শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


আল কায়দা প্রশ্নে আ.লীগ-বিএনপি এক 15 Feb, 2014 বাংলাদেশে ‘ইসলাম বিরোধীদের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আল কায়েদার পক্ষ থেকে যে বার্তা প্রচার করা হয়েছে তাতে উদ্বেগ জানিয়েছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তবে আল কায়েদার বক্তব্যের বিষয়ে তেমন মাথা ব্যাথা নেই দেশের প্রধান দু’টি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। তাদের মতে দেশে কেউ জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটাতে পারবে না। কেউ যদি জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুই দলের নেতারা। আল কায়েদা নেতা আয়মন আল-জাওয়াহিরির একটি ভিডিও বার্তা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘আল কায়েদা একটি জঙ্গি সংগঠন। এদের কোনো কর্মকাণ্ডকে বিএনপি কোনোভাবেই সমর্থন করে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই। আর কেউ যদি সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে তা প্রতিরোধ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘অতীতে যারা দেশে জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হয়েছে।’ বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ নেই। দেশের মানুষ এমন সংগঠন সমর্থন করে না। তাছাড়া আল-কায়েদার দাবি সঠিক নয়। কারণ আমাদের দেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বাংলামেইলকে বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব থাকবে না। এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। বাইরের কোনো দেশের হুমকি-ধামকিতে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই পিছ পা হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি জঙ্গিবাদ দমনে কাজ চলছে।’ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আল-কায়দা এবং বাংলাদেশের জামায়াত ও হেফাজত একই সংগঠন। অতএব তারা ঘোষণা দিতেই পারে। আওয়ামী লীগ এতে ভয় পায় না।’ তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাই আল কায়েদার ভিডিও বার্তা প্রসঙ্গে কিছুই জানেন না। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমি এটা শুনিনি। এটা সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। আমি এ বিষয়ে এক্সপার্টও নই। তাই এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না।’ স্থায়ী কমিটির অপর এক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমরা জানা নেই।’ নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এ বিষয়ে এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আল কায়দাদের টার্গেটে পরিণত হতে পারে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আল কায়েদা নেতা আয়মন আল-জাওয়াহিরির একটি ভিডিও বার্তা অনলাইনে প্রচার হয়েছে। এই ভিডিও বার্তায় আল কায়েদা নেতা বাংলাদেশিদের ভারতীয় উপমহাদেশ এবং পশ্চিমের ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। উৎসঃ বাংলামেইল২৪ Share on facebook Share on email Share on print 1

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন