শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩


দেশজুড়ে গণগ্রেপ্তার 28 Dec, 2013 বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে যোগদান ও ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। বৃহস্পতিবার রাতের অভিযানেই সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৩০০ নারী-পুরুষ, ছেলে, বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে বহু সাধারণ নিরপরাধ মানুষ রয়েছে। এমনকি রাজধানীর ঢাকায় শুক্রবারের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা অনেক পরীক্ষার্থীকেও ধরে নিয়ে গেছে যৌথবাহিনী। পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় তাদের এক বছর পিছিয়ে থাকতে হবে বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। ঢাকার বাইরে গতকাল বগুড়া, গাজীপুর, খুলনা, নাটোর, যশোর, লক্ষ্মীপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকেও অন্তত ২০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীতে ১৫২ জন আটক: গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫২ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগ এনে তাদের আটক করা হয়। তবে যাচাই-বাছাই শেষে নিরপরাধীদের ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মিরপুর ৮৬, দারুস সালাম ২৩, রূপনগর ১৫, কাফরুল ৮, পল্লবী ৭, ভাষানটেক ৭ ও শাহ আলী থানায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বেশির ভাগই তালিকাভুক্ত অপরাধী। একই অভিযানে কাফরুল থেকে অস্ত্র এবং মিরপুর থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়েছে। মিরপুরের কল্যাণপুর, কাফরুল ও সেনপাড়া পর্বতা থেকে ৮০ জনেরও বেশি এবং পল্লবী থেকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশের বিরুদ্ধে আগামীকাল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আহূত (ঘোষিত) ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে দেড়শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির অনেকেই চিহ্নিত অপরাধী। অনেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তবে যাচাই-বাছাই শেষে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সূত্র জানায়, সপ্তাহখানেক আগে নাশকতাকারী ও চিহ্নিত অপরাধীদের ধরতে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে র‌্যাব, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার মিরপুরের অভিযানে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (সাবেক রায়ট পুলিশ), থানা পুলিশ যৌথবাহিনীকে সহায়তা করেছে। এর আগে বুধবার মধ্যরাতে যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও ডেমড়া থেকে ২৫ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। স্বজনদের হয়রানির অভিযোগ: পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কল্যাণপুরের সাবেক কমিশনার শামীমের বাড়ি ও মনিপুরের সেনপাড়ায় জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ভাই মীর নাছির আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অর্ধশতকেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ। তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও পুলিশ অকারণে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছে। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুর থানার সামনে আটককৃতদের স্বজনরা দিনভর অপেক্ষা করেন। মাসুদা বেগম নামে এক নারী জানান, তার ছেলে মাসুদুর রহমান আকাশ কয়েক মাস আগে ঢাকায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করছিল। সে শামীম কমিশনারের বাড়ির একটি মেসে থাকত। পুলিশ তাকে রাতে ধরে নিয়ে আসে। মাসুদা বেগম জানান, আকাশ কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। শুক্রবার তার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ আটক করে আনায় সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। একটি বছর তাকে পিছিয়ে পড়তে হলো। তিনি বলেন, পুলিশ কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই একেকজনকে ধরে আনছে। এটা কেমন আইন? তাহলে পুলিশের গোয়েন্দারা কি করে? তারা কি জানে না কারা হরতাল, ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত আর কারা সাধারণ মানুষ? আমার ছেলের একটি বছর কে ফিরিয়ে দেবে বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। রবিউল ইসলাম নামে বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন, তার ভাই আবদুল রউফ ঢাকা কলেজে ভূগোল বিষয়ে মাস্টার্সে পড়ছে। পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। কিন্তু পুলিশ তাকে অকারণে ধরে নিয়ে এসেছে। সারা দিন কোন খাবার পর্যন্ত দেয়নি। হাসান নামে আরেক যুবক বলেন, তার ছোট ভাই স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসিতে চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র। সে কল্যাণপুরের একটি মেসে থাকত। রাতে পুলিশ তাকে ওই মেস থেকে ধরে নিয়ে এসেছে। খবর পেয়ে তিনি আশুলিয়া থেকে ছুটে এসেছেন। কিন্তু সারা দিনও তিনি ভাইয়ের দেখা পাননি। পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই তাকে থানায় এনে মামলায় জড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। হাসান বলেন, ইউনিভার্সিটিতে তার পরীক্ষা চলছিল। এ কারণে মেসের অন্যরা বাড়িতে চলে গেলেও তারা দু’জন মেসে ছিল। এটা কোন আইন হলো? নিরপরাধ মানুষকে ধরে এনে এমন হয়রানি করা? উত্তরা ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান জানান, তার শ্যালক জাকির হোসেন কল্যাণপুরের একটি বাসায় থাকত। সে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। জাকিরের স্ত্রী পটুয়াখালীর বাউফলের সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। রাতে বাসা থেকে তাকে পুলিশ ধরে আনে। সে কোন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় বলে তিনি জোর দাবি করেন। দেবাশীষ দাস নামে এক যুবক জানান, তার ভাই সৌরভ ভদ্র ইবাইস ইউনিভার্সিটির হোটেল ম্যানেজমেন্টের ছাত্র। ৩১শে ডিসেম্বর তার পরীক্ষা। কল্যাণপুরের শামীম কমিশনারের বাসার একটি মেসে সে থাকত। সেখান থেকে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছে। কোন অপরাধ ছাড়াই পুলিশ এভাবে হয়রানি করছে এটা তিনি ভাবতেই পারছেন না। পেশায় চাকরিজীবী মজিবুর রহমান জানান, তার বাসা সেনপাড়ায়। তাদের স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্বন্ধী সিদ্দিকুর রহমান মিলন থাকত। মিলন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য জিআরই’র প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুক্রবার ভোরে পুলিশ তাদের বাসায় নক করে ডেকে তুলে মিলনকে ধরে নিয়ে আসে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাড়েনি। মেধাবী একটি ছেলেকে ধরে এনে হয়রানি করাটা তিনি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তার ভাষ্য, অপরাজনীতির নামে দেশে যা শুরু হয়েছে এটা আসলে কোনভাবেই কাম্য নয়। আবুল হোসেন নামে এক পোশাককর্মী বলেন, আজ (শুক্রবার) তার ভাইয়ের ঢাকা কলেজে অনার্স প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। তাই দুদিন আগে সে শরীয়তপুরের পালং থেকে ঢাকার কল্যাণপুরে এসে বন্ধুদের সঙ্গে মেসে ওঠে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে আসে। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেখানোর পরও পুলিশ তার ভাইকে ছাড়ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে জানান: গাজীপুর মহানগরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজহারুল ইসলাম মোল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যানবাহন ভাঙচুর ও পোড়ানোর মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর মহানগরের বাঘিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজহারুল ইসলাম মোল্লাকে কোনাবাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি সাবেক কোনাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ও গাজীপুর জেলা বিএনপির ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক। সমপ্রতি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি এলাকায় যানবাহন ভাঙচুর ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় তাকে আসামি করা হয়। আর ওই মামলার আসামি হিসেবেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৬টি থানা এলাকায় গত রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মোট ২৯ জনকে আটক করেছে। যাদের অধিকাংশ বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান: গোপালপুরের সূতী এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিকশাযোগে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চালানোর সময় রিকশাচালককে মারধর ও মাইকের ব্যাটারি ছিনিয়ে নেয় দুর্বত্তরা। এ ঘটনায় ওইদিনই মধ্যরাতে সূতী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সূতী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, বিএনপি কর্মী আরজু মিঞা, আমিনুল ইসলাম,সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আয়নাল হোসেন ও জুলহাস মিঞা। গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন সরকার বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান: লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন স্থানে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ডা. মোসলেহ উদ্দিন ও সদর উপজেলার বাংগা খাঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রহমান রায়হানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামায়াত কর্মী মোরশেদ আলম, শিবির কর্মী সুমন। শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদর থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আল মাদানি নামের এক শিবির নেতাকে আটক করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই রবিউল এবং উজ্জ্বল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল বেলা ১১টার সময় উপজেলার হায়বাতপুর মোড় থেকে একাধিক মামলার আসামি ছোট কুপোট গ্রামের শুকর আলী গাজীর পুত্র আল মাদানিকে আটক করে। স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান: খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় বিশেষ অভিযানে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে তারা সন্ত্রাস দমনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। শুক্রবার পর্যন্ত জেলার ৯টি থানায় মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বটিয়াঘাটা থানায় ৮ জন, রূপসা থানায় ৩ জন, ডুমুরিয়া, তেরখাদা, দাকোপ, দিঘলিয়া ও পাইকগাছা থানায় দু’জন করে, কয়রা ও ফুলতলা থানায় একজন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডুমুরিয়া থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার খর্নিয়া এলাকা থেকে কামাল ফকির নামের এক ছাত্রশিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। অপরদিকে আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মহানগরীতে সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৯ই জানুয়ারি পর্যন্ত বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন সেনা সদস্যরা। নাটোর প্রতিনিধি জানান: নাটোরে যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে এক যুবদল নেতাসহ ১৮ দলের ৮ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার রাতভর চালানো অভিযানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে। এদের মধ্যে নাটোর শহর থেকে ৩ জন, সদরের হয়বতপুর থেকে ৩ জন ও বড়াইগ্রাম থেকে ২ জন। গতকাল সকালে তাদের সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান: ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র পোস্টার লাগাতে লাগানোর সময় কাঁঠালিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও এক কর্মীকে গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপজেলার বড়তলা বাজার থেকে ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ ও কর্মী মো. আউয়ালকে পোস্টারসহ গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে নলছিটি থানা পুলিশ বিএনপির এক কর্মীকে আটক করেছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ ওয়ারেন্টভুক্ত ৫ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। সর্বমোট জেলার ৩টি উপজেলা থেকে ৯ জনকে গতকাল আটক করেছে পুলিশ। ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি জানান: বিএনপি আহূত ঢাকা অভিমুখে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ ঘোষণার পর ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ গত দু’দিন যাবৎ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চলছে যানবাহনেও। এতে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে ১৮ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। গ্রেপ্তারকতৃরা হলেন, স্থানীয় ধানুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন (৫০), ধানুয়া গ্রামের মুন্সী মুজিবুর রহমান (৫৫) ও তোফাজ্জল হোসেন শাকিল (৩৮), চালিয়াপাড়ার সারোয়ার হোসেন (৩০), মনতলার নুরুল ইসলাম কাজী (৫৫), গজারিয়ার জসীম উদ্দিন (৩৫) ও সিরাজুল ইসলাম (৪৫)। এরা সবাই বিএনপি ও জামাতের কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আত্মীয়স্বজন অভিযোগ করে বলেছেন, গ্রেপ্তারের পর তাদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উৎসঃ মানবজমিন Share on facebook Share on email Share on print

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন