রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


ধর্মের অপব্যাখ্যা শব্দটির অপব্যাখ্যা লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:২৯:২৩ রাত << আগের পোস্ট পরের পোস্ট >> আজকাল দেখি অনেকেই (এমনকি নাস্তিকরাও) "ধর্মের অপচর্চা" "ধর্মের অপব্যাখ্যা" শব্দ গুলো ব্যবহার করেন। আমার অবাক লাগে এই ভেবে যে তারা ধর্মের "সঠিক ব্যাখ্যা" বা "সঠিক চর্চা" টা কি তা জানেন কিনা। যদি জানেন তবে তারা কেন "সঠিক ধর্ম" টা নিজের জীবনে ধর্ম পালন করেন না ? এমনকি নাস্তিক হয়ে যান ? কোরানের কয়টি তাফসীর পড়েছেন? সম্পূর্ণ ভাবে একটিও না। কয়টি সীরাত (রাসুলের জীবনী মূলক বই) পড়েছেন? একটিও না। সীরাতে ইবনে হিসাম ? জ্বী, কী বললেন? এটা নামকরা একটা সীরাত গ্রন্থ। উসুল- আল-ফিকহের কয়টা বই পড়া আছে? পড়া তো দুরের কথা , নামও জানা নেই। ইসলাম কতটা প্রাকটিস করেন? সমালোচনার জন্য তো প্রাকটিসের দরকার নেই - আমার অন্য ধর্মের বয়ফ্রেন্ডের আর বন্ধুদের দেয়া যুক্তি থেকে ইসলাম বোঝা হয়ে গেছে। পড়া বা প্রাকটিসের দরকার পরেনা। আর আপনি ফতোয়া দিচ্ছেন কোনটা ধর্মের ব্যাখ্যা আর কোনটা অপব্যাখ্যা। কোনটা ধর্মের অপব্যাখ্যা সেটা তিনিই বলতে পারেন যিনি জানেন ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা কোনটা । যাদের নিজেদেরই ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট লেখাপড়া নেই তাদের দেয়া "ধর্মের অপব্যাখ্যা" লেভেলটি কতটা গ্রহনযোগ্য? যারা নিজেরা ধর্মের প্রাকটিস নিজের জীবনে করেন না তারা "ধর্মের অপব্যাখ্যা" শব্দটা দুই কারণে ব্যবহার করেন - ১. মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে কনফিউসউ করা যাতে অন্যরাও তার মত ধর্ম পালন থেকে দুরে থাকে ২. অথবা নিজে যে ধর্মের অনুশাসন পালন করেন না তার পেছনে একটা অজুহাত দাড় করানো কাজেই যখনই আমি দেখি কেউ "ধর্মের অপব্যাখ্যা" শব্দটা ব্যবহার করছে, সাথে সাথেই আমি দুইটা বিষয় অনুসন্ধান করে নেই - ১. ব্যক্তিটির কোরান, হাদিস ও উসুল যথেষ্ট পড়া আছে কিনা ২. সে নিজের জীবনে ধর্মের অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিনা- দৈনন্দিন জীবনে ধর্ম পালনে সচেষ্ট কিনা উত্তর যদি "না" হয় তবে তার কথা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আর যদি উত্তর "হ্যা" হয় তবে বিষয়টি নিয়ে আমি নিজের গবেষণা শুরু করি। বিষয়: বিবিধ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন