সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩


গণতন্ত্রকে হত্যা করবেন না 24 Dec, 2013 ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে যেন গণতন্ত্রকে হত্যা করা না হয়- বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আগামী ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবিতে এ নির্বাচন বর্জন করছে। সব মিলিয়ে পুরো গণতন্ত্র ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এটা একটি বড় বিষয়। অনলাইন ওয়াশিংটন এক্সামিনার এ খবর দিয়েছে। এতে জেমস জে কারাফারনো’র লেখা এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ। এখানে যদি ব্যক্তিস্বাধীনতা ব্যর্থ হয় তাহলে তাতে সারাবিশ্বের ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর গুরুতর প্রভাব পড়বে। এ স্বাধীনতাকে পশ্চাতে টেনে নেয়া হবে। এখন বিশ্বের অনেক এলাকা সংঘাতময়। বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সেই অবস্থাকে আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ পরিস্থিতিকে কিভাবে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র? এটা হতে পারে আরও সমস্যাবহুল। এখন পর্যন্ত ওবামা প্রশাসন নির্বাচনকে গণতন্ত্রের সমান করে দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু নির্বাচন স্বাধীনতা নয়। নির্বাচন স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দেয়, যে প্রতিশ্রুতির সঙ্গে প্রতারণা করা হতে পারে। এতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে জর্জ হ্যারিসন ও তার বন্ধুরা মিলে কনসার্ট করেন। তা থেকে যে অর্থ সংগৃহীত হয় তা দিয়ে বাংলাদেশের রোগাক্রান্ত, দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষ ও অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবহার করা হয়। এক রাতের ওই কনসার্টে সমবেত হয়েছিলেন ৪০ হাজার মানুষ। তিনি সংগ্রহ করেন ১ কোটি ২০ লাখ ডলার। যারা সেদিন অর্থ দিয়েছেন তারা সেদিন বাংলাদেশকে চিনতেনও না। বর্তমানে সেই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ সংঘাতে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রচারণায় নেমেছেন। এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সেই নেতাদের বিরুদ্ধে বিচারকে দ্রুততর করেছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে তাদের একজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। নির্বাচন যে অর্থহীন হতে পারে কারাফারনো’র তার উদাহরণ তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে ইরানের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। বলা হয়, সব সময়ই ইরানে নির্বাচন হয়। কিন্তু সে নির্বাচন অর্থহীন। কারণ, সেখানে বিরোধীদের কোন সুযোগ দেয়া হয় না। ইরান যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গিয়েছিল তা থেকে ইরানকে মুক্ত করতে পারেন এমন একজন নতুন উদার প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনে হোয়াইট হাউস সহায়তা দিয়েছে। ইরান এখনও বোমা বানানোর বাসনা রাখে এমন অবস্থার পরও এটা করা হয়েছে। এই ঘটনা মিশরে। মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি (বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত) গণতন্ত্রকে এক ব্যক্তি, এক ভোট তত্ত্বে নিয়ে গিয়েছেন। এ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষ করেছে অনেক দিন। এতে আরও বলা হয়, এখন বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখন তা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওয়াশিংটন প্রধানমন্ত্রীর নীতি সম্পর্কে আশাবাদী হতে পারে না। কারণ, তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিয়ে গেছেন ঝুঁকির মুখে। এতে হতে পারে আরও মানুষ কট্টরপন্থিদের সমর্থন করতে পারে, সমর্থন দিতে পারে ইসলামপন্থীদের। উৎসঃ টাইমনিউজবিডি Share on facebook Share on email Share on print 1

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন