মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪


হাসিনাকে আমেরিকার সমর্থনে ভারতের স্বস্তি
15 Jan, 2014 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবগঠিত সরকারের সঙ্গে আমেরিকা কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করায় ভারতের কূটনীতিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমেরিকা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে-এই আশঙ্কাও ছিল ভারতের। তবে ওয়াশিংটনের এই ঘোষণায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল দিল্লি। বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকা এ সংবাদ দিয়েছে। আনন্দবাজার লিখেছে, সব পক্ষ অংশ না নেয়ায় নির্বাচন নিয়ে হতাশা রয়েছে বটে, কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধে নেই আমেরিকার। সোমবার রাতে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মেরি হার্ফ এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই অবস্থান ঘোষণার পরে নিঃসন্দেহে স্বস্তি পেলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। আনন্দবাজার বলছে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বরাবরই বিএনপি ও তার শরিক জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছেন। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তার মূল্যায়নের বিরোধিতা করায় ভারতের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। ভারতের বিদেশসচিব ওয়াশিংটনে গিয়ে সোজা-সাপ্টা জানিয়ে আসেন, বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিতে কট্টর মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠা দিল্লির কাছে অবাঞ্ছিত। অথচ ঢাকায় মার্কিন দূত সে কাজটাই করছেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা সরে যাওয়ার পরে তালিবানের রমরমা ফের বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিল্লি জানায়, এই পরিস্থিতিতে জামায়াত ক্ষমতায় এলে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ মুখে প্রগতিশীল কথাবার্তা বললেও এই দলের নেতারা জঙ্গিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আনন্দবাজার আরো লিখেছে, ভারতের আপত্তির পরেও অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি হাসিনাকে ফোন করে যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াত নেতাদের শাস্তি কার্যকর করা থেকে বিরত থাকার আর্জি জানিয়েছেন। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরেও সবাইকে নিয়ে ফের নির্বাচন করার কথা বলেছিল আমেরিকা। ভারতের আশঙ্কা ছিল, ঢাকার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত চাপাতে পারে আমেরিকা। এ জন্য ঢাকার পাশে দাঁড়িয়ে কূটনৈতিক তৎপরতাও চালাচ্ছে দিল্লি। সোমবার ওয়াশিংটনের এই ঘোষণায় নিঃসন্দেহে তারাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে। উৎসঃ নতুন বার্তা Share on facebook Share on email Share on print

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন