এমন ঘটনা নজিরবিহীন : খন্দকার মাহবুব
সুপ্রিম কোর্টে যুবলীগ ছাত্রলীগের হামলা
গোলাম রব্বানী ও হাবিবুর রহমান
২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, রবিবার, ৩:৩১
মন্তব্য: ৩
আওয়ামী সমর্থকদের এক নারী আইনজীবীকে প্রহারের দৃশ্য : ফোকাস বাংলা
পুলিশের সহায়তায় সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের উপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছত্রলীগের সশস্র ক্যাডাররা। রোববার ‘মার্চ ফর ডেমোক্র্যাসি’ উপলক্ষে আইনজীবীরা তাদের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেটে অবস্থান করতে থাকলে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে এ হামলা চালায় সরকারসমর্থক সংগঠনগুলোর ক্যাডাররা। এ সময় তাদের হাতে লাঠি, লগি, বৈঠা, কাচের বোতল ও ইট-পাটকেল ছিল। পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন ১০/১২ জন আইনজীবী। হামলার সময় এক নারী আইনজীবীকে পিটিয়ে বিবস্ত্র করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল ও বাড়ি ফেরার পথে মোট ১৩ জন আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বললেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি।
‘মার্চ ফর ডেমোক্র্যাসি’ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকেই সুপ্রিম কোর্টে জড়ো হতে থাকেন ১৮ দল সমর্থক আইনজীবীরা। তবে কর্মসূচি উপলক্ষে আগের দিন রাত থেকেই সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে অবস্থান করছিলেন ৩০/৩৫ জন আইনজীবী। তারা সকাল থেকেই সেখানে প্রস্তুত ছিলেন। সকাল ১১টার দিকে পাঁচ শতাধিক আইনজীবী বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলসহ নয়া পল্টনের উদ্দেশে রওয়ানা হন। তারা সুপ্রিম কোর্টের মেইন গেটে এলে পুলিশ গেট তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে তারা সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। পুলিশ তাদের অবস্থানের উপর জলকামান নিক্ষেপ করলে প্রাথমিকভাবে আইনজীবীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে তারা আবার সঙ্ঘটিত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের গেটে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। সকালে জলকামানের পাশাপাশি পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে আবু জাফর মানিক ও নজরুল ইসলাম পাপ্পু নামে দুজন আইনজীবী মারাত্মক আহত হন। এভাবেই বিরতি দিয়ে দিয়ে চলতে থাকে আইনজীবীদের কর্মসূচি। সকালে আন্দোলনের সময় পুলিশের কড়া নিরপত্তায় সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের মিছিল সুপ্রিম কোর্টের পাশ দিয়ে যায়। তারা এ সময় বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ও স্লোগান দেয়।
তবে পরিস্থতি সম্পূর্ণ পাল্টে যায় বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে। এ সময় হঠাৎ সশস্ত্র যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা সুপ্রিম কোর্টের গেটে অবস্থান নেয়। আইনজীবীদের বাইরে যাওয়ার সুযোগ না দিতে সারা দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট বন্ধ থাকলেও এ সময় পুলিশ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডারদের তালা খুলে দিয়ে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। গেট খুলে দেয়ার সাথে সাথে বহিরাগত ক্যাডাররা আইনজীবীদের লক্ষ করে ইট, পাটকেল ও কাচের বোতল নিক্ষেপ করে ধাওয়া করতে থাকে। প্রায় পাঁচশত সশস্ত্র ক্যাডার একসাথে এ হামলা চালায়। এতে ভীত আইনজীবী ও সাংবাদিকরা দিকবিদিক ছুটতে থাকেন। আইনজীবীরা শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেন। বার ভবনের চারদিকে কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে কোনোরকমে আত্মরক্ষা করেন। সেখানে গিয়েও তারা নিরাপদে ছিলেন না। ক্যাডাররা বার ভবনের চারদিকে কর্ডন করে ফেলে। তারা এ সময় আইনজীবীদের তাদের সাথে লড়াইয়ের জন্য নিচে নামার আহ্বান জানায়। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ঘণ্টা খানেক সেখানে তাণ্ডব চালায়। ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালালেও কোনো পুলিশ বাহিনীর সদস্য তখন এগিয়ে আসেননি।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ধাওয়ার মুখে পড়ে দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দুই মহিলা আইনজীবী। তাদের দুজনকেই বেদম প্রহার করে ক্যাডাররা। এর মধ্যে অ্যাডভোকেট সিমকিকে পিটিয়ে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। ক্যাডারদের হামলায় মারাত্মক আহত হন রেহানা পারভীনসহ ১০/১২ জন আইনজীবী আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বার ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার পাশাপাশি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা আইনজীবীদের তিনটি মটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়। দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সরকার-সমর্থক ক্যাডাররা বার ভবন এলাকায় ভাঙচুর চালায় এবং বার ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা বার ভবন এলাকায় আইনজীবীদের খোঁজাখুঁজি এবং কয়েকজনকে মারধার করে। বার ভবনের ছাদ থেকে কয়েকজন আইনজীবীও এর জবাবে তাদের উপর বোতল ও ইটের টুকরা নিক্ষেপ করেন।
বেলা সোয়া ৪টার দিকে রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে কয়েক শত পুলিশ ও র্যাব বার ভবন এলাকায় অবস্থান নেয় এবং তারা সেখান থেকে বহিরাগত ক্যাডাররদের সরিয়ে দেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত বার ভবন ঘেরাও করে রাখে পুলিশ সদস্যরা। মাগরিব আযানের পর বার ভবন থেকে নিজ নিজ বাসায় ফিরে যান সেখানে আশ্রয় নেয়া বেশির ভাগ আইনজীবী।
সারা দিনের আন্দোলন কর্মসূচি পালনকালে মোট ১৩ জন আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সহসম্পাদক এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা। এর মধ্যে সকালে প্রেস কাবে প্রবেশের সময় আটক করা হয় অ্যাডভোকেট ড. আরিফা জেসমিন নাহিনকে। বাকিদের কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার সময় বিভিন্ন প্রবেশ পথ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাদের কারো নাম পাওয়া যায়নি।
বের হওয়ার সময় আইনজীবী নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। এটি নজিরবিহীন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঢুকে বহিরাগত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আইনজীবীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এটা চলতে পারে না। একইসাথে এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। আমি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে অবশ্যই তিনি পদক্ষেপ নিবেন। আশা করি- এই ঘটনা ভবিষ্যতে হবে না। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
সকালে ১১টায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনে নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বার ভবন এলাকা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে আরো অংশ নেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, বারের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, বারের সহসভাপতি এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, আশরাফুজ্জামান, জামিল আখতার এলাহি, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল্লাহ আল মাহবুব, মিজানুর রহমান মাসুম, শরীফ উদ্দিন আহমেদ, মির্জা আল মাহমুদ, জে আর খান রবিন, কাজী জয়নাল, আইয়ূব আলী আশরাফী, সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, জহিরুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।
সুপ্রিমকোর্ট প্রেসক্লাব ও ঢাবি শিক্ষকদের ওপর ফ্যাসিবাদী হামলা
স্টাফ রিপোর্টার:
« আগের সংবাদ
76
স্টাফ রিপোর্টার
সাংবাদিক শিক্ষক ও আইনজীবীদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। পুলিশের ছত্রছায়ায় জাতীয় প্রেস ক্লাব ফ্যাসিবাদী আক্রমণের শিকার হয় সরকারদলীয় ক্যাডারদের। পুলিশি বেষ্টনীর ভেতর থেকে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনে আইনজীবীদের ওপর হামলা এবং তাণ্ডব চালিয়েছে সরকারদলীয় ক্যাডাররা। একইভাবে হামলা চালানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপরও। গতকাল সকাল থেকে দিনভর দফায় দফায় এসব তাণ্ডব চলেছে সাংবাদিক, শিক্ষক ও আইনজীবীদের ওপর। প্রেস ক্লাব লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সরাসরি হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীকে। তাকে রাজাকার বলেও গালি দেয়া হয়েছে। কার্জন হলের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেধড়ক লাঠিপেটা ও লাঞ্ছিত করেছে সরকারি দলের সমর্থকরা। আইনজীবীদের ওপর দফায় দফায় জলকামান থেকে রঙিন পানি নিক্ষেপ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় সারাদেশের মানুষ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছে।
প্রেস ক্লাবে ফ্যাসিবাদী হামলা
রাজধানী ঢাকার তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাব আওয়ামী ফ্যাসিবাদী হামলায় আক্রান্ত হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে এবং পুলিশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় শতাধিক আওয়ামী লীগ ক্যাডার ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে প্রেস ক্লাবে হামলা চালায়। তারা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর নাম ধরে তাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং রাজাকার বলে গালিগালাজ করে। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সম্পূর্ণ নির্বিকার থাকতে দেখা গেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে বার বার অনুরোধ জানিয়েও কোনো সহযোগিতা না পেয়ে সাংবাদিক সমাজসহ সারাদেশের মানুষ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়েছে। প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আইজিপির কাছে তিনি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ফোন করেন। তিনি হামলার খবর শোনার পরও হামলার প্রতিকারে কোনো উদ্যোগ নেননি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
হামলার ঘটনায় বিএফইউজের একাংশের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ব্যাপক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রেস ক্লাব সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ সংগঠন। কেউ রাজনৈতিক কাজে প্রেস ক্লাব ব্যবহার করতে চাইলে এ ধরনের হামলা হতে পারে। এরপর তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক কিছু সাংবাদিক নিয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশ ও মিছিল করেন এবং সরকারের নানান গুণগান করেন। তার দ্বিমুখী আচরণে সাংবাদিকরাও বিস্ময় প্রকাশ করেন। তার সমাবেশ চলার সময় উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।
দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে পুলিশ প্রোটেকশনে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাওয়ার সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ‘জয় বাংলা’ বলে মিছিল থেকে প্রেস ক্লাব লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় সাংবাদিকরা বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করছিলেন। পুলিশ হামলাকারীদের বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতা করে। হামলাকারীরা প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা থেকে ইটপাটকেল নিয়ে ক্লাবের ভেতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে প্রেস ক্লাবের ভেতরে হামলা চালায়। তারা প্রেস ক্লাবে সমাবেশের মাইক ভাঙচুর করে।
সময় টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, পুলিশের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা জয় বাংলা বলে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর প্রাণনাশের হুমকি ও তাকে রাজাকার করে গালি দিতে থাকে। তারা বলে—‘এই রুহুল আমিন গাজী বেরিয়ে আয়, এই রাজাকার বেরিয়ে আয়, আজ তোর দিন শেষ। তোকে খতম করে দেব।’
হামলায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের অন্তত অর্ধশত সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেনআমার দেশ-এর কাদের গনি চৌধুরী, মাহাবুবুর রহমান, মাহমুদা ডলি, জাস্ট নিউজ-এর এমএ সাইদ, শাহ মোয়াজ্জেম, শীর্ষ নিউজ-এর আজিজুর রহমান, ইসলামিক টেলিভিশনের মফিজুল হক বাবু, সাংবাদিক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
হামলাকারীরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ও ক্যামেরাম্যানদেরও আক্রমণ করে। দীর্ঘ সময় ধরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার পর দু’একজন পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে লোক দেখানোভাবে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের অপর একটি অংশ প্রেস ক্লাবের মেইন গেট খুলে দিয়ে ভেতরে গিয়ে হামলায় সহযোগিতা করে। ভেতরে আওয়ামী ক্যাডাররা মাইক, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় প্রেস ক্লাব আক্রান্ত হওয়ায় তারা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, দেশি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকের ওপর এটাই প্রথম হামলা। এটা জাতির জন্য লজ্জা ও কলঙ্কজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার বিকাল ৫টার সময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
হামলার পর থেকে প্রেস ক্লাব এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সাংবাদিকরা পরে আবার প্রতিবাদ সভা করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন উপস্থিত সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করেন। আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকরা প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে হামলার পরপরই প্রেস ক্লাবে আসেন আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকদের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি এসে বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাব পেশাজীবী সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ সংগঠন। কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য প্রেস ক্লাব ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে এ ধরনের হামলা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এদিকে হামলার আগে রমনা জোনের পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী নোমানের সঙ্গে সাংবাদিকদের বাকবিতণ্ডা হয়। সাংবাদিকরা সমাবেশ করতে চাইলে শিবলী নোমান তাদের চোর বলে গালি দেন। ওই সময় সাংবাদিকরা তাকে মহাচোর বলে ধাওয়া করেন। এই নিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
এর কিছুক্ষণ পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকরা সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশ শুরুর ১৫ মিনিট পরই পুলিশি পাহারায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিল থেকে অতর্কিতভাবে প্রেস ক্লাবে অবস্থানরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। তারা প্রেস ক্লাবের দেয়াল, কাচসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙে ফেলে।
হামলা প্রসঙ্গে রমনা জোনের পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী নোমান বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিলটি ছিল অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও শান্তির পক্ষে। তারা প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে স্লোগান দিলে তারা হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে।
সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন তাণ্ডব
প্রেস ক্লাবে হামলার পর বেলা ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন তাণ্ডব ও হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। তারা পুলিশের সামনেই তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আদালতের ভেতর আইনজীবীদের ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় রেহানা নামে এক আইনজীবীসহ প্রায় অর্ধশত আইনজীবী মারধরের শিকার ও লাঞ্ছিত হন। সোয়া ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের একটি লাঠি মিছিল সেখানে এসে সমবেত আইনজীবীদের ধাওয়া করে। এর আগে পুলিশ তাদের ভেতরে প্রবেশের জন্য গেট খুলে দিয়ে দূরে সরে যায়। সরিয়ে নেয় জলকামান ও রায়ট কার। আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা দফায় দফায় আইনজীবীদের ধাওয়া করে মারধর করে। তারা একটি মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে। তারা কোর্ট লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের বেশ কিছু কাচ ভেঙে গেছে।
হামলাকারীরা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নানান উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। বিশেষ করে অ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেনের নাম ধরে তাকে গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় পুলিশ ছিল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। বরং তারা হামলাকারীদের উত্সাহ দেয়। হামলাকারীরা কোর্ট চত্বরে একটি প্যান্ডেল ভাঙচুর করে। মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। দুই ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালালেও পুলিশ একটি বাঁশির হুইসেল দিয়েও হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে দেখা যায়নি।
এর আগে সকাল থেকে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন যেতে চাইলে পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকে তাদের আটকে দেয়। দিনভর সেখানে জলকামান থেকে রঙিন পানি ছুড়ে মিছিলকারীদের ভিজিয়ে দিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এক সময় পুলিশ পানি সঙ্কটে পড়লে নতুন করে পানি সংগ্রহ করা হয়। জলকামানে আইনজীবীদের ছত্রভঙ্গ করতে না পারায় সুপ্রিম কোর্টের গেট ছেড়ে সরে যায় পুলিশ। এরপরই হঠাত্ করে ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা চালায়।
কিছু সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সামনেই সুপ্রিম কোর্টের পূর্বদিকের প্রধান ফটক খুলে দেয়ার পর ভেতরে ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা। আওয়ামী ক্যাডাররা সুপ্রিম কোর্ট ও বার ভবনে গিয়ে বিএনপি এবং জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের খোঁজাখুঁজি ও মারধর করে। ক্যাডারদের ব্যাপক তাণ্ডবের মুখে আইনজীবীদের অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশি হামলায় অন্তত অর্ধশত আইনজীবী আহত হয়েছেন।
ঢাবি শিক্ষকদের ওপর হামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের সহযোগিতায় হামলা করেছে সরকার সমর্থিত সংগঠন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। এতে ঢাবির অন্তত ১০ শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষকরা হলেন—সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. সাবরিনা শারমিন, অধ্যাপক ইস্রাফিল রতন, অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. তাহমিনা আক্তার টপি, অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান।
বিরোধী দলের ডাকা মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তাদের ওপর ওই হামলা চালানো হয়।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কার্জন হলের সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ.ফ.ম. ইউসুফ হায়দারের নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষক সমাবেশের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যান। এ সময় আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ সভাপতি মাসুদুর রহমান দুর্জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ রাকার নেতৃত্বে তাদের ওপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালানো হয়। তারা শিক্ষকদের বেধড়ক পিটিয়ে যখম ও আহত করে। পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ এর প্রতিবাদ করেনি বা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করেনি। এ ঘটনায় শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
প্রথম পাতা
ঐতিহাসিক মার্চ ফর ডেমোক্রেসি আজ : ঠেকাতে বেপরোয়া সরকার, বাধা পেরিয়ে নয়াপল্টনমুখী ১৮ দলের কর্মীরা
মার্চ ফর ডেমোক্রেসি : বাধার পাহাড় পেরিয়ে ঢাকায় লাখো মুক্তিকামী জনতা
রাজধানীতে সরকারি হরতাল : গণপরিবহনের অভাবে চরম দুর্ভোগে মানুষ
অভিযাত্রায় গণতন্ত্রের বিজয় আর সরকারের বিদায় হবে : খন্দকার মাহবুব, বন্ধ গণমাধ্যম খুলতে ‘হ্যাঁ’ ও একদলীয় নির্বাচনকে ‘না’ বলুন : শওকত মাহমুদ
খালেদা জিয়া বাসভবনে অবরুদ্ধ : গেটে ও রাস্তায় অসংখ্য পুলিশ, বালুভর্তি ট্রাক আর রোডব্লক : পুলিশি বাধায় কার্যালয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি, পুলিশ প্রটোকল প্রত্যাহার
‘সরকারি অবরোধে উত্কণ্ঠিত জাতি’ বর্বরতা প্রতিহত করে নয়াপল্টনে সমবেত হোন : ফখরুল
সহিংসতা মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচির পক্ষে-বিপক্ষে পুলিশের অবস্থান নেই : আইজিপি
মার্চ ফর ডেমোক্রেসি : সড়ক রেল নৌপথে সারাদেশ থেকে রাজধানী বিচ্ছিন্ন করেছে সরকার
ঈমান ও দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন : ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে হেফাজতে ইসলাম ও দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সমর্থন ঘোষণা
শফীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের বৈঠক হেফাজত সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে অংশ না নেয়ার অনুরোধ
রাজধানীতে একটি মাছিও ঢুকতে দেয়া হবে না: মায়া
রাজশাহীতে বিএনপি-জামায়াত : শিবির নেতাদের ২০ বাড়িতে যৌথবাহিনীর ভাংচুর-লুট
আ.লীগের ইশতেহার জুড়ে বিরোধী দলের বিষোদগার
দিল্লির মসনদে আম আদমি পার্টি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কেজরিওয়াল
যে কোনো মূল্যে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সফল করা হবে আজ সকাল ১০টার মধ্যে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য জামায়াতের আহ্বান
একটির জবাবে ১০ গুলি করতে বললেন ছাত্রলীগ সম্পাদক
শেখ হাসিনা স্টাইলে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের অপেক্ষায় মানুষ
ঐক্যবদ্ধভাবে আজ রাস্তায় নেমে আসুন : কর্নেল (অব.) অলি
সেনাপ্রধান মইনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ছিল : হাসিনা
সরকারকে বি. চৌধুরী বিরোধী দলকে ঢাকা অভিযাত্রা করতে দিন
আল্লামা শফীর খোলা চিঠি : দেশ জাতি ঈমান রক্ষায় এগিয়ে আসুন
বিএনপির দৃঢ় ঘোষণা : যে কোনো মূল্যে সমাবেশ হবেই খালেদা জিয়াও উপস্থিত হবেন
শিবগঞ্জে ৬টি পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন
মধ্যরাতে খন্দকার মাহবুব হোসেনের ঘোষণা : যেকোনো মূল্যে আজকের সমাবেশ হবে : প্রয়োজনে ৭ নভেম্বরের মতোই দেশবাসী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসবেন
মধ্যরাতে সাংবাদিক নেতাদের সাক্ষাত্ : গণতন্ত্রের অভিযাত্রা হবে শান্তিপূর্ণ আমি সেখানে যাবই - খালেদা জিয়া
চার সংগঠনের উদ্যোগে সেমিনার : একতরফা নির্বাচন বন্ধ করতে নাগরিক সমাজের আহ্বান
মার্চ ফর ডেমোক্রেসি : আজ ভোর থেকে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে : পল্টন এলাকায় অঘোষিত কারফিউ : ৫টার পর বাইরে থাকতে মানা
কথিত সন্ত্রাসী ধরার নামে মির্জা আব্বাসের বাসায় গ্রেফতার অভিযান : না পেয়ে বাসা তছনছ করেছে যৌথবাহিনী
বিরোধীদলীয় নেত্রীকে বাসার গেটেই আটকে দেয় পুলিশ, অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি আজও চলবে : খালেদা জিয়া
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মাহমুদুর রহমান। প্রকাশক: আলহাজ্ব মোঃ হাসমত আলী কর্তৃক প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিঃ ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগঃ বিএসইসি ভবন, ১০২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্সঃ ৮১৫৯৫৭৫ (অটোহান্টিং): বিজ্ঞাপন-৮১৫৯৫৮৪, সার্কুলেশন-৮১৫৯৫৮৩, ফ্যাক্সঃ ৮১৫৯৫৮১ ও ৮১৫৯৫৮২ (বার্তা), ৮১৫১৪৪৪ (মফস্বল)। info@amardeshonline.com
সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেস ক্লাবে আ’লীগের হামলা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন