সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩


সাংসদ মোয়াজ্জেমের বাড়িবিলাস 24 Dec, 2013 সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধরমপাশা) আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতনের ২০০৮ সালের হলফনামায় নিজের কোনো বাড়ির কথা উল্লেখ ছিল না। কিন্তু এবার তাঁর বাড়ি হয়েছে চারটি। সাংসদ হয়ে গত পাঁচ বছরে ঢাকায় একটি, সুনামগঞ্জ জেলা শহরে একটি এবং নিজের নির্বাচনী এলাকায় আরও দুটি বাড়ি করেছেন তিনি। অবশ্য জেলা শহরের বাড়ির কথা হলফনামায় উল্লেখ নেই। মোয়াজ্জেম হোসেনের হলফনামা অনুযায়ী, ঢাকার গুলশানে তাঁর যে দুই হাজার ৬৪৪ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, সেটির মূল্য দেখানো আছে ৭২ লাখ ৭১ হাজার টাকা। নির্বাচনী এলাকা ধরমপাশার নওধার গ্রামে দোতলা একটি বাড়ি করেছেন, সেটির মূল্য ৩৮ লাখ সাত হাজার ৫৬১ টাকা। একই গ্রামে আরেকটি টিনশেড আধাপাকা ঘরের মূল্য দেখিয়েছেন সাত লাখ টাকা। তবে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুরে কেনা বাড়ির কথা হলফনামায় নেই। গতকাল সোমবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির মূল ফটক লাগানো। ফটকে সাংসদের নামের সঙ্গে ২০০৭ সালের মার্চ মাসে এটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে লেখা আছে। হলফনামার স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আট শতক জমি ও ফ্যাক্টরির মূল্য ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ টাকা দেখানো আছে। হলফনামায় মোয়াজ্জেম হোসেন আরও উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ চার কোটি ৩৫ লাখ ৪৩ হাজার ২১২ টাকা। ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল এক কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার ৪৪৭ টাকা। এবার তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২০ লাখ ৩০ হাজার ২৬৪ টাকা। ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় দেখানো ছিল দুই কোটি ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৬ টাকা। এবার আয় কমলেও সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০০৮ সালে কৃষি ও অকৃষিজমির পরিমাণ ছিল পাঁচ একর আট শতক, যাঁর মূল্য ছিল ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫০৪ টাকা। কোনো বাড়িঘরের উল্লেখ ছিল না তখন। এবার তিনি কৃষি ও অকৃষিজমির পরিমাণ দেখিয়েছেন ৭৪ একর ১০ শতক। যার মূল্য এক কোটি ৪৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪১ টাকা। ধরমপাশার নওধার গ্রামে মোয়াজ্জেম হোসেন ২০১০ সালে দোতলা একটি বাড়ি করেছেন। হলফনামায় এই বাড়ির যে মূল্য দেখানো হয়েছে, বাস্তবে মূল্য কয়েক গুণ বেশি হবে। এ বিষয়ে সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি এই বাড়ির কাজ শুরু করেছিলেন ২০০৬ সালে। সেই সময়ের মূল্য ধরায় কিছুটা কম মনে হচ্ছে। পরে বাড়িটি সংস্কার করে সৌন্দর্য বাড়ানো হয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৮ সালে আমার হাতে প্রায় দুই কোটি টাকা ছিল। এই টাকা দিয়েই সম্পদ করেছি। এর সঙ্গে আয় কমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আমার ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব দিয়েছি। যৌথ কোম্পানির হিসাব দেখাইনি।’ সুনামগঞ্জ জেলা শহরের বাড়ি প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমি হলফনামায় এই বাড়ির কথা উল্লেখ করেছি।’ উল্লেখ নেই জানালে তিনি বলেন, ‘ভালো করে খুঁজে দেখেন, পাবেন।’ স্ত্রীর সম্পদ: ২০০৮ সালে সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪০ তোলা সোনা এবং ৩৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৪ টাকা মূল্যের এক একর সাত শতক জমি। এবার তাঁর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে নয় লাখ ২০ হাজার টাকা। তাঁর কাছে ৬০ তোলা সোনা ও নগদ টাকা আছে ১২ লাখ টাকা। এর বাইরে জমিসহ সম্পদ আছে ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকার। উৎসঃ প্রথম আলো Share on facebook Share on email Share on print 5

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন