মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


পরকীয়ার ‘আপত্তিকর দৃশ্য’ দেখে ফেলায় অবুঝ শিশুকে হত্যা
04 Feb, 2014 পরকীয়ার ‘আপত্তিকর দৃশ্য’ দেখাই কাল হলো অবুঝ শিশু নাজমুলের। নিষ্ঠুর ভাবে তাকে হত্যা করেছে দুই লম্পট। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের আন্দারমানিক গ্রামে। প্রথমে বিস্কুটের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তা নাজমুলকে খাওয়ায় শাহনাজ। কিছুক্ষণ পর খারাপ লাগা শুরু করলে কান্নাকাটি করতে থাকে নাজমুল। এ সময় শাহনাজ ও আলমগীর তার মুখ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে লাশ বড় ব্যাগে ভরে ঘরে রেখে দেয়। রাতে সুবিধামতো সময়ে ব্যাগসহ লাশ অন্যত্র ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এসব নিয়ে ঘাতক দুজনের শলাপরাপর্শ শুনে ফেলে পাশের ঘরে থাকা নাজমুলের বড় বোন স্বপ্না। ঘটনা শুনেই সে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী এসে আলমগীর ও শাহনাজকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। জানা যায়, গৃহবধূ শাহনাজের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ানো বাসচালক আলমগীরের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য দেখে ফেলার অপরাধে গত শনিবার অবুঝ নাজমুলকে হত্যার ঘটনা পুলিশের কাছে এভাবেই বর্ণনা করে দুই ঘাতক। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন রবিবার শাহনাজের ঘর থেকে ব্যাগে ভরা অবস্থায় নাজমুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, পাবনার পবাখালী গ্রামের নজিমুদ্দিন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কালিয়াকৈরের আন্দারমানিক পূর্বপাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। আর স্ত্রী নাজমা বেগম স্থানীয় যমুনা কারখানায় চাকরি করত। একই বাসার ভাড়াটিয়া বাসচালক আলমগীর হোসেনের সঙ্গে অপর ভাড়াটিয়া শাহনাজ বেগমের দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সপ্তাহ খানেক আগে শাহনাজ ও আলমগীরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে চার বছরের নাজমুল। বিষয়টি সে তার মাকে বলে দেয়। এ নিয়ে শাহনাজের সঙ্গে নাজমুলের মায়ের ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে গত শনিবার বিকেলে কৌশলে বিষমিশ্রিত বিস্কুট খাইয়ে পরে শ্বাসরোধ করে নাজমুলকে হত্যা করে তারা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন ও শাহনাজ বেগমকে আসামি করে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন। সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিশু নাজমুল হোসেন পাবনার চাঁদনগর থানার পবাখালী গ্রামের নাজিমুদ্দিনের ছেলে। নাজমুল ছিল পাঁচ বোনের একমাত্র ভাই। নাজিমউদ্দিন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আন্দারমানিক পূর্বপাড়ার মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গ্রেফতারকৃত আলমগীর হোসেন নরসিংদীর বুদ্দামারা নতুন বাজার এলাকার কুদ্দুস আলীর ছেলে আর শাহনাজ বেগম দিনাজপুরের দর্জিপাড়া এলাকার ইয়াকুব আলীর স্ত্রী। উৎসঃ প্রাইমনিউজ Share on facebook Share on email Share on print

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন