মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩

২১তম শিক্ষার্থীকে ঢাবির শিক্ষক করার সুপারিশ! 10 Dec, 2013 দলীয়করণ করতে গিয়ে বিভাগে ২১তম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঐতিহ্য অনুযায়ী ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অবস্থানকারীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলেও গত কয়েকটি নিয়োগে তা লঙ্ঘণ করা হয়েছে। দেশ সেরা প্রতিষ্ঠানে মেধাবীদেরকে এভাবে অবমূল্যায়ণ করে কম মেধাবীদের শিক্ষক নিয়োগ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ উঠেছে দলীয়করণ করতে গিয়ে প্রশাসন এ রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগে নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে। সিএনডির (বিভাগীয় কমিটির সুপারিশ) অনুমতি ছাড়াই গত ৮ই ডিসেম্বর সিন্ডিকেট মিটিংয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ওই বিভাগে ২ জন লেকচারার পদে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ১১ জনের আবেদন চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করা হয়। পরে ২ জনকে শিক্ষক নিয়োগ কথা থাকলেও দলীয়করণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ১জনকে নিয়োগ দেয় বর্তমান প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে একজন অভিজিৎ দে। তিনি অনার্সে ৫ম এবং মাস্টার্সে ২য় স্থানকারী ছিলেন। অন্যজন শাহদাত বিন সাইদ। তিনি অনার্সে ৩য় এবং মাস্টার্সে ৪র্থ স্থানকারী ছিলেন। অন্যদিকে, নিয়ম লঙ্ঘণ করে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক হলেন- মিস টুম্পা দাস গুপ্ত। তিনি মাস্টার্সে ১ম হলেও অনার্সে ২১তম ছিলেন। তার লিখিত পরীক্ষায় নম্বর কম পেলেও ভাইভা পরীক্ষায় অতিরিক্ত নম্বর পেয়েছেন। টুম্পা দাসের অনার্সে ২১তম হওয়ার পর মাস্টার্সের ১ম হওয়া অনেককেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফরিদা বেগম বলেন, আমাদের আসন খালি আছে। আর আসন খালি থাকলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম লঙ্ঘণ হয় না। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, তার সম্পর্কে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। এটা রটানো হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে চেয়ারম্যানের মিথ্যা রটনার অভিযোগটা অসত্য। তার অনার্সের ফলাফল যাচাই করলে দেখা গেছে তিনি বিভাগের ২১তম স্থানে রয়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমদকে ফোন করা হলে তিনি জরুরি মিটিংয়ে আছেন বলে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। উৎসঃ ঢাকাটাইমস২৪ Share on facebook Share on email Share on print

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন