রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩


রুকু-সিজদা ছাড়া দুই ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন লুৎফোর 22 Dec, 2013 রাজধানীর গোপীবাগে নিহত লুৎফোর রহমান ফারুক তার অনুসারীদের (মুরিদ) বলতেন, কোরআন শরিফের কোথাও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথা নেই। তিনি সকাল-সন্ধ্যা দুইবার নামাজ পড়তেন রুকু-সিজদা ছাড়া। ধ্যানের মাধ্যমে নামাজ আদায় এবং শেষে মোনাজাত করতেন। তার মুরিদ আজিজুর রহমান বাবুল নতুন বার্তা ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান। রোববার সকালে তার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয় গোপীবাগে নিহত লুৎফোরের বাসায়। পত্রিকা ও টিভিতে হত্যার খবর দেখে তিনি লুৎফোরের পরিবারের খোঁজ নিতে তার বাসায় যান। বাবুল জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি লুৎফোরের মুরিদ। ‘আব্বা আল্লাহ, ইমাম মাহদী হুজ্জাতুল্লাহ’ নামের একটি বই লিখেছিলেন লুৎফোর। ওই বই পড়ে তার সম্পর্কে জানার পর মুরিদ হন। ঢাকায় সবজির পাইকারি ব্যবসা করেন বাবুল। তিনি বলেন, “সারা দেশে তার (লুৎফোর) অসংখ্য মুরিদ রয়েছেন। তিনি বলতেন কোরআন শরিফের কোথাও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথা নেই। সকাল ও সন্ধ্যা তিনি দুই ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ধ্যানের মাধ্যমে। রুকু-সিজদা দিতেন না।” বাবুল বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর তিনি রোজা রাখতে বলতেন। প্রাণী হত্যার বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল তার, এমনকি মশা পর্যন্ত মারলে তিনি নারাজ হতেন।” তবে তিনি গরুর গোস্ত খেতেন। বাবুল আগে প্রায়ই লুৎফোরের বাসায় যেতেন এবং থাকতেন। ২০১১ সালে লুৎফোরের সঙ্গে গ্রেফতার হয়ে কারাবাসের পর তিনি আর বাসায় থাকেন না। তবে নিয়মিত যাতায়াত করেন। লুৎফোর রহমান গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন রোডে একটি বাসায় পরিবার নিয়ে গত তিন মাস ধরে ভাড়া থাকেন। তাকেসহ ছয়জনকে শনিবার সন্ধ্যায় ওই বাসায় গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত অন্যরা হলেন লুৎফোরের ছেলে সরোয়ার ইসলাম ফারুক (৩০) এবং মুরিদ মোহাম্মদ শাহিন (২৫), মুজিবুর (২৫), মঞ্জুরুল আলম (২৫) ও রাসেল ভূঞা (২০)। এ ঘটনায় রাতে ওয়ারী থানায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন লূৎফোরের ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফারুক। মামলার এজাহারে বলা হয়, লুৎফোর রহমানের ধর্মীয় মতাদর্শের সঙ্গে প্রচলিত ধর্মীয় (ইসলাম) মতাদর্শের বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল। এ কারণেই তাদের ছয়জনকে হত্যা করা হয়। ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোকাররম হোসেন বলেন, ঘটনার পর ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের মধ্যে ছয়জনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অভিভাবকদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। উৎসঃ নতুন বার্তা Share on facebook Share on email Share on print

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন