সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩


জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন, বললেন জাফর ইকবাল 16 Dec, 2013 যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। তাদের জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডকে রুখে দিতে হবে। তারা রাজনীতিক দল হিসেবে পরিচয় দিলেও মূলত তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজাগরণ মঞ্চের ‘বিজয় ২০১৩’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে গণমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে লেখক-শিক্ষক অধ্যাপক জাফর ইকবাল এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের বিজয় দিবস এসেছিলো ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এরপর প্রতিবছর আমরা এই বিজয় দিবস উদযাপন করে থাকি। এই বিজয়ে যখন নতুন প্রজন্মকে অংশগ্রহণ করতে দেখি, তখন আমার অনেক আনন্দ হয়। শাহজাহাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বলেন, একাত্তরের পরে এ বছরের বিজয় দিবস ভিন্নরকম। এবারে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। দীর্ঘদিন পর এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে এবং একজনের রায় কার্যকর হয়েছে। এবারের বিজয় দিবসে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণও ভিন্নরকম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতাকারীকারী দলটি এখন মাঠে সক্রিয়। তারা আবার রাজনৈতিকভাবে নয়, সন্ত্রাসী কায়দায় সক্রিয়। রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হলে সেটাকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করার বিষয়টি হয়তো ভাবা যেতো। কিন্তু তারা রাতে এসে হামলা করছে, চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। এটাকে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবস্থা নিতে হয় ঠিক সেইভাবে জামায়াতকে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, যারা শত্রু তারা চিরকাল শত্রু। সুযোগ পেলে বিষদাতে ছোবল মারে। তাদের সঙ্গে সেভাবেই ব্যবস্থা নিতে হবে, যেভাবে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। বাংলাদেশের তরুণরা জেগেছে, জয় সুনিশ্চিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কোনো অপশক্তি আমাদের বিজয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসূফ বাচ্চু বলেন, একাত্তরের শহীদদের আত্মা এখনও পুরোপুরি শান্তি পায়নি। পুরোপুরি শান্তি পাবে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি জামায়াত-শিবিরকে চিরতরে নির্মুল এবং সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কাযকরের মাধ্যমে। উৎসঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম Share on facebook Share on email Share on print 2

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন