মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


আওয়ামী সনদহীন’ ৯৭ শিক্ষার্থীকে ঢাবি হল থেকে বের করে দেয়ায় তোলপাড়
11 Feb, 2014 ‘আওয়ামী লীগের সনদ’ সঙ্গে না আনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হওয়া ৯৭ জন ছাত্রকে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হল থেকে বের করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতারা। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের ছাত্রলীগের কর্মী প্রমাণ করতে না পারলে তাদের আর হলে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ওই নেতারা। এই খবরে মঙ্গলবার পুরো ক্যাম্পাসে তোলপাড় চলছে। জানা গেছে, ২০১৩-১৪ সেশনে ভর্তি হওয়া বিভিন্ন বিভাগের ৯৭ শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে হলে ওঠেন। কয়েক দিন ধরেই তারা হলে অবস্থান করছিলেন। সোমবার রাতে তাদের হলের সামনের ফাঁকা জায়গায় জড়ো হতে বলেন ছাত্রলীগের নেতারা। রাত ১০টার দিকে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ নিজামুল ইসলামসহ অন্য নেতাদের সামনে জড়ো হন সদ্য ভর্তি হওয়া ছাত্ররা। ছাত্রলীগের নেতারা মাথা গুণে দেখেন মোট ৯৭ জন নতুন ছাত্র। এসময় হলের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছাত্রদের কাছে জানতে চান, আগে কেউ ছাত্ররাজনীতি করেছেন কি-না। কয়েকজন উত্তর দেন, তারা কলেজে বা স্কুলে ছাত্রলীগ করেছেন। এ সময় দিদার বলেন, ‘আর বাকিরা কি ছাত্রদল-শিবির করছো। আগে যা করছো করছো, এখানে থাকলে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিতে যোগ দিতে হবে। আর না হলে বাইরে গিয়া শান্তিতে থাকো।’ হলে থাকতে হলে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিজ নিজ এলাকার শাখা আওয়ামী লীগের প্যাডে একজন নেতার দেয়া প্রত্যয়নপত্র আনতে বলা হয়েছে নতুন ছাত্রদের। দিদার শর্ত দিয়েছেন, প্রত্যয়নপত্রে যেন স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগের নেতার মোবাইলফোন নম্বর থাকে। যাতে হলের পক্ষ থেকে পরে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা যায়। প্রত্যয়নপত্র নীলক্ষেত থেকে বানিয়ে আনলে পিঠের চামড়া থাকবে না বলেও ছাত্রদের সতর্ক করেন দিদার। এরপর ছাত্রদের ১৫ মিনিট ছাত্রদের হল থেকে বের হতে বলা হয়। হলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ বলেন, “আমার কাছে একদম নতুন ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের ৯৭ জন ছাত্র এসেছিলেন হলে ওঠার জন্য। তাদের শুধু পে-ইন স্লিপ আছে। তারা এখনো হলের বৈধ আবাসিক ছাত্র নন। হলে উঠতে হলে তাদের পাঁচ দিনের মধ্যে এলাকার আওয়ামী লীগের কোনো নেতার ফোন নম্বর নিয়ে আসেন। ওই নেতার সঙ্গে কথা বলে তাদের হলে উঠানো হবে।” হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহাবুবুল আলম জোয়ার্দ্দার নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “রাতে আমি বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “হলে কিছু ছাত্র থাকতে এসেছি। হলে জায়গা নেই। তাই তাদের হলে ওঠানো হয়নি। ‘আওয়ামী লীগের সনদ’ আনতে হবে এমন বিষয় আমি জানি না উৎসঃ নতুনবার্তা Share on facebook Share on email Share on print 6

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন