মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৪


পুলিশে যোগ হচ্ছে আরও ২০ হাজার সদস্য
27 Jan, 2014 পুলিশ বাহিনীতে আরও ২০ হাজার সদস্য বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিগগিরই দুই ধাপে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। পুলিশের লজিস্টিক সাপোর্টও বাড়ানো হচ্ছে। প্রয়োজনীয় নতুন গাড়ি কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে পুলিশে গ্রেড-১-এ দুটি পদ রয়েছে।পুলিশে যোগ হচ্ছে আরও ২০ হাজার সদস্য পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো মেরামতের পাশাপাশি নতুন গাড়ি কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, জনপ্রশাসন সচিব আবদুস সোবহান শিকদার, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজিমুদ্দিন চৌধুরীসহ পুলিশ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা এ মুহূর্তে পুলিশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য পুলিশ বাহিনীকে আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করবে। কার্যক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। সংঘাত ও সহিংসতা মোকাবেলায় পুলিশকেও প্রস্তুত থাকতেহবে। তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে পুলিশের দীর্ঘদিনের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। প্রয়োজনীয় নতুন গাড়ি কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৯টি ইউনিটে লোকবল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরই পুলিশে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। দুই ধাপে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুলিশের ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাহিনীতে গ্রেড-১-এ দুটি এবং গ্রেড-২-এ ৫টি পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে সহিংসতা শুরু হয়। ওই সময় থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় পুলিশের শতাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুড়ে যাওয়া ও ভাংচুরের শিকার ওইসব গাড়ি বর্মতানে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় পুলিশের স্বাভাবিক অভিযান পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে। দ্রুত এসব ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি মেরামত করে কাজের উপযোগী করা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নতুন গাড়ি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। উৎসঃ samakal Share on facebook Share on email Share on print 2

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন