গবেষণা: গণতন্ত্র নয়, যুক্তরাষ্ট্রে আছে গোষ্ঠীতন্ত্র
19 Apr, 2014
যুক্তরাষ্ট্র ধনী ও ক্ষমতাবানদের দ্বারা পরিচালিত হয়।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্টিন গিলেনস ও নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বেঞ্জামিন আই পেইজ এর গবেষণায় এটি বের হয়ে আসে।
এটা খবর কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে। কিন্তু এই দুই গবেষক তাদের সিদ্ধান্তে আসার আগে অনেক গবেষণা করেছেন এবং তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
তারা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে সরকারের নীতি নির্ধারণে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অংশটি কিভাবে প্রভাব রাখছে বা সংঘবদ্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষায় সরকারকে প্রভাবিত করছে।
সাধারণ নাগরিক বা জনস্বার্থে যারা কাজ করছেন তাদের প্রভাব সেখানে খুবই কম।
অর্থাৎ সহজ কথায় বলতে গেলে অল্প কজন বিত্তশালী সরকারের নীতি নিয়ন্ত্রণ করে যেখানে সাধারণ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানদের সেখানে প্রভাব নেই।
এই দুই অধ্যাপক এ সিদ্ধান্তে আসার আগে জরিপ চালিয়েছেন ১,৭৭৯ জনের মধ্যে।
১৯৮১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সরকারের নীতি নির্ধারণে অবদানের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে যতই নিম্ন আয়ের দিকে যাওয়া হয়েছে ততই প্রভাব কমেছে। সেখানে উচ্চ আয়ের এবং সংগঠিত প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থ বাস্তবায়িত হয়েছে বেশি।
তাদের গবেষণায় বলা হয় ‘কোনো প্রস্তাবিত নীতি যার পক্ষে অর্থনৈতিকভাবে অভিজাত আমেরিকানদের সমর্থন নেই সেসব পলিসি বাস্তবায়নের হার ১৮%। অর্থাৎ ৫ টিতে ১ টির কম। কিন্তু কোনো প্রস্তাবিত পরিবর্তনের জন্য যদি ধনীদের উচ্চসমর্থন থাকে সেগুলো বাস্তবায়নের হার প্রতি ৫ টিতে ৪!’
অন্যদিকে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকও অর্থনৈতিক অভিজাত বা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীর বিপক্ষে মত দেয় তাহলে তারা সাধারণত হেরে যান।
সূত্র: বিবিসি
উৎসঃ আরটিএনএন
Share on facebook Share on email Share on print
ুম
উত্তরমুছুন