিক ঘাঁটিতে বন্দী করে রাখা হয়। এরপর চলে তাঁর উপর অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বাগরামে কুখ্যাত মার্কিন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, ‘নির্যাতনের সময় একজন নারী বন্দীর আর্তচিৎকার অন্য বন্দীদের সহ্য করাও কষ্টকর ছিল। ওই নারীর ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে অন্য বন্দীরা অনশন পর্যন্ত করেছিল। পরবর্তী সময়ে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় নিউইয়র্কের এক গোপন কারাগারে। বর্তমানে তিনি পুরুষদের সাথে ওই কারাগারে বন্দী। কারাবন্দী নং ৬৫০। অব্যাহত নির্যাতনের ধকল সইতে না পেরে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। প্রথম থেকেই তিন সন্তানকে তাঁর থেকে পৃথক রাখা হয়। এখনো তিনি জানেন না তাঁর সন্তানত্রয় কোথায়? তারা আদৌ বেঁচে আছেন কিনা। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান দাবি করে বলেন তাঁর দু’সন্তান ইতোমধ্যে মার্কিন নিয়ন্ত্রিত আফগান কারাগারে অত্যাচারে মারা গেছে। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের মধ্যে যারা ড. আফিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ড. আফিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর বক্তব্য হলো, তাঁকে গ্রেফতারের সময় তাঁর সঙ্গে থাকা হাতব্যাগ তল্লাশি করে মার্কিন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা সম্বলিত কাগজপত্র, গজনীর মানচিত্র, রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির নিয়মাবলী ও রেডিওলজিক্যাল এজেন্ট সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়। ব্রিটেনের দি ইন্ডিপেন্টেডেন্ট পত্রিকার সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ব্রন্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রিধারী একজন পাকিস্তানী-আমেরিকান তাঁর হাত-ব্যাগে করে মার্কিন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ঘুরছেন, এটি কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? নিউইয়র্কে আদালতে ১২ সদস্যের জুরি বোর্ড নানা আইনি বিষয় পর্যালোচনা করে এবং সর্বসম্মতভাবে আফিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। হত্যা চেষ্টা ও লাঞ্ছিত করাসহ সাতটি অভিযোগে তাকে ২০ বছরের করাদণ্ড প্রদান করা হয়। গোপন কারাগারে তিন বছর তিনি বন্দী জীবন কাটিয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আফিয়া আদালতে চিৎকার করে বলেন, ‘আমেরিকা নয়, ইসরাইল থেকে এসেছে এ রায়।’ তিনি আগেই বলেছিলেন, কোনো ইহুদী বিচারক থাকলে তিনি (আফিয়া) ন্যায়বিচার পাবেন না। সরকারি আইনজীবীরা আদালতে বলেন, পাকিস্তানী পরমাণু বিজ্ঞানী বোমা তৈরির নির্দেশিকা বহন করেছিলেন। অতি সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি আদালত মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা চেষ্টার দায়ে ড. আফিয়া সিদ্দিকাকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আফিয়া সিদ্দিকা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকালে তাঁকে যারা চিনতেন তাদের সবাই বলেছেন, আফিয়া অত্যন্ত ভদ্র এবং ইসলামের প্রতি তার বিশেষ দরদ ছিল। ২০০৩ সালে করাচি থেকে তিন সন্তানসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা তাদের অপহরণ করে। এরপর আফগানিস্তানের বাগরাম কারাগারে গোপনে তাকে আটকে রাখা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তখন অনেক মাতামাতি হলেও ২০০৮ সালে গজনীতে ওই গুলির ঘটনার আগে গণমাধ্যমে আর তাঁর নাম শোনা যায়নি। নিউইয়র্কের আদালতে কেবল গজনীর ওই ঘটনারই বিচার হয়েছে। তাঁকে অপহরণ বা বাগরামে আটকে রাখা সংক্রান্ত অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি। আফিয়া সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা এর আগে বিভিন্ন সময়ে আল-কায়েদাকে অর্থায়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হামলা পরিকল্পনার কথা বলে এসেছেন। তাঁর আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, আফিয়ার বিচার প্রক্রিয়ায় দ্বৈতনীতি অনুসরণ করেছে মার্কিন প্রশাসন।

ইন্টারপোল থেকে নূরকে বাঁচাতে সুপারিশ করেন যারা 11 May, 2014 শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে ইন্টারপোলে তালিকাভুক্ত ছিল নূর হোসেন। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড এলার্টও জারি করে। সে সময় তিনি ছিলেন ফেরার। পালিয়ে গিয়েছিলেন দেশের বাইরে। কিন্তু ইন্টারপোলের সন্ত্রাসী তালিকায় তাকে বেশি দিন থাকতে হয়নি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আত্মগোপন থেকে সে বেরিয়ে আসেন প্রকাশ্যে। দখলে নেয় ফেলে যাওয়া রাজত্ব। আর সে সময় ইন্টারপোলের পরোয়ানা থেকে তাকে বাঁচিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, শামীম ওসমান ও আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এইচ টি ইমাম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি লেখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। ২০০৯ সালের ৮ই জুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এইচ টি ইমাম লেখেন, নূর হোসেন আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা, জনদরদি। সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০৫ সালের ১৬ই এপ্রিল সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করে। সে যাতে আইনের আশ্রয় নিতে না পারে সে জন্য তাকে ক্রসফায়ারে দেয়ার চেষ্টাও করা হয়। নূরকে আবার ‘ক্রসফায়ারে’ দেয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য তার নিরাপত্তা ‘নিশ্চিত’ করার অনুরোধ জানানো হয়। এমনকি নূর হোসেনকে সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিশেষভাবে ‘অনুরোধ’ করা হয়। এই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে। এর আগে নূর হোসেনের আবেদনে সেই সময়কার নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হাসনাত কায়সার ও নারায়ণগঞ্জের আলোচিত নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সুপারিশ করেন। এই চিঠির পরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তার বিরুদ্ধে উঠিয়ে নেয়া হয় ইন্টারপোলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। পুলিশ সুপার বিশ্বাস আফজাল হোসেন তখন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আগে সন্ত্রাসীর তালিকায় নূর হোসেনের নাম ছিল। বর্তমানে তালিকায় তার নাম নেই। নূর হোসেন সব মামলায় জামিনে আছেন। এরপর আর তাকে পায় কে? নিজের সন্ত্রাস সাম্রাজ্য গুছিয়ে নিতে বেশি সময় নিতে হয়নি তাকে। শিমরাইলে মাদক সাম্রাজ্য, ট্রাকস্ট্যান্ড ঘিরে চাঁদাবাজি, পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচলরত সব বাস থেকে চাঁদা আদায়, জমি দখল, মার্কেট দখল করে রাতারাতি বনে যায় অন্ধকার জগতের সম্রাট। সখ্য গড়ে তোলে সরকারের প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে। ডিসি, এসপিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে নেয় নিজের আয়ত্তে । আর তাই বিনা অনুমতিতে শিমরাইল ট্রাকস্ট্যান্ডে যাত্রার নামে জুয়া, মাদক সেবনের আখড়া চালাতে থাকে দিনের পর দিন। আর এ যাত্রার স্থান পাহারা দিতো পুলিশ। মাঝে মাঝে র‌্যাবের গাড়িও ঘুরে যেতো। নিজেকে আরও প্রভাবশালী বানাতে গিয়ে ধীরে ধীরে তার বাহিনীতে টেনে নিতো উঠতি সাহসী যুবকদের। ফলে সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। সূত্র জানায়, গত দুই বছরে ১১টি অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেও তার বাহিনীর অধীনে ছিল বহু অবৈধ অস্ত্র। নূর হোসেন বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য অস্ত্র চালানোতে পারদর্শী। ৮০-এর দশকে নূর হোসেনের উত্থান হলেও তার প্রভাব বাড়তে থাকে ১৯৯৬ সালের পর। তখনই সন্ত্রাসী তকমা লেগে যায় তার ললাটে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। তখনই তাকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলের সাহায্য নেয় সরকার। ইন্টারপোল শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সদস্য দেশগুলোতে নূর হোসেনের ব্যাপারে রেড এলার্ট জারি করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দেশে এসে ইন্টারপোলের তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দিতে উঠে পড়ে লাগে। সফলও হয়। তবে ২৩টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে কখনও হাতকড়া পরতে হয়নি নূর হোসেনকে। ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে বিএনপি সমর্থিত চারদলীয় জোট। এর পরপরই নূর হোসেন তার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যায় ভারতে। একটি মামলার রায়ে অনুপস্থিত নূর হোসেনকে সাড়ে তিন বছরের কারাদ- দেয়া হয় সে সময়। ২০০৭ সালের ১২ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল নূর হোসেনের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করে। ইন্টারপোলের ওয়েবপেইজে নূর হোসেন সম্পর্কে বলা হয়, সশস্ত্র অপরাধ, হত্যা ও অঙ্গহানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সে যুক্ত। উৎসঃ মানবজমিন

এক্সক্লসিভ >> নারায়নগঞ্জের ঘটনায় কর্ণেল জিয়াউল আহসানও জড়িত ! 10 May, 2014
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে গত ২৫শে এপ্রিল র্যাবের উপ-মহাপরিচালক কর্ণেল জিয়াউল আহসান তার সেনানিবাসের বাসভবন 'আশালতা'র নিচে দাঁড়িয়ে লেঃ কঃ তারেক মাসুদকে অপারেশনটি করার জন্যে শলাপরামর্শ ও নির্দেশ প্রদান করেন। সেই পরিকল্পনামতই ৩জন অফিসার ও ২০জন সৈনিক নিয়ে অপারেশনটি পরিচালনা করা হয়। ২০ জনের মধ্যে ৩জন সেনাবাহিনী থেকে, ১১জন বিজিবি থেকে, ৬ জন আনসার থেকে নেয়া হয়। পুলিশ থেকে কাউকে নেয়া হয় নি। এই বিশজনের সবাই ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিল এবং সেভাবেই বাছাই করা হয়েছে। সুত্রটির দাবী, শামীম ওসমান আসলে কাটা দিয়ে কাঁটা তুলেছেন। কারন নজরুল ও নুর হোসেন যেভাবে বেড়ে যাচ্ছিল তাতে তার ও পরিবারের আধিপত্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় । একজন খুন হলে অন্যজন যদি এর আসামী হয় তবে এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা আর কী হতে পারে? এটাই ্নাকি গড ফাদারদের হিসাব নিকাশ। বালু মহল নিয়ে দুজনের বিরোধ উস্কে দেয়া হয় এবং পুরো ঘটনাটি সংঘটনের জন্যে র্যাবের সাথে নুর হোসেনের সংযোগ ঘটিয়ে দেয়ার সকল কাজটি অনেক নিরাপদ জায়গা থেকে আঞ্জাম দেয়া হয়। ঘটনার দিন র্যাব ইন্টেলিজেন্সের দুজনকে নিয়োগ করা হয় নজরুলকে অনুসরন করার জন্যে । কিন্তু একজন সোর্সকে নজরুলের লোকজন সন্দেহ করে এবং আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তখন অন্যসোর্স এসে নিজের র্যাব পরিচয় প্রকাশ করে পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। কোর্ট থেকে বের হওয়ার পর পরই চারজন সঙ্গী সহ নজরুলকে তুলে নিয়ে যায়। এর পরপরই তারেক কর্ণেল জিয়াকে ফোন করে জানায়, "স্যার, শিকার হাতের মুঠোয়। " তখন কর্ণেল জিয়া বলেন, তোমার কাজ শেষ করে ফেলো। " র্যাবের তিনটি গাড়ী অপারেশনে অংশ নেয়। চন্দন সরকার তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি গাড়ী নিয়ে কিছুদূর র্যাবের গাড়ীকে ফলো করেন। তিন নম্বর গাড়ীটি চন্দন সরকারের পেছনে ছিল। পেছন থেকে চন্দন সরকারের গাড়ীকে ধাক্কা দেয়। তখন চন্দন সরকার গাড়ী থেকে বেরিয়ে এলে ড্রাইভার সহ র্যাবের তিন নম্বর গাড়ীতে উঠিয়ে নেয়া হয়। সবাইকে তুলে নিয়ে নরসিংদির দিকে রওনা হয়। সেখানে একটি গোপন টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ইনজেকশন পুশ করে নিস্তেজ করে ফেলা হয়। তারপর শীতলক্ষ্যার পাশের টর্চার সেলে নিয়ে মেরে ফেলা হয় এবং মরণ কিস্তিতে বিশেষ পাটাতনটি ব্যবহার করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। সুত্রটি জানান, শামীম ওসমান কর্ণেল জিয়াকে ফোন করেন। কর্ণেল জিয়া জানান, আপনার কথামত সাইজ হচ্ছে। আপনি তারেক সাইদকে ফোন করেন। তারেক সাইদ আশ্বস্ত করে সব ঠিক আছে। ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত হওয়া শুরু করলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ন্যাশনাল মনিটরিং সেলের সমস্ত রেকর্ড ডিলিট করে ফেলে, যাতে কর্ণেল জিয়ার সাথে সমস্ত কথোপথন কোথাও সংরক্ষিত না থাকে। এখানে নুর হোসেন এবং তারেক সাইদ পর্যন্ত রেখে উপরের সমস্ত লিংক ও ইনভলবমেন্ট কাট করে দেয়া হয়েছে। ড্যামেজ কন্ট্রোল প্ল্যানের অংশ হিসাবেই এটা করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনাতেও মদ্যপ ও চরিত্রহীন কর্ণেল জিয়াউল আহসান সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। জিয়া আহসান কালের কন্ঠে তিনি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে বলেছেন, র্যাব ও সরকারকে ঘায়েলের চেষ্টা করছে একটি মহল। তার এই সাক্ষাৎকার দেখে অনেকের মনে পড়ছে, ' ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না ' এই কথাটি।

মাদরাসাগুলোর ওপর নজরদারি বেড়েছে : তথ্য জানাতে ডিসি এসপিদের নির্দেশ 11 May, 2014 জঙ্গিবাদ দমন ও নির্মূলের লক্ষ্যে জোর তৎপরতা শুরু করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে দেশের আলিয়া ও কওমি মাদরাসার ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী জুমার নামাজে মসজিদের ইমামদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা ও তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর বিশেষ নজর রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে। অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থার বাইরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সুশীল সমাজ, সমাজের সচেতন মহলসহ এনজিও কর্মকর্তাদের মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের কর্মকাণ্ডের ওপর বিশেষ নজর রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্ররা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে বা কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক মনে হলে সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন মহলকে অভিহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। এছাড়া মাদরাসাভিত্তিক ধর্মীয় পাঠ্যপুস্তক লেখকদের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস জানার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে সম্প্রতি তথ্য চেয়েছে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর দেশব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি এ নজরদারি কাজে সহযোগিতা করবে স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আবার তাদের সব তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের বর্তমান আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম বিষয়ে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও কওমি মাদরাসাগুলোতে এসব বিষয়ে বাধ্যতামূলক কোনো সিলেবাস নেই। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চলমান পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে দেশের ইতিহাস এবং ধর্ম সম্পর্কে ক্রমাগত ভুল তথ্য শিক্ষা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এসব বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কওমি ও আলিয়া মাদরাসায় প্রতিদিন জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় কি-না এবং জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেয়া হয় কি-না তা পর্যবেক্ষণ করতে। জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং সরকারি দফতরে জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর অর্থের উৎস শনাক্ত করার উদ্দেশ্যে গত সপ্তাহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় ওই নির্দেশনায়। এছাড়া গত ২০ এপ্রিল ইস্যুকৃত নির্দেশনায় জঙ্গিবাদ সম্পর্কে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানান, কওমি এবং আলিয়া মাদরাসার (ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর) কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ইফার মহাপরিচালক (ইসলামিক ফাউন্ডেশনের) সামীম আফজাল আমাকে কওমি এবং আলিয়া মাদরাসার বেশকিছু পাঠ্যপুস্তক দিয়েছেন, যেগুলোতে জিহাদ সংক্রান্ত বিষয়ক অনেক তথ্য রয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকে আরো বলেন, এই নজরদারির পদক্ষেপটি আকস্মিক গ্রহণ করা হয়নি। এটি ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার মানবকণ্ঠকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী তৎপরতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর নিয়ন্ত্রণে আছে। অনেকাংশে আমরা জঙ্গিবাদ দমনে সমর্থ হয়েছি। দেশের কওমি ও আলিয়া মাদরাসার ওপর সরকারের নজরদারি রাখার ব্যাপারে হেফাজতের নায়েবে আমির ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী মানবকণ্ঠকে বলেন, জঙ্গি তৎপরতা কেউ সমর্থন করে না। কওমি ও আলিয়া মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। উৎসঃ মানবকন্ঠ

প্রচ্ছদ আন্তর্জাতিক সংবাদ স্বামীকে মাতাল বানিয়ে প্রেমিককে দিয়ে হত্যা অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ১৯:১৮, মে ১১, ২০১৪ ০ Like ৩ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে খুনের অভিযোগে গতকাল শনিবার তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ওই নারী তাঁর স্বামীকে মাত্রাতিরিক্ত মদ খাইয়ে ১৭ বছর বয়সী প্রেমিকের সহায়তায় শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানায়, সুধা চন্দ্রের কিশোর প্রেমিকটি প্রতিবেশী আরেক বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার ছেলে। তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গত ১০ এপ্রিল দক্ষিণ দিল্লির সুব্রত পার্ক এলাকার নিজ বাড়িতে স্বামী সার্জেন্ট রমেশ চন্দ্রকে (৪০) শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁর স্ত্রী সুধা চন্দ্র (২৮)। হত্যাকাণ্ডের পর সুধা তাঁর প্রতিবেশীদের বলেন, তাঁর স্বামী হূদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। রমেশ চন্দ্রকে দ্রুত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তাঁর পরিবারকে একটি প্রাথমিক মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়। তবে ১ মে রমেশ চন্দ্রের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর চিকিত্সকেরা নিশ্চিত হন যে তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ৬ মে তারিখে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয় এবং সন্দেহের তির রমেশ চন্দ্রের স্ত্রী সুধার দিকেই যায়। জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে সুধা নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও পরে তিনি স্বীকার করেন, কিশোর প্রেমিকের সহায়তার স্বামীকে হত্যা করেছেন তিনি। সুধা জানান, গত এক বছর ধরে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। প্রতিবেশী কিশোরের সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছেলেটি প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে আসত। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি টের পাওয়ার পর স্বামী রমেশ চন্দ্রের মদ্যপানের অভ্যাস বেড়ে যায়। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন সুধা। স্বামী রমেশকে মাত্রাতিরিক্ত মদ খাইয়ে তিনি ও তাঁর প্রেমিক রমেশকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। সুধা ও রমেশ চন্দ্রের চার বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু রয়েছে।

মাইক্রোবাস থেকে পড়ল জবাই করা লাশ মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 10 May 2014 23:05 BdST Updated: 11 May 2014 00:05 BdST মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে দুর্বৃত্তরা ফেলে গেছে এক যুবকের জবাই করা লাশ। নিহত মো. আপেল (৩০) কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ টিলই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। শনিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উমপাড়ায় লাশটি পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। শ্রীনগর থানার ওসি শেখ মাহাবুবুর রহমান জানান, মাওয়া থেকে ঢাকাগামী একটি চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে মহাসড়কের উপর আপেলের লাশটি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। আপেলের পকেটে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। মোবাইলের মাধ্যমে তার পরিচয় পাওয়া যায়। ওসি বলেন, কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। লাশ শ্রীনগর থানায় রাখা হয়েছে।

কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় ... 11 May, 2014 জেলার নবীগঞ্জে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় স্ত্রীকে এক কাপড়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে পাষ- স্বামী। স্থানীয়সূত্র জানান, পূর্ব নবীগঞ্জের গোজাখাইর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র হারুন মিয়ার স্ত্রী আঁখি চৌধুরী ছয়দিন পূর্বে একটি কন্যা সন্তানের জন্মদেয়। এতে হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সে নিজের কন্যা সন্তানের মুখ দেখতেও রাজি হয়নি। কন্যা সন্তান হওয়ার অপরাধে স্ত্রী আঁখিকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বাধ্য করে। নিরুপায় আঁখি এখন আশ্রয় নিয়েছে বালিয়াচঙ্গ উপজেলার কাগাপাশা গ্রামে বাবার বাড়িতে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের বছর খানেক পর স্বামী হারুন বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীকে বাবার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে। যৌতুক আনতে অনীহা প্রকাশ করলে তার উপর শুরু হয় নির্যাতন। ঢাকাটাইমস

হত্যার পর যুবতীকে ধর্ষণ! 11 May, 2014 লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের পর ধর্ষণ করল এক যুবক। শুধু তাই নয়, তার এক বন্ধুও মৃতাকে ধর্ষণ করে। এর পর তাঁর মৃতদেহ লুকিয়ে দেয় ওই দুই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির বিন্দাপুরে। ময়নাতদন্তর রিপোর্টে জানা গেছে, হত্যার পর ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়। ২ মে মৃতদেহ উদ্ধার করার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম গুলফাম এবং মহম্মদ রফিক। জেরায় তারা জানিয়েছে, ২৯ এপ্রিল শ্বাসরোধ করে ওই যুবতীকে খুন করে তাঁরা। ধর্ষণ করার পর যুবতীর দেহ আলমারির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গুলফাম ওই যুবতীর সঙ্গে বিন্দাপুরে একটি ভাড়া ঘরে থাকত। রফিক দুজনেরই বন্ধু ছিল। পরে রফিক ও গুলফাম জানতে পারে, এক প্রতিবেশীর সঙ্গে যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এবং তাঁরা বিয়ের পরিকল্পনাও করছেন। এর পরই রেগে যায় গুলফাম। হত্যার পরিকল্পনা করে বন্ধুর সঙ্গে মিলে। তার পরই যুবতীকে খুন করে তারা।

শিক্ষিকাকে নগ্ন করলো পঞ্চায়েত! 10 May, 2014 যখন-তখন মানুষ খুন করার ফতোয়া দেয় স্বঘোষিত গ্রামীণ বিচারসভা খাপ পঞ্চায়েত। অন্য জাতের কোনো মেয়ে প্রেম করছে জানলে তাকে ধর্ষণের নির্দেশ জারি করে তারা। এমন অভিযোগ ওঠেছে বহুবার। এবার এক পঞ্চায়েতের নির্দেশে নগ্ন করে মারধর করা হলো এক শিক্ষিকাকে। সবার সামনেই ওই শিক্ষিকাকে নগ্ন করা হয়। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরও করা হয় তাকে। শুধু তাই নয়, এরপর ওই শিক্ষিকার কাছে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চায় পঞ্চায়েত। না দিতে পারলে গ্রামছাড়া করার হুমকি। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতার ঘটনা ঘটে ছত্তিসগড়ের জশপুর জেলার পাঠালগাঁওয়ে। অপরাধ এক ভাইয়ের ছেলের হবুস্ত্রীকে তার বাড়িতে থাকতে দেয়া। শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ভাইয়ের ছেলের সঙ্গে গ্রামেরই একটি মেয়ের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলে ওই তরুণী শিক্ষিকার বাড়িতেই এসে থাকতে শুরু করে। একই বাড়িতে থাকে শিক্ষিকার ভাইয়ের ছেলেও। কয়েকদিন পর আবার নিজের বাড়ি ফিরে যায় ওই তরুণী। কিন্তু এ ঘটনা ভালো চেখে দেখেনি খাপ পঞ্চায়েত। বসানো হয় বিচারসভা। শাস্তি হিসেবে তাকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে এসে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়। জামাকাপড় ছিঁড়ে গোটা গ্রামের সামনে বিবস্ত্র করা হয় তাকে। তার কানে, গলায়, হাতে থাকা সোনার গয়নাও কেড়ে নেয় পঞ্চায়েতের বিচারকরা। একেও যথেষ্ট শাস্তি মনে না করে ওই শিক্ষিকার কাছে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। তবে ঘটনা কিছুদিন আগের। গত ১৯ এপ্রিল এই ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। কিন্তু পুলিশের কাছে ন্যায় বিচার না পেয়ে তিনি মানবাধিকার কমিশন ও মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন। এরপরই টনক নড়ে পুলিশেরও। খাপ পঞ্চায়েতের প্রধানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তারা। অবশ্য তারা জামিনে মুক্তি পায়। তবে অভিযুক্তরা মুক্তি পাওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে হুমকি। উল্লেখ্য, খাপ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ কিছুদিন আগে বলেছেন, কোনো নারী মোবাইল ব্যবহার করবেন কি-না বা কীভাবে পোশাক পরবেন, তা বলার অধিকার খাপ পঞ্চায়েতের নেই। এ ধরনের নির্দেশ আইনের লঙ্ঘন ও অপরাধ। বাংলামেইল

র‌্যাবের সেই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 11 May 2014 13:05 BdST Updated: 11 May 2014 22:05 BdST ফাইল ছবি ফাইল ছবি নারায়ণগঞ্জে সাতখুনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চাকরিচ্যুত র‌্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডারসহ তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা’ May 11 2014 ১০ বছরে ২ হাজার র‌্যাব সদস্যের শাস্তি May 10 2014 ৭ খুনের তদন্ত: র‌্যাবের বিরুদ্ধে বলে এল নিহতদের স্বজনরা May 10 2014 ৭ খুন: চাকরি গেল সেই ৩ র‌্যাব কর্মকর্তার May 07 2014 র‌্যাবকে দায়ী করলেন নজরুলের শ্বশুর May 04 2014 এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে রোববার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। পুলিশের মহাপরিদর্শককে অবিলম্বে এজন্য পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই তিন কর্মকর্তা হলেন- র‌্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা। এদের মধ্যে তারেক সাঈদ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা। হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি বা অন্য কোনো বিশেষ আইনে কোনো অভিযোগ পাওয়া না গেলে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে। গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও নির্দেশনায় বলা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। লাশ উদ্ধারের আগের দিন তারেক সাঈদ মাহমুদকে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়েছিল। এরপর নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে র‌্যাব সদস্যরা তার জামাতাসহ সাতজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। ওই অভিযোগ ওঠার পর গত ৭ মে র‌্যাবের ওই তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অকালীন ও বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। র‌্যাব কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনার পাশাপাশি ‍দুটি রুলও জারি করেছে আদালত। রুলে পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেশাগত কার্যক্রম সম্পর্কিত আইন সংশোধন ও হালনাগাদ করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনা করতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় আইনের ঘাটতি সংশোধনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের পর ওই বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার বলেন, এর আগে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ এ ব্যাপারে আদেশ দিয়েছিল। সে সময় ওই তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্তের বিষয়টা থাকলে ওই বেঞ্চই তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতো। “আমরা নতুন করে এ বিষয়ে আদেশ দিলাম। কারণ কিছু পাওয়া না গেলেতো তাদের বরখাস্ত করা হতো না।” আদালত বলেছে, “এর আগের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশের সঙ্গে এই রিটেরও শুনানি হবে। সেই বেঞ্চের বিবেচনার জন্য আমরা বিষয়টি পাঠিয়ে দিলাম।” শুনানিতে কামাল হোসেন বলেন, সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্র যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে সংবিধান নিশ্চয়তা দিয়েছে। বেঁচে থাকার অধিকারই মৌলিক অধিকারের মধ্যে সবচেয়ে মৌলিক। “এ ব্যাপারেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। শুধু এই ২৭ এপ্রিলের ঘটনাই নয়, এর আগেও বিনাবিচারে হত্যা, খুন ও গুমের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনায় অনেকের লাশ পাওয়া গেছে। অনেকের যায় নাই।” তিনি বলেন, হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ রুল ইস্যু করেছিল। কিন্তু সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকার রক্ষায় নির্দেশনা প্রয়োজন। সংবিধানের অভিভাবক হিসাবে সুপ্রিম কোর্ট সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে। “অতীতে এ ধরনের বিনাবিচারে হত্যা, গুম ও খুনের ঘটনার পর এগুলো আর ঘটবে না বলে আমরা নানা প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হয় নাই। “আইনে কোনো ঘাটতি থাকলে সেগুলো উন্নত করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন আইন করতে হবে।” সাধারণত বেঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে থাকেন। এই মামলায়ও ওই বেঞ্চে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান আদালতে উপস্থিত থাকলেও তিনি পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো কথা বলেননি। সকালে সাত খুনের ঘটনা তদন্ত পর্যবেক্ষণে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন চেয়ে রিটটি করা হলেও পরে আদালতে বসেই আবেদনকারীর আইনজীবীরা রিট আবেদন সংশোধন করেন। সংশোধিত ওই রিটের আর্জিকে কিছুটা পরিবর্তন করে আদালত আদেশ দেয়। নিহত চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান ও ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’র নির্বাহী সভাপতি মাহবুবুর রহমান এই রিট দায়ের করেন। বাংলাদেশের আরো খবর

শেখ মুজিব বেঁচে থাকলে তার মেয়েদের কারণে লজ্জা পেতেন... 11 May, 2014
আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তবু আমার দাম্ভিকতা স্বয়ং জাতির জনকের কন্যার থেকেও বেশি। আমার অহংকার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বোনের থেকেও বেশি। আমি নিশ্চিত করে বলছি আমার বাবা বেঁচে থাকলে এখন আমার জন্য গৌরব করতেন। আর শেখ মুজিব বেঁচে থাকলে তার মেয়েদের কারণে লজ্জা পেতেন। আমার লজ্জা লাগছে। শেখ উইথ হাসিনা/রেহানা। ধিক! পথের ফকির আর রাজভবনের ফকিরের মিল খুঁজে চলছি নিরন্তর। গ্রাম মেম্বাররা যখন সরকারি রেশন কার্ড দেন তখনও বাবার নাম জেনে নেন। শেখ রেহানাও সরকারি দান নিচ্ছেন বাবার পরিচয়েই। তার বাবা শেখ মুজিব না হলে তিনি কী???? আত্মগর্বে আমার এখন মরি মরি দশা। বুঝুন অবস্থা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর পরিবার দান নেন আর আমি আমজনতা হয়েও দান করি। গর্বে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি রে........এত্ত সুখও ছিল জীবনে। আমার দান করার একটা নমুনা দেই। কিন্তু দান নিয়েছি এমন নজির নাই। তাই দিতে পারছি না। বুঝুন গৌরব কাকে বলে। আমি দান নেই না বলছি জোর গলায়। পারবে শেখ রেহানা বলতে? আমি পথ চলি আর পথের মানুষ দেখি। রাস্তার ফুটপাতে বসে থাকা ফকিরের ভিক্ষা চাইবার স্টাইলও দেখি খুব মনোযোগের সাথে। সত্যিকারের অভাবী বুঝলে সাহায্য করি। হাতে সময় থাকলে ইচ্ছে পূরণ করি। সেদিন এক বৃদ্ধের সাথে দেখা। বললাম কী খাবেন? যা পাই। ভোনা খিচুরি খাবেন? হাসলেন বাঁকা ঠোটে, যেন আমি উপহাস করছি আর উনি তা ধরতে পেরেছেন। এবার জোর দিয়ে বললাম কী খাবেন? নাগো মা। বলেই হাঁটতে শুরু করলেন। আমি থামালাম তাকে। আরে যাচ্ছেন কেন সত্যি খাওয়াবো। অনেকটা জোর করেই মগবাজার মোড়ের থ্রি স্টার হোটেলে নিয়ে গেলাম। বসলাম। ভোনা খিচুড়ির অর্ডার দিতেই জানালো শেষ। ইলিশ মাছ ভাজা, ভর্তা, ডাল আছে। দিতে বললাম। খাবার এলে নির্বাক হয়ে যাওয়া বৃদ্ধ হাতের কবজি ডুবিয়ে খাওয়া শুরু করলো কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে। ভর্তাও নিলেন কিন্তু ইলিশ মাছটা ছুঁয়েও দেখলেন না। আমি তুলে দিতে গেলাম। থামিয়ে দিলেন নাগো মা ও মাছের বড় দাম। তুমি ভাত দিছো তাই খুশি। আমি জোর করে প্লেটে ঢেলে দিলাম। বৃদ্ধ কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে খাচ্ছিলেন গোগ্রাসে। এবার থামলেন। ইলিশ মাছের টুকরাটা নেড়ে চেড়ে দেখলেন অনেক সময় নিয়ে। আমি তাড়া দিতেই মুখ তুলে তাকালো। কাঁদছেন তিনি। দু’চোখে অঝোরে পানি ঝরছে। নাকের পানি আর চোখের পানি একসাথে জড়াজড়ি করে নিচে নামছে। আমি অপ্রস্তুত। নাগো মা পরিবার রেখে এই মাছ কেমনে খামু। গত ৩৫ বছর ইলিশ মাছ খাই না। মোর ৭টা গেদা গেদী (সন্তান) তাগোও কোনোদিন কিনে খাওয়াতে পারিনি। চেনেই না তারা ইলিশ মাছ কেমন। আমি কেমনে খাই। আমি চুপ। বৃদ্ধ ইলিশ প্লেটে তুলে রেখে ভাত খাওয়া শেষ করলো। এবার আমি বাকরুদ্ধ! যে অহংকার নিয়ে বুড়োকে খাওয়াতে গিয়েছিলাম তা এক লাফে বদলে গিয়ে কষ্টে রূপ নিলো। কী করতে পারি? কী করতে পারি আমি? বৃদ্ধের মতো কতজন আছে আমার চারপাশে, আমি কী করবো। মনটা বড্ড খারাপ হয়ে গেলো। মিনা বাজারে নিয়ে গিয়ে একটা ইলিশ মাছ কিনে দিলাম ৯০০ টাকায়। ২ কেজি চাল দিলাম ব্যাগের ভেতর। বললাম বাড়িতে গিয়ে সবাই মিলে খাবেন। আমার সৌভাগ্য আমি এক গরীব বৃদ্ধের এক বেলার আনন্দের কারণ হতে পেরেছি। আমি এক অতি সাধারণ পরিবারের মেয়ে তবু আমার গৌরব আছে। সুখ আছে। সাধারণ, অতি সাধারণ কিছু মানুষরে জন্য করবার ক্ষমতা আছে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে রেহেনা এক মহামান্বিত পরিবারের সদস্য হয়েও তার কিছু নেই! তাকে এই অধিকাংশ গরীব মানুষের এই দেশ থেকেও দান নিতে হয় পিতার পরিচয়ে। ধিক তোমায় ধিক। লেখক: ফারহানা লাকী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী লাকী আইডিয়াবিডি ডটকম

শেষ হয়ে গেছে এন্টিভাইরাসের যুগ 11 May, 2014 কম্পিউটারে রক্ষিত ব্যক্তিগত তথ্য ও কোন প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তা স্বার্থে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা হলেও আদতে এন্টিভাইরাস ব্যবহারকারীদের তথ্য হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা অক্ষম বলে মনে করছে বিশ্বখ্যাত নর্টন এন্টিভাইরাসের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিমেনটেক।এন্টি-ভাইরাস প্রযুক্তির যুগ শেষ হয়ে গেছে এমনটাই দাবি সাইবার নিরাপত্তায় বিশ্বব্যাপী পরিচিত কোম্পানিটির। কোম্পানির মতে, এন্টিভাইরাস এখন মৃত। কোম্পানির তথ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান ডাই ওয়াল স্ট্রীট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, হ্যাকাররা দিনকে দনি নতুন সব প্রযুক্তি আবিষ্কার করে চলেছে। কেবলমাত্র হ্যাকারদের দক্ষতা নয়, এন্টি-ভাইরাসের বাজার কমে আসায়, এটি আগের মত কেবল অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নেই। ডাইয়ের মতে, তাদের তৈরি এন্টি-ভাইরাস কেবলমাত্র ৪৫ শতাংশ সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। হ্যাকাররা প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে। হ্যাকার নতুন প্রযুক্তির কারণে সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানিগুলো হ্যাকারদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে চাকরিতে নিতে বাধ্য হচ্ছে। ১৯৮০ সালে সিমেনটেক তাদের এন্টিভাইরাস বাজারজাত শুরু করে। তখন এটি কম্পিউটারের ডাটাবেজ রক্ষা করত ও যে কোন আক্রমণকে বা অপ্রয়োজনীয় কোডকে ব্লক করে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করত। কিন্তু এখনকার সাইবার আক্রমণ বহুমাত্রিক। এখন ট্রোজেন হর্স থেকে শুরু করে যেকোন কোডকেই হ্যাকাররা ম্যালওয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়া স্পাইওয়ারের মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর কীবোর্ডে নজর রাখে ও পাসওয়ার্ড কপি করে নেয়। তবে কোন বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে হ্যাকাররা স্পাইওয়ার ব্যবহার করে। সিমেনটেকের মতে, এখন আর সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। বরং এখনকার এন্টিভাইরাসগুলো আক্রমণ শনাক্ত করবে ও হ্যাকারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। এছাড়া ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে জানাবে। এখন সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ নয় ব্যবহারীর তথ্য পাচার হওয়া ও যেকোন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে এমন সিকিউরিট প্যাকেজ তৈরি করা দরকার। এন্টিভাইরাস তার কার্যক্ষমতা হারালেও বিভিন্ন এন্টিভাইরাস কোম্পানি ব্যবহারকারীদের কাছে নিরাপত্তা প্যাকেজ সম্পন্ন এন্টিভাইরাস বিক্রি করছে। এই এন্টিভাইরাসগুলো স্প্যাম ব্লক, পাসওয়ার্ড রক্ষা ও বিভিন্ন মেলিসিয়াস লিংক থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দেবে, এমন কথা বলে বিক্রি করা হলেও আদতে তা সম্ভব নয়। আর অক্ষম এন্টিভাইরাসকে এভাবে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত সিমেনটেকের কর্মকর্তা। এন্টিভাইরাসের বাজারের শতকরা ৮ ভাগ সিমেনটেকের দখলে রয়েছে। কোম্পানি নিরাপত্তা ও নতুন নতুন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে এমন ছোট ছোট কোম্পানিকে নিয়ে একত্রে এন্টিভাইরাসের বদলে বিভিন্ন নিরাপত্তা প্যাকেজ তৈরির চেষ্টা করছে। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত কোম্পানিটি ১.৬১-১৬৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। সিমেনটেক যে সব কোম্পানির সাথে মিলে কাজ করছে, তাদের মধ্যে একটি হলো, জুনিপার নেটওয়ার্ক। এই কোম্পানির ‘তৈরি ঘোস্ট আর্মি’ ব্যবহারকারীর তথ্য ও বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান রক্ষায় হ্যাকারদের ভুল পাসওয়ার্ড প্রদান করে ও বিভ্রান্ত করা চেষ্টা করে। ম্যানডাইট নামের আরো একটি কোম্পানির সাথে সিমেনটেক কাজ করবে, যেটি মার্কিন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।

চাঞ্চল্যকর ৭ খুন: অপহরণের ভিডিওচিত্র পুলিশের হাতে! May 11, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in অপরাধ, বাছাইকৃত with 0 Comments 7marder+narayanganjনিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামকে অপহরণের ভিডিওচিত্র এখন পুলিশের হাতে। নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মোবাইল ফোনের মধ্যে এই ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে। পুলিশের তদন্ত সূত্র এ খবর জানিয়েছে। জানা গেছে, নজরুলসহ অন্যরা যখন অপহরণ হয়, তখন এ ঘটনা দেখে ফেলেন আইনজীবী চন্দন সরকার। তিনি তখনই মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে শুরু করেন। অপহরণের ওই ভিডিওচিত্র ধারণ করার কারণেই চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালককে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। জানা যায়, কিছুটা অস্পষ্ট ওই ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি নজরুল ও তার সহযোগীদের টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলছে। তবে ভিডিও খুবই কম সময়ের। এক মিনিটের বেশি হবে না। এর আগে ৩ মে চন্দন সরকারের মোবাইল ফোন ব্যবহারে জড়িত থাকায় রতন ও শিপন নামের দু’জনকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকেই চন্দন সরকারের নকিয়া ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট পাওয়া যায়। তারা পেশায় প্রাইভেটকারের চালক। অপহরণের পর রাজধানীর নিকেতনে চন্দন সরকারের গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই গাড়িতে পড়ে থাকা মোবাইল সেট নিয়ে পালায় গাড়িচালক রতন। এর পর সেটি তার ভাতিজা শিপনকে দেয়। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১১ মে, ২০১৪/১১.২৯/মেহেদী হাসান আরো খবর: অপহরণ দেখে ফেলায় প্রাণ গেল চন্দনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে বিজিবি মোতায়েন শেখ হাসিনার সঙ্গে চন্দন সরকারের পরিবারের সাক্ষাৎ নজরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন চাকরিচ্যুত ৩ র‌্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর ব্রা বা বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর পূর্তির খবরটা রোমাঞ্চকর থেকে রাজনৈতিক, সব কিছুই হতে পারে৷ নারীত্ব থেকে নারীবাদ, যৌনতা থেকে পুরুষ-শাসিত সভ্যতা, সবকিছুর প্রতীক হতে পারে এই ছোট্ট, অথচ মহিলাদের কাছে প্রায় অপরিহার্য এই পরিধেয়টি৷
Femen in Paris নারীবাদ ও নারীদেহ নারীমুক্তি ও নারীস্বাধীনতা আন্দোলনের সমাপ্তি ব্রা-তে কিংবা ব্রা পোড়ানোতেই নয়৷ নারীদেহই এখন সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের প্রতীক, যেমন ইউক্রেনের ‘ফেমেন’ গোষ্ঠীর আন্দোলনে৷ ছবিতে আন্দোলনকারীরা প্যারিসের রাজপথে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর
ব্রা বা বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর পূর্তির খবরটা রোমাঞ্চকর থেকে রাজনৈতিক, সব কিছুই হতে পারে৷ নারীত্ব থেকে নারীবাদ, যৌনতা থেকে পুরুষ-শাসিত সভ্যতা, সবকিছুর প্রতীক হতে পারে এই ছোট্ট, অথচ মহিলাদের কাছে প্রায় অপরিহার্য এই পরিধেয়টি৷ Büstenhalter in unterschiedlichen Farben একটি অপরিহার্য বস্ত্র প্রতিদিন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মহিলা যে অন্তর্বাসটি পরিধান করে থাকেন, ইংরিজিতে যার নাম ব্রাসিয়ের কিংবা ব্রা, সেই বক্ষবন্ধনীর পেটেন্ট নথিভুক্ত করা হয় আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে, ১২ই ফেব্রুয়ারি ১৯১৪ তারিখে৷ বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর ব্রা বা বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর পূর্তির খবরটা রোমাঞ্চকর থেকে রাজনৈতিক, সব কিছুই হতে পারে৷ নারীত্ব থেকে নারীবাদ, যৌনতা থেকে পুরুষ-শাসিত সভ্যতা, সবকিছুর প্রতীক হতে পারে এই ছোট্ট, অথচ মহিলাদের কাছে প্রায় অপরিহার্য এই পরিধেয়টি৷
Caresse Crosby aka Mary Phelps Jacob দেড় হাজার ডলার মূল্যের একটি পেটেন্ট! ব্রাসিয়েরের স্রষ্টা মেরি ফেল্পস জেকব একশো বছর আগে ব্রা-এর পেটেন্ট নথিভুক্ত করেন: তখন তাঁর বয়স ২৩ বছর৷ পরে মাত্র দেড় হাজার ডলার মূল্যে সেই পেটেন্ট আবার বেচেও দিয়েছিলেন মেরি৷ বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর ব্রা বা বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর পূর্তির খবরটা রোমাঞ্চকর থেকে রাজনৈতিক, সব কিছুই হতে পারে৷ নারীত্ব থেকে নারীবাদ, যৌনতা থেকে পুরুষ-শাসিত সভ্যতা, সবকিছুর প্রতীক হতে পারে এই ছোট্ট, অথচ মহিলাদের কাছে প্রায় অপরিহার্য এই পরিধেয়টি৷ Deutschland Geschichte Demonstration Frauenwahlrecht
প্রথম আধুনিক বক্ষবন্ধনীর জন্মমুহূর্তে সে আমলে মহিলারা পোশাকের তলায় যে বস্তুটি ধারণ করতেন, তাকে বলা হতো ‘কর্সেট’৷ সেটা ছিল এক ধরনের বর্ম, তিমি মাছের হাড় দিয়ে তৈরি হুপ যুক্ত৷ কাজেই মেরির সৃষ্টি ছিল সে তুলনায় নারী মুক্তির সমতুল৷ ছবিতে জার্মান মহিলারা ১৯১২ সালে জার্মানিতে মহিলাদের ভোট দেবার অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছেন৷ বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর ব্রা বা বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর পূর্তির খবরটা রোমাঞ্চকর থেকে রাজনৈতিক, সব কিছুই হতে পারে৷ নারীত্ব থেকে নারীবাদ, যৌনতা থেকে পুরুষ-শাসিত সভ্যতা, সবকিছুর প্রতীক হতে পারে এই ছোট্ট, অথচ মহিলাদের কাছে প্রায় অপরিহার্য এই পরিধেয়টি৷ BH wird 100 Jahre BH Verbrennung
বক্ষবন্ধনী, নাকি শুধুই বন্ধন? ষাটের দশকে নারীমুক্তি আন্দোলন যখন চরমে, তখন আবার ইউরোপ-অ্যামেরিকায় ঐ মহিলারাই তাঁদের ব্রা পুড়িয়ে পুরুষ-শাসিত সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান৷ ছবিতে ২৩ বছর বয়সি ডায়ান ম্যাথিউস ১৯৭২ সালে লন্ডনে ব্রা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন৷ বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর ব্রা বা বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর পূর্তির খবরটা রোমাঞ্চকর থেকে রাজনৈতিক, সব কিছুই হতে পারে৷ নারীত্ব থেকে নারীবাদ, যৌনতা থেকে পুরুষ-শাসিত সভ্যতা, সবকিছুর প্রতীক হতে পারে এই ছোট্ট, অথচ মহিলাদের কাছে প্রায় অপরিহার্য এই পরিধেয়টি৷ Ägypten Unruhen in Kairo Frau im blauen BH als Symbol des Widerstand Demonstration
বক্ষবন্ধনী আবার প্রতিবাদের প্রতীক হতে পারে দেশ, সংস্কৃতি ও কাল একটি প্রতীকের অর্থ ও তাৎপর্য নির্ধারণ করে৷ মিশরের সাম্প্রতিক আন্দোলনে নীল রঙের ব্রা পরে আন্দোলনে নেমেছিলেন মহিলারা৷ বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর ব্রা বা বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর পূর্তির খবরটা রোমাঞ্চকর থেকে রাজনৈতিক, সব কিছুই হতে পারে৷ নারীত্ব থেকে নারীবাদ, যৌনতা থেকে পুরুষ-শাসিত সভ্যতা, সবকিছুর প্রতীক হতে পারে এই ছোট্ট, অথচ মহিলাদের কাছে প্রায় অপরিহার্য এই পরিধেয়টি৷ Floral Fantasy Bra Victoria's Secret Alessandra Ambrosio অকল্পনীয় সম্পদ
ব্রা চিরকালই পরিধেয় বস্ত্র ও প্রতীক: নারী ও পুরুষের যৌনতা তার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়৷ অপরদিকে সেই ব্রা-কেই আবার নারীবাদীদের কোপে পড়তে হয়৷ পুঁজিবাদের আমলে মহিলাদের অন্তর্বাস নির্মাতা মার্কিন কোম্পানি ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট-এর এই মণি-মাণিক্য-খচিত ফ্লোরাল ফ্যান্টাসি ব্রা-টির দাম ২৫ লাখ ডলার৷ বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর ব্রা বা বক্ষবন্ধনীর ১০০ বছর পূর্তির খবরটা রোমাঞ্চকর থেকে রাজনৈতিক, সব কিছুই হতে পারে৷ নারীত্ব থেকে নারীবাদ, যৌনতা থেকে পুরুষ-শাসিত সভ্যতা, সবকিছুর প্রতীক হতে পারে এই ছোট্ট, অথচ মহিলাদের কাছে প্রায় অপরিহার্য এই পরিধেয়টি৷ Mode Indien - Besticktes Sisal-Bustier বক্ষবন্ধনী যেমন আন্তর্জাতিক, তেমনই দেশজ
পরিবেশ সচেতনতা থেকে দেশজ সংস্কৃতির ছোঁয়া লেগেছে শিশলের তৈরি এই ভারতীয় ব্রা-টিতে৷