র্যাব-পুলিশের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ
16 Dec, 2013
প্রকাশ্যে র্যাব-পুলিশের সাথে সাদা পোষাকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সশস্ত্র আক্রমণ বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে র্যাব-পুলিশের সাথে প্রকাশ্যে যেভাবে অস্ত্র হাতে মাঠে নেমেছে তাতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, অন্তর্দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখল-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ারও অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চার শতাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ ও সোনাইমুড়ীতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে শিবিরের আট কর্মী নিহত হয়। শুক্রবার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর বাজারে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা শিবির কর্মীদের ওপর প্রকাশ্য গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে শিবির কর্মী ও স্থানীয় আমিশাপাড়া মাদরাসার ছাত্র হাফেজ জোবায়ের হোসেন (১৯) মারা যান এবং আট শিবির কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এ পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। দলের ভেতর থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সায়েস্তা করতে আরো উস্কে দেয়া হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকা যেতে পারছেন না সেখানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে র্যাব-পুলিশের শেল্টারে সশস্ত্র অবস্থায় মাঠে নামিয়ে দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই হবে না বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যে অবস্থা চলছে তাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী না করে তাদের আইন-শৃংখলা ভঙ্গকারী হিসাবে দেখতে হবে। সংঘর্ষের যে ঘটনাগুলো এতদিন ঘটে আসছে, সেগুলোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি এমন হতো না।
উৎসঃ inqilab
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন