সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


গণজাগরণ হয়েছে ঠিকই কিন্তু গণআন্দোলন হলো কি?
18 Feb, 2014 মাসুদা ভাট্টি গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে আমার প্রথম কিস্তির লেখাটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিস্তর মন্তব্য পাওয়া গেছে। লেখাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন ব্লগেও প্রকাশিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানেও অসংখ্য মানুষ এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। সকলকে ধন্যবাদ সে জন্য। সবার মন্তব্য বা বক্তব্য নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই খুব একটা। কারণ সকলেই নিজস্ব যুক্তির নিরিখে বক্তব্য দিয়েছেন এবং সেগুলো অগ্রাহ্য করার কোন কারণ নেই। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব গণজাগরণের উন্মেষ ঘটে তার অতীত নজির নেই, মানে এত অল্প সময়ে এত বেশি মানুষের অংশগ্রহণে আর কোন আন্দোলন এদেশে হয়নি। পৃথিবীর ইতিহাসেও এমন নজির খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। সেই উত্তুঙ্গ আন্দোলনকালে একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে আমাকে যা আশ্চর্য করেছিল তা হলো, ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ নাম তো দেয়া হলো, এর ভবিষ্যত আসলে কী? বিশেষ করে, এটি কী হিসেবে টিকে থাকবে? একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে? একটি সামাজিক সংগঠন হিসেবে? নাকি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর উপযোগিতা শেষ হবে? বিশেষ করে, শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই যখন সেখানে বিভিন্ন দল, উপদল এবং মনস্তত্ত্বে বিভক্তি দেখা দিল এবং কর্মসূচীগুলো আর আগের মতো ‘সম্মিলিত সিদ্ধান্তের’ আওতাধীন থাকল না তখনই শঙ্কাটা জেঁকে বসেছিল। প্রতিটি দেশেরই গণ-আন্দোলন কিংবা রাজনীতির একটি গতি-প্রকৃতি রয়েছে। তাকে তুঙ্গে পৌঁছানো এবং তাকে সফলভাবে শেষ করার ভেতর দিয়েই ইতিহাস নির্মিত হয়। ব্যর্থতারও যে ইতিহাস হয় না, তা নয়। সেদিক দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চ এদেশে একটি সফল ইতিহাসের সূচনা করেছে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা রাজপথে নেমেছিল, তা সফলতার দিকেই এগুচ্ছে বলতে হবে। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, গণজাগরণ মঞ্চকে দীর্ঘায়িত করা হলো কেন? কেন রাজপথে অবস্থান কর্মসূচীকে এক রকম জোর করেই আইন-শ্ঙ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভেঙে দিতে হলো? এর উত্তর আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, গণজাগরণ মঞ্চের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিছু প্রক্রিয়াগত ভুল ছিল। হতে পারে এটি এ জন্য যে, এই তারুণ্যের প্রতিবাদী আন্দোলনে ‘মেন্টরশিপ’-এর অভাব ছিল, ছিল তারুণের উচ্ছ্বাস; কিন্তু ছিল না অভিজ্ঞের প্রজ্ঞাময় উপদেশ। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা যেমন হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চকে, তেমনই একে বিতর্কিত করে এর মূল উদ্দেশ্যকেও বান্্চাল করে দেয়ার কথা বিগত সপ্তাহের লেখাতেই উল্লেখ করেছি। কিন্তু এগুলো মোকাবেলায় গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বের কোন সমন্বিত পরিকল্পনা টের পাওয়া যায়নি। জানি না, ভেতরে ভেতরে কিছু গ্রহণ করা হয়েছিল কি না, কিন্তু প্রকাশ্যে তা দেখা যায়নি। বড় বড় রাজনৈতিক দল মনে করেছে, এত বড় একটি জমায়েতকে যদি পাশে না পাওয়া যায় তাহলে তাদের হয় উঠিয়ে দিতে হবে, নয় তাদের বদনাম দিয়ে মানুষের মন থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কার্যত দু’পক্ষই সফল হয়েছিল ২০১৩ সালের মাঝামাঝি এসে তাদের এই প্রচেষ্টায়। কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চ কি পেরেছে এই টানাটানির ভেতর তাদের নিজস্বতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে? দেশের আপামর জনসাধারণের কথা না হয় নাইবা বলি, কিন্তু দেশের বিশেষ করে বড় শহরগুলোর শিক্ষিত তরুণদের ভেতর নিজেদের কোন স্বকীয় অবস্থান তৈরি করতে? গণজাগরণ মঞ্চের শুরুর দিকেই যখন ‘জয় বাংলা’-র পরে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বলা হবে কি হবে না, তা নিয়ে দ্বিধাদ¦ন্দ্ব দেখা গেছে তখন এই আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি কোন্্ দিকে যেতে পারে তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থকগোষ্ঠীর ভেতর এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত প্রাথমিকভাবেই বুঝতে পেরেছে যে, এরা আসলে তাদের রাজনৈতিক পারপাস সার্ভ করবে না, সেহেতু এদের কীভাবে আঘাত করা যায় তা দ্রুতই খুঁজে বের করতে হবে। বাম রাজনীতির নিজস্বতা ভিন্ন, তারা ‘নাইতে নামে চুল ভেজায় না’ গোছের অবস্থান নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চকে দেখেছে। মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের রাজনৈতিক অতীত বিবেচনায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি প্রথমে একে আওয়ামী-ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে মনে করেছে যে, তা আসলে যথেষ্ট হবে না। ফলে তারা বরাবরের মতো ধর্মকে টেনে এনেছে এর বিরুদ্ধে। যখন রাতারাতি হেফাজতে ইসলামকে তারা রাজপথে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে তখনই গণজাগরণ মঞ্চকে নিয়ে খানিকটা বিপাকেই পড়তে হয়েছে সরকারকে। সরকার দলের অনেকেই প্রকাশ্যেই একথা বলতে শুরু করেছিলেন যে, হেফাজতের উত্থানের জন্য এই মঞ্চ দায়ী। তখনই মঞ্চের নানা ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা হয়েছে এবং আগেই বলেছি যে, শেষ পর্যন্ত মঞ্চকে একরকম জোর করেই তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই টানাপোড়েন ও চাপানউতোরের ভেতর, মঞ্চের কোন নির্দিষ্ট ‘চরিত্র’ দাঁড়িয়েছে কি? বিশেষ করে ২০১৩-এর জুনের পর থেকে মঞ্চ কেবলই নানা বিতর্কে জড়িয়েছে নিজেদের। কিন্তু কার্যকর উদ্যোমী এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন কর্মসূচী কি দিতে পেরেছে? পাঠক হয়ত ভাবছেন যে, কেবলই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন? আসলে, গণজাগরণ মঞ্চ বিষয়ে আলোচনার ইতি টানতে এ রকম অনেক প্রশ্নই সামনে নিয়ে আসা জরুরী। গণজাগরণ মঞ্চ কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের একক প্রয়াস ছিল না। ছিল, জেগে ওঠা একদল তরুণের একত্রিত হয়ে দাঁড়ানোর কাল। কিন্তু কোন আন্দোলনই নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনাবিহীন চলতে পারে না। গণজাগরণ মঞ্চও অল্পদিনের মধ্যেই একদল তরুণকে নেতৃত্বের কাতারে এনেছিল এবং যার মুখপাত্র হিসেবে ইমরান এইচ সরকারকে আমরা দেখেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি ইমরানকে যতটুকু চিনি বা বুঝেছি তাতে, তার ভেতর নেতৃত্বগুণ নিঃসন্দেহে রয়েছে। রয়েছে সাংগঠনিক দক্ষতাও। কিন্তু এদেশে তিনজন মানুষ একত্রিত হলে তিনজনই নেতা হতে চাওয়ার যে প্রবণতা, তাতে গণজাগরণ মঞ্চে সমবেত তরুণদের ভেতরও যে নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই হয়নি, তা ভাববার কোনই কারণ নেই। বরং নেতৃত্ব নিয়েই নানা বিভক্তি সেখানে শুরুতেই হয়েছিল এবং পরবর্তীতে অনেকেই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে মঞ্চকে তথা ইমরানকে কীভাবে খাটো করা যায় সে চেষ্টাই করেছে। এটা আমাদের পুরনো রোগ, ‘আমি খেতে পারব না, যা তোকেও খেতে দেব না, তাই তোর ভাতে থুতু- জাতীয় মনোভাব থেকে আমরা কেউই মুক্ত নই। ফলে মঞ্চকে বিতর্কিত করার জন্য তহবিল সংগ্রহ তথা অর্থকরী বিষয়কে অবধারিতভাবেই টেনে আনা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, মঞ্চের নেতৃত্ব কোটি কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে। নিজে ভাগ না পেলে এক টাকা লাখ টাকা হতে দেরি লাগে না মোটেই, মঞ্চের ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে। অথচ, এদেশে কেন, যে কোন দেশেই গণ-আন্দোলন পরিচালনায় অর্থের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চ পরবর্তীতে যে সকল কর্মসূচী পালন করেছে সেখানে অর্থের প্রয়োজন হয়নি, এমন কথা তো সত্য নয়, কিন্তু সে অর্থের যোগান ও ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীরা কিন্তু নিজেদের পরিষ্কার করতে পারেননি কোনভাবেই। এ পক্ষীয়দের না হয় আমরা খারিজ করতে পারি তাদের ‘গাত্রদাহে’ মঞ্চের কোন দায় নেই বলে। কিন্তু আগেই যে প্রশ্ন তুলেছি তা হলো, মঞ্চ কি পেরেছে গত বছরের জুন পরবর্তী কর্মসূচীগুলোর ভেতর দিয়ে নিজেদের অবস্থান এবং পরিকল্পনাকে মানুষের সামনে পরিষ্কার করতে? আমার সঙ্গে অনেকেই নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, না পারেনি। ফলে, এই ঘোলাটে অবস্থার সুুযোগ নিয়েছে মঞ্চের স্থায়ী শত্রুরা এবং ধীরে ধীরে মঞ্চ থেকে সরে আসা সাবেক ‘শাহবাগীগণ’। শাহবাগের তারুণ্যের জমায়েতকে মানুষ সাধুবাদ দিয়েছিল মূলত এ কারণে যে, প্রচলিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্ম একটি নির্দিষ্ট ‘কারণ’ (পড়–ন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার)-কে সামনে নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। তারা নানাবিধ অহিংস কর্মসূচীর ভেতর দিয়ে তাদের দাবি আদায় করতে চাইছে। মানুষ সে কারণেই এই জাগরণের পক্ষে নেমে এসে দাঁড়িয়েছিল পাশে। এই গণজাগরণ একটি সুতীব্র শুদ্ধ গণ-আন্দোলনে পরিণত হবে এমন আশা অনেকেই তখন করেছিলেন হয়ত। কিন্তু সে রকমটি যে হয়নি, সে কথা গণজাগরণ মঞ্চের বর্তমান নেতৃত্বও স্বীকার করবেন বলে আশা করি। তাই গণজাগরণ মঞ্চকে আমি ‘ব্যর্থ’ বলছি এমনটি যেন কেউ না ভাবেন, এখানে কোন সুপ্ত এজেন্ডা নেই সমালোচনার। বরং, আমি এখনও মনে করি যে, গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের একটি রাজনৈতিক পক্ষ হওয়ারও সুযোগ রয়েছে। গত সপ্তাহের লেখাতে সে প্রশ্নও আমি তুলেছি। কিন্তু এক বছর বয়স হয়ে গেলেও এই মঞ্চ কি গতানুুগতিক রাজনীতির বাইরে যাওয়ার কোন ইঙ্গিত আমাদের দিয়েছে? উত্তর হলো, দেয়নি। এখন যাঁরা নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজ নিজ ক্যারিয়ার। বড় কোন সঙ্কট বা সৃষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে তরুণরা নিজেদের ক্যারিয়ার বা কর্মজীবনকে ব্যাহত করে প্রয়োজনে রাজপথে দিনের পর দিন অবস্থান নিতে পারে, যেটা হয়েছিল ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির পরে। কিন্তু দীর্ঘকাল একদল তরুণ নিজেদের কর্মজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে একটি ‘সংগঠন’-কে নিয়ে পড়ে থাকলে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। এবং এমন একটি সংগঠন যে, যারা এখনও নিজেদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা কোথাও স্পষ্ট করেনি। তারা আসলেই কীভাবে থাকতে চায়? একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে? নাকি একটি সামাজিক সংগঠন হিসেবে? নাকি একটি বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে? তা এখনও কারও কাছে স্পষ্ট নয়। আর এই অস্পষ্টতাই ক্রমাগতভাবে সৃষ্টি করে চলেছে নানা প্রশ্নের। যা হয় আর কি, এই প্রশ্ন আর পাল্টা প্রশ্ন এখন কিংবা অদূর ভবিষ্যতে দেশের তরুণদের এই জাগরণকেই সামগ্রিকভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি করে তুলবে এবং ভবিষ্যতে কোন বিশেষ প্রয়োজনে যখন আবারও দরকার পড়বে তরুণদের রাজপথে নামানোর, তার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে, তাতে কোনই সন্দেহ নেই। এদেশে কোন কিছুই দাঁড়ায় না ঠিকভাবে; রাজনীতি এবং দারিদ্র্র্য সবকিছুকে গ্রাস করে ফেলে। উদাহরণ হিসেবে আমরা এদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলতে পারি এবং বলতে পারি ব্যক্তির কথাও। প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ, সমাজবিদ, শিক্ষাবিদ বা বুদ্ধিজীবীদের কেউই এদেশে এখন আর ‘সর্বজনগ্রাহ্য বা সর্বজনমান্য’ নন, বা আমরা কাউকে এ আসনে রাখিনি, এ এক ভয়াবহ দুর্ভাগ্য আমাদের। ৯০-এর গণ-আন্দোলনের পরে দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল শহীদ জননীর নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্র্মূল আন্দোলন। তারপর আবার একই কার্যকারণে সৃষ্ট হলো গণজাগরণ মঞ্চ। আমি কাউকে আঘাত দিয়ে কোন আন্দোলনের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলব না, কিন্তু বাস্তব অবস্থার দিকে সবার দৃষ্টিটি আকর্ষণ করতে চাইছি। পরিণতির উদাহরণ সামনে থাকার পরও গণজাগরণ মঞ্চ যদি একই গতিতে, একই দিকে এগোয় তবে তা নিয়ে দুঃখ করা ছাড়া বলার কিছুই নেই। গণজাগরণ এবং গণ-আন্দোলনে যে পার্থক্য তা বোঝার ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে সকলেরই আছে। কোন ভবিষ্যত কাঠামোই যদি দাঁড় করানো না যায় তাহলে কেন অতীতের উত্তুঙ্গ অবস্থানের স্মৃতিটিই গণমানুষের মানসপটে থাকতে দেয়া হবে না? কেন তাকে নষ্ট করা হবে কিছু ছেলেমানুষি কর্মসূচীর নামে কর্মসূচী দিয়ে? গণজাগরণ মঞ্চ এদেশের তরুণদের যে স্লোগানগুলো দিয়েছে সেগুলোই যদি কেবল কোন তরুণ ধারণ করে তাহলে পরবর্তী জীবনে তার আর বড় কোন রাজনৈতিক ভুল হওয়ার কথা নয়। আমার প্রশ্ন হলো, এদের একজন তরুণও যদি সেসব স্লোগানকে ভুলে গণজাগরণ মঞ্চের পরবর্তী কর্মসূচীর একটি ব্যর্থতাকেও মনে রেখে মঞ্চের সোনালী অতীতকে অস্বীকার করে তাহলে তাও হবে গণজাগরণ মঞ্চের সামগ্রিক ব্যর্থতা; তাই নয় কি? উৎসঃ janakantha Share on facebook Share on email Share on print 1

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন