বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪


মিশরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ‘নজিরবিহীন মাত্রায়’ পৌঁছেছে: অ্যামনেস্টি 23 Jan, 2014
মিশরের ইতিহাসে প্রথম অবাধ নির্বাচনে জয়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সেনাবাহিনী গত জুলাই মাসে উৎখাত করার পর থেকেই দেশটিতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ‘নজিরবিহীন মাত্রায়’ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। খবর রয়টার্স’র। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বলেছে, মিশর সরকার ভিন্নমত ও মানবাধিকার পদদলিত করেছে। এ সময় সরকার তার শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী জনতাকে গণগ্রেপ্তার করেছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং প্রতিবাদ করার অধিকার খর্ব করার জন্য আইন প্রনয়ন করেছে। ২০১১ সালে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের গণঅভ্যুত্থানের তৃতীয় বার্ষিকীর দুদিন আগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, মিশরীয় সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ক্ষমতা দখলের পর নিরাপত্তা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের ফলে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ১৪০০ লোক নিহত হয়েছেন। তবে মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের হিসেবে, তাদের অন্তত ৩০০০ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর সহিংস দিন ছিল ১৪ আগস্ট। সেদিন মুরসি সমর্থকদের অবস্থান ধর্মঘটের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত গণতন্ত্রকামী জনতাকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর ব্রাদারহুডের শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিশরের সবচেয়ে বৃহত্তম এই দলটির শীর্ষ সব নেতাই এখন সাজানো মামলায় কারাবন্দী। গত ২৫ ডিসেম্বর ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে মিশরের সেনা সমর্থিত বামঘেষা সরকার। অথচ মোবারকের পতনের পর প্রতিটি নির্বাচনেই জয়ী হয়েছে ব্রাদারহুড। অ্যামনেস্টি বলেছে, ‘নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনের ঊর্ধে থেকে অবাধে শাসন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য জবাবদিহিতার কোনো বালাই নেই।’ অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক উপপরিচালক হাসিবা হাজ সাহরাওই বলেন, ‘গত সাত মাস ধরে মিশরে মানবাধিকারের ওপর একের পর এক ভয়াবহ আঘাত এসেছে এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতা নজিরবিহীন মাত্রায় পৌঁছেছে।’ ব্রাদারহুডের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে আখ্যা দিয়ে মিশর সরকার কাতারভিত্তিক জনপ্রিয় টিভি স্টেশন আল জাজিরার বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে রেখেছে। আল জাজিরার কায়রো স্টুডিও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সাহরাওই বলেন, ‘মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে বেসরকারি সংগঠনসহ সব ধরণের স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের কণ্ঠ চেপে ধরার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ উৎসঃ আরটিএনএন Share on facebook Share on email Share on print 3

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন