নিখোঁজ তরুণীদের উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযানের নির্দেশ
14 Feb, 2014
নিখোঁজ ৪০০ তরুণীকে পুলিশ উদ্ধার করে পুনরায় দালালদের কাছে হস্তান্তর করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানবাধিকার সংস্থার সহায়তায় পুলিশ এসব তরুণীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের মানব পাচার আইনে মামলা না করে ডিএমপি অ্যাক্টের সাধারণ ধারায় আদালতে পাঠালে সংশ্লিষ্ট দালালরা সামান্য জরিমানা জমা দিয়েই এসব তরুণীকে নিয়ে লাপাত্তা হন। এর পর থেকে সেসব তরুণীকেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা নিজ নিজ অভিভাবকের কাছেও ফিরে যেতে পারেননি। শুধু হাতবদল হয়েছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে রাজধানীর নারীবাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত আবাসিক হোটেলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুলশান বিভাগের ডিসি খন্দকার লুৎফুল কবীর ও এসি নূরুল আলমের নেতৃত্বে ২৪ ঘণ্টার টানা অভিযানে বনানী-কাকলী এলাকার সব হোটেল এখন তালাবদ্ধ। অন্যান্য গেস্ট হাউস, রেস্ট হাউস, ড্যান্স ক্লাবের রমরমাভাব উবে গেছে মুহূর্তেই। তবে রামপুরা থানার বনশ্রী এবং গুলশানের নিকেতন আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাটগুলো থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেসব ফ্ল্যাটে কয়েক শ নারী বন্দীদশায় থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে পুলিশ সদর দফতরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-সদর) আনোয়ার হোসেন বলেন, শীঘ্রই থানাভিত্তিক তালিকা তৈরি করে সাঁড়াশি অভিযান করে পুলিশ একযোগে অভিযান চালাবে। এ বিষয়ে আপসহীন ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনে '১৬০০ তরুণী উধাও' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঢাকা মহানগর পুলিশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে রাজধানীর সব থানা পুলিশকে নারীবাণিজ্য রোধকল্পে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। নারীদেহ বিকিকিনির নানা ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কারণে বনানী, রামপুরা, উত্তরা ও শাহজাহানপুর থানাকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ রাজধানীতে নিখোঁজসংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরিগুলো (জিডি) খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা বেশ কয়েকটি থানায় তেমন পাত্তা পাচ্ছে না। আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউস, রেস্ট হাউসে পুলিশি অভিযান থাকার কারণে সেসব স্থান থেকে মেয়েদের বিভিন্ন মহল্লার বাসাবাড়িতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তড়িঘড়ি এসব বাসা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি থানার চিহ্নিত পুলিশ অফিসাররা সহায়তা করছেন। এ ক্ষেত্রে শাহজাহানপুর, বাড্ডা, ভাটারা ও বনানী থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআই নিজ নিজ থানা এলাকায় বাসাবাড়ি ভাড়া করে দেওয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উৎসঃ bd-pratidin
Share on facebook Share on email Share on print
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন