ইইউর চাপে জামায়াতকে কর্মসূচিতে রাখছে না বিএনপি
21 Jan, 2014
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে ১৮ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে আপাতত সরকারবিরোধী আন্দোলন-কর্মসূচিতে রাখছে না জোটের প্রধান শরিক বিএনপি। জামায়াতে ইসলামীও বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছে বলে দৈনিক মানবকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন আত্মগোপনে থাকা জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর এক কর্মপরিষদ সদস্য গতকাল মানবকণ্ঠকে বলেন, ১৮ দলীয় জোট থাকবে এবং আরো শক্তিশালী হবে। জোটের কল্যাণে জোটনেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন জামায়াতও সেই সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক কৌশলের কারণে জোটের গতকালের সমাবেশে জামায়াতের কোনো শীর্ষ নেতা অংশ নেয়নি। কী কারণে অংশ নেয়নি জানতে চাওয়া হলে জামায়াতের এ নেতা বলেন, সরকার জামায়াতকে নিয়ে যখন নেগেটিভ চিন্তা করছে তখন বিএনপি সরকারকে নির্বাচনমুখী করার জন্য এ কৌশল নিয়েছে। শুধু তাই নয়, জামায়াতও বিএনপির এ কৌশল পর্যবেক্ষণ করবে। গত ১৬ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামকে অগণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর থেকে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত হয় ১৮ দলীয় জোট।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, গতকালের সমাবেশের আগের দিন মধ্যরাতে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার একটি লিখিত বার্তা জামায়াত নেতাদের জানানো হয়। এরপর জামায়াতের শীর্ষ নেতারা দলের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সমাবেশে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সূত্র আরো জানায়, ১৮ দলের ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য রোববার সন্ধ্যায় দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ডা. শফিকুর এক বিবৃতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। কিন্তু বিবৃতির পরই ঘটে উল্টো ঘটনা। পরে রোববার রাতেই রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতাদের ফোন করে জানানো হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে অংশ না নেয়ার জন্য।
এদিকে সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয় বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আপাতত সঙ্গ ছাড়তে রাজি। গতকালের সমাবেশে জামায়াত অংশ না নেয়ায় প্রকাশিত খবরটি সত্য বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অন্যদিকে কী কারণে ১৮ দলীয় জোটের গতকালের সমাবেশে জামায়াত অংশ নেয়নি জানতে চাওয়া হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান মানবকণ্ঠকে বলেন, জামায়াত আসেনি, এটা সত্য কথা। কী কারণে আসেনি এটা এখন বলতে পারছি না। পরে জানা যাবে। অপরদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এক মজলিশে শূরা সদস্য বলেন, আপাতত ১৮ দলের বেশ কয়েকটি সমাবেশে অংশ নেবে না জামায়াত। তবে এটি স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত না। ক্ষণিকের রাজনৈতিক কৌশল মাত্র।
উৎসঃ মানবকন্ঠ
Share on facebook Share on email Share on print 1
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন