কারাগার এখন ‘জঙ্গী আস্তানা’! টনক নড়বে কবে?
25 Feb, 2014
দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় সরকারের জ্ঞাত ও অজ্ঞাতসারে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে জঙ্গী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। একারণেই, পরিকল্পিতভাবে কাশিমপুর কারাগারে আটক থাকা তিন জঙ্গী সদস্যকে ময়মনসিংহের নেওয়ার পথে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পেরেছে জেএমবি। এভাবে কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে অবাধে জঙ্গী তৎপরতা চালাচ্ছে জেএমবির জঙ্গিরা।
জঙ্গিদের এমন তৎপরতার ফলে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর জঙ্গীবাদ বিরোধী সমস্ত সাফল্য মাঠে মারা পড়ছে। এছাড়া, বাংলাদেশে পুনরায় জঙ্গী উত্থানের ঝুঁকি বেড়ে চলছে। এই ঝুঁকি কতটুকু ভয়ঙ্কর হতে পারে তারই একটি লক্ষণ হচ্ছে ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যা করে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গী সদস্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি।
বাংলাদেশে জঙ্গী নেটওয়ার্কগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো বলছে, দেশের কারাগারগুলোতে গ্রেফতার থাকা জঙ্গী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নির্বিঘ্নে কারাগারে থেকেই কোন জঙ্গী আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। এছাড়া, নেতৃস্থানীর জঙ্গীদের অধিকাংশই কারাবন্দী আছে। এরা কারাগারে থেকেই খুনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমের তদারকি করে। একারণে, কারাগারগুলো জঙ্গী কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ফলে, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতার কারণে জঙ্গী সদস্যরা গ্রেফতার হলেও তা কোন কাজেই আসছে না।
জেএমবির পাশাপাশি আরেক জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের(হুজি) কার্যক্রমও পরিচালিত হয় কারাগার থেকেই। হুজি সংগঠনের প্রধান আব্দুর রব কাশিমপুর কারাগারে আটক আছে। আব্দুর রব কারাগার থেকেই সংগঠনটির সমস্ত জঙ্গী তৎপরতার সমন্বয় করেন। কারাবন্দী থেকেই আব্দুর রব, তার অন্যতম সহযোগী হুজি নেতা মশিউর রহমান ওরফে মিলন তালুকদারকে দিক নির্দেশনা দিতেন। এর ভিত্তিতেই মশিউর রহমান দেশের বিভিন্নস্থানে হুজিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার কাজে লিপ্ত ছিল। অনেকদিন গোপনে কাজ করার পর ২০১৩ সালের আগস্টে ৮ জন জঙ্গী সদস্যসহ মশিউর রহমান গ্রেফতার হন।
একইভাবে কারাগারের ভেতরে জঙ্গী কার্যক্রমে পিছিয়ে নেই হিযবুত তাহরীরও। কারাবন্দী নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর তেমন কোন নজরদারি না থাকার সুযোগে এমন তৎপরতা চলছে। একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে অভিযযোগ করা হয়েছে যে, একশ্রেণীর অসাধু কারা কর্মকর্তা কারাগারের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় নিষিদ্ধ সংগঠনটির সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানর সুযোগ করে দিচ্ছেন।
উৎসঃ নতুন দিন
Share on facebook Share on email Share on print
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন