বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪


তিনটি কেস ষ্টাডি ঃ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, মিডিয়ার প্রচার বনাম বাস্তবতা (আপডেট, ভিডিও)



ছবিঃ রক্ষক যখন ভক্ষক হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টি বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। যুগ যুগ ধরে এখানে সব ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারনে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সাম্প্রদায়িক দাজ্ঞার ইস্যুটি। এক্ষেত্রে, মিডিয়া পালন করছে প্রধান ভুমিকা। ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই কোন রকম তদন্ত, বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই মিডিয়া দায় চাপাচ্ছে এক পক্ষকে। ফলে ধাপা চাপা পড়ে যাচ্ছে প্রকৃত ঘটনা। বেচে যাচ্ছে প্রকৃত অপরাধীরা। থামছে না এই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প। নিকট অতীতের ঘটে যাওয়া তিনটি আলোচিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা আমরা বিশ্লেষণ করবো এভাবে----



কেস ষ্টাডি -১ ঃ সাথিয়া, পাবনা গত নভেম্বর ২০১৩ শুরুর দিকে আলোচিত ছিল এই ঘটনাটি। নানা কারনে আলোচিত হয় সেটি। কারন একদিকে এটি ছিল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর নির্বাচনী এলাকা, অন্যদিকে এটি আবার জামায়াত (যাদেরকে মিডিয়া মুলত দায়ী করে থাকে বেশীরভাগ ঘটনায়) আমীর মতিউর রহমান নিজামীরও নির্বাচনী এলাকা। ফলে ঘটনায় জামায়াত জড়িত, এটা প্রচার করতে মিডিয়ার বেগ পেতে হয়নি। ২ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটার পর অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে ৪ নভেম্বর ২০১৩ ইত্তেফাক যেভাবে রিপোর্ট করে, ২৫ বাড়ি মন্দির ভাংচুর, আগুন , সাঁথিয়ায় হিন্দুপাড়ায় আতংক, গ্রেফতার ১ বিএনপি জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীসহ আসামি তিনশ' পাবনা জেলার সাঁথিয়ায় হিন্দু পাড়ায় বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের পর এলাকার তিনশ'র বেশি হিন্দু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গ্রামের বাসিন্দা হেনা সাহা বলেন, 'রাতে ঘুম হয় নাই। কখন যেন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়- এই ভয়ে সারা রাত ঘুমাইনি'। এদিকে এ ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে গতকাল তিনশ' লোককে আসামি করে পুলিশ মামলা করেছে। এ ঘটনায় রেজাউল করিম নামে বিএনপির এক সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইত্তেফাকের পুরো নিউজটা পড়ুন,

২৫ বাড়ি মন্দির ভাংচুর, আগুন সাঁথিয়ায় হিন্দুপাড়ায় আতংক, গ্রেফতার ১ বিএনপি জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীসহ আসামি তিনশ' পাবনা প্রতিনিধি ও সাঁথিয়া সংবাদদাতা পাবনা জেলার সাঁথিয়ায় হিন্দু পাড়ায় বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের পর এলাকার তিনশ'র বেশি হিন্দু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গ্রামের বাসিন্দা হেনা সাহা বলেন, 'রাতে ঘুম হয় নাই। কখন যেন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়- এই ভয়ে সারা রাত ঘুমাইনি'। এদিকে এ ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে গতকাল তিনশ' লোককে আসামি করে পুলিশ মামলা করেছে। এ ঘটনায় রেজাউল করিম নামে বিএনপির এক সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য গতকাল প্রশাসনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা করা হয়। এছাড়া ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বনগ্রামের বাবুল সাহার ছেলের ফেসবুক একাউন্ট থেকে হযরত মুহাম্মদ (স.) কে কটূক্তি ও তার ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশ করার অভিযোগে শনিবার দুপুরে উত্তেজিত জনতা বাবুল সাহাসহ ২৫টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় ও আগুন লাগায়। শত শত উচ্ছৃঙ্খল যুবক বাবুল সাহার বাড়িতে ঢুকে ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও তারা রাজকুমার, নবশিল, কালা মাস্টার, সুধীর সাহা, অনিল মাস্টার, সুবাস সাহা, নিতাই ঘোষ, সুকুমার রায়, ডা. উত্তম, বিষ্ণু সাহা, চিত্র কর্মকারসহ ২৫টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুট করে। ভাংচুর চালানো হয় পারিবারিক পাঁচটি মন্দিরে। ঐ দিনের তাণ্ডবের কারণে হিন্দু সমপ্রদায় কালী পূজা উদযাপন করতে পারেনি। পরে পুলিশ প্রশাসন ও র্যাব সদস্যরা এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ধ্বংসলীলার পর এলাকার তিন শতাধিক হিন্দু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনেকে ভয়ে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। বনগ্রাম হিন্দু পাড়ায় গেলে দেখা যায় দিনের তাণ্ডবের দৃশ্য। সাংবাদিকদের দেখে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাজ কুমারের স্ত্রী চায়না সাহা বলেন, 'আমার বাড়ি ভাংচুরের সময় যুবকরা কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিঁড়ে নিয়ে গেছে।' কালা মাস্টারের বৃদ্ধ মা বিষ্ণু সাহা বলেন, 'আমার কিছু নাইরে বাবা। ওরা সব কিছু নিয়ে গেছে।' অনিল সাহার মা হেনা সাহা জানান, 'রাতে ঘুম হয় নাই। কখন যেন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়, এই ভয়ে সারারাত ঘুমাইনি।' ওই দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন বনগ্রামের ঘটনা কক্সবাজারের রামুর মতো পরিকল্পিত। এলাকায় আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ। হিন্দু সমপ্রদায়ের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় গতকাল রবিবার দুপুরে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী এডিশনাল ডিআইজি খোরশেদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন পাবনা জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, পাবনা র্যাব-১২ কমান্ডার মেজর মঈন উদ্দিন, বিশিষ্ট কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র, পাবনা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি গণেশ সাহা ও সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল সকালে পাবনা জেলা প্রশাসন ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার উদ্যোগে সন্ধ্যার আগে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি গণেশ ঘোষ, পাবনা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা রণেশ মৈত্র, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি চন্দন ঠাকুর, সাধারণ সম্পাদক বিনয় জ্যোতি কুন্ডু প্রমুখ। তারা অবিলম্বে হিন্দু পরিবারের উপর হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান। তদন্ত কমিটি :পাবনার এডিএম মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মোস্তাইমুন সায়েম ও আইটি বিশেষজ্ঞ মাহফুজুল আলমকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন থেকে পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রাংকে আহ্বায়ক ও আতাইকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কোরবান আলী, ক্ষেতুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম কাশু, গৌরিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম ও ভুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আ. আজিজকে সদস্য করে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।



http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTFfMDRfMTNfMV8xXzFfODMxNDc

একই ঘটনার জন্য দেখুন, প্রথম আলোর ৩ নবেম্বর ২০১৩ রিপোর্ট

রামুর মতোই গুজব ছড়িয়ে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, আগুন সাঁথিয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা পাবনা অফিস | আপডেট: ০৮:১৩, নভেম্বর ০৩, ২০১৩ | প্রিন্ট সংস্করণ ১২১ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম ও ঘোষপাড়ায় বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালানোর পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ছবিটি বনগ্রামের ব্যবসায়ী বাবলু সাহার বাড়ি থেকে গতকাল দুপুরে তোলা ষ প্রথম আলোফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির গুজব ছড়িয়ে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় গতকাল শনিবার বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০-২৫টি বাড়ি এবং দুটি মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বনগ্রাম বাজারে সকাল ১০টায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু সাহার ছেলে রাজিব সাহা (১৫) ফেসবুকে মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করেছে। এ খবরে বাজারের কিছু ব্যবসায়ী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বেলা ১১টার দিকে ফেসবুকের একটি পাতার ফটোকপি বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কথিত ফেসবুক পাতার ফটোকপিতে নামসহ কভার ছবি, প্রোফাইল ছবি ও একটি পোস্ট ছিল। ফেসবুক পাতাটির নাম ছিল আপত্তিকর এবং কভারে ছিল আপত্তিকর একটি কার্টুন। ফেসবুক পাতার ফটোকপি ছড়িয়ে পড়ার পর পাড়া-মহল্লায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বনগ্রাম বাজারে বাবলু সাহার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাঁর ছেলেকে হাজির করতে বলে। কিন্তু তিনি ছেলেকে হাজির না করায় উত্তেজিত জনতা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে বাজারের মাঝ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘোষপাড়ার একটি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয় ষ ছবি: প্রথম আলোপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কে যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন কিছু যুবক মহাসড়কের পাশের বনগ্রামের ঘোষপাড়া ও সাহাপাড়ায় ভাঙচুর শুরু করে। তারা প্রথমে সাহাপাড়ায় বাবলু সাহার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ঘোষপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আরও প্রায় ২৫টি বাড়ি ও দুটি মন্দির ভাঙচুর করে। তারা বনগ্রাম বাজারে বাবলু সাহার দোকানসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় অন্য দোকানদারেরা বাবলু সাহাকে একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে সাঁথিয়া ও আতাইকুলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাদের বাধা দেয়। বেলা দেড়টার দিকে পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেঞ্চদের নেতৃত্বে পুলিশ ও র‌্যাবের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাবলু সাহাকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাবুল সাহা লেখাপড়া জানেন না। ফেসবুক কী, তিনি বোঝেন না। তাঁর ছেলে রাজীব সাহা উপজেলার মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। সে ফেসবুক ব্যবহার করে কি না, সে সম্পর্কে তার সহপাঠী ও প্রতিবেশীরাও কিছু জানেন না। ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। হামলার সময় তাঁরা অনেকে আত্মগোপন করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে তাঁদের বেশির ভাগ বাড়িঘরে ফিরে এলেও চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোরবান আলী বিশ্বাস জানান, তাঁরা এলাকার খোঁজখবর রাখছেন। তবে ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছেন তিনি। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এখনো ঘটনাস্থলেই রয়েছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’ এর আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে বৌদ্ধপল্লিতে হামলা করা হয়। এতে ১২টি বৌদ্ধবিহার এবং ৩৪টি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরদিন পাশের উখিয়া ও টেকনাফেও সাতটি বৌদ্ধবিহার ও ১১টি বসতিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। উত্তম বড়ুয়া নামের এক যুবকের ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরিফের অবমাননার ছবি পাওয়া গেছে—এমন অভিযোগ তুলে এ হামলা চালানো হলেও তদন্তে তা প্রমাণিত হয়নি। নিন্দা-প্রতিবাদ: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি চন্দন কুমার চক্রবর্তী। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এ ধরনের কাজ করতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে আমাদের ধারণা।’



http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/64444/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87_%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE

সার কথা হলো, হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, মন্দিরে হামলা হয়েছে। এর জন্য দায়ী জামায়াত-বিএনপি। ফলে তাদের কয়েকজন নেতা কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ব্যস, খেলা এখানেই শেষ। থেমে গেল মিডিয়া প্রচার। মনে হয় প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়ে গেছে। না, ধীরে ধীরে বের হতে থাকে প্রকৃত ঘটনা, দেখুন--



ছবিঃ সাথিয়া ঘটনার মুল নায়ক মিঠু (লাল গোল চিহ্ন) স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর সাথে মিছিলে

ক. ৭ নভেম্বর ২০১৩, The Daily Star, Some attackers seen with Tuku শিরোনামে লিখেছে, Mithu, one of the men alleged to have vandalised over 100 Hindu houses and temples, inset, at Bonogram in Santhia of Pabna on Saturday, is seen behind State Minister for Home Shamsul Hoque Tuku when he visited the area yesterday.

পুরো নিউজ দেখুন এখানে,



Mithu, one of the men alleged to have vandalised over 100 Hindu houses and temples, inset, at Bonogram in Santhia of Pabna on Saturday, is seen behind State Minister for Home Shamsul Hoque Tuku when he visited the area yesterday.

Photo: Rashed Shumon

Published: Thursday, November 7, 2013 Some attackers seen with Tuku M Abul Kalam Azad and Ahmed Humayun Kabir Topu, Pabna

Some of the alleged culprits of Saturday’s attack on Hindu community in Pabna were yesterday seen with State Minister for Home Shamsul Hoque Tuku and two lawmakers in the affected Bonogram village. With Tuku, Disaster Management and Relief Minister Abul Hasan Mahmud Ali and State minister for LGRD Jahangir Kabir Nanak visited Bonogram yesterday, four days after vandalism and looting of over 100 Hindu houses had taken place in Sahapara and Ghoshpara areas. Interestingly, during the visit, the state minister claimed that his party men had tried to save the Hindu families. Mithu and Rubel, who according to villagers were among the attackers, were prominently seen welcoming the ministers and taking part in a rally organised by the local administration protesting Saturday’s violence. The Daily Star took photos of Mithu and Rubel, both aged between 20 and 25 years. Seeing the photos, the victim families and locals vehemently said that both had taken part in the vandalism and looting. Mithu was seen around the ministers all the time and chanting slogans with others. Asked, locals said Mithu and Rubel of nearby Miapur village are known as local thugs. But the villagers could not confirm their political identity. “Another youth named Ani, who also had been with the attackers, was also seen in the programme,” said a trader of Bonogram bazar. Hailing from Gouripur, Ani is also known in the area as a mugger and extortionist. He is involved in an underground party along with his uncle, alleged locals. While talking to affected Hindu women in Ghoshpara, State Minister Tuku said, “Our leaders and workers tried to save you risking their lives. But by the time, some damage had already been done.” “You stay with courage … our activists are here,” he told them. The ministers were also flanked by Inspector General of Police (IGP) Hasan Mahmud Khandker and RAB Director General Moklesur Rahman. The IGP enquired whether the villagers were still in panic. In response a woman said as long as police are with them they feel secured, but do not know what will happen when there is no police protection. The IGP claimed that police were very active in arresting the attackers. But in reality police could not arrest a single person who took part in the attack. So far they have arrested 10 people — all accused in a case filed by police for assaulting cops during a road blockade at Bonogram bazar. “I named 20 persons in my case for attacking and looting my house, but none of them have been arrested,” said Babul Saha, who came under a mob attack on a rumour that his son had maligned the Prophet in facebook. Some locals and police rescued him. Police could not also nab any of the youths who challenged Babul at his shop that day for his son’s alleged act. Yesterday, several hundred bikers welcomed the ministers at Santhia when they reached there in a helicopter. The supporters then accompanied them to Bonogram. Meanwhile, the rally there actually looked like a showdown against BNP-Jamaat to gain political benefit rather than having the attackers arrested or punished. The ministers said the prime minister had sent them to talk to the victims and report to her, and that she had expressed deep sympathy and assured of all kinds of assistance. Pointing finger at BNP and Jamaat, Nanak told the rally that the attack in Bonogram was like those carried out in 1971, in Ramu and many other places in the country. He urged all to fight the evil forces unitedly. Nanak claimed that the local administration promptly acted during the attack, but in fact, police failed to reach the Hindu villages even in two-and-a-half hours. While visiting the damaged houses and talking to the victims, Tuku was also seen seeking votes for himself in the next general elections. “My symbol is boat … remember it,” Tuku told villagers waving his hands.

http://archive.thedailystar.net/beta2/news/some-attackers-seen-with-tuku/

খ. আরো কিছু দিন পর ১৩ নভেম্বর ২০১৩, গ্রেফতার হন খোদ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বেয়াই। হিন্দুদের ওপর হামলা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেখুন সেই নিউজটি, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু'র বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে (৩৫) মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তসলিম বনগ্রাম মিয়াপাড়ার আলহাজ মোসলেম উদ্দিন খানের ছেলে। তসলিম ছাড়াও আতাইকুলা থানার বনগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান খাঁজা এবং যুবলীগ কর্মী দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ১৫ জন গ্রেপ্তার হলো।

পরিবর্তন ডট কম থেকে,



হিন্দুদের ওপর হামলা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই গ্রেপ্তার

১৩ নভেম্বর ২০১৩ ১৪:৫৫ টা | 1 টি 726 inShare digg 0 হিন্দুদের ওপর হামলা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই গ্রেপ্তার পাবনা প্রতিনিধি • পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু'র বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে (৩৫) মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তসলিম বনগ্রাম মিয়াপাড়ার আলহাজ মোসলেম উদ্দিন খানের ছেলে। তসলিম ছাড়াও আতাইকুলা থানার বনগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান খাঁজা এবং যুবলীগ কর্মী দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ১৫ জন গ্রেপ্তার হলো। এদিকে অধিক তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাবলু সাহার একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি কর্মী জহুরুল ইসলাম মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বনগ্রাম মধ্যপাড়ার আমিন ড্রাইভারের ছেলে। পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লায়লা শারমীনের আদালতে জহুরুল ইসলামে তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে বলেন, হযরত মোহাস্মদ (স.) সম্পর্কে বাবলু সাহার ছেলে রাজিব সাহা যে স্ট্যাটাস দিয়েছিল সে সম্পর্কিত একটি প্রিন্ট কপি ওই এলাকার খোকন নামের এক যুবলীগ সমর্থক তার মালিকানাধীন রংধনু ফটোস্ট্যাটের দোকানে এনে প্রথম ফটোকপি করে। পরে এটি এক হাত থেকে অন্য হাতে চলে যায়। বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় বলে সে স্বীকার করে। তবে এটি কোন সর্বদলীয় হামলা ছিল না বলে সে আদালতকে জানায়। বনগ্রামের বাবলু সাহা বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনের নামে মামলা করে। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা করে। বাবলু সাহার দায়ের করা মামলায় যাদের নামীয় আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র তিন জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার আগের দিন পহেলা নভেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার রসুলপুর, মিয়াপুর, বহালবাড়িয়া, পূর্বপাড়া, পাইকপাড়া, বনগ্রাম চইরাপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন, দোলোয়ার হোসেন মানিক, খোকন, ফজলু-১, পুর্বপাড়ার ফজলু, মান্নানের নেতৃত্বে যুবলীগ, বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক ১০/১২ যুবক যুবক একজোট হয়ে ফেসবুকের কপি রঙধনু ফটোষ্ট্যাটের দোকান থেকে প্রিন্ট করে বাবলু সাহার দোকানে গিয়ে তার উপর চড়াও হয় এবং তার ছেলে রাজিব ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে বলে অভিযোগ করে। একই সাথে রাজিবকে তাদের কাছে তুলে দেওয়ার দাবিও জানায়। এ সময় তারা পরের দিন শনিবার দুপুর ১২টায় বনগ্রাম বাজারে এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ আহবান করে। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে এলাকার শত শত মানুষ পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে। পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনাটি অধিক তদন্তের স্বার্থে পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাবলু সাহার দায়ের করা একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আত্মীয়ও গ্রেপ্তার হয়েছে এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, কে কার আত্মীয় সেটি পুলিশের বিষয় নয়। বিষয় অপরাধী। অপরাধী যে হোক, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এএএস/এমএইচ/এএসটি

http://www.poriborton.com/article_details.php?article_id=37783

অন্যপত্রিকা গুলো লিখেছে চাপে পড়ে পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গ. বিডিনিউজ২৪ লিখেছে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এই ঘটনার অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন হিন্দু নারী।

দেখুন সেই নিউজ,



সাঁথিয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর আত্মীয়কে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ পাবনা প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 2013-11-12 23:03:09.0 BdST Updated: 2013-11-12 23:17:48.0 BdST পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় হিন্দুদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর এক আত্মীয়কে ‘আটকের’ পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। Print Friendly and PDF 6 7 543 Related Stories সাঁথিয়া হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ: মিজান 2013-11-07 18:28:10.0 সাঁথিয়ার হিন্দু পল্লীতে আতঙ্ক 2013-11-11 15:41:42.0 তসলিম উদ্দিন খান (৩৫) নামে ওই ব্যক্তির ছোট ভাই মোস্তাক খান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বড়ভাই আব্দুস সাত্তারের জামাতা। তিনি আতাইকুলা ইউনিয়নের মিয়াপুরের মোসলেম উদ্দিন খানের ছেলে। পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ প্রথমে প্রতিমন্ত্রীর আত্মীয় তসলিমকে আটকের খবর জানালেও গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মীর্জা আব্দুস সালাম তা অস্বীকার করেন। প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের জামাতা মোস্তাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাইকে (তসলিম) গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে।” গত ১ নভেম্বর রাতে উপজেলার বনগ্রাম এলাকার দশম শ্রেণির ছাত্র রাজীব সাহার (১৭) ফেইসবুক পাতায় নবীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরদিন কালী পূজার দিনে রাজীব সাহার বাড়িসহ স্থানীয় হিন্দুদের অন্তত ৩৫টি বাড়ি, তিনটি মন্দির ও ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবারও দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যেই বিকালে মিয়াপুর বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তসলিমকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। এই বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মিরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় তসলিমকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।” আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মীর্জা আব্দুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তসলিমকে আটক করা হয়নি।” হিন্দুদের ওপর এই হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের কর্মীদের দায়ী করে আসছে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সরকারি দলের লোকরা এই কাজ করে এখন বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে চাইছে। সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত সন্দেহে সুজানগর উপজেলার পোড়াডাঙ্গা বাজার থেকে মঙ্গলবার দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা। তারা হলেন- বনগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান খাজা এবং কুমিরগাড়ি গ্রামের মৃত আজহার শেখের ছেলে দুলাল। কথিত কটূক্তিকারী রাজীবের বাবা বাবলু সাহা ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেনছেন। এর আগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় স্থানীয় রংধনু ফটোস্ট্যাটের মালিক আমিমুল এহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে মোট ১৪ জন গ্রেপ্তার হল। এদিকে বাবলু সাহার করা মামলার আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এই ঘটনার অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন হিন্দু নারী। এদিকে গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম নামের এক বিএনপিকর্মী মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আতাইকুলা থানার ওসি রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিচারিক হাকিম লায়লা শারমীনের আদালতে বনগ্রাম মধ্যপাড়ার আমিন উদ্দিন ড্রাইভারের ছেলে জহুরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জহুরুলের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে রাজীব সাহার ‘কথিত স্ট্যাটাসে’র একটি প্রিন্টকপি ওই এলাকায় যুবদল সমর্থক হিসেবে পরিচিত খোকন রংধনু ফটোস্ট্যাটের দোকানে এনে প্রথম ফটোকপি করার পর তা এলাকায় ছড়িয়ে যায়। “বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী- সব দলের কর্মী-সমর্থকরা হিন্দুদের ওপর হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে জহুরুল বলেছে,” বলেন ‍পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল। এদিকে মঙ্গলবার বিকালে অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলা এবং বাবলু সাহার একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মিরাজ।

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article698941.bdnews

ঘ. চরম জামায়াত-বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত সিপিবি-বাসদের পর্যবেক্ষণ দেখুন, 'সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলা ছিল টুকুর প্রশ্রয়ে' শিরোনামে ১০ নভেম্বর, ২০১৩, কালের কণ্ঠ লিখেছে, পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর প্রশ্রয় ছিল- এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ রবিবার পুরানা পল্টনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছে সিপিবি-বাসদ। সেইসঙ্গে তারা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। সিপিবি-বাসদের নেতারা বলেন, ওই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেখানে পরিদর্শনে যান। এটি তার নির্বাচনী এলাকা। নিজেদের প্রতিনিধিকে দেখে আশ্বস্ত হওয়া তো দূরের কথা, তার সঙ্গে হামলাকারীদের অনেককে দেখে মানুষ আতঙ্কে মুখ বন্ধ করে বসে আছে। সাঁথিয়ায় ওই হামলার পর সিপিবি-বাসদ প্রতিনিধিদল সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করে। আজকের সংবাদ সম্মেলনে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, পুলিশ সক্রিয় হলে এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। হামলাকারীদের বেশির ভাগই ছিল কিশোর ও তরুণ। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট।

পুরো খবর এখানে,



সিপিবি-বাসদের পর্যবেক্ষণ 'সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলা ছিল টুকুর প্রশ্রয়ে' কালের কণ্ঠ অনলাইন - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2013/11/10/20037#sthash.WVKQlJti.dpuf

পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর প্রশ্রয় ছিল- এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ রবিবার পুরানা পল্টনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছে সিপিবি-বাসদ। সেইসঙ্গে তারা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। সিপিবি-বাসদের নেতারা বলেন, ওই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেখানে পরিদর্শনে যান। এটি তার নির্বাচনী এলাকা। নিজেদের প্রতিনিধিকে দেখে আশ্বস্ত হওয়া তো দূরের কথা, তার সঙ্গে হামলাকারীদের অনেককে দেখে মানুষ আতঙ্কে মুখ বন্ধ করে বসে আছে। সাঁথিয়ায় ওই হামলার পর সিপিবি-বাসদ প্রতিনিধিদল সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করে। আজকের সংবাদ সম্মেলনে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, পুলিশ সক্রিয় হলে এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। হামলাকারীদের বেশির ভাগই ছিল কিশোর ও তরুণ। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট। দুটি সুপারিশ তুলে ধরেন দল দুটির নেতারা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তাদের আশ্বস্ত করা। দ্বিতীয়ত, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা। এতে মানুষ নির্ভয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে পারবে। এ ছাড়া চিহ্নিত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার ও শাস্তির দাবিও জানান তারা। বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, সিপিবির নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন প্রমুখ। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2013/11/10/20037#sthash.WVKQlJti.dpuf

http://www.kalerkantho.com/online/national/2013/11/10/20037



ছবিঃ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাই্যয়িদ

ঙ. এক কালের ডাক সাইটে মন্ত্রী ঐ এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আবু সাই্যয়িদ কি বলেন দেখুন, "সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দায়ী" শিরোনামে ৯ নভেম্বর ২০১৩, সমকাল লিখেছে, পাবনার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ ঘটনার সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মাত্র ১০ মাইল দূরে থাকলেও তিনি নিজেও আসেননি, তার পুলিশ বাহিনীকেও পাঠাননি। পুলিশকে দিয়ে দুটি মামলা করিয়েছেন, যার সাক্ষী ১০ বছর আগে মারা গেছেন। মূলত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও তার অনুসারীদের কারণেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।তিনি আরও বলেন, ঘটনার মূল হোতা এখনও মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উস্কানিদাতা ও ইন্ধনদাতাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, তবুও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বনগ্রাম বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এ সব কথা বলেন।

পুরো খবর এখানে,

সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দায়ী ড. আবু সাইয়িদ

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০:০০

হ পাবনা অফিস পাবনার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ ঘটনার সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মাত্র ১০ মাইল দূরে থাকলেও তিনি নিজেও আসেননি, তার পুলিশ বাহিনীকেও পাঠাননি। পুলিশকে দিয়ে দুটি মামলা করিয়েছেন, যার সাক্ষী ১০ বছর আগে মারা গেছেন। মূলত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও তার অনুসারীদের কারণেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনার মূল হোতা এখনও মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উস্কানিদাতা ও ইন্ধনদাতাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, তবুও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বনগ্রাম বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এ সব কথা বলেন। আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ফোরাম-৭১ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ড. আবু সাইয়িদ আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছে তাদেরও বিচার করতে হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলজার হোসেন, সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন সবুজ, আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তারেক আলী মৃধা, ক্ষতিগ্রস্ত প্রভাষ ভদ্র প্রমুখ।

http://www.samakal.net/2013/11/09/18889< /br>< br> কেস ষ্টাডি -২ ঃ বরিশাল

পাবনার ঘটনার কয়েকদিন পরেই ঘটে বরিশালের ঘটনাটি। এটিও প্রথমে মিডিয়া হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হিসেবে প্রচারের চেষ্টা চালায়। "বরিশালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮ ঘরে আগুন, আটক ২৫" শিরোনামে অনলাইন নিউজ সাইট রাইজিং বিডি কি লিখেছে দেখুন, বরিশাল সদর উপজেলার খানপুরা গ্রামে দুই কলেজ ছাত্রকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো তিন বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা। এনিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মন্দির ও ঠাকুর ঘরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮টি বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

পুরোটা এখানে,

বরিশালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮ ঘরে আগুন, আটক ২৫

16 Nov 2013 11:27:46 AM Saturday BdST



নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল, ১৬ নভেম্বর: বরিশাল সদর উপজেলার খানপুরা গ্রামে দুই কলেজ ছাত্রকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো তিন বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা। এনিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মন্দির ও ঠাকুর ঘরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮টি বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত হত্যা ও আগুন দেয়ার ঘটনায় ২৫ জনকে আটক করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো তিন (কার্তিক, পরিতোষ ও স্বপন মন্ডলের) বসত ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় একদল মুখোশধারী। এর আগে ওই দিন সকালে ওই গ্রামের রাম বাবুল হালদার, বিরেন হালদার, গোপাল হালদার, হরে কৃষ্ণ হালদার, ধীনেশ হালদার, দেবরঞ্জন হালদার, নারায়ন হালদার, চিত্তরঞ্জন হালদার, কালীপদ কেরানী, সুনিল সরকার, পল্লব সরকার, শ্যাম লাল, সুমন ধোপা ও বাবুল ধোপার বসত ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট নৌ-বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানান, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় কলেজ ছাত্র পারভেজ ও জহিরকে হত্যা করা হয়। হত্যার অভিযোগ উঠে ওই এলাকার পন্ডিত বাড়ির বাসীন্দা পিজুষ, ধিমন, সুমন, বিকাশ, নন্দসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে। হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ১৮টি হিন্দু সম্প্রদয়ের ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। রেজাউল ইসলাম আরো জানান, পারভেজ ও জহির হত্যার ঘটনায় শুক্রবার সকালে চারজনকে এবং গভীর রাতে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, বসত ঘরগুলোতে আগুন দেয়ার অভিযোগে শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক আভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউই মামলা দায়ের করেননি। রোববারের মধ্যে মামলা বা অভিযোগ পাওয়া না গেলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই গ্রামে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে ওসি জানান। এদিকে শুক্রবার রাতেও আরো তিনটি বসত ঘরে আগুন দেয়ায় পুরো চরকাউয়া ইউনিয়ন এবং তৎসংলগ্ন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অন্যদিকে গণগ্রেফতারের ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে খানপুরা গ্রাম। এছাড়া ঘটনাস্থল সংলগ্ন চরকাউয়া সরকারী মাতৃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারদের পুনর্বাসন ও ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল আলম। উল্লেখ্য, চরকাউয়া ইউনিয়নের চরআইচা গ্রামের বাসিন্দা পাভেল গাজীর সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধ হয় পার্শ্ববর্তী খানপুরা গ্রামের পন্ডিত বাড়ির বাসীন্দা পিজুশ, ধিমন, সুমন, বিকাশ, নন্দসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যান্য বন্ধুদের। এ নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে একই এলাকার চরকাউয়া সরকারী মাতৃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ব্যাটমিন্টন খেলার পাশাপাশি আশুরা উপলক্ষে খেচুরী রান্নার আয়োজন করা হয়। রাত ৮টার দিকে বিকাশ পাবেলকে মারধর করে। ছোট ভাইকে মারধর করার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে বন্ধু শামীম ফুফাত ভাই জাহিরুল ইসলাম ও শামীম গাজীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাভেলের বড় ভাই পারভেজ গাজী। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের উল্লি¬খিত যুবকরা তাদের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতারি হামলা চালায়। শামীম ও জহির রামদায়ের কোপে গুরুতর আহত হলে আত্মরক্ষার জন্য তারা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পারভেজ ও পাভেলকে অস্ত্রর মুখে জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায় পাভেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাত পা বেঁধে স্কুলের সামনে একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তারই সামনে বড় ভাই পারভেজের হাত পা বেঁধে জবাই করে রাস্তার উপরে ফেলে চলে যায়। এক পর্যায় স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে পারভেজ ও পাভেলসহ আহত চারজনকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পারভেজ গাজীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পাভেল, শামীম ও জহিরুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা। জহিরুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জহিরের। নিহতরা পরস্পর মামাতো-ফুফাতো ভাই। এর মধ্যে পারভেজ ঝালকাঠি সরকারী কলেজের অনার্স একাউন্টিং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং জহির চর আইচা গ্রামের ফোরন মৃধার ছেলে। সে বিএম কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র বলে জানা গেছে। রাইজিংবিডি / স্বপন / ডিএইচ

http://risingbd.com/detailsnews.php?nssl=e1c03a94d8ec9cd62597c9910247a3de&nttl=2013111611274624586#.Us6BWqwpdki

প্রথমে বলা হলো, এটি সামান্য খেলা নিয়ে ক্যাচাল। কিন্তু ধীরে ধীরে বের হতে থাকলো, আসলে এর পিছনেও ছিল রাজনৈতিক কুটচাল। ঘটনার এক সপ্তাহ পর কালের কন্ঠের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে, প্রকৃত তথ্য। দেখুন ২১ নভেম্বর ২০১৩ কালের কন্ঠের রিপোর্ট, "বরিশালে মন্দির ও বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্রলীগকর্মীরা!" বরিশাল নগরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী নৌকায় করে সদর উপজেলার চরকাউয়ায় গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ি ও মন্দিরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানেও এমন কয়েকজনের নাম জানা গেছে, যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।যে খুনের ঘটনার জের ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই পরিবারগুলো হামলার শিকার হয়েছে সেই পারভেজের ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি খুনের ঘটনার পর ওই রাতে চরআইচা এলাকায় ছাত্রলীগের একজন নেতাও গিয়েছিলেন। সেখানে হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুরো নিউজ এখানে,

বরিশালে মন্দির ও বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্রলীগকর্মীরা!



রফিকুল ইসলাম ও এস এম মঈনুল, বরিশাল

বরিশাল নগরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী নৌকায় করে সদর উপজেলার চরকাউয়ায় গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ি ও মন্দিরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানেও এমন কয়েকজনের নাম জানা গেছে, যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যে খুনের ঘটনার জের ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই পরিবারগুলো হামলার শিকার হয়েছে সেই পারভেজের ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি খুনের ঘটনার পর ওই রাতে চরআইচা এলাকায় ছাত্রলীগের একজন নেতাও গিয়েছিলেন। সেখানে হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রলীগের ওই নেতা হামলার সঙ্গে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, পারভেজের ভাই শামীম গাজী ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। গত শুক্রবার সকালে চরকাউয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও মন্দিরে হামলা হয়। আগুনে ১৩টি বসতঘর ও দুটি মন্দির পুড়ে গেছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে আগের বিরোধের জের ধরে খুন হন পাশের চরআইচা গ্রামের পারভেজ। এর জের ধরে ওই হামলা হলেও এর পেছনে অন্য কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রধান আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘটনার নির্মমতার বর্ণনা দিলেও কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করতে চাইছে না ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। তিনি আরো বলেন, 'তদন্তকালে বেশ কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি, যা এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।' এ ছাড়া কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরের খুঁজছে তদন্ত দল। এর মধ্যে, আগুন দেওয়ার সময় এতো লোক কোথা থেকে কিভাবে এলো। তারা কি চরআইচা গ্রামের না বাইরে থেকে এসেছে। সেটা হলে তারা কারা। তাদের এখানে আনার পেছনে কারা কারা কাজ করেছে। হামলায় অংশ নেয় ছাত্রলীগকর্মীরা : নগরীর সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক (মুসলিম হল) হোস্টেলের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারাই নৌপথে শহর থেকে ওই গ্রামের পেছন দিয়ে গিয়ে আগুন দিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে- এমন বেশ কয়েকজনের নাম জানা গেছে। হোস্টেলের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই শিক্ষার্থীরা হোস্টেল ছাড়েন। ছাত্রলীগের অনুসারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ছিল শাকিল হাওলাদার, কে এম রফিক, জাকারিয়া, জিয়া, সজীব ও আরিফ। তাঁরা সবাই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ছাত্রলীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাঁদের প্রথম সারিতে অংশ নিতে দেখা যায়। চরকাউয়ার সাবেক এক জনপ্রতিনিধি বলেন, বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে নগরের চাঁদমারী ঘাট থেকে কীর্তনখোলা নদী পার হয়ে চরকাউয়ার রুনা ইটভাটার পাশের খেয়াঘাটে নামে। তারা ইটভাটার পাশ ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ির পেছনে অবস্থান নেয়। তখন সকাল সাড়ে ৯টা বাজে। আরো তিন-চারটি নৌকায় করে একই সময় শতাধিক নারী, পুরুষ, কিশোর একইভাবে হিন্দুদের বাড়ির পেছনে অবস্থান নেয়। তারা নিহত পারভেজের আত্মীয়। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার কর্ণকাঠি গ্রামে। একপর্যায়ে তারা সংগঠিত হয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালায়। শেষে বাড়িগুলোতে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ চরআইচার পালবাড়ি হয়ে নাপিতের হাটখোলা দিয়ে আবার নৌপথে চাঁদমারী খেয়াঘাটে ফেরে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা শহরে আসার সময় পালবাড়ি অতিক্রমকালে ওই এলাকার নির্মল চন্দ্র পালকে মারধর করে। পাশাপাশি কৃষ্ণা রানী পালের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আগুন দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা অগ্রভাগে থাকলেও তাদের সহযোগিতা করেছেন চরআইচা গ্রামের জাকির গাজী, নাসির গাজী ও মাসুদ হাওলাদার। এ তিনজনই বিএনপি ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, নিহত পারভেজ গাজীর ভাই শামীম গাজী মহানগর ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য। শামীম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দীনের সঙ্গে রাজনীতি করেন। তাই শামীমের ভাই নিহত হওয়ার খবর শুনে বৃহস্পতিবার রাতেই জসিম চরআইচা গ্রামে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য মতে, রাতে জসিম চরকাউয়া মাতৃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে ওই রাতেই হিন্দু পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ছাত্রলীগ নেতারা যা বললেন : অভিযোগ প্রসঙ্গে শাকিল হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, মুসলিম হলের রাজনীতি দুটি ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষে ভোলা, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলার শিক্ষার্থীরা, অন্য পক্ষে রয়েছে বরিশারের বাকেরগঞ্জ আর পটুয়াখালীর বাউফলের শিক্ষার্থীরা। যাদের হামলার সঙ্গে জড়ানোর হচ্ছে তারা ভোলার অনুসারী। তিনি দাবি করেন, 'প্রতিপক্ষরাই আমাদেরকে ফাঁসাতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। ঘটনার দিন আমি কিংবা জাকারিয়া, রফিক, জিয়া বরিশালে ছিলাম না।' তিনি জানান, আগুন দেওয়ার পর আরিফ ও জুবায়ের আলমকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দীন বলেন, 'শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পারভেজের লাশ দেখতে গিয়েছিলাম। কারণ মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা সেখানে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন।' তিনি দাবি করেন, শামীম গাজী ছাত্রলীগের কেউ নন। এমনকি ঘটনার সঙ্গে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি অবগত নন। যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন ছাত্রলীগের এ নেতা। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবি বলেন, আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ঘটিয়েছে হাতে গোনা ২৫-৩০ জন লোক। ওই লোকগুলো কারো পরিচিত নয়। সাক্ষ্য দিতে আসেননি ইউপি সদস্য : গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত থেকে সাক্ষ্যপ্রদান ও তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করার জন্য পশ্চিম চরআইচা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াজুল ইসলাম সবুজকে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি গতকাল তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হননি। এর আগে তাঁর বরিশাল নগরের ভাড়া বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রধান আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, গুজবের ইন্ধনদাতা এবং বাড়িতে এসে আগুন দেওয়ার সময় কারা সামনের দিকে ছিল তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2013/11/21/23299

অবাক করার বিষয় হলো, এ ঘটনায় আসল অপরাধীরা ধরা না পড়ায় একই এলাকায় আবারো একই ধরনের ঘটনা ঘটে। দেখুন ২৫ নভেম্বর, ২০১৩ কালের কন্ঠের আরেকটি রিপোর্ট, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বরিশালের পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে এক হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকার অধিবাসী রতন ভৌমিকের বাড়িতে এই হামলার ঘ্টনা ঘটে। হামলাকারীরা এ সময় ওই বাড়িতে মনসা মন্দিরের নির্মাণাধীন মনসা প্রতিমা ভাঙচুর ও ২ নারীকে আহত করে বাড়িতে তিনটি সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়। রতন ভৌমিক জানান. গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকায় তার পৈত্রিক বাড়ির ২ একর ৭৭ শতক জমি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ আহম্মেদ ও তার স্বজনরা দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে বরিশাল আদালতে দেওয়ানি মোকদ্দমা বিচারাধীন রয়েছে।

পুরো নিউজ এখানে,

গৌরনদীতে হিন্দু বাড়িতে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বরিশালের পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে এক হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকার অধিবাসী রতন ভৌমিকের বাড়িতে এই হামলার ঘ্টনা ঘটে। হামলাকারীরা এ সময় ওই বাড়িতে মনসা মন্দিরের নির্মাণাধীন মনসা প্রতিমা ভাঙচুর ও ২ নারীকে আহত করে বাড়িতে তিনটি সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়। রতন ভৌমিক জানান. গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকায় তার পৈত্রিক বাড়ির ২ একর ৭৭ শতক জমি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ আহম্মেদ ও তার স্বজনরা দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে বরিশাল আদালতে দেওয়ানি মোকদ্দমা বিচারাধীন রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ির জমিজমা দখলের উদ্দেশ্যে পৌর কাউন্সিলর ফিরোজের নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একটি দল তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে শাশুরি তুলসী সাহা. ফুপু মায়া পোদ্দারকে মারধর করে। এ সময় হামলাকারীরা মনসা মন্দিরে নির্মাণাধীন মনসা প্রতিমাও ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা বাড়ির জমি দাবি করে গাছের সঙ্গে তিনটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে গৌরনদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে গৌরনদী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান, ওসি আবুল কালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা ফিরোজ আহম্মেদ বলেন. আমার পিতা নিলাম সূত্রে ওই সম্পত্তির মালিক। আমাদের হয়রানি করার জন্য রতন ভৌমিক এ নাটক সাজিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় রতন ভৌমিক বাদি হয়ে ফিরোজ রহমানের সহোদর নজরুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামি করে ওই রাতেই গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেন। জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ জানান, হামলাকারী যেই হোক না কেন প্রকৃত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2013/11/25/24569#sthash.IEsEIPDU.dpuf

http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2013/11/25/24569

সারাংশ হচ্ছে, এটি মোটেও হিন্দু-মুসলিম দাজ্ঞা বা জামাতী হামলা ছিল না। ছিল খেলা নিয়ে সঙ্ঘাত যার পিছনে মুল নাটের গুরু ছিল সরকারী দলের ক্যাডাররা।



কেস ষ্টাডি -৩ ঃ যশোর

এটি এখনকার আলোচিত ঘটনা। আমরা মিডিয়ার কল্যানে আমরা প্রথমে জানতে পারলাম এর জন্য জামায়াত-বিএনপি দায়ী। প্রথম দিন অর্থাৎ ৬ জানুয়ারী ২০১৪ প্রথম আলোর রিপোটে এমনি জানতে পারছি। "মনিরামপুরে আতঙ্কে সংখ্যালঘুরা, নির্বিকার পুলিশ" শিরোনামে প্রথম আলো লিখেছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পালপাড়ার একজন বাসিন্দা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিজয়রামপুর গ্রামে হিন্দুদের বসবাসের কোনো পরিবেশ নেই। চরম আতঙ্কে কাটছে প্রতিটা মুহূর্ত। ভোট দিতে না গিয়েও বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়তে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ‘মুখোশধারীরা বলে গেছে, ভোট দিতে গেলে তোদের পাড়ার এক মাথা থেকে জ্বালিয়ে দিতাম। না গিয়েই তোরা জীবনে বেঁচে গেছিস।’

পুরো নিউজ এখানে,

মনিরামপুরে আতঙ্কে সংখ্যালঘুরা, নির্বিকার পুলিশ

যশোর অফিস | আপডেট: ২২:২৫, জানুয়ারি ০৬, ২০১৪

যশোরের মনিরামপুর পৌর শহরের বিজয়রামপুর গ্রামের পালপাড়ার গৌরপালের কাছ থেকে সাত হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে গেছে মুখোশধারীরা। আরও দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। এ পাড়ার কুটিয়া রানীর চোখের সামনে রামদা উঁচিয়ে তারা বলে গেছে, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে তাঁর চাকরিজীবী ছেলেকে হাজির করতে হবে। না হলে বোমা মেরে বাড়িঘর উড়িয়ে দেওয়া হবে। গতকাল রোববার নির্বাচনের রাতে মনিরামপুরের হিন্দুপাড়ায় গিয়ে সশস্ত্র মুখোশধারীরা এভাবেই শাসিয়েছে। এর আগের রাতে এ পাড়ার নিতাই পাল ও রতন পালের বাড়ির বিচালির গাদা ও গোয়াল ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে পালপাড়ার ১৩ পরিবার চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এত কিছুর পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছে এই এলাকার মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পালপাড়ার একজন বাসিন্দা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিজয়রামপুর গ্রামে হিন্দুদের বসবাসের কোনো পরিবেশ নেই। চরম আতঙ্কে কাটছে প্রতিটা মুহূর্ত। ভোট দিতে না গিয়েও বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়তে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ‘মুখোশধারীরা বলে গেছে, ভোট দিতে গেলে তোদের পাড়ার এক মাথা থেকে জ্বালিয়ে দিতাম। না গিয়েই তোরা জীবনে বেঁচে গেছিস।’ বিজয়রামপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক তিনজনের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদের পা ও খোরশেদ আলমের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে হারুন-অর-রশীদকে। ফরিদ ও খোরশেদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ও হারুনকে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খাটুয়াপাড়া গ্রামের বজলুর রহমান ও মুজিবর রহমানের পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দুজনই এখন মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। বিজয়রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালট পেপার ও বাক্সে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ সবাইকে পিটিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দখল করে নেন। এদিন আরও ৫৯টি কেন্দ্র নির্বাচনবিরোধীরা দখল করে নেয়। যে কারণে নিরাপত্তাহীনতার কারণে ৬০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের যে ৬০টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর আশপাশের গ্রামের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত পরিবারের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। নির্বাচনের রাতে অন্তত ৫০টি পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করে মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণে মনিরামপুর এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব বেড়েছে। পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেশমা শারমিন বলেন, ‘র্যাব-বিজিবি-পুলিশের যৌথ অভিযান ছাড়া মনিরামপুরে যখন-তখন যাওয়া কঠিন। তার পরও আমাদের টহল দল থাকে।’ হিন্দুপাড়ায় তাণ্ডবের কথা তাঁরা জানেন না বলেও তিনি জানান। যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন খান টিপু সুলতান আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ স্বপন ভট্টাচার্য। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় যশোর-২ আসনের (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) ঝিকরগাছা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের শ্রীকান্ত ঘোষ, পানিসারা গ্রামের চান্দুসহ অন্তত ১০ জনকে মারধর করা হয়েছে। ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নাভারণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক শুকুর আলীর মতো অনেকে। শুকুর আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বায়সা গ্রামে সকালে একদল লোক মোটরসাইকেল নিয়ে ঢুকেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কলস প্রতীকের পক্ষে যারা কাজ করেছে, তাদের খোঁজা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। বাড়িতে যেতে সাহস হচ্ছে না।’ নৌকা প্রতীকের লোকজন এ তাণ্ডব চালাচ্ছে বলেও তিনি জানান। যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মনিরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।



http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/117055/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87_%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE_%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6

৭ জানুয়ারী ২০১৪ পত্রিকাগুলোর ভাষ্য এর ব্যক্তিক্রম কিছু না। অর্থাৎ জামাত-শিবির দায়ী। প্রথম আলোর প্রথম দিনের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে জামাত-বিএনপির উপর চলছে মিডিয়া ঝড়। ৮ জানুয়ারী জামায়াতপন্থি নয়া দিগন্ত লিখেছে একটু ভিন্ন ষ্টোরি, ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, সহিংস ঘটনার জন্য নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শেখ আবদুল ওহাবের সমর্থকেরা দায়ী। অপরপক্ষে যশোরের প্রশাসন বলেছে, এ ঘটনার সাথে জামায়াত-শিবির জড়িত। ইতোমধ্যে জামায়াত-শিবিরের ৪০ জনের নাম উল্লেখসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। অভয়নগরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের হুইপ শেখ আবদুল ওহাব এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেয়েছেন বাঘারপাড়ার অধিবাসী রণজিত রায় এমপি। এ নিয়ে এক মাস ধরে ওই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে চলছে প্রকাশ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা। একে অপরের সমর্থকদের মারধর, হত্যাচেষ্টা, অফিস পোড়ানোসহ নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে কয়েক দিনে। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন রণজিত রায় এবং কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আবদুল ওহাব। এ নির্বাচনে চেঙ্গুটিয়া-চাঁপাতলা মালোপাড়ার ভোটাররা তাদের নিজ এলাকা অভয়নগরের প্রার্থী শেখ আবদুল ওহাবকে ডিঙিয়ে বাঘারপাড়ার বাসিন্দা রণজিত রায়ের নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। এতে পরাজিত শেখ আবদুল ওহাব ও তার সমর্থকেরা প্তি হয়ে মালোপাড়ায় হামলা চালায়।

দেখুন এখানে,



ছবিঃ ভোরের কাগজের ৮ জানুয়ারী খবর

পাঠক, এর আগে কোন নিউজ সোর্স হিসেবে আমি জামায়াত-বিএনপির কোন মিডিয়ার রেফারেন্স দেইনি। নয়া দিগন্তের রেফারেন্স দেয়ার কারন একটু পরে বলছি। এখন দেখুন ৮ জানুয়ারী ২০১৪ চরম সরকারপন্থি ভোরের কাগজ কি লিখেছে, "অভয়নগরে জামাতের সঙ্গে ছিল পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরাও" পত্রিকাটি লিখেছে, এ পাড়ার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক জানান, সন্ত্রাসীরা শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নয়, মুসলমানদের বাড়িঘরও ভাঙচুর করে। তিনি জানান, তার বাড়ি ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরো কয়েকজন মুসলমান নেতাকর্মীর বাড়িঘরও রোববার ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলার পেছনে জামাত-শিবির চক্র ছাড়াও নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান সংসদের সরকার দলীয় হুইপ শেখ আব্দুল ওহাবের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়।

দেখুন এখানে,

http://www.bhorerkagoj1.net/new/blog/2014/01/08/155677.php

এবার আরেকটু যাই, ৮ জানুয়ারী ২০১৪, মানবজমিন বিষয়টি আরো খোলাসা করেছে এভাবে, নির্বাচনের আগেই চাপাতলা মালোপাড়ার বাসিন্দাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন হুইপ অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব। নির্বাচনে নৌকার বাইরে বের হতে না পারলে পরিণাম ভাল হবে না বলে শাসিয়েছিলেন সংখ্যালঘুদের। তিনি তাদের বলেছিলেন, তিনি এখনও আওয়ামী লীগে আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। দল তাকে বহিষ্কার করেনি। ফলে এবারের সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় সংখ্যালঘুরা যদি ভেবে থাকেন ওহাব আর আওয়ামী লীগে নেই, তার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেছে, তাহলে তারা ভুল করবেন। নৌকার প্রার্থী রণজিৎ রায় আপনাদের স্বজাতি হওয়ায় যদি ভাবেন তাকে ছাড়া আপনারা অন্য কাউকে ভোট দেবেন না তাহলে ভুল করবেন। ভোটের পরে এর জন্য আপনাদের খেসারত দিতে হবে। হিন্দু সমপ্রদায়ের নেতৃস্থানীয়দের উদ্দেশ্য করে হুইপ ওহাব বলেছিলেন, আপনারা সামপ্রদায়িকতা থেকে বের হতে পারবেন না, আর আমার কাছে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা আশা করবেন- সেটা হবে না। আপনাদের কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করছে ভোটের পরে আমি অসাম্প্রদায়িক থাকবো না সাম্প্রদায়িক আচার-আচরণ করবো। এদেশের জামায়াত-শিবির শুধু সাম্প্রদায়িকতা লালন করে সেটা ঠিক নয়, এদেশের সংখ্যালঘুরাও সাম্প্রদায়িক। দেখুন এখানে,

নির্বাচনের আগেই হুমকি দিয়েছিলেন হুইপ ওহাব স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে | ৮ জানুয়ারি ২০১৪, বুধবার, ১২:০৬ | মতামত: ১১ টি Share on facebook Share on twitter Share on email Share on print More Sharing Services 112 নির্বাচনের আগেই চাপাতলা মালোপাড়ার বাসিন্দাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন হুইপ অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব। নির্বাচনে নৌকার বাইরে বের হতে না পারলে পরিণাম ভাল হবে না বলে শাসিয়েছিলেন সংখ্যালঘুদের। তিনি তাদের বলেছিলেন, তিনি এখনও আওয়ামী লীগে আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। দল তাকে বহিষ্কার করেনি। ফলে এবারের সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় সংখ্যালঘুরা যদি ভেবে থাকেন ওহাব আর আওয়ামী লীগে নেই, তার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেছে, তাহলে তারা ভুল করবেন। নৌকার প্রার্থী রণজিৎ রায় আপনাদের স্বজাতি হওয়ায় যদি ভাবেন তাকে ছাড়া আপনারা অন্য কাউকে ভোট দেবেন না তাহলে ভুল করবেন। ভোটের পরে এর জন্য আপনাদের খেসারত দিতে হবে। হিন্দু সমপ্রদায়ের নেতৃস্থানীয়দের উদ্দেশ্য করে হুইপ ওহাব বলেছিলেন, আপনারা সামপ্রদায়িকতা থেকে বের হতে পারবেন না, আর আমার কাছে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা আশা করবেন- সেটা হবে না। আপনাদের কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করছে ভোটের পরে আমি অসাম্প্রদায়িক থাকবো না সাম্প্রদায়িক আচার-আচরণ করবো। এদেশের জামায়াত-শিবির শুধু সাম্প্রদায়িকতা লালন করে সেটা ঠিক নয়, এদেশের সংখ্যালঘুরাও সাম্প্রদায়িক। নির্বাচনের ৫ দিন আগে চাপাতলার পাশেই সুন্দলী প্রাইমারি স্কুল মাঠে নির্বাচনী জনসভায় হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব এসব কথা বলেছিলেন। ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন এমন অনেকেই এ কথা বলেছেন। নিজের বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে এই পাড়ার ৪/৫শ’ পরিবারকে ওহাব বুঝিয়ে দিলেন তার কথা না শোনার পরিণাম। গত ২রা জানুয়ারি নির্বাচনী প্রচারণায় বিদ্রোহী প্রার্থী জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব চাপাতলা গ্রামে যান। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি এক পর্যায়ে মালোপাড়ায় যান। তিনি এই পাড়ার মন্দিরের সামনের ফাঁকা জায়গায় নির্বাচনী মতবিনিময় সভা করেন। কিন্তু সেই সভায় মালোপাড়ার বেশির ভাগ মানুষ ছিলেন অনুপস্থিত। ওহাবের নির্বাচনী কর্মীরা বহু চেষ্টা তদবির করেও তাদের সভায় হাজির করতে ব্যর্থ হন। ক্ষমতায় থেকে এই পাড়ার উন্নয়নে শেখ আব্দুল ওহাব অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন। মন্দির করে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন, ইটের রাস্তা করে দিয়েছেন। দিয়েছেন সরকারি বেসরকারি নানা অনুদান। এই পাড়ার মানুষের সঙ্গে তার বহু দিনের সম্পর্ক। কিন্তু শুধুমাত্র নৌকা প্রতীক না পাওয়ার কারণে সেদিনের সেই সভায় এই পাড়ার মানুষ উপস্থিত হননি। এতে ওহাব ক্ষুব্ধ হন। পাড়ার দুলাল বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ সরকার, সমীর সরকারের মতো প্রবীণ ব্যক্তিরা ওহাবকে সাফ জানিয়ে দেন, তারা রণজিৎ রায়ের মার্কা নৌকার বাইরে ভোট দিতে পারবেন না। দীর্ঘ দিনের পরিচিত দুলাল, বিশ্বজিৎ আর সমীর সরকারদের তখন ওহাব বলেন, দেখ আমার কাজ আমি করেছি, এবার তোমাদের পালা। তোমরা যদি স্বজাতির টানে আমাকে বিমুখ করো তাহলে তার পরিণাম তোমরা ভোগ করবে, তখন আমার কিছুই করার থাকবে না। ঘটেছেও তাই। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন শেষ হতে না হতেই সে মূল্য দিতে হয়েছে এ পাড়ার মানুষদের। নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানি মুছতে না পেরে তার বদলা নিয়েছে ওহাবের কর্মী-সমর্থকরা। হামলাকারীরা সকলেই স্থানীয় এবং তাদের সবাই চেনে। হামলার শিকার অনেকে হামলার পর পরই তাদের নাম-পরিচয়ও বলেছে। এই পাড়ার বাসিন্দা সুকদেব কুমার বলেন, হামলাকারীদের বেশির ভাগই ওহাবের কর্মী-সমর্থক। হামলাকারীরা একযোগে মালোপাড়ার বিশ্বজিৎ, দুলাল, সমীর, দেবাংশু, সুকুমার, স্মরজিৎ, আশুতোষ, শান্ত, নিমাই, বিপ্লব, অরুণ, শংকর, শিমুল, সুমন, প্রবীর, কৃষ্ণ, অর্ধেন্দু, সাগর, সীমান্ত, প্রদীপসহ অনেকের শতাধিক বাড়িতে আক্রমণ শুরু করে। তারা বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি জিনিসপত্রে অগ্নিসংযোগ করে। ঘরের চাল, ডাল, ধান সব মিশিয়ে একাকার করে বাইরে ছুড়ে ফেলে। রান্নাঘরগুলোতে ঢুকে থালাবাটি, হাঁড়িপাতিল ভেঙে চুরমার করে। লেপ-তোষক থেকে শুরু করে ঘরের ভেতরের সব জিনিসপত্র পুড়িয়ে ফেলে। জেলে সম্প্রদায়ের এই পাড়ায় আগুনে পুড়েছে কয়েক লাখ টাকার জাল। হামলার শিকার হয়েছে কয়েক শ’ নারী-পুরুষ। হামলাকারীদের তাণ্ডবে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পাশের ভৈরব নদ পেরিয়ে কয়েক শ’ নারী-পুরুষ ও শিশু ওই রাতেই আশ্রয় নেয় পাশের দেয়াপাড়া গ্রামে। তিন দফার এই হামলায় গোটা মালোপাড়া গ্রামটি লণ্ডভণ্ড হলেও স্থানীয় প্রশাসন বা সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের কোন সাহায্য না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই পাড়ার বাসিন্দারা। পঞ্চাশোর্ধ্ব বিষ্ণুপদ সরকার বলেন, যখন হামলাকারীরা গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে তখন আমরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ প্রশাসনকে বার বার খবর দিয়েছি। থানার ওসিকে ফোন করেছি। কিন্তু কারও কোন সাড়া পাইনি। যদি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি দলের নেতারা ঘটনাস্থলে আসতেন তবে পরিস্থিতি হয়তো এতটা খারাপ হতো না। এদিকে এই হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনীতির নোংরা খেলা হচ্ছে অভিযোগ করে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে কোন মামলার উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন এই পাড়ার মাতব্বর দেবাংশু সরকার। ৩শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা: এদিকে এই হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এলাকার ৩৯ জনের নাম-ঠিকানা উল্লেখসহ ৩শ’ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদ হোসেন জানান, মামলায় যাদের নাম-ঠিকানা পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগ স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া, নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থকেরও নাম রয়েছে ওই মামলার এজাহারে। ওসি বলেন- মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের আটকে পুলিশ কম্বিং অপারেশন চালাচ্ছে। ৫ জন আটক: পুলিশ বাদী মামলার এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে আটক করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ। গতকাল বিশেষ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাদিউজ্জামান, মোহাম্মদ আলী, চাপাতলা গ্রামের রবিউল, তরিকুল ও আবু সাঈদকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে রবিউল ও তরিকুল নির্বাচনে শেখ আব্দুল ওহাবের সক্রিয় নির্বাচনী কর্মী ছিল। বাকি ৩ জন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে দেয়াপাড়ার দেবু মজুমদার জানান। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন: সহিংস ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ পুনরায় যে কোন ধরনের হামলার আশঙ্কা রোধে চাপাতলার মালোপাড়ায় বসানো হয়েছে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। একজন সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ সদস্য এই ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি সোমবার রাতে ক্ষতিগ্রস্ত চাপাতলার মালোপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করেন। এ সময় হামলার শিকার গ্রামবাসী ডিআইজির কাছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা ফের হামলার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। কারণ রোববার রাতে যে গোষ্ঠী মালোপাড়া গ্রামে হামলা চালিয়েছিল তাদের বেশির ভাগ প্রকাশ্যে এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। এই হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনীতির নোংরা খেলা চলায় প্রকৃত হামলাকারীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে যে কোন মুহূর্তে আবারও হামলার শিকার হতে পারেন এই পাড়ার কয়েক শ’ সংখ্যালঘু পরিবার। তাদের এরকম দাবির প্রেক্ষিতে ডিআইজির নির্দেশে যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র তাৎক্ষণিক মালোপাড়ায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেন। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাহায্যার্থে জেলা পুলিশের ১ দিনের বেতনের সমপরিমাণ ১ লাখ টাকার নগদ অনুদান দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল অনুদানের এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেন। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র প্রদানসহ নানা প্রকারের সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। ১৮ দলের প্রতিবাদ: অভয়নগরে হিন্দু সমপ্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় পুলিশ ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের দায়ী করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। গতকাল দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, অভয়নগরে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় নিজে বলেছেন, এ হামলার জন্য তার প্রতিপক্ষ বর্তমান জাতীয় সংসদের হুইপ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবের প্ররোচনা ও তার কর্মী-সমর্থকদের দ্বারা এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হয়ে হুইপ শেখ আব্দুল ওহাবের লোকজনই এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সবকিছু জানার পরও পুলিশ এ ঘটনায় ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের জড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার করছে। তিনি এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান এবং প্রকৃত হামলাকারীদের আটক ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে যারা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য মিডিয়া কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। অভয়নগরে জামায়াত নেতার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট: নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে যশোরের অভয়নগর উপজেলার জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল আজিজসহ বিএনপি নেতা ও সমর্থকদের বাড়িঘরে মঙ্গলবার ভোর রাতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীরা এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন। এসময় সন্ত্রাসীরা ঘরে থাকা পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরীফের বেশ কয়েকটি খণ্ড তছনছ করে। লণ্ডভণ্ড করে দেয় বাড়ির সকল আসবাবপত্র। এসব অভিযানের সময় জামায়াত, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের বাড়িতে না পেয়ে ঘরবাড়ি ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটানো হয়। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গতকাল ভোর রাতে যৌথবাহিনী বালিয়াডাঙ্গা ও চাপাতলা গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় তাদের সঙ্গে ছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু সশস্ত্র নেতাকর্মী। অভিযানের সময় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি না পেয়ে যৌথবাহিনী ফিরে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের সশস্ত্রকর্মীরা ফেরেনি। তারা ওই সব বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র লুটপাট, ভাঙচুর ও তছনছ করে। এ সময় উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আজিজের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা এখান থেকে ৫টি সিলিং ফ্যান, একটি ল্যাপটপ, একটি ডেক্সটপ কম্পিউটারের সিপিইউ, একটি ফ্রিজ, স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় জামায়াতের আমীর মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ ও তার ছেলে থানা শিবিরের সভাপতি মাহফুজুর রহমান বাড়িতে ছিলেন না। এছাড়া একই সময় ওই গ্রামের ডা. সোহরাব হোসেন, আয়ুব আলী, চাপাতলা মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ আলী, বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া, মিজানুর রহমান, জামায়াত নেতা ও ইউপি সদস্য আবুল কাশেম মোল্যাসহ ১০-১২টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ভাঙচুর, লুটপাট ও অভিযানের সময় পুরুষশূন্য ওই এলাকায় মহিলারা চরম আতঙ্কিত হয়ে বাড়িঘর ফেলে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে এ হামলা- রণজিৎ: চাপাতলার মালোপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে স্থানীয় এমপি রণজিৎ রায় বলেন, যারা নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে পারেনি তারাই এই হামলার পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে। তারা তাদের পোষ্য গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে মালোপাড়ার কয়েকশ’ জেলে পরিবারের উপর যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জামায়াত-শিবির চক্র এই হামলায় নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর ভাড়াটে গুন্ডা হিসেবে কাজ করেছে। পরাজিত প্রার্থী ও তার নির্বাচনী নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে জামায়াত শিবির চক্র এ নির্বাচন-বিরোধীরা মালোপাড়ায় হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে । চালায় মধ্যযুগীয় তাণ্ডব। তিনি অবিলম্বে এই হামলাকারীদের আটকের দাবি জানান। এ বিষয়ে হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব বলেন, যারা এই ধরনের কথা প্রচার করছে তারা নিজেদের অতীত ভুলে গেছে। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে। আজ যারা আমাকে ভোট দেয়নি, আগামীতে যে তারা অন্যকে ভোট দেবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া কারা কিভাবে এই হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। তিনি এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আটকের দাবি জানান। এদিকে চাপাতলার মালোপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে স্থানীয় এমপি রনজিত রায় বলেন, যারা নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে পারেনি তারাই এ হামলার পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে। তারা তাদের পোষ্য গুণ্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে মালোপাড়ার কয়েকশ’ জেলে পরিবারের উপর যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জামায়াত-শিবির চক্র এই হামলায় নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর ভাড়াটে গুণ্ডা হিসেবে কাজ করেছে। পরাজিত প্রার্থী ও তার নির্বাচনী নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির চক্র ও নির্বাচনবিরোধীরা মালোপাড়ায় হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। চালায় মধ্যযুগীয় তাণ্ডব। তিনি অবিলম্বে এ হামলাকারীদের আটকের দাবি জানান। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আবদুল ওহাব বলেন, যারা এ ধরনের কথা প্রচার করছে তারা নিজেদের অতীত ভুলে গেছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে। আজ যারা আমাকে ভোট দেয়নি, আগামীতে যে তারা অন্যকে ভোট দেবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া কারা কিভাবে এ হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। নির্বাচনের পর দেশের বহু জায়গায় এ ধরনের হামলা, ভাঙচুর আর লুটপাট অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। যারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে তা বানচাল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে এ হামলা তারাই চালিয়েছে। এর সঙ্গে তার বা তার কোন নির্বাচনী নেতাকর্মীর সম্পর্ক নেই। তিনি এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আটকের দাবি জানান।



http://mzamin.com/details.php?mzamin=NjIxNw%3D%3D&s=Mw%3D%3D#.Usy4zRCe3bk.facebook



সরকার বান্দব মানবকণ্ঠ কি লিখেছে দেখুন। ৮ জানুয়ারী ২০১৪, মালোপাড়ায় হামলা : নেপথ্যে ইন্ধন ছিল মনোনয়নবঞ্চিত ক্ষমতাসীন দলেরই একটি অংশের পত্রিকাটি লিখেছে, যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা মালোপাড়ায় হামলার নেপথ্যে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। ১৮ দলের নেতাকর্মীরা এ হামলা করলেও তাতে শক্তি জোগান দেন ক্ষমতাসীন দলেরই স্থানীয় একটি অংশ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার চাপাতলার মালোপাড়ায় বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা সবাই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। দেশ স্বাধীনের পর এ গ্রামের সব সম্প্রদায়ের মানুষ ভাই-ভাই হিসাবেই বসবাস করে আসছে। আপদে-বিপদে তারা পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়ান। এজন্য এখানে কখনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়নি। এবারের নির্বাচন নিয়েও এখানে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে ভোটের পরে তাদের ওপর এমন নির্যাতন নেমে আসবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালোপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এ গ্রামে ৩৬০টি ভোট রয়েছে। প্রায় সব ভোটই নৌকার বাক্সে যায়। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর এটিই কাল হয়েছে তাদের জন্য। এবারের নির্বাচনে যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করেন সাবেক এমপি রণজিত রায়। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন এ আসনের বর্তমান এমপি হুইপ শেখ আবদুল ওহাব। গতবার মালোপাড়ার প্রায় সব ভোটই পান তিনি। কিন্তু এবার রণজিত রায় দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় শেখ আবদুল ওহাব ও তার পক্ষের লোকজন ধরেই নেন মালোপাড়ার ভোটাররা কোনো ভাবেই তাদের ভোট দেবে না। এজন্য নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মালোপাড়ার ভোটারদের ওপর শেখ আবদুল ওহাবকে ভোট দেয়ার চাপ ছিল। কিন্তু তার পক্ষের লোকজন গোপনে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন শেখ আবদুল ওহাব নয় ভোট পাবেন রণজিত রায়ই। আর এ কারণেই হুইপ পক্ষের লোকজন মালোপাড়ার বাসিন্দাদের ওপর নির্যাতনের পরিকল্পনা করেন। এজন্য তারা ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির এবং ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের। ঠিক এ অবস্থায় রণজিত রায়ের পক্ষের কিছু লোক ভোটের দিন মুসলমানদের সম্পর্কে আপত্তির দু’একটি কথা বলে। এতে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। এ সুযোগটিও কাজে লাগান হুইপ পক্ষ। সন্ধ্যায় যখন ১৮ দলের লোকজন মালোপাড়ায় হামলা চালায় তখন হুইপ পক্ষের লোকজনও তাতে যোগ দেয়। এ ব্যাপারে একই কথা বলেন এ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি রণজিত রায়। তিনি বলেন, নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ সুকৌশলে হামলার নেপথ্যে শক্তি জুগিয়েছে। তা না হলে দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ পর্যন্ত যাদের ওপর হামলা কেন, সামান্য নির্যাতনও করেনি তাদের ওপর এমন বর্বর হামলার সাহস কেউ পেত না। যদিও এ অভিযোগ স্বীকার করেননি হুইপ শেখ আবদুল ওহাব। ঘটনার ২ দিন পর গতকাল বিকেলে তিনি মালোপাড়ায় এসে ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই এমন বর্বর ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাপারে আবদুল ওহাব বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ এবং জামায়াত-শিবির তাদের বর্বরতা আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপাতেই এমন অপপ্রচার করছে। দেখুন এখানে,

মালোপাড়ায় হামলা : নেপথ্যে ইন্ধন ছিল মনোনয়নবঞ্চিত ক্ষমতাসীন দলেরই একটি অংশের - See more at: http://www.manobkantha.com/2014/01/08/154335.html#sthash.VmvkpFM3.dpuf

যশোর প্রতিনিধি যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা মালোপাড়ায় হামলার নেপথ্যে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। ১৮ দলের নেতাকর্মীরা এ হামলা করলেও তাতে শক্তি জোগান দেন ক্ষমতাসীন দলেরই স্থানীয় একটি অংশ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার চাপাতলার মালোপাড়ায় বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা সবাই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। দেশ স্বাধীনের পর এ গ্রামের সব সম্প্রদায়ের মানুষ ভাই-ভাই হিসাবেই বসবাস করে আসছে। আপদে-বিপদে তারা পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়ান। এজন্য এখানে কখনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়নি। এবারের নির্বাচন নিয়েও এখানে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে ভোটের পরে তাদের ওপর এমন নির্যাতন নেমে আসবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালোপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এ গ্রামে ৩৬০টি ভোট রয়েছে। প্রায় সব ভোটই নৌকার বাক্সে যায়। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর এটিই কাল হয়েছে তাদের জন্য। এবারের নির্বাচনে যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করেন সাবেক এমপি রণজিত রায়। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন এ আসনের বর্তমান এমপি হুইপ শেখ আবদুল ওহাব। গতবার মালোপাড়ার প্রায় সব ভোটই পান তিনি। কিন্তু এবার রণজিত রায় দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় শেখ আবদুল ওহাব ও তার পক্ষের লোকজন ধরেই নেন মালোপাড়ার ভোটাররা কোনো ভাবেই তাদের ভোট দেবে না। এজন্য নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মালোপাড়ার ভোটারদের ওপর শেখ আবদুল ওহাবকে ভোট দেয়ার চাপ ছিল। কিন্তু তার পক্ষের লোকজন গোপনে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন শেখ আবদুল ওহাব নয় ভোট পাবেন রণজিত রায়ই। আর এ কারণেই হুইপ পক্ষের লোকজন মালোপাড়ার বাসিন্দাদের ওপর নির্যাতনের পরিকল্পনা করেন। এজন্য তারা ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির এবং ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের। ঠিক এ অবস্থায় রণজিত রায়ের পক্ষের কিছু লোক ভোটের দিন মুসলমানদের সম্পর্কে আপত্তির দু’একটি কথা বলে। এতে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। এ সুযোগটিও কাজে লাগান হুইপ পক্ষ। সন্ধ্যায় যখন ১৮ দলের লোকজন মালোপাড়ায় হামলা চালায় তখন হুইপ পক্ষের লোকজনও তাতে যোগ দেয়। এ ব্যাপারে একই কথা বলেন এ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি রণজিত রায়। তিনি বলেন, নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ সুকৌশলে হামলার নেপথ্যে শক্তি জুগিয়েছে। তা না হলে দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ পর্যন্ত যাদের ওপর হামলা কেন, সামান্য নির্যাতনও করেনি তাদের ওপর এমন বর্বর হামলার সাহস কেউ পেত না। যদিও এ অভিযোগ স্বীকার করেননি হুইপ শেখ আবদুল ওহাব। ঘটনার ২ দিন পর গতকাল বিকেলে তিনি মালোপাড়ায় এসে ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই এমন বর্বর ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাপারে আবদুল ওহাব বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ এবং জামায়াত-শিবির তাদের বর্বরতা আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপাতেই এমন অপপ্রচার করছে। - See more at: http://www.manobkantha.com/2014/01/08/154335.html#sthash.VmvkpFM3.dpuf

http://www.manobkantha.com/2014/01/08/154335.html

অধ্যাপক অনোক বাবু, যিনি ঘটনা ঘটার স্থানে ঘুরে এসে ইটিভিকে বলছেন, ভিডিওটি দেখুন

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1646/activist/35647#.Us5Tlawpdkh

এই তিন-চারটি রিপোর্ট পড়লেই বুঝা যায়। বিষয়টি ছিল, পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থি প্রবল ক্ষমতাধর আব্দুল ওহাব বনাম একই দলের এমপি রনজিতের বিরোধ। ওহাব তার প্রতিপক্ষ বিজয়ী রনজিতের সাথে পেরে না ঊঠে হামলা পরিচালনা করে। যেহেতু ওহাব নাম ধারী মুসলমান, বিজয়ী রনজিত হিন্দু, তাই সহজেই এটাকে হিন্দু-মুসলিম দাজ্ঞা বলে চালিয়ে দেয়া গেছে। আর মিডিয়ার জন্য কেষ্টা বেটা জামাত-বিএনপি তো রেডি! হায়রে মিডিয়া, হায়রে জাতি! আসুন আমরা এই সাম্প্রদায়িক হাংগামার নিন্দা জানাই। দাবি জানাই দায়ী ব্যক্তি যে দলেরেই হোক প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হোক। শাস্তি দেয়া হোক, বন্ধ হোক এই মিডিয়া সন্ত্রাস। বিষয়: বিবিধ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন