শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩


রাজধানীর বাস গেলো কোথায়? 28 Dec, 2013 হরতাল-অবরোধ না থাকলেও শনিবার সকাল থেকেই কমে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নগর পরিবহনের সংখ্যা। বিরোধী দলের কর্মসূচিকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকামুখী পরিবহন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর এবার রাজধানীতেও কমে গেল গণপরিবহনের সংখ্যা। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। গণপরিবহন সংকটে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন সিএনজি আর রিকসাচালকরাও। শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, মগবাজার, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় অফিসগামী মানুষকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বাস না পেয়ে অনেকে রিকশা, সিএনজি বা পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাত্রা করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মধ্যবাড্ডা ফ্লাইওভারের নিচে বাসের জন্য অপেক্ষারত আমিনুল ইসলাম সোহাগ বলেন, অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। আধাঘণ্টা দাড়িয়ে থেকেও একটা বাসে উঠতে পারিনি। অন্য সময় ১০ মিনিটের মধ্যে অন্তত পাঁচটি বাস আসে। আজ আঁধা ঘণ্টায় দুইটা বাস গেছে। তাও দাড়ানোর জায়গা নেই। হরতাল-অবরোধের দিনেও এত কম বাস থাকে না। ওই স্থানে তখন অন্তত ৫০ জন লোককে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অপেক্ষমান যাত্রীদের সকল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছিল চলমান রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের কেন্দ্র করে। ইকবাল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‌''ওই .........(শব্দটি প্রকাশ অযোগ্য বিধায় বাদ দেওয়া হলো)দেরতো কোন অসুবিধা নাই। সব জ্বালাতো আমাগো। উনারা ক্ষমতায় যাইয়া মোয়া খাইবো, আর না খাইয়া মরণ লাগবো আমাগো।' আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে রবিবার ‘ঢাকা অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে সারা দেশ থেকে জনগণকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এই কর্মসূচি সামনে রেখে শুক্রবার থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, ঝালকাঠী ও চুয়াডাঙ্গার পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে যাত্রী ও মালিক-শ্রমিকরা জানান। রাতে বরিশাল থেকে ঢাকামুখী লঞ্চও বন্ধ করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে যায় বাসের টিকিট বিক্রি। ফেরত দেওয়া হয় শনি ও রবিবারের অগ্রিম টিকিট। এদিকে বিরোধী জোটের অবরোধ ও হরতালে শ্রমিক নিহত, যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রংপুর বিভাগের আট জেলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘট চলবে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন Share on facebook Share on email Share on print 3

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন