রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


ত্রীর মিলনদৃশ্য ইন্টারনেটে দিলো স্বামী, গৃহবধূর আত্মহত্যা ১৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৪
নিজস্ব প্রতিনিধি আরটিএনএন ঝিনাইদহ: জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর বারোবাজার এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় বিউটি খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূ তার সঙ্গে সাবেক স্বামীর মিলনদৃশ্যের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ায় লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ শনিবার রাত ৯টার দিকে বিউটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় বিউটির সাবেক স্বামী মিঠু ও শাশুড়িসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর বারোবাজার গ্রামের ভ্যানচালক শহিদুল ইসলামের মেয়ে বিউটি খাতুনের সঙ্গে ২০১০ সালে একই উপজেলার আমবাগান গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিঠু মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে হৃদয় মিয়া নামে এ্কটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সংসার করার এক পর্যায়ে দেড় বছর আগে বিউটিকে সন্তানসহ তালাক দেন মিঠু। বিউটি তার পিতার বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। এরই মধ্যে গত জানুয়ারিতে স্বামী মিঠু মোবাইল ফোনে বিউটিকে আবারো বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং চট্টগামে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দুজনের শারীরিক মিলনদৃশ্য ধারণ করে। এরপর মিঠু সেই শারীরিক মিলনের দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। বিউটি ঘটনাটি জানতে পেরে লজ্জায় শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পিরোজপুর গ্রামে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে নিহত বিউটির বড় ভাই মো. মিঠুন ইসলাম জানান, ১০ দিন আগে বিউটির সাবেক স্বামী মিঠু মিয়া বিউটিকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামে নিয়ে যায়। কোলা গ্রামের বারো ভূঁইয়া মাঠে নিয়ে বিউটির আড়াই বছরের শিশু পুত্র হৃদয়ের গলায় ছুরি ধরে সাবেক স্বামী মিঠু মিয়াসহ ৬ জন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। বিউটি এ কথা জানতে পেরে লজ্জায় আত্মহত্যা করে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মনির উদ্দীন মোল্লা খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ মুজিবর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে বিউটির সাবেক স্বামী মিঠু মিয়া, তার মাসহ অন্যান্য আসামিরা পালাতক রয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন আইনের ৯ (ক)/৩০ ধারায় একটি মামলা হয়েছে (মামলা নং-৯, তারিখ ১৫/০২/২০১৪)। তিনি জানান, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন মোবাইলে ধর্ষণের চিত্র ধারণকারী ধর্ষকদের আটক করার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন