রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


সেতু আছে, নদী নেই!
09 Feb, 2014 দিনাজপুরের ক্ষরস্রোতা ছোট-বড় অনেক নদী এখন শুধুই বালুচর। কোথাও হচ্ছে ফসলের আবাদ। কোথাও বা খেলার মাঠ। বিলীন হতে চলেছে নদীগুলোর অস্থিত্ব। হাজার কোটি টাকার সেতু দাড়িয়ে থাকলেও নিচ দিয়ে হেটেই পার হচ্ছে মানুষ, গরু-ছাগল। বর্ষা মৌসুমে নদীর চেহারা চেনা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে নদীর উপরে আড়াআড়ি দাড়িয়ে থাকা সেতু জানান দেয় নিচে নদীর অবস্থান। নদীগুলোর নাব্যতা ধরে রাখতে ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়লে এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৯টি নদীর দৈর্ঘ্য ৭২৪ কিলোমিটার। নদীগুলোর উৎস্যস্থল হিমালয় পর্বত। কালের বির্বতনে ও নদী সংস্কারের অভাবে পূণর্ভবা, করতোয়া, আত্রাই, ঢেপা, গর্ভেশ্বরী, তুলাই, কাঁকড়া, ইছামতি, ছোট যমুনা, তুলসী গংগা, টাঙ্গন, নদীগুলো এখন পরিণত হয়েছে ধু ধু বালু চরে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, উজানে ভারত সরকার বিভিন্ন উপায়ে নদী শাসন করায় বাংলাদেশ অংশে নদীগুলোয় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও নদীগুলোর খনন কাজ না করায় দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহের গতিপ্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। নদীগুলোর নাব্যতা হারানোর কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে নদী ভরাট হয়ে দু'কুলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে প্রতি বছরই প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। মৎস্য চাষী সুরুজ মিয়া জানান, নদীগুলোকে ঘিরে প্রায় ২৫ হাজার মৎস্যজীবী পরিবার জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় মৎস্য শিকার কমে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মৎস্যজীবী। সরেজমিন দেখা গেছে, দিনাজপুর সদর, ফুলবাড়ী, পাবর্তীপুর, কাহারোল, বীরগঞ্জ, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, চিরিরবন্দর উপজেলার পুর্ব পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত পূর্ণভবা, আত্রাই, গর্ভেশ্বরী ও ইছামতি নদী কোন রকমে চেনা গেলেও বাকী নদীগুলো খালে পরিণত হয়েছে। এই সুযোগে একটা ভূমিদস্যুরা নদীর দু'পাড় দখল করে ইমারত নির্মান করে জায়গা দখলের মহোৎসবে লিপ্ত হয়েছে। এতে নদীগুলোয় পরবর্তীতে ড্রেজিং করার পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শহরের দক্ষিণ দিকে মাজাডাঙ্গা থেকে কামদেবপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার নদীর পাড় এখন ভূমিদস্যুদের দখলে। উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন Share on facebook Share on email Share on print

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন