যেভাবে খুন করা হয়েছে লক্ষীপুর জামায়াত নেতা ডাঃ ফয়েজকে
17 Dec, 2013
নিহতের স্ত্রী মারজিয়া ফয়েজসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান,
পৌনে বারটার দিকে গাড়ির শব্দ শুনেই বেলাল বুঝল কারা এসেছে। বান্নাকে ফোন দিয়ে জানালো যে বাসায় অভিযান শুরু হয়েছে। ওরা এসেই মেইন গেটে তালা দেখে পেছনের দুইটা দরজা ভাঙ্গা শুরু করল। বেলাল ছাদে উঠে সানসেটে শুয়ে পড়ল। উনি ড্রেস চেইঞ্জ করে তৈরী হয়ে গেলেন। বেলালের স্ত্রী সহ আমরা তিনতলায়। ওরা একের পর এক দরজা ভেঙ্গে এগিয়ে আসছে। উনি সোফায় বসে আমাকে আর বেলালের বউকে হাত ধরে দুই পাশে বসালেন। তারপর বললেন, "আমাকে তোমরা মাফ করে দিও"।
তারপরই আমরা যে রুমে ছিলাম, সেই রুমের দরজা পর্যন্ত চলে আসল ওরা। উনি দরজা খুলে সালাম দিলেন। ওরা বলল, আপনি কে? উনি বললেন, আমি ডা. ফয়েজ। একজন খুশি হয়ে বলল, গুড!
তারপর ওনার হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেল। যাওয়ার আগে মোবাইলগুলো নিয়ে আমাদেরকে বেড রুমে রেখে ছাদে উঠার গেটটা আটকে দিয়ে গেল। আমাদের দারোয়ানের ছেলেটাকে ভেবেছিল বেলাল। সেজন্যে ওকেও ছাদে নিয়ে গিয়েছিল। পরে উনি যখন বললেন, ও তো আমার ছেলে না। ও আমাদের দারোয়ানের ছেলে। তখন ওকে নিচে একটা রুমে তালা মেরে গেল। ওরা বিভিন্নজনকে ফোন দিয়ে আসতে বলার জন্য বলল। উনি রাজি হলেন না। বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইল উনি বললেন না। ওদের সাথে প্রচন্ড ধস্তাধস্তি হল। আমরা নিচে থেকে শব্দ পাচ্ছিলাম। তারপর হঠাৎ ধুপ করে কিছু নিচে পড়ার শব্দ পেলাম। সাথে সাথে ওরা নিচে নেমে এল। নিচে পড়ে ওনার মাথাসহ শরীর থেতলে গিয়েছিল। ওরা নিচে এসেই একজন গুলি করে দিল। আরেকজন বলল, "এটা কি করলি? তোরা কি মানুষ না?" তারপর লাশটা নিয়ে সদর হাসপাতালে রেখে গেল। ওখানে বান্নার এক ডাক্তার বন্ধু লাশ দেখে বান্নাকে ফোন করে জানালো। ওরা টিএনটির লাইন কাটেনি। বান্না টিএনটিতে ফোন করে বলল, "আম্মা, আব্বু তো শহীদ হয়ে গেছেন।"
Share on facebook Share on email Share on print 51
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন