সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩


সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ 17 Dec, 2013 আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নিজ নামে ব্যাংকে কোন টাকা নেই। অন্যদিকে একমাত্র পেশা রাজনীতি হলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের জনতা ব্যাংকের কাছে দেনা আছে ৩৫ লাখ টাকা। আর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ নিজ মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। তিনি আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (হোসেনপুর) আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তার দেয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হলফনামায় লিখেছেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকা হতে প্রার্থীরুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক। আমি এই মর্মে শপথপূর্বক ঘোষণা করছি যে, সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি’র সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করলাম।” এরপর তিনি লিখেছেন, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা নেই এবং অতীতেও ছিল না। হলফ নামায় তিনি নিজেকে সমাজসেবী বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া নগদ ৯৮ লাখ টাকা ব্যক্তিগত কর্য রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্রদোহ মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন রাশেদ খান মেনন ! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য রাশেদ খান মেনন বর্তমানে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নির্বাচনী আসন ঢাকা-৮ (মতিঝিল-রমনা)। হলফনামায় দেয়া তথ্য মতে, তিনি অর্থনীতিতে এমএ করেছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল বলে উল্লেখ করেছেন মেনন। মেনন রাষ্ট্রদোহিতা ও সামরিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন। এছাড়া তার সম্পদের ৬০ শতাংশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তিনি এতে আরো দুটি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। পেশা হিসেবে সুদীপ্ত প্রিন্টার্স এণ্ড প্যাকেজেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ও গ্লোব ট্রাভেলস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান (অবৈতনিক) বলে দাবি করেছেন। তার বছরে আয় ৬ লাখ টাকা। আর বর্তমানে নগদ আছে দেড় লাখ ও ব্যাংকে আছে ১০ লাখ ২৬ হাজার আর স্ত্রীর নামে ব্যাংকে আছে ২ লাখ টাকা। তবে তার ২০ লাখ টাকা হাত ঋণ আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যাংকে কোনো টাকা নেই দেশের প্রথম রেলপথমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। হলফনামায় তার দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, অভিজ্ঞ ও বর্ষিয়ান এই নেতার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এম এ এলএলবি। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে কোন ফৌজদারি মামলা নেই, অতীতেও ছিল না। পেশা হিসেবে তিনি আইনজীবী, সংসদ সদস্য, কৃষি, ব্যবসা ও মৎস্য চাষকে উল্লেখ করেছেন। এসব থেকে তার বছরে আয় হয় ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৭ টাকা। তবে তার বর্তমানে ব্যাংকে কোনো টাকা নেই; কিন্তু তার হাতে নগদ রয়েছে ৫ লাখ টাকা। তবে তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে আছে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯০৬ টাকা। রাজনীতিই একমাত্র পেশা আবুল মাল আব্দুল মুহিতের উচ্চ শিক্ষিত হলেও হলনামায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত পেশার বিবরণীতে বলেছেন, তিনি একজন রাজনীতিবিদ – সংসদ সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের (AL)দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। মহাজোট সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র মন্ত্রী যিনি নিজের পেশা হিসেবে রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। অর্থমন্ত্রীর জনতা ব্যাংকের কাছে দেনা আছে ৩৫ লাখ টাকা। তবে এ ঋণ তিনি কবে নিয়েছেন সেটি উল্লেখ করেননি। মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত পারিতোষিকই ডাঃ দীপু মনির আয় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাঁদপুর-৩ আসন থেকে লড়ছেন। তার হলফনামায় দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, তার আয়ের উৎস মন্ত্রী হিসেবে সরকারী কোষাগার থেকে প্রাপ্ত অর্থ, যার পরিমাণ ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। উৎসঃ এটিএনটাইমস Share on facebook Share on email Share on print 4

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন