মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩


রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৫০৭, আহত ২২ হাজার 31 Dec, 2013 দেশে এ বছর রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০৭ জন। আহত হয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি। মঙ্গলবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি-২০১৩’ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে এ বছর মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক। ধারাবাহিক রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ২০১৩ সালে মোট রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ৮৪৮টি। এতে ৫০৭ জন নিহত ও ২২ হাজার ৪০৭ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন পুলিশ ও দুজন বিজিবি সদস্যও আছেন। সংবাদ সম্মেলনে আসকের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নূর খান বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে জঙ্গিবাদের উত্থান এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।’ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের কাছে কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা থাকে সে অনুযায়ী সরকারের উচিত মানবাধিকারের একটি সর্বজনগ্রাহ্য মান বজায় রাখা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করি, ক্ষমতাসীনরা বিগত সরকারের সমালোচনা করে তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে এবং অন্যদিকে বিরোধীদলও কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন না করে শুধু সরকারের সমালোচনা করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করে। আমরা আশা করি, এই প্রবণতা কাটিয়ে উঠে সরকার ও বিরোধীদল উভয় পক্ষেই মানবাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের সবচেয়ে বিপর্যয়কর ঘটনা হচ্ছে ‘রানা প্লাজা’ ধসে ১১ শর বেশি শ্রমিক নিহত হওয়া এবং অসংখ্য শ্রমিক আহত ও চিরতরে পঙ্গু হওয়া। যানবাহনে পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ এবং বোমা বানাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সাতটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯৭ জনের মধ্যে ২৫ জন মারা যান। এছাড়া সহিংসতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন পক্ষের রোষানলে পড়ে তিন সাংবাদিকও নিহত হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে গুম বা গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ৫৩ জন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৭২ জন। গুম বা গুপ্তহত্যার বিষয়টি দেশে এ বছর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নতুন সংযোজন। ২৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচির সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের একাংশের সমাবেশ এবং সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে বিরোধীদল সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় হামলার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য সাইদুল কবির। উৎসঃ বাংলামেইল২৪ Share on facebook Share on email Share on print 4

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন