সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩


প্রিয় কওমী ভায়েরা, আমাদের জন্যে কঠিন দিন অপেক্ষা করছে !!!!... আজ দৈনিক ইনকিলাবে আনন্দবাজার পত্রিকার সুত্রে এসেছে, •••আমেরিকা মনে করে জামা জঙ্গিবাদের সমর্থক নয়। তাই রাজনৈতিক পরিসরে তাদের জায়গা দিলে, মৌলবাদী তালিবানপন্থীদের সঙ্গে লড়াইয়ে লাভই হবে। •••তাছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব বান- কি-মুন প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপে বলেন, আপনি হেফাজত- আল- কায়দাকে কীভাবে সামলাবেন ? •••এরপরে গত ২৮ অক্টোবর আমারদেশে এসেছে, মার্কিনিদের সাথে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী চুক্তি স্বাক্ষ হয়ে গেছে ! •••ভারতের ড্রোন মোতায়েন !! আসুন এবার আমরা উপরোল্লিখিত সংবাদ বিশ্লেষণ করি ! দেখুন, - এখানে বলা হয়েছে আমেরিকার জন্যে জামায়াতের বিরোধী নয় বরং জামাতকে সাথে নিয়ে তালেবানপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে । বলুনতো কারা এই তালেবানপন্থী ? -বান কি মুন হেফাজত- আলকায়দা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । অন্য কোনো দলকে নিয়ে নয় । বলুনতো কারা এই হেফাজত ? -মার্কিনিদের সাথে সন্ত্রাসবিরোধী চুক্তি ! বলুনতো, আমেরিকার দৃষ্টিতে তালেবান- আলকায়দা ছাড়া কে সন্ত্রাসী বাংলাদেশে তালেবান বলতে কাদের বুঝানো হচ্ছে ? -সর্বশেষ ড্রোন মোতায়েন ! বলুনতো, আফগানিস্তান-পাক িস্তান এবং ইয়েমেন-সোমালিয়ায় ড্রোন দ্বারা কাদের লক্ষ্য বস্তু বানানো হচ্ছে ? আরেকটি প্রশ্ন । মেনে নিলাম কাদের মোল্লা একজন নির্দোষ । তাকে ফাসি দেওয়া অন্যায় ! তাই তার জন্যে জাতিসংঘ,ইইউ, আমেরিকা এবং তুরস্ক ফোন করেছে ! কিন্তু যারা শাপলাচত্বরে শহীদ হয়েছে তারা কি অপরাধী ছিল তাদের জন্যে কাউকে টু শব্দ করতে দেখলাম না ! সুতরাং কওমীরা বর্তমানে মধ্য আছেন । একটু পরেই তিমির রাত্র শুরু হচ্ছে । এবং তাদের উপর গণহত্যা চালালে বিশ্বের মডারেট মুসলিম, জাতিসংঘ, আমেরিকা কেউই টু শব্দ করবে না । কারণ এরা জঙ্গি, তালেবান ও আলকায়দা । তাই এরা মানুষই নয় । অতএব এদের জন্যে আবার কীসের দরদ ? হতাশ হলেন আমার কথা শোনে ? তাহলে আমরা কী করবো ? হাত গুটিয়ে বসে থাকবো ? জেএমবির বোমার ফোটার পর আমরা তো নীরব ছিলাম । মাসিক রহমত পড়ার জন্যে শাস্তি পেতে হয়েছে ! তারবিয়াতের অপরাধে বহিষ্কৃত হতে হয়েছে ! কিন্তু তারপরও কি আমাদের উপর থেকে জঙ্গি অপরাধ দুর হয়েছে ? তারা কি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করেছে ? তাহলে কেনো আইনমন্ত্রী দায়ি পাওয়ার পর পরই বললো, কওমী- মাদ্রাসা জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্র ? কেনো প্রতিবন্ধী জয় মাদ্রাসা ছাত্র কমানোর আন্দোলন শুরু করলো ? কেনো আজ অবধি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে ? অনেক হয়তো বলবেন, তাহলে গণতন্ত্রকে আকড়ে ধরি কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, গণতন্ত্র তো অনেক ধরলাম, তারপরও কেনো তসলিমারা বেড়ে চলছে কেনো একের পর এক খোদাদ্রোহী আইন হচ্ছে ? অথচ আমরা গণতন্ত্র তো একা নয় বরং জোটবদ্ধভাবে ধরেছি ! আসুন এবার আমরা কয়েকটি কথা স্মরণ করি — ••পিছে হটার সময় শেষ – আল্লামা আহমদ শফী দা. বা. ••যেখানেই প্রতিরোধ সেখান থেকেই জিহাদ শুরু — আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরি দা. বা. হ্যা, এটাই সমাধান কারণ রক্তপাত ছাড়া একটি শিশুরও জন্ম হয় না !!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন