সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


ভিডিও >> মিলাদ মানেই ভিক্ষা করাঃ শাহরিয়া্র কবীর
17 Feb, 2014 অনেকেই মনে করে কওমি মাদ্রাসা থেকে পাস করলে এই মাদ্রাসার শিড়্গক হওয়া যাবে, মসজিদে ইমামতি করা যাবে আর নয় মিলাদ করা যাবে। মিলাদ করা মানে ভিড়্গা করা। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে পাস করার পর তারা বিসিএস পরীড়্গায় অংশগ্রহণ করতে পারে। এই জন্য কওমি মাদ্রাসার শিড়্গার্থীরা সরকারি স্বীকৃতি চাইছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির রোববার রাতে এটিএন নিউজের ‘নিউজ আওয়ার এঙ্ট্রা’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। প্রভাষ আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক এবং গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারম্নফ রসূল। অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির বলেন, ২০০৯ সালে অধ্যাপক কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিড়্গা কমিশন গঠন করে। ২০১০ সালে অধ্যাপক কবিরের কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে পরিষ্ড়্গার করে বলা হয়েছে- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্তô আলাদা কোনো মাদ্রাসা শিড়্গা থাকবে না। সাধারণ শিড়্গা, সাধারণ কারিকুলামের পাঠ্যসূচি মাদ্রাসাতেও পাঠ্যক্রম হিসেবে পড়াতে হবে। কিন্তু এর বিরম্নদ্ধে শফিরা রম্নখে দাঁড়িয়েছে এবং তারা নাস্তিôক বলতেও সামান্য পিছপা হয়নি। বর্তমানে মাদ্রাসার শিড়্গার আমূল সংস্ড়্গার দরকার বলে শাহারিয়ার কবির মনে করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কওমি মাদ্রাসায় ৫০ লাখেরও বেশি শিড়্গার্থী রয়েছে। ১ হাজারেরও বেশি মাদ্রাসার উপর তদন্তেôর ফল কিছুটা এরূপ- শতকরা ৮০ ভাগ ছাত্র কওমি মাদ্রাসার সনদে সরকারি স্বীকৃতি চায়। শফিরা প্রথমে সরকারি স্বীকৃতি চেয়েছিলেন কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে তারা আর এর মধ্যে নেই। হেফাজতের উত্থানের পর শফিরা বলে দিয়েছেন, সরকার যদি রাষ্ট্রীয়করণ বা কোনো প্রকার হস্তôড়্গেপ করে তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যাবে। সরকারের ভুল এখানেই যে, ৮০ ভাগ ছাত্র সরকারি স্বীকৃতি চাইছে অথচ সরকার দিতে পারছে না। সরকার যদি এটাকে সরকারি করে ফেলে তাহলে গোটা কওমি মাদ্রাসাকে শফিদের জামায়াতের ছত্রছায়া থেকে বের করে আনা যাবে। তিনি বলেন, মাদ্রাসার সংখ্যা যে হারে বাড়ছে সেই হারে সাধারণ শিড়্গা বাড়ছে না। এজন্য আমাদের শিড়্গায় বাজেট বাড়াতে হবে এবং প্রত্যেক কওমি মাদ্রাসায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাধ্যতামূলক করে দিতে হবে। যদিও জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংস্ড়্গৃতি নিয়ে তারা দ্বিমত করতে পারে। কিুত্ম তা কখনই করতে দেয়া যাবে না এবং যারা জাতীয়তার বিরম্নদ্ধে যাবে তাদেরই পাকিস্তôানে পাঠিয়ে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, জামায়াত হেফাজত দমনের জন্য সরকারের সাহসী পদড়্গেপই যথেষ্ট। বাংলাদেশের বহু ইসলামি চিন্তôাবিদ এবং ইসলামি রাজনৈতিক দল সরকারের এই পদড়্গেপকে সমর্থন করে। জামায়াত হেফাজত যেটা করছে সেটা কোনোভাবেই ইসলাম নয়। এরা ইসলামকে দুর্নাম ও বিপন্ন করছে। ইসলামি বুদ্ধিজীবী আলেমদের নিয়ে সরকারের একটি বলিষ্ঠ পদড়্গেপ নেয়া উচিত।
http://www.youtube.com/watch?v=7VTJEe102dM

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন