বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩


এগারো বছরে খুন ২৬ সাংবাদিক 26 Dec, 2013 সাংবাদিক সাগর-রুনীর শোকের ক্ষত না শুকাতেই খুন হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী আফতাব আহমেদ। বুধবার নিজ বাড়িতে তিনি খুন হন। রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতি বছর কোনো না কোনো সাংবাদিক খুন হলেও হত্যা রহস্যের কোনো কূল-কিনারা হচ্ছে না। আর এ কারণেই সাংবাদিকদের অপমৃত্যু হচ্ছে। এগারো বছরে নিহত হয়েছেন ২৬ সাংবাদিক। মাত্র একটি হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে। দৈনিক সমকালের ফরিদপুর প্রতিনিধি গৌতম দাসের হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে এ বছর। অনেক ক্ষেত্রে হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাপন করছে স্বাভাবিক জীবন। কেউ রয়েছেন জামিনে। কেউ আবার পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে কর্মরত রয়েছেন। গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে নিজ বাসায় খুন হন মাছরাঙ্গা টিভির নিউজ এডিটর সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনী। দফায় দফায় সাংবাদিকদের আন্দোলন কর্মসূচির পরও তাদের হত্যার কারণ অদ্যাবধি জানা যায়নি ও বিচার হয়নি। ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি নিজ বাসায় খুন হন দৈনিক জনতার সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন। অর্থনৈতিক কারণে নিকট আতœীয়ের হাতে তারা খুন হন। কয়েক বছর আগে দৈনিক সংবাদের রিপোর্টার শান্তার মৃত্যুও প্রশ্নবোধক হয়ে আছে। তার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যাÑ তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। শান্তাকে তার মোহাম্মদপুরের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে ২০০৪ সালে খুন হন নিউ এজ পত্রিকার বিনোদন রিপোর্টার নাবিল পাপ্পু। এ সাংবাদিকের মৃত্যুর কারণ পারিবারিক কলহ। সাংবাদিকদের হত্যার বিচার না হওয়া প্রসঙ্গে আবুল মুকসুদ বলেন, সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিক হত্যাকা-ের বিচার হলে এ ধরনের হত্যাকা- আর হতো না। শুধু রাজধানীতে নয়, ঢাকার বাইরেও সাংবাদিকরা নিরাপদ নন। ১৯৯৬ সালের ৮ জুন সাতক্ষীরার পত্রদূত সম্পাদক শম আলাউদ্দীন খুন হন। ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল খুন হন। ২০০০ সালের ১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠের যশোর প্রতিনিধি শামছুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। ২০০৪ সাল ছিল সাংবাদিকদের জন্য ভয়াবহ বছর। এ বছর সারা দেশে পাঁচজন সাংবাদিক আততায়ীর হাতে নিহত হন। ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে বোমা হামলায় নিহত হন দৈনিক সংবাদের খুলনা ব্যুরো প্রধান এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি মানিক সাহা। একই বছরের ২ মার্চ খুন হন নিউ এজের নাবিল। ২৭ জুন নিজের অফিসে নিহত হন খুলনার দৈনিক জন্মভূমির সম্পাদক হুমায়ূন কবির বালু। ২০০৪ সালের অক্টোবরে বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দুর্জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক দীপাঙ্কর চক্রবর্তী নিজ বাসায় নিহত হন। এ বছর আরও খুন হন খুলনার দৈনিক সংগ্রামের বেলাল হোসেন। ২০০৫ সালের ২৯ মে কুমিল্লার দৈনিক মুক্তকণ্ঠের গোলাম মাহমুদ নিহত হন। ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রতিনিধি গৌতম দাস খুন হন। তিনি স্থানীয় ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট লেখেন। মৃত্যুর আগে সন্ত্রাসীরা গৌতমকে লাগাতার হত্যার হুমকি দিয়েছিল। উৎসঃ আলোকিত বাংলাদেশ Share on facebook Share on email Share on print

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন