সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩


শেখ সেলিমের আয় বেড়েছে ৮৯ গুণ! সম্পদেও গড়মিল 30 Dec, 2013 গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয় ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপির আয় বেড়েছে প্রায় ৮৯ গুণ। গোপালগঞ্জ-২ আসনে এবারও তিনি এমপি প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় তার নিজের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, পাঁচ বছর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা ছিল মাত্র ২ লাখ ৮২ হাজার ৩২৬ টাকা। এখন নিজের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৩২ হাজার ৪৮৩ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানীর শেয়ার ও বন্ডে নিজের নামে পাঁচ বছর আগে কোন বিনিয়োগ না থাকলেও হলফনামায় এবার ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা দেখানো হয়েছে। হলফনামায় উল্লেখ করা জমির হিসাবেও গড়মিল পাওয়া যায়। বর্তমানে নিজের সম্পদ দেখানো হয়েছে মোট ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৩৩ টাকা। যা আগে মোট ছিল ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৩৭৮ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় তিনি দাবি করেছিলেন তার ও তার উপর নির্ভরশীলদের কোন আয় ছিল না। তখন তিনি অতীতের আয় থেকে ব্যয় বহন করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আগে যা ছিল: ২০০৮ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের হাতে ছিল ৪৬ লাখ ১৮ হাজার ৩৭৮ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা (মার্কিন ডলার) ৯ হাজার ডলার। নিজের নামে ছিল ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকার গাড়ি, ৩৫ লাখ টাকার অলংকারাদি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র ১৯ লাখ টাকা। বর্তমান: পাঁচ বছর আগে হলফনামায় তার আয়ের কোন উৎস দেখানো হয়নি। এবার তার আয়ের উৎস শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে দেখানো হয়েছে। এ খাত থেকে তার বছরে আয় হয় ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৬৫ টাকা। এছাড়াও তিনি এমপি ভাতা থেকে ২০ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৫ টাকা আয়ের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া এবার তার হাতে আছে নগদ ২ লাখ, বৈদেশিক মূদ্রা (মার্কিন ডলার) ১২ হাজার ডলার, নিজ নামে ১ কোটি ২৫ হাজার ৪১০ টাকার দুটি জীপ। পাঁচ বছর আগের মতই এবারও হীরা, ডায়মন্ড ও ১০০ তোলা স্বর্ণসহ নিজ নামে ৩৫ লাখ টাকার অলংকারাদি আছে। আগের মতই নিজ নামে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে ১৯ লাখ টাকার। অন্যান্যের মধ্যে এবার তার বন্দুক, রাইফেল ও পিস্তল আছে ১ লাখ ৭ হাজার টাকার। জমির হিসাবে গড়মিল: নিজ নামে কৃষি জমি আছে ৫১ শতক যার অর্জনকালীন মূল্য বলা হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া টুঙ্গীপাড়ায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া পাঁচ বছর আগে তার ৬০ বিঘা কৃষি জমির মধ্যে ৬ দশমিক ৬৭ বিঘা নিজের উল্লেখ করে ৫ হাজার টাকা দাম লেখা হয়েছিল। এবার তার জমির পরিমান বেড়ে ১৩ দশমিক ৩৩ বিঘায় উন্নীত হয়েছে। তবে জমির পরিমান ™ি^গুণ হলেও দাম ৫ হাজারেই আটকে আছে! যৌথ মালিকানায় নিজের পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত বাড়ির অংশ ™ি^গুণ হলেও পাঁচ বছর আগের ন্যায় দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা। দালান কোঠার মধ্যে ঢাকার আরামবাগে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির পরিমান উল্লেখ করা হয়েছে ৫ কাঠার ৯ ভাগের ২ ভাগ। এর মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৭৭৮ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় জমির পরিমান ৯ ভাগের ১ ভাগ উল্লেখ করা হলেও দাম দেখানো হয়েছিল ঔ একই। এছাড়া বনানীতে তার ৪ তলা বাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা। তার কোন দায়-দেনা উল্লেখ নেই। স্ত্রীর সম্পদ: পাঁচ বছর আগে স্ত্রীর হাতে ছিল ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৪৫ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ এক লাখ ৬২ হাজার ৪৫৫ টাকা। ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকার গাড়ি এবং জীবনবীমায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৩২ টাকার কথা উল্লেখ ছিল। বর্তমান: স্ত্রীর হাতে নগদ আছে ১ লাখ টাকা, ৫ হাজার ডলার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া ১৯ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কার, ২৭০ ভরি স্বর্ণসহ অলংকারাদি আছে ২০ লাখ টাকার। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে আছে ১০ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে। পাঁচ বছর আগের ন্যায় স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি ছিল এক একর ৩৬ শতক যার উন্নয়ন ব্যয়সহ অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয় ২৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। উৎসঃ ঢাকাটাইমস২৪ Share on facebook Share on email Share on print 2

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন