শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩


চলতি বছরে ঢাবির ১৫০ শিক্ষার্থীর হাত-পা ভেঙেছে ছাত্রলীগ 15 Dec, 2013 চলতি বছরে বিরোধী মতাদর্শী হওয়ার কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে ছাত্রলীগ। তাদের এ হিস্রতা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষক, কর্মকর্তারাও। নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ পাশবিক নির্বাচন ও অত্যাচারের শিকার হয়ে পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। পঙ্গুত্বের অভিশাপকে আজও বহন করেন তারা। ছাত্রলীগ নামধারী এ সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি। কেড়ে নেয়া হয়েছে তাদের এসএসসি, এইচএসসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। লুট করা হয়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানিব্যাগ। বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা চাইলেও তা পায়নি শিক্ষার্থীরা। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অত্যাচারী ছাত্রলীগের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে প্রশাসন। ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের এমন আচরণর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষকরা। এটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করেন তারা। জানা যায়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল থেকে বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার নিয়ে আসে ছাত্রলীগ। গুলি করে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে, রড দিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু করে হলছাড়া করা হয় বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল ও জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। আর এ পৈশাচিক নিযাতন নতুন মাত্রা পায় শেখ হাসিনা সরকারের শেষ সময় চলতি বছরে। বছরের শুরু থেকে চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাত্রদল ও শিবিরের দেড় শতাধিক ছাত্রকে পিটিয়ে, শারীরিক নির্যাতন করে মৃত্যুমুখী করেছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ। অনেকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেও বরণ করতে হয়েছে রঙিন জীবনের শত্রু অভিশপ্ত পঙ্গুত্বকে। ছাত্রলীগের এ হামলার শিকার যে শুধু শিবির ছাত্রদল হয়েছে তা নয়, অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। তাদের অর্তনাদে মর্মাহত হয়েছে অন্য শিক্ষার্থীরা। কিন্তু চিড় ধরেনি প্রশাসনের মনে। চোখের সামনে নির্যাতন করলেও ন্যূনতম প্রতিবাদ করেনি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসন। চরম অবজ্ঞা ও অবহেলায় উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টর। অনেক ক্ষেত্রে প্রক্টরের কাছ থেকে সময় নিয়ে ছাত্রদের কুপিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। যেমনটি ঘটেছিল মাস্টার দা সূর্যসেন হলে। ১২ নভেম্বর ছাত্রদল করার অভিযোগ হলের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টর্সের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জামাল উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এদের মধ্যে জাহিদুল ও মোস্তাফিজ গুরুতর আহত হন বলে জানা গেছে। তাদের গায়ে ৩৬টি সেলাই লেগেছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিত্সক। তারা বর্তমানে মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। তবে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মনে সামান্য দাগ কেটেছে। তিনি হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। গঠন করেন একটি তদন্ত কমিটি। কিন্তু ছাত্রলীগ যখন তার পা সালাম করেছে তখন ফাইলবন্দি করেন সেই তদন্ত রিপোর্ট। এভাবে নির্যাতনের বিচার না করে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দিয়েছে প্রশাসন। গত ১২ মাসে ছাত্র নির্যাতনের একটি খণ্ডচিত্র তুলে ধরা হলো। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল থেকে শিবির সন্দেহে ৪ ছাত্রকে পিটিয়ে, কুপিয়ে জখম করে হল ছাড়া করেছে ছাত্রলীগ। আহতরা হলেন সাইদ আহমেদ (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ), হাবিবুর রহমান (আইন বিভাগ), তরিকুল ইসলাম আজাদ (সংস্কৃত বিভাগ), ইশতিয়াক আহমেদ (দর্শন বিভাগ)। তারা সবাই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রদের চিকিত্সার ব্যবস্থা না করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এর আগে ২১ নভেম্বর ছাত্রদল করার অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেছে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতারা। আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদ আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে ১ অক্টোবর ছাত্রদল করার অভিযোগে দিন-দুপুরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে ওই ছাত্রকে রক্তাক্ত করে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজনসহ তার কর্মীরা। ওই শিক্ষার্থীর নাম মারুফ। তিনি দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ১১ সেপ্টেম্বর সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে জামান এবং শাকির (৪র্থ বর্ষ) নামে দুই ছাত্রকে বের করে দেয়া হয়। ৮ সেপ্টেম্বর কর্মসূিচ শেষ না করে চলে আসায় স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন ও তার অনুসারীরা ২০ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতরা হলেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাসির, হান্নান, রাজ, আকরাম এবং শরীফ ও প্রথম বর্ষের মাহমুদ (অর্থনীতি বিভাগ)। ৯ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ হল থেকে ছাত্রদলের ১৪ নেতাকর্মীকে বেদম পিটুনি দিয়ে হলছাড়া করেছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। এ সময় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা চার ছাত্রদল কর্মীকে নির্মম নির্যাতন করে রুম ভাংচুর এবং ল্যাপটপ হাতিয়ে নেয়। নির্যাতনের শিকার ছাত্রদল কর্মীরা হলেন শ্রী মিঠুন কুমার দাস, আশিষ রাহা, রনি নাথ, শিমন কুমার দে, চন্দন (৪র্থ বর্ষ), চন্দন (তৃতীয় বর্ষ), অমিত দত্ত, লিঙ্কন দাস, তুষার দেব নাথ, শ্রীকান্ত, সুপ্রিয় দাস প্রমুখ। ২ সেপ্টেম্বর লাইব্রেরির সামনে আবদুল করিম প্রধান রনি নামে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ৩০ আগস্ট কর্মসূচিতে অংশ না নেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের তিন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে হল শাখা ছাত্রলীগ। অপর এক ছাত্র এ ঘটনা প্রভোস্টকে জানাতে গেলে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ওই ছাত্রকেও প্রহার করে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রানা (১ম বর্ষ), আইন বিভাগের সাগর (১ম বর্ষ), ব্যাংকিং বিভাগের সোহান (১ম বর্ষ) ও টুুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দীন ইসলাম (২য় বর্ষ)। এদের মধ্যে সোহানের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়া হয়। গত ২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল থেকে মো. বিল্লাল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয় হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী ও তার কর্মীরা। এ সময় তার সঙ্গে থাকা টাকা ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়। গত ২৬ আগস্ট কবি জসীমউদ্দীন হল থেকে রায়হান নামে এ ছাত্রকে পিটিয়ে আধমরা করে ছাত্রলীগ হল শাখার সভাপতি মেহেদী ও তার কর্মীরা। রায়হানের মোবাইলে শিবিরের এসএমএস পাওয়া গেছে দাবি করে তাকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। হাত-পায়ে রড ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে রায়হানকে মারাত্মক আহত করা হয়। ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পলাশীতে আনিছুর রহমান শামীম নামে ছাত্রদলের এক কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্র। ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষকের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পাওয়া ওই শিক্ষকের নাম খালিদ হাসান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। ২২ এপ্রিল ফেসবুকে মন্তব্য করার দায়ে বঙ্গবন্ধু হল থেকে তিন ছাত্রকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে চিকিত্সা ছাড়াই পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগ। একই মাসের শুরুর দিকে একই অভিযোগে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছয় ছাত্রকে নির্যাতন করা হয়। ৩ মার্চ শিবিরকর্মী সন্দেহে জহুরুল হক হলের ছয় ছাত্রকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। এরা হলো—শরিফ উদ্দিন (নৃ-বিজ্ঞান, ৩য় বর্ষ), নাছির উদ্দিন, আরিফ (আইন, মাস্টার্স), মামুন রশিদ (নৃ-বিজ্ঞান)। ১ মার্চ শিবিরকর্মী সন্দেহে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে এক ছাত্রকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগ। ওই ছাত্রের নাম মনোয়ার হোসেন শাওন। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি ওই সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে ছয় শিবিরকর্মীকে অমানবিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগ। এ সময় তারা রড ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে যুবায়ের (নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ), শাকিব (নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ), রেজোয়ান (আরবি বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ), রুবেল (আরবি বিভাগ, ২য় বর্ষ), আহসান ও এনামুলকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এর এক দিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগ ও হল প্রশাসন। হলের ছাত্রলীগ ক্যাডার রব্বানী, আওলাদ, রাজীব ও স্বপ্ননীল আট ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি শিবির সন্দেহে এএফ রহমান হলে ৮ ছাত্রকে অমানবিক নির্যাতন ও বেধড়ক পিটুনি দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় ওই ছাত্রদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগ। ১০ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুহসীন হলের ছাত্রলীগ ক্যাডার রানা, মিঠু, তুষারের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের রড ও হকস্টিকধারী ক্যাডার গ্রুপ হলের তিন ছাত্রকে অমানুষিক নির্যাতন করে। এরা হলো আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও অনলাইন সংবাদপত্র নিউজমিডিয়া বিডি ডটকম-এর স্টাফ রিপোর্টার এবং মানবাধিকার সংগঠন পিডিএফের ঢাবি সভাপতি সানাউল্লাহ প্রিতম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাকিব, উন্নয়ন অধ্যয়নের ৩য় বর্ষের ছাত্র নকী। এভাবে বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের অত্যাচার-নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকরা। তারা বলেন, এটি নব্য বাকশালী শাসনের চরিত্র। যেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গণতন্ত্রের সূতিকাগার একটি প্রতিষ্ঠানে চলতে পারে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান বলেন, বিষয়গুলো অত্যন্ত নিন্দনীয়। অতীতে ভিন্নমতের ছাত্রদের হলে অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যেটা হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত। এর প্রতিকার হওয়া জরুরি। শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন বলেন, একজন ছাত্রের বৈধতা থাকলে প্রশাসনের দায়িত্ব তার নিরাপত্তা বিধান করা। এখানে দল-মত বিবেচ্য নয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উৎসঃ আমার দেশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন