চুপসে গেল হেফাজতী বেলুন
24 Dec, 2013
সরকারের অনুমতি না পাওয়ার অভিযোগ তুলে শেষ পর্যন্ত মতিঝিল শাপলা চত্বরে ঘোষিত আজকের মহাসমাবেশ স্থগিত করেছে হেফাজত। ‘কর্মসূচী হবেই’-প্রকাশ্যে এমন হুঙ্কার দিলেও সোমবার রাজধানীর বারিধারার জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলন করে বিতর্কিত এ সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক নূর হুছাইন কাসেমী পিছু হটার ঘোষণা দিয়েছেন। কর্মসূচী স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে হেফাজত নেতা বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। অনুমতির জন্য আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু সরকার কোনভাবেই অনুমতি দেবে না। আমরা অশান্তি চাই না। সরকারের বাধার কারণে আপাতত সমাবেশ হচ্ছে না। পরবর্তী কর্মসূচী শফি হুজুর নির্ধারণ করবেন। সমাবেশটি যেহেতু ঢাকায় হওয়া কথা ছিল তাই স্থগিতের কথাটিও আমরাই আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দিলাম। তবে কর্মসূচী স্থগিত করা হলেও সোমবার দিনভর এ নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের নেতারা একেকজন একেক বক্তব্য দিয়ে সৃষ্টি করেন বিভ্রান্তি। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় বিভ্রান্তির জন্য উল্টো গণমাধ্যমকেই দায়ী করে হেফাজত নেতারা বলেন, স্থগিতের খরবই সঠিক।
কর্মসূচী স্থগিতের আগে সকালেই হেফাজতের আমির আহমদ শফী ও মহাসচিব বাবুনগরীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আসা নিয়েও চলে নাটক। হেফাজত নেতারা দাবি করেন, পুলিশের বাধায় নেতারা ঢাকায় আসতে পারেনি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, বাধা দেয়া হয়নি। তাঁরা এই অবরোধ পরিস্থিতিতে ঢাকায় না যাওয়ার জন্য হেফাজতের এ দুই শীর্ষ নেতার প্রতি অনুরোধ করেন। পুলিশের অনুরোধ মেনে নিয়ে তাঁরা মাদ্রাসার ভেতর ফিরে যান। জানা গেছে, মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে মাদ্রাসা গেটেই বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী ও নেতৃবৃন্দ। মাদ্রাসা থেকে গাড়িবহর নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন সম্প্রতি আলোচিত এ সংগঠনের আমিরসহ শীর্ষ নেতারা। কিন্তু গেটেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। ফলে তাদের ফের মাদ্রাসায় ফিরে যেতে হয়। হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হেফাজত নেতাদের নিয়ে একটি গাড়িবহর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আগে থেকেই সতর্ক থাকে পুলিশ। পুলিশের বাধার মুখে হেফাজত নেতারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হতে পারেননি। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় অতিরিক্ত পুলিশ। হেফাজতের নেতারা পুলিশের বাধায় ঢাকায় যেতে না পেরে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পুলিশ হেফাজত নেতাদের ‘পুশ ইন’ করে দিয়ে ব্যারাকে চলে গেলেও মাদ্রাসার প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়েছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ক্যাম্পাসের ভেতর হেফাজত কর্মী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ দেখা দেয়। মাদ্রাসা ফটকে বাধা পাওয়ার পর হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিক-তা হলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুপুরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক নূর হুছাইন কাসেমী কর্মসূচী স্থগিতের ঘোষণা দেন। তবে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে কাসেমী বলেন, আজ কোন প্রশ্ন নেয়া হবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রব সুফী, আবুল কালাম, আব্দুল খালেদ, আব্দুল হাসনাত আমেনী, জাফর উল্লাহ খানসহ মহানগরীর ১১টি জোনের নেতারা। নূর হোসাইন কাসেমী অভিযোগ করে বলেন, পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে অনেক আগে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পুলিশ আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। মহাসমাবেশ করার সব প্রস্তুতি আমাদের ছিল। কিন্তু সরকার অনুমতি না দেয়ায় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছে। চট্টগ্রাম বসে বাববুনগরী এর পরই সাংবাদিকদের বলেন, সমাবেশ স্থগিত করার কোন সিদ্ধান্ত তাঁরা এখনও নেননি। সমাবেশের অনুমতি লাভের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলছে। এমন বিপরীতমুখী অবস্থান নেয়ার দিনভর বিভ্রান্তি ছিল। পরে সন্ধ্যায় বাবুনগরীর বলেন, তাঁরা চাইলে মতিঝিলে সমাবেশ করতে পারেন, তবে এই মুহূর্তে সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে যেতে চান না। হেফাজত নেতারা বলেন, স্থগিতের খবর ঠিক। কিন্তু গণমাধ্যম বিষয়টি ঠিকভাবে আসেনি। বাবুনগরী বলেন, ঢাকায় কোথায়, কিভাবে সমাবেশ হবে, তা ঢাকা মহানগরের নেতারা ঠিক করবেন। হেফাজতের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ঘনিষ্ঠতার যে অভিযোগ রয়েছে, তা আবারও অস্বীকার করেছেন বাবুনগরী। হেফাজতে ইসলাম নির্বাচন করবে না। আল্লাহর কসম, জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আমরা সমাবেশ করছি না। হেফাজত মহাসচিব বলেন, সরকার পতন আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ নয়। কিন্তু বামদের কারণে সরকার যা শুরু করেছে, এ জন্য তৌহিদী জনতা যদি ক্ষুব্ধ হয় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। পরবর্তী কর্মসূচী আসলে কী হবে? এ বিষয়ে তিনি একই সঙ্গে বলেছেন, ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে না দিলে সারাদেশে হাজার হাজার সমাবেশ হবে। সেই সঙ্গে সচিবালয় ঘেরাও করা হতে পারে। বাবুনগরী সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের বাধার মুখে আমরা আজ ঢাকায় যেতে পারিনি। মহাসমাবেশ করতে না দিলে সারাদেশ থেকে হেফাজতের নেতাদের হাটহাজারীতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে। সেখানে বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। কিন্তু ঢাকায় অবস্থানরত হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী কর্মসূচী স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এ বিষয়ে মিডিয়া কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। কোন কোন মিডিয়া ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে ঢাকার কমিটি। সুতরাং তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক। জানা গেছে, অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিককরণে সংগঠনের মধ্যে মতানৈক্য চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে সাংগঠনিক কর্মকা-ে নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সংগঠনটির মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতাদের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে মাদ্রাসার অরাজনৈতিক শিক্ষকরা। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা হেফাজতের নেতৃত্ব নিয়ে জড়িয়ে পড়েছেন শীতল বিরোধে। এতে হেফাজত নিয়ে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমছে। কর্মসূচী স্থগিতের বিষয়ে বিরোধই মূল কারণ বলে জানা গেছে। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিএনপি-জামায়াত জোটের রাজনীতি করতে গিয়ে চরম বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্ব। অর্থ লোপাট, টাকার ভাগাভাগি, ১৮ দলের স্বার্থে অর্ধকোটি কওমী মাদ্রাসার ছাত্রের সরকারী সনদের বিরোধীতার ঘটনা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ত্রিমুখী বিরোধ। সারাদেশের কওমী ঘরানার এক হাজার বিশিষ্ট মুফতি ঘোষণা দিয়েছেন, হেফাজতী হুজুরেরা ইসলামের আড়ালে অর্থের লালসায় বিএনপি জোটের পিছু নিয়েছে। অন্যদিকে মাদ্রাসার অরাজনৈতিক শিক্ষকেরা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মাঠে নামতে আগ্রহী নন। একই সঙ্গে তাঁরা চান না তাঁদের মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হোক। ফলে দ্বিমুখী এই দ্বন্দ্বে ফাটল ধরেছে হেফাজতের ঐক্যে। হেফাজতের কর্মকা-ের সংবাদ গণমাধ্যমেও পাঠানো নিয়ে নেই কোন সমন্বয়। নিজের ইচ্ছে মতো তিনজন বিবৃতি ও সভার সংবাদ পাঠান। শাহ্ আহমদ শফী ঢাকার অস্থায়ী কার্যালয় পরিবর্তন করে বারিধারা মাদ্রাসায় নির্ধারণ করলেও লালবাগকেন্দ্রিক ইসলামী ঐক্যজোটের অংশটি এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। লালবাগ মাদ্রাসাকে অস্থায়ী কার্যালয় দেখিয়ে বিবৃতি পাঠাচ্ছে হেফাজতের এ অংশটি। নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, শফী সাহেব বারিধারা মাদ্রাসাকেই অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি বুঝতে পারছি না তাঁরা কেন এমন করছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে লালবাগ থেকে কোন বিবৃতি দেয়ার সুযোগ নেই। আমার সংবাদ সম্মেলনের পর একই দিনে বিবৃতি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্ম মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর প্রচার সেলের প্রধান মাওলানা ওয়াছেল বলেন, আমি ঢাকার হেফাজতে ইসলামের প্রচার সেলের প্রধান। মূল দায়িত্ব আমার। হেফাজতের ঢাকার কার্যালয় লালবাগে। তবে মাওলানা নূর হোসাইন কাশেমী অসুস্থ থাকায় তিনি বারিধারায় সভা করেন। নিয়মিত লালবাগে আসতে পারেন না। হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, মাঠে নামতে নারাজ হেফাজতের অরাজনৈতিক নেতারা। ফলে ঘোষণা দিয়ে বার বার স্থগিত হয়েছে কর্মসূচী। রাজনৈতিক দলের হেফাজত নেতারা অবশ্য শফীকে চাপ দিচ্ছেন সমাবেশের করতে।
২০১০ সালে সরকারের নারীনীতির প্রতিবাদ জানাতেই মূলত হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী অধ্যক্ষ আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি। এখন তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারেই ১৮ দলীয় জোট ইসলামবিরোধী কর্মকা- বন্ধের নামে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে। নতুন কমিটি হলেও হেফাজতের আন্দোলনে নেতৃত্বে আছেন ১৮ দলীয় জোটভুক্ত সব ইসলামী দলের নেতারাই। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শফির পরই অন্য নেতাদের অবস্থান। তাঁদের কেউ নায়েবে আমির, কেউ যুগ্ম মহাসচিব বা অন্য পদে আছেন। নায়েবে আমির পদে আছেন নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি জঙ্গীবাদের দায়ে অভিযুক্ত মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপি সমর্থিত জাতীয় ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল মান্নান, আছেন ১৮ দলের নেতা আবদুল লতীফ নেজামী। নেতৃত্বে আছেন ঢাকার তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং জামায়াতে ইসলামীর রুকন জয়নাল আবেদীন, সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ সংগ্রাম পরিষদের সেক্রেটারি ইসলামী দলগুলোর সমন্বয়কারী এবং চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের রুকন অধ্যক্ষ মিয়া মুহাম্মদ হোসাইন শরীফ এবং আছেন চট্টগ্রামের লিয়াজোঁ কমিটির আহ্বায়ক ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী।
তবে ঢাকায় আগামীকাল মঙ্গলবারের মহাসমাবেশ নিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের তরফ থেকে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নূর হোসাইন কাসেমী মহাসমাবেশ স্থগিত করার কথা জানিয়েছিলেন। আজ রাজধানীর বারিধারার জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও সরকারের বাধার কারণে আমাদের মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন করতে পারছি না।’ তিনি সরকারের বাধার নিন্দা জানান এবং এর বিচারের ভার জনগণের আদালতে দেন।
তবে যোগাযোগ করা হলে সংগঠনটির মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সমাবেশ স্থগিত করার কোন সিদ্ধান্ত তাঁরা এখনও নেননি। সমাবেশের অনুমতি লাভের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলছে। গত ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরের সমাবেশে যোগ দিতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর পর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য শাপলা চত্বরে অবস্থানের ঘোষণা দেন তাঁরা। তবে রাত আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষের কারণে ওইদিন পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, শান্তিনগর, মালিবাগ ও মতিঝিল এলাকার বাসিন্দারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছিল না। এমনকি পল্টন এলাকায় অনেক অফিসের কর্মীরা আটকা পড়েন। কথিত নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি, ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করাসহ ১৩ দফা দাবিতে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী পালন করে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। তাঁদের এ কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি ও এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।
উৎসঃ জনকন্ঠ
Share on facebook Share on email Share on print
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন