ঃ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, মিডিয়ার প্রচার বনাম বাস্তবতা (আপডেট, ভিডিও)
লিখেছেন লিখেছেন এক্টিভিষ্ট ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:০৩:০৫ দুপুর << আগের পোস্ট পরের পোস্ট >> ছবিঃ রক্ষক যখন ভক্ষক হয়
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টি বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। যুগ যুগ ধরে এখানে সব ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারনে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সাম্প্রদায়িক দাজ্ঞার ইস্যুটি। এক্ষেত্রে, মিডিয়া পালন করছে প্রধান ভুমিকা। ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই কোন রকম তদন্ত, বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই মিডিয়া দায় চাপাচ্ছে এক পক্ষকে। ফলে ধাপা চাপা পড়ে যাচ্ছে প্রকৃত ঘটনা। বেচে যাচ্ছে প্রকৃত অপরাধীরা। থামছে না এই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প। নিকট অতীতের ঘটে যাওয়া তিনটি আলোচিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা আমরা বিশ্লেষণ করবো এভাবে---- কেস ষ্টাডি -১ ঃ সাথিয়া, পাবনা গত নভেম্বর ২০১৩ শুরুর দিকে আলোচিত ছিল এই ঘটনাটি। নানা কারনে আলোচিত হয় সেটি। কারন একদিকে এটি ছিল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর নির্বাচনী এলাকা, অন্যদিকে এটি আবার জামায়াত (যাদেরকে মিডিয়া মুলত দায়ী করে থাকে বেশীরভাগ ঘটনায়) আমীর মতিউর রহমান নিজামীরও নির্বাচনী এলাকা। ফলে ঘটনায় জামায়াত জড়িত, এটা প্রচার করতে মিডিয়ার বেগ পেতে হয়নি। ২ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটার পর অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে ৪ নভেম্বর ২০১৩ ইত্তেফাক যেভাবে রিপোর্ট করে, ২৫ বাড়ি মন্দির ভাংচুর, আগুন , সাঁথিয়ায় হিন্দুপাড়ায় আতংক, গ্রেফতার ১ বিএনপি জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীসহ আসামি তিনশ' পাবনা জেলার সাঁথিয়ায় হিন্দু পাড়ায় বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের পর এলাকার তিনশ'র বেশি হিন্দু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গ্রামের বাসিন্দা হেনা সাহা বলেন, 'রাতে ঘুম হয় নাই। কখন যেন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়- এই ভয়ে সারা রাত ঘুমাইনি'। এদিকে এ ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে গতকাল তিনশ' লোককে আসামি করে পুলিশ মামলা করেছে। এ ঘটনায় রেজাউল করিম নামে বিএনপির এক সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইত্তেফাকের পুরো নিউজটা পড়ুন, ২৫ বাড়ি মন্দির ভাংচুর, আগুন সাঁথিয়ায় হিন্দুপাড়ায় আতংক, গ্রেফতার ১ বিএনপি জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীসহ আসামি তিনশ' পাবনা প্রতিনিধি ও সাঁথিয়া সংবাদদাতা পাবনা জেলার সাঁথিয়ায় হিন্দু পাড়ায় বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের পর এলাকার তিনশ'র বেশি হিন্দু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গ্রামের বাসিন্দা হেনা সাহা বলেন, 'রাতে ঘুম হয় নাই। কখন যেন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়- এই ভয়ে সারা রাত ঘুমাইনি'। এদিকে এ ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে গতকাল তিনশ' লোককে আসামি করে পুলিশ মামলা করেছে। এ ঘটনায় রেজাউল করিম নামে বিএনপির এক সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য গতকাল প্রশাসনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা করা হয়। এছাড়া ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বনগ্রামের বাবুল সাহার ছেলের ফেসবুক একাউন্ট থেকে হযরত মুহাম্মদ (স.) কে কটূক্তি ও তার ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশ করার অভিযোগে শনিবার দুপুরে উত্তেজিত জনতা বাবুল সাহাসহ ২৫টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় ও আগুন লাগায়। শত শত উচ্ছৃঙ্খল যুবক বাবুল সাহার বাড়িতে ঢুকে ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও তারা রাজকুমার, নবশিল, কালা মাস্টার, সুধীর সাহা, অনিল মাস্টার, সুবাস সাহা, নিতাই ঘোষ, সুকুমার রায়, ডা. উত্তম, বিষ্ণু সাহা, চিত্র কর্মকারসহ ২৫টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুট করে। ভাংচুর চালানো হয় পারিবারিক পাঁচটি মন্দিরে। ঐ দিনের তাণ্ডবের কারণে হিন্দু সমপ্রদায় কালী পূজা উদযাপন করতে পারেনি। পরে পুলিশ প্রশাসন ও র্যাব সদস্যরা এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ধ্বংসলীলার পর এলাকার তিন শতাধিক হিন্দু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনেকে ভয়ে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। বনগ্রাম হিন্দু পাড়ায় গেলে দেখা যায় দিনের তাণ্ডবের দৃশ্য। সাংবাদিকদের দেখে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাজ কুমারের স্ত্রী চায়না সাহা বলেন, 'আমার বাড়ি ভাংচুরের সময় যুবকরা কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিঁড়ে নিয়ে গেছে।' কালা মাস্টারের বৃদ্ধ মা বিষ্ণু সাহা বলেন, 'আমার কিছু নাইরে বাবা। ওরা সব কিছু নিয়ে গেছে।' অনিল সাহার মা হেনা সাহা জানান, 'রাতে ঘুম হয় নাই। কখন যেন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়, এই ভয়ে সারারাত ঘুমাইনি।' ওই দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন বনগ্রামের ঘটনা কক্সবাজারের রামুর মতো পরিকল্পিত। এলাকায় আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ। হিন্দু সমপ্রদায়ের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় গতকাল রবিবার দুপুরে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী এডিশনাল ডিআইজি খোরশেদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন পাবনা জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, পাবনা র্যাব-১২ কমান্ডার মেজর মঈন উদ্দিন, বিশিষ্ট কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র, পাবনা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি গণেশ সাহা ও সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল সকালে পাবনা জেলা প্রশাসন ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার উদ্যোগে সন্ধ্যার আগে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি গণেশ ঘোষ, পাবনা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা রণেশ মৈত্র, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি চন্দন ঠাকুর, সাধারণ সম্পাদক বিনয় জ্যোতি কুন্ডু প্রমুখ। তারা অবিলম্বে হিন্দু পরিবারের উপর হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান। তদন্ত কমিটি :পাবনার এডিএম মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মোস্তাইমুন সায়েম ও আইটি বিশেষজ্ঞ মাহফুজুল আলমকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন থেকে পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রাংকে আহ্বায়ক ও আতাইকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কোরবান আলী, ক্ষেতুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম কাশু, গৌরিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম ও ভুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আ. আজিজকে সদস্য করে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই ঘটনার জন্য দেখুন, প্রথম আলোর ৩ নবেম্বর ২০১৩ রিপোর্ট
রামুর মতোই গুজব ছড়িয়ে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, আগুন সাঁথিয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা পাবনা অফিস | আপডেট: ০৮:১৩, নভেম্বর ০৩, ২০১৩ | প্রিন্ট সংস্করণ ১২১ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম ও ঘোষপাড়ায় বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালানোর পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ছবিটি বনগ্রামের ব্যবসায়ী বাবলু সাহার বাড়ি থেকে গতকাল দুপুরে তোলা ষ প্রথম আলোফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির গুজব ছড়িয়ে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় গতকাল শনিবার বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০-২৫টি বাড়ি এবং দুটি মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বনগ্রাম বাজারে সকাল ১০টায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু সাহার ছেলে রাজিব সাহা (১৫) ফেসবুকে মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করেছে। এ খবরে বাজারের কিছু ব্যবসায়ী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বেলা ১১টার দিকে ফেসবুকের একটি পাতার ফটোকপি বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কথিত ফেসবুক পাতার ফটোকপিতে নামসহ কভার ছবি, প্রোফাইল ছবি ও একটি পোস্ট ছিল। ফেসবুক পাতাটির নাম ছিল আপত্তিকর এবং কভারে ছিল আপত্তিকর একটি কার্টুন। ফেসবুক পাতার ফটোকপি ছড়িয়ে পড়ার পর পাড়া-মহল্লায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বনগ্রাম বাজারে বাবলু সাহার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাঁর ছেলেকে হাজির করতে বলে। কিন্তু তিনি ছেলেকে হাজির না করায় উত্তেজিত জনতা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে বাজারের মাঝ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘোষপাড়ার একটি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয় ষ ছবি: প্রথম আলোপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কে যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন কিছু যুবক মহাসড়কের পাশের বনগ্রামের ঘোষপাড়া ও সাহাপাড়ায় ভাঙচুর শুরু করে। তারা প্রথমে সাহাপাড়ায় বাবলু সাহার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ঘোষপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আরও প্রায় ২৫টি বাড়ি ও দুটি মন্দির ভাঙচুর করে। তারা বনগ্রাম বাজারে বাবলু সাহার দোকানসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় অন্য দোকানদারেরা বাবলু সাহাকে একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে সাঁথিয়া ও আতাইকুলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাদের বাধা দেয়। বেলা দেড়টার দিকে পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেঞ্চদের নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাবের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাবলু সাহাকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাবুল সাহা লেখাপড়া জানেন না। ফেসবুক কী, তিনি বোঝেন না। তাঁর ছেলে রাজীব সাহা উপজেলার মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। সে ফেসবুক ব্যবহার করে কি না, সে সম্পর্কে তার সহপাঠী ও প্রতিবেশীরাও কিছু জানেন না। ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। হামলার সময় তাঁরা অনেকে আত্মগোপন করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে তাঁদের বেশির ভাগ বাড়িঘরে ফিরে এলেও চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোরবান আলী বিশ্বাস জানান, তাঁরা এলাকার খোঁজখবর রাখছেন। তবে ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছেন তিনি। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এখনো ঘটনাস্থলেই রয়েছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’ এর আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে বৌদ্ধপল্লিতে হামলা করা হয়। এতে ১২টি বৌদ্ধবিহার এবং ৩৪টি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরদিন পাশের উখিয়া ও টেকনাফেও সাতটি বৌদ্ধবিহার ও ১১টি বসতিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। উত্তম বড়ুয়া নামের এক যুবকের ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরিফের অবমাননার ছবি পাওয়া গেছে—এমন অভিযোগ তুলে এ হামলা চালানো হলেও তদন্তে তা প্রমাণিত হয়নি। নিন্দা-প্রতিবাদ: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি চন্দন কুমার চক্রবর্তী। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এ ধরনের কাজ করতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে আমাদের ধারণা।’
সার কথা হলো, হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, মন্দিরে হামলা হয়েছে। এর জন্য দায়ী জামায়াত-বিএনপি। ফলে তাদের কয়েকজন নেতা কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ব্যস, খেলা এখানেই শেষ। থেমে গেল মিডিয়া প্রচার। মনে হয় প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়ে গেছে। না, ধীরে ধীরে বের হতে থাকে প্রকৃত ঘটনা, দেখুন--- ছবিঃ সাথিয়া ঘটনার মুল নায়ক মিঠু (লাল গোল চিহ্ন) স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর সাথে মিছিলে ক. ৭ নভেম্বর ২০১৩, The Daily Star, Some attackers seen with Tuku শিরোনামে লিখেছে, Mithu, one of the men alleged to have vandalised over 100 Hindu houses and temples, inset, at Bonogram in Santhia of Pabna on Saturday, is seen behind State Minister for Home Shamsul Hoque Tuku when he visited the area yesterday. পুরো নিউজ দেখুন এখানে,
Some attackers seen with Tuku M Abul Kalam Azad and Ahmed Humayun Kabir Topu, Pabna Related News Same extorters active for long Stop attacks on Hindus Hindus attacked in Pabna Attack on Hindus Mithu, one of the men alleged to have vandalised over 100 Hindu houses and temples, inset, at Bonogram in Santhia of Pabna on Saturday, is seen behind State Minister for Home Shamsul Hoque Tuku when he visited the area yesterday. Photo: Rashed Shumon Some of the alleged culprits of Saturday’s attack on Hindu community in Pabna were yesterday seen with State Minister for Home Shamsul Hoque Tuku and two lawmakers in the affected Bonogram village. With Tuku, Disaster Management and Relief Minister Abul Hasan Mahmud Ali and State minister for LGRD Jahangir Kabir Nanak visited Bonogram yesterday, four days after vandalism and looting of over 100 Hindu houses had taken place in Sahapara and Ghoshpara areas. Interestingly, during the visit, the state minister claimed that his party men had tried to save the Hindu families. Mithu and Rubel, who according to villagers were among the attackers, were prominently seen welcoming the ministers and taking part in a rally organised by the local administration protesting Saturday’s violence. The Daily Star took photos of Mithu and Rubel, both aged between 20 and 25 years. Seeing the photos, the victim families and locals vehemently said that both had taken part in the vandalism and looting. Mithu was seen around the ministers all the time and chanting slogans with others. Asked, locals said Mithu and Rubel of nearby Miapur village are known as local thugs. But the villagers could not confirm their political identity. “Another youth named Ani, who also had been with the attackers, was also seen in the programme,” said a trader of Bonogram bazar. Hailing from Gouripur, Ani is also known in the area as a mugger and extortionist. He is involved in an underground party along with his uncle, alleged locals. While talking to affected Hindu women in Ghoshpara, State Minister Tuku said, “Our leaders and workers tried to save you risking their lives. But by the time, some damage had already been done.” “You stay with courage … our activists are here,” he told them. The ministers were also flanked by Inspector General of Police (IGP) Hasan Mahmud Khandker and RAB Director General Moklesur Rahman. The IGP enquired whether the villagers were still in panic. In response a woman said as long as police are with them they feel secured, but do not know what will happen when there is no police protection. The IGP claimed that police were very active in arresting the attackers. But in reality police could not arrest a single person who took part in the attack. So far they have arrested 10 people — all accused in a case filed by police for assaulting cops during a road blockade at Bonogram bazar. “I named 20 persons in my case for attacking and looting my house, but none of them have been arrested,” said Babul Saha, who came under a mob attack on a rumour that his son had maligned the Prophet in facebook. Some locals and police rescued him. Police could not also nab any of the youths who challenged Babul at his shop that day for his son’s alleged act. Yesterday, several hundred bikers welcomed the ministers at Santhia when they reached there in a helicopter. The supporters then accompanied them to Bonogram. Meanwhile, the rally there actually looked like a showdown against BNP-Jamaat to gain political benefit rather than having the attackers arrested or punished. The ministers said the prime minister had sent them to talk to the victims and report to her, and that she had expressed deep sympathy and assured of all kinds of assistance. Pointing finger at BNP and Jamaat, Nanak told the rally that the attack in Bonogram was like those carried out in 1971, in Ramu and many other places in the country. He urged all to fight the evil forces unitedly. Nanak claimed that the local administration promptly acted during the attack, but in fact, police failed to reach the Hindu villages even in two-and-a-half hours. While visiting the damaged houses and talking to the victims, Tuku was also seen seeking votes for himself in the next general elections. “My symbol is boat … remember it,” Tuku told villagers waving his hands.
খ. আরো কিছু দিন পর ১৩ নভেম্বর ২০১৩, গ্রেফতার হন খোদ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বেয়াই। হিন্দুদের ওপর হামলা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেখুন সেই নিউজটি, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু'র বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে (৩৫) মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তসলিম বনগ্রাম মিয়াপাড়ার আলহাজ মোসলেম উদ্দিন খানের ছেলে। তসলিম ছাড়াও আতাইকুলা থানার বনগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান খাঁজা এবং যুবলীগ কর্মী দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ১৫ জন গ্রেপ্তার হলো। পরিবর্তন ডট কম থেকে,
হিন্দুদের ওপর হামলা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই গ্রেপ্তার ১৩ নভেম্বর ২০১৩ ১৪:৫৫ টা হিন্দুদের ওপর হামলা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই গ্রেপ্তার পাবনা প্রতিনিধি • পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু'র বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে (৩৫) মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তসলিম বনগ্রাম মিয়াপাড়ার আলহাজ মোসলেম উদ্দিন খানের ছেলে। তসলিম ছাড়াও আতাইকুলা থানার বনগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান খাঁজা এবং যুবলীগ কর্মী দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ১৫ জন গ্রেপ্তার হলো। এদিকে অধিক তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাবলু সাহার একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি কর্মী জহুরুল ইসলাম মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বনগ্রাম মধ্যপাড়ার আমিন ড্রাইভারের ছেলে। পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লায়লা শারমীনের আদালতে জহুরুল ইসলামে তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে বলেন, হযরত মোহাস্মদ (স.) সম্পর্কে বাবলু সাহার ছেলে রাজিব সাহা যে স্ট্যাটাস দিয়েছিল সে সম্পর্কিত একটি প্রিন্ট কপি ওই এলাকার খোকন নামের এক যুবলীগ সমর্থক তার মালিকানাধীন রংধনু ফটোস্ট্যাটের দোকানে এনে প্রথম ফটোকপি করে। পরে এটি এক হাত থেকে অন্য হাতে চলে যায়। বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় বলে সে স্বীকার করে। তবে এটি কোন সর্বদলীয় হামলা ছিল না বলে সে আদালতকে জানায়। বনগ্রামের বাবলু সাহা বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনের নামে মামলা করে। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা করে। বাবলু সাহার দায়ের করা মামলায় যাদের নামীয় আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র তিন জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার আগের দিন পহেলা নভেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার রসুলপুর, মিয়াপুর, বহালবাড়িয়া, পূর্বপাড়া, পাইকপাড়া, বনগ্রাম চইরাপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন, দোলোয়ার হোসেন মানিক, খোকন, ফজলু-১, পুর্বপাড়ার ফজলু, মান্নানের নেতৃত্বে যুবলীগ, বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক ১০/১২ যুবক যুবক একজোট হয়ে ফেসবুকের কপি রঙধনু ফটোষ্ট্যাটের দোকান থেকে প্রিন্ট করে বাবলু সাহার দোকানে গিয়ে তার উপর চড়াও হয় এবং তার ছেলে রাজিব ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে বলে অভিযোগ করে। একই সাথে রাজিবকে তাদের কাছে তুলে দেওয়ার দাবিও জানায়। এ সময় তারা পরের দিন শনিবার দুপুর ১২টায় বনগ্রাম বাজারে এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ আহবান করে। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে এলাকার শত শত মানুষ পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে। পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনাটি অধিক তদন্তের স্বার্থে পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাবলু সাহার দায়ের করা একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আত্মীয়ও গ্রেপ্তার হয়েছে এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, কে কার আত্মীয় সেটি পুলিশের বিষয় নয়। বিষয় অপরাধী। অপরাধী যে হোক, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এএএস/এমএইচ/এএসটি
অন্যপত্রিকা গুলো লিখেছে চাপে পড়ে পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে ছেড়ে দেয়া হয়। গ. বিডিনিউজ২৪ লিখেছে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এই ঘটনার অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন হিন্দু নারী। দেখুন সেই নিউজ,
সাঁথিয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর আত্মীয়কে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ পাবনা প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 2013-11-12 23:03:09.0 BdST Updated: 2013-11-12 23:17:48.0 BdST পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় হিন্দুদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর এক আত্মীয়কে ‘আটকের’ পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। Print Friendly and PDF 6 7 543 Related Stories সাঁথিয়া হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ: মিজান 2013-11-07 18:28:10.0 সাঁথিয়ার হিন্দু পল্লীতে আতঙ্ক 2013-11-11 15:41:42.0 তসলিম উদ্দিন খান (৩৫) নামে ওই ব্যক্তির ছোট ভাই মোস্তাক খান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বড়ভাই আব্দুস সাত্তারের জামাতা। তিনি আতাইকুলা ইউনিয়নের মিয়াপুরের মোসলেম উদ্দিন খানের ছেলে। পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ প্রথমে প্রতিমন্ত্রীর আত্মীয় তসলিমকে আটকের খবর জানালেও গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মীর্জা আব্দুস সালাম তা অস্বীকার করেন। প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের জামাতা মোস্তাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাইকে (তসলিম) গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে।” গত ১ নভেম্বর রাতে উপজেলার বনগ্রাম এলাকার দশম শ্রেণির ছাত্র রাজীব সাহার (১৭) ফেইসবুক পাতায় নবীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরদিন কালী পূজার দিনে রাজীব সাহার বাড়িসহ স্থানীয় হিন্দুদের অন্তত ৩৫টি বাড়ি, তিনটি মন্দির ও ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবারও দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যেই বিকালে মিয়াপুর বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তসলিমকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। এই বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মিরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় তসলিমকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।” আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মীর্জা আব্দুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তসলিমকে আটক করা হয়নি।” হিন্দুদের ওপর এই হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের কর্মীদের দায়ী করে আসছে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সরকারি দলের লোকরা এই কাজ করে এখন বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে চাইছে। সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত সন্দেহে সুজানগর উপজেলার পোড়াডাঙ্গা বাজার থেকে মঙ্গলবার দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা। তারা হলেন- বনগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান খাজা এবং কুমিরগাড়ি গ্রামের মৃত আজহার শেখের ছেলে দুলাল। কথিত কটূক্তিকারী রাজীবের বাবা বাবলু সাহা ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেনছেন। এর আগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় স্থানীয় রংধনু ফটোস্ট্যাটের মালিক আমিমুল এহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে মোট ১৪ জন গ্রেপ্তার হল। এদিকে বাবলু সাহার করা মামলার আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এই ঘটনার অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন হিন্দু নারী। এদিকে গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম নামের এক বিএনপিকর্মী মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আতাইকুলা থানার ওসি রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিচারিক হাকিম লায়লা শারমীনের আদালতে বনগ্রাম মধ্যপাড়ার আমিন উদ্দিন ড্রাইভারের ছেলে জহুরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জহুরুলের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে রাজীব সাহার ‘কথিত স্ট্যাটাসে’র একটি প্রিন্টকপি ওই এলাকায় যুবদল সমর্থক হিসেবে পরিচিত খোকন রংধনু ফটোস্ট্যাটের দোকানে এনে প্রথম ফটোকপি করার পর তা এলাকায় ছড়িয়ে যায়। “বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী- সব দলের কর্মী-সমর্থকরা হিন্দুদের ওপর হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে জহুরুল বলেছে,” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল। এদিকে মঙ্গলবার বিকালে অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলা এবং বাবলু সাহার একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মিরাজ।
ঘ. চরম জামায়াত-বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত সিপিবি-বাসদের পর্যবেক্ষণ দেখুন, 'সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলা ছিল টুকুর প্রশ্রয়ে' শিরোনামে ১০ নভেম্বর, ২০১৩, কালের কণ্ঠ লিখেছে, পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর প্রশ্রয় ছিল- এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ রবিবার পুরানা পল্টনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছে সিপিবি-বাসদ। সেইসঙ্গে তারা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। সিপিবি-বাসদের নেতারা বলেন, ওই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেখানে পরিদর্শনে যান। এটি তার নির্বাচনী এলাকা। নিজেদের প্রতিনিধিকে দেখে আশ্বস্ত হওয়া তো দূরের কথা, তার সঙ্গে হামলাকারীদের অনেককে দেখে মানুষ আতঙ্কে মুখ বন্ধ করে বসে আছে। সাঁথিয়ায় ওই হামলার পর সিপিবি-বাসদ প্রতিনিধিদল সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করে। আজকের সংবাদ সম্মেলনে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, পুলিশ সক্রিয় হলে এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। হামলাকারীদের বেশির ভাগই ছিল কিশোর ও তরুণ। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট।
পুরো খবর এখানে,
সিপিবি-বাসদের পর্যবেক্ষণ 'সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলা ছিল টুকুর প্রশ্রয়ে' কালের কণ্ঠ অনলাইন শেয়ার - মন্তব্য (2) - প্রিন্ট অঅ-অ+ পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর প্রশ্রয় ছিল- এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ রবিবার পুরানা পল্টনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছে সিপিবি-বাসদ। সেইসঙ্গে তারা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। সিপিবি-বাসদের নেতারা বলেন, ওই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেখানে পরিদর্শনে যান। এটি তার নির্বাচনী এলাকা। নিজেদের প্রতিনিধিকে দেখে আশ্বস্ত হওয়া তো দূরের কথা, তার সঙ্গে হামলাকারীদের অনেককে দেখে মানুষ আতঙ্কে মুখ বন্ধ করে বসে আছে। সাঁথিয়ায় ওই হামলার পর সিপিবি-বাসদ প্রতিনিধিদল সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করে। আজকের সংবাদ সম্মেলনে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, পুলিশ সক্রিয় হলে এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। হামলাকারীদের বেশির ভাগই ছিল কিশোর ও তরুণ। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট। দুটি সুপারিশ তুলে ধরেন দল দুটির নেতারা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তাদের আশ্বস্ত করা। দ্বিতীয়ত, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা। এতে মানুষ নির্ভয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে পারবে। এ ছাড়া চিহ্নিত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার ও শাস্তির দাবিও জানান তারা। বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, সিপিবির নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন প্রমুখ।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2013/11/10/20037#sthash.9GX6CaFr.dpuf
ছবিঃ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাই্যয়িদ
ঙ. এক কালের ডাক সাইটে মন্ত্রী ঐ এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আবু সাই্যয়িদ কি বলেন দেখুন, "সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দায়ী" শিরোনামে ৯ নভেম্বর ২০১৩, সমকাল লিখেছে, পাবনার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ ঘটনার সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মাত্র ১০ মাইল দূরে থাকলেও তিনি নিজেও আসেননি, তার পুলিশ বাহিনীকেও পাঠাননি। পুলিশকে দিয়ে দুটি মামলা করিয়েছেন, যার সাক্ষী ১০ বছর আগে মারা গেছেন। মূলত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও তার অনুসারীদের কারণেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।তিনি আরও বলেন, ঘটনার মূল হোতা এখনও মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উস্কানিদাতা ও ইন্ধনদাতাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, তবুও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বনগ্রাম বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এ সব কথা বলেন।
পুরো খবর এখানে,
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০:০০ অঅ-অ+ printer
সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দায়ী
ড. আবু সাইয়িদ হ পাবনা অফিস
পাবনার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ ঘটনার সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মাত্র ১০ মাইল দূরে থাকলেও তিনি নিজেও আসেননি, তার পুলিশ বাহিনীকেও পাঠাননি। পুলিশকে দিয়ে দুটি মামলা করিয়েছেন, যার সাক্ষী ১০ বছর আগে মারা গেছেন। মূলত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও তার অনুসারীদের কারণেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনার মূল হোতা এখনও মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উস্কানিদাতা ও ইন্ধনদাতাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, তবুও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বনগ্রাম বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এ সব কথা বলেন। আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ফোরাম-৭১ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ড. আবু সাইয়িদ আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছে তাদেরও বিচার করতে হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলজার হোসেন, সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন সবুজ, আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তারেক আলী মৃধা, ক্ষতিগ্রস্ত প্রভাষ ভদ্র প্রমুখ।
কেস ষ্টাডি -২ ঃ
বরিশাল পাবনার ঘটনার কয়েকদিন পরেই ঘটে বরিশালের ঘটনাটি। এটিও প্রথমে মিডিয়া হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হিসেবে প্রচারের চেষ্টা চালায়। "বরিশালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮ ঘরে আগুন, আটক ২৫" শিরোনামে অনলাইন নিউজ সাইট রাইজিং বিডি কি লিখেছে দেখুন, বরিশাল সদর উপজেলার খানপুরা গ্রামে দুই কলেজ ছাত্রকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো তিন বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা। এনিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মন্দির ও ঠাকুর ঘরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮টি বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
পুরোটা এখানে,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন