খুন ও গুমের বছর ২০১৩
31 Dec, 2013
খুন, গুম, রাজনৈতিক হত্যা ও সহিংসতায় পার হলো ২০১৩ সাল। বছরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে রাজধানীসহ সারাদেশে। বিশেষ করে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের খুন ও গুম হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে আতঙ্কে ছিল সাধারণ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রতিরোধ করেই বছর পার করে। এ সুযোগে বছরের শুরু থেকে দৈনন্দিন অপরাধে বেপরোয়া হয় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো।
বিশেষ করে রাজনৈতিক অপরাধ বেড়ে গেলেও লাগাম টেনে ধরতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বছরের শেষ সময়ে এসে পুলিশের গুলিতে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা ছিল চোখে পড়ার মতো। একইসঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তাণ্ডব, বোমা মেরে মানুষ হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রাজনৈতিক অস্থিরতায় পুলিশের বেপরোয়া গ্রেফতার বাণিজ্যে পড়ে নানামুখী হয়রানির শিকার হতে হয়েছে অনেককে। দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পড়ে নাজেহাল হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দাঙ্গা দমন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ছিল বছর জুড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা জনসাধারণকে ভীত করে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা পুলিশেরই নিরাপত্তা নেই- এমন প্রশ্নে উদ্বিগ্ন ছিল সাধারণ মানুষ।
২০১৩ সালে বেশ কয়েকটি চাঞ্চ্যলকর হত্যাকাণ্ড সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। কিছু ঘটনা দেশের সীমানা পেরিয়ে আলোচিত হয় বিদেশেও। মধ্যরাতে ফিল্মি স্টাইলে খুনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে দেশ-বিদেশের মানুষ। মাদকের ভয়াবহতায় মেয়ের হাতে সস্ত্রীক পুলিশ কর্মকর্তা খুনের ঘটনা নতুন করে ভাবিয়ে তোলে অভিভাবকদের। রাজধানীতে একসঙ্গে ছয় জনকে খুনের ঘটনা কিংবা বাবা-মায়ের সামনে ছেলে খুনের ঘটনা নগরবাসীর নিরাপত্তাহীনতার চিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলে বেশ ভালোভাবেই। শুধু সাধারণ নাগরিকই নয়, ঘটে পুলিশ কর্মকর্তা খুনের ঘটনাও।
ব্লগার রাজীব হত্যাকাণ্ডে আগুনে ঘি ঢালে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে। রামপুরায় সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ফজলুল করিমের খুনের ঘটনাও রাজধানীবাসীর নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। পল্টনে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয় শিশু রিতুকে। মানুষের মনের গভীরে দাগ কাটে এ ঘটনাও। পরিবহন নেতা খায়রুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানুষ আঁতকে উঠলেও এখন পর্যন্ত এ খুনের কোনো কুল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ঠিকাদার ইউসুফ রায়হানকে খুন করে লাশ ছয় টুকরা করে টেলিভিশনের কার্টনে ভরে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশকে টাকা না দেওয়ায় তাদের হেফাজতে শামীম সরকার নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা পুলিশের নৈতিকতাকে আবারও প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়। রামপুরায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করা হয় শ্রমিক লীগ নেতা মোক্তার হোসেনকে। কদমতলীতেও প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে মফিজুর রহমান খান সবুজ নামে এক ব্যবসায়ীকে খুন করে মাদকব্যবসায়ীরা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শেওড়াপাড়ায় ঘটে জোড়া খুনের ঘটনা।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি খুন হন।এর মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় খুন হয়েছেন ৩১ জন। এছাড়া ১০ হাজারের বেশি দস্যুতা ও ৬ ডাকাতি, ৮শ ১৮ ছিনতাইসহ যানবাহন চলাচলে বাধা, ক্ষতি, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, ত্রাস সৃস্টি ও দায়িত্ব পালনে বাধাসহ ২ হাজার ১শ ১৮ টি অপরাধ হয়েছে।
ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, গুরুতর আহত, অন্যান্যসহ নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ১৯ হাজার ৮শ ৪১টি অপরাধ হয়েছে। শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৬শ ৫১ টি। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৯২৬টি।বিভিন্ন ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩০৯ জন পুলিশ। সিদেল চুরিসহ বিভিন্ন ঘটনায় মোট চুরি হয়েছে ৮ হাজার ৭৩৭টি। বিভিন্ন ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৭টি।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের তথ্য অনুযায়ী গত ১ বছরে রাজধানীতে খুন হয়েছেন প্রায় প্রায় ৪শ ব্যক্তি। এ বছরের জানুয়ারি মাসে মোট ৩৬১ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ১৮ জন।
স্বস্ত্রীক সিআইডি কর্মকর্তা হত্যা: গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের ২ নম্বর বাড়ির ৫ম তলার ৫/বি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান (৪৯) ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের (৪০) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর তাদের একমাত্র মেয়ে ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী ঐশী ছোট ভাই ওহি (৭) ও গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন দুপুরে পল্টন থানায় আত্মসমর্পন করে ঐশী। তার উশৃঙ্খল ও বেপরোয়া জীবন যাপনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল তার বাবা-মা। মাদক গ্রহণ, ডিজে পার্টি, বখাটে বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরা, রাত করে বাসায় ফেরা এরকম বিভিন্ন কারণে এক মাস ধরে ঐশীকে কঠোর শাসনের মধ্যে রেখেছিল তার বাবা-মা। কিন্তু এরকম শাসনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঐশী। ক্ষোভ থেকেই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। বর্তমানে জেলে বন্দি আছে ঐশী ও কাজের মেয়ে সুমি। দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই ঘটনাটি একদিকে যেমন মাদকের ভয়াবহ দিকটি ফুটিয়ে তুলে তেমনি অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে।
গোপীবাগে ৬ জনকে জবাই করে হত্যা: বছরের শুরু থেকে খুন গুম অব্যাহত থাকলেও শেষে এসে ৬ জনকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়। রাজধানীর গোপীবাগের ৬৪/৬ আয়না নামের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় হত্যা করা হয় ইমাম মাহাদীর প্রধান সেনাপতি দাবিদার কথিত পীর লুৎফর রহমান, ছেলে সারোয়ারুল ইসলাম ফারুক, ভক্ত মঞ্জুর আলম, শাহিন, রাসেল ও মজিবুল সরকারকে। ভক্ত সেজে বাসায় ঢুকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি গ্রুপ হাত পা ও মুখ বেধে গলা কেটে তাদের হত্যা করে। হত্যার পর খুনীরা বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ধর্মীয় আদর্শিক বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করলেও ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা।
যুবলীগ নেতা মিল্কী হত্যা: ২৯ জুলাই প্রকাশ্যে ফিল্মী স্টাইলে গুলি করে হত্যা করা হয় ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ) সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম খান মিল্কীকে। চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে মিল্লী হত্যার ঘটনা বছর জুড়ে আলোচনায় ছিল। ঘটনার পরদিনই কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া যুবলীগ নেতা তারেক র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর ক্রসফায়ারে নিহত হন। এ ঘটনায় যুবলীগের আরেক নেতা চঞ্চলসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে পালিয়ে যান চঞ্চল। বছর পার হলে খুনের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ হয়নি। ক্লু উদঘাটন হয়নি গত ৫ মাসেও।
ব্লগার রাজিব হত্যা: যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ যখন উত্তাল ঠিক সেই সময় নৃশংসভাবে খুন করা হয় শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চের অন্যতম কর্মী আহম্মেদ রাজীব হায়দারকে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে তার মামার বাসা পল্লবীর কালশীতে যাওয়ার সময় পলাশনগরে এ ঘটনা ঘটে। তাকে জবাই করে হত্যার পর রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনা পর উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে শাহবাগে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশ। কিন্তু এরপর ব্লগার রাজীবের ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী বিভিন্ন লেখা প্রকাশিত হতে থাকলে তাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনা।
শিশু রিতু হত্যা: পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর ১৯ জানুয়ারি পল্টনে বাণিজ্যিক ভবন ট্রপিকনা টাওয়ারের চতুর্থ তলার টয়লেট থেকে শিশু রিতুর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখে পাষণ্ড কিছু নরপশু। ১১ বছর বয়সী রিতু ওই ভবনের কয়েকটি অফিসে দুপুরের খাবার সরবরাহ করতো। এ ঘটানা প্রকাশের পর উত্তেজিত জনতা পল্টন থেকে কাকরাইল পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষাভ মিছিল করে। রিতুর এভাবে মৃত্যুর ঘটনা মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভ ও আর ঘৃণার জন্ম দেয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক হত্যা: গত ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিম রামপুরার নিজ বাসার শয়ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমদের হাত-পা বাধা মৃতদেহ। পুলিশ দাবি করেছে তার গাড়িচালক বাসায় রক্ষিত টাকার জন্য তাকে হত্যা করেছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।
সিআইডি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হত্যা: গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোডের ৭৫/২ নম্বর বাড়ির পাঁচ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় খুন হন সিআইডি’র (ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) সাবেক এডিশনাল এসপি ফজলুল করিম খান । এ সময় দুর্বৃত্তরা তার স্ত্রী আফরোজা করিম খান ও দুই শিশু গৃহপরিচারিকাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। কে বা কারা তাকে খুন করল এখন পর্যন্ত সেই রহস্য উম্মোচন করতে পারেনি পুলিশ।
ডাকাতের গুলিতে কলেজ ছাত্র খুন: গত ১২ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ীতে নিজ বাসায় বাবা মায়ের সামনেই ডাকাতের গুলিতে নিহত হন কলেজ ছাত্র বখতিয়ার। বখতিয়ার হত্যার প্রায় দেড় মাস পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ন কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, টার্গেট ছিল বড় ধরনের ডাকাতি করে চলে যাবে ডাকাতরা। কিন্তু বাধ সাধে কলেজ ছাত্র বখতিয়ার। সে ডাকাতির ঘটনায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তাই চিৎকার শুরু করার আগেই বাবা মায়ের সামনে বখতিয়ারকে গুলি করে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা। গুলির পর ডাকাত দল তড়িঘরি করে কিছু স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল হত্যা: গত ৭ নভেম্বর কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিবহন নেতা খায়রুল মোল্লাকে। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজ দলের প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন তিনি।
শ্রমিকলীগ নেতা হত্যা: গত ২২ আগস্ট সকাল সোয়া ৯ টায় রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের পেছনে সোনা মিয়ার গলির আবুল হাসেমের চায়ের দোকানে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় ২৩ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেনকে (৪০)। ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম রমনা থানায় একটি মামলা করলেও আজ পর্যন্ত এই মামলাটির মূল আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ।
টিভি কার্টনে ৬ টুকরো লাশ: রাজধানীর হাজারীবাগ ও কেরানীগঞ্জ থেকে দুটি টেলিভিশনের কার্টনে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করা হয় ঠিকাদার ইউসুফ রায়হানের ৬ টুকরা লাশ। তবে তার মাথাটি পাওযা যায়নি।
মেসে জোড়া খুন: রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শেওড়াপাড়ায় একটি মেসে গত ৩১মে ঘটে জোড়া খুনের ঘটনা। দুর্বৃত্তরা আবুল বাশার ও রাজীব নামে দুই জনকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে পরে গলা কেটে হত্যা করে।
ঢাকার বাইরে আলোচিত হত্যা: গত ৬ মার্চ অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সহসভাপতি রফিউর রাব্বির ছেলে তানভির মুহাম্মদ ত্বকীকে হত্যা করা হয়। পুলিশ ৮ ডিসেম্বর একটি ডোবা থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে। রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামিম ওসমানের ইন্ধনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে অভিযোগ করেন নিহত ত্বকীর বাবা রকিউর রাব্বি। ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায়।
এছাড়াও গত ৫ জুন পুলিশকে টাকা না দেওয়ায় তাদের হেফাজতে থাকা শামিম সরকার নামে এক যুবককে নির্যাতন করে হত্যা করে সাভার থানা পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকবাসী।
উৎসঃ প্রাইমনিউজ
Share on facebook Share on email Share on print
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন