সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩


অভিযান চলবে ১৭ জেলায় 17 Dec, 2013 নাশকতা ও সহিংসতা মোকাবিলায় যে কোনো মুহূর্তে সারা দেশে শুরু হচ্ছে যৌথবাহিনীর অভিযান। তবে বিশেষ নজরে থাকবে জামায়াত অধ্যুষিত ১৭ জেলা। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা, নীলফামারী, কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, লালমনিরহাটে যৌথবাহিনী তাদের প্রস্তুতিমূলক মহড়া চালিয়েছে। যৌথবাহিনীর এসব প্রস্তুতিমূলক অপারেশনে ওইসব এলাকায় সফলতাও এসেছে। একই সঙ্গে আজ থেকে অপারেশনের গতি আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। যৌথবাহিনীর অপারেশনের গতি বাড়াতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দফতর থেকে সব ব্যাটালিয়নে বিশেষ নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র। অন্যদিকে, স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশ বিভাগের গতি আনতে রবিবারই পুলিশের এক ডিআইজি, দুই অতিরিক্ত ডিআইজি ও পাঁচ পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রেলওয়ের ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি, সাতক্ষীরা ও দিনাজপুরের পুলিশ সুপারও আছেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার জানান, সর্বাত্মক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেখানে যৌথবাহিনীর অভিযান প্রয়োজন ঠিক সেখানেই অভিযান চালানো হবে। এ জন্য সব ধরনের প্রস্ততি নিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে, রবিবার সকালে অস্ত্রসজ্জিত হেলিকপ্টার নিয়ে ঢাকার আকাশে টহল দিয়েছে র‌্যাব। শনিবার রাতে সাতক্ষীরায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেন যৌথবাহিনীর সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, রেলপথে বা মহাসড়কে যারা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যারা হরতাল ডেকেছে এবং এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় কৌশল প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যে কোনো উপায়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে এসব নির্দেশনা মানতে প্রশাসন ও পুলিশকে সহায়তা করতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দলীয় নেতা-কর্মী বা জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি-আনসারকে সমষ্টিগতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, দেশের মানুষের জানমাল রক্ষার জন্যই সরকার যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। র‌্যাব সদস্যরা এ জন্য প্রস্তুত রয়েছে। Share on facebook Share on email Share on print 1

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন